লিগ্যাল এইডের মাধ্যমে ঝিনাইদহে ১৪৪২ মামলা নিষ্পত্তি
লিগ্যাল এইডের মাধ্যমে ঝিনাইদহে ৫৭১ মামলার মধ্যে ৫১৬ মামলা নিষ্পত্তি ও ৮০৭ টি আপোষ মামলার মধ্যে ৭৫৬টি নিষ্পত্তি হয়। এর মধ্যে ১৭০টি পরিবার পারিবারিক অভিযোগ নিষ্পত্তির পরে সুখে শান্তিতে বসবাস করছেন। এ পর্যন্ত অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ১ কোটি ৪৮ হাজার টাকা দেনমোহর আদায় করেছে।
শুক্রবার (২৮ এপ্রিল) জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় এ তথ্য জানান ঝিনাইদহ জেলা লিগ্যাল এইড কমিটির চেয়ারম্যান বিজ্ঞ জেলা ও দায়রা জজ মো. নাজিমুদ্দৌলা। 'বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নপূরন, বিনামূল্যে আইনি সেবার দ্বার উম্মোচন' এই শ্লোগানকে সামনে রেখে সকালে জেলা লিগ্যাল এইড কমিটির উদ্যোগে বর্ণাঢ্য র্যালি, সেচ্ছায় রক্তদান ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
আইনজীবিদের পরিষেবায় ৭ লাখ টাকা ব্যায় হয়েছে বলেও আলোচনা সভায় জানানো হয়।
লিগ্যাল এইডের চেয়ারম্যান মো. নাজিমুদ্দৌলা বলেন, আজকে আদালতে মামলা জটের জন্য শুধু মাত্র আইনজীবি নয়, এর সাথে সংশ্লিষ্টরা দায় এড়াতে পারেন না। পাশাপাশি বাদী বিবাদীর কারনেও মামলা জটের অন্যতম কারন বলে তিনি মনে করেন। বর্তমানে জেলার লিগ্যাল এইড তার কার্যক্রম দ্রুততম সময়ে বিভিন্ন সমস্যার সমাধান দিয়ে যাচ্ছে বলেও জানান তিনি। এসময় তিনি জেলা লিগ্যাল এইড এর কার্যক্রম আরও বেগবান হবে এবং অসহায় মানুষের আইনী সেবা অব্যহত রাখবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
তিনি আরও বলেন, সমাজের নির্যাতিত অসহায় দরিদ্রদের মামলার ব্যায় লিগ্যাল বহন করে এ তথ্য সকলে জানাতে হবে। সেই সাথে ন্যায় বিচার বঞ্চিতদের হয়রানি ছাড়া সেবা দেওয়ার আহ্বানও জানান তিনি।
আলোচনা সভায় অন্যান্য বক্তাগন লিগ্যাল এইডের কার্যক্রমকে শহর থেকে প্রান্তিক পর্যায়ে পৌঁছে দেওয়ার আহবান জানিয়ে বলেন, লিগ্যাল এইডের সহয়তা যেন অব্যহত থাকে। বক্তাগন সমাজের প্রকৃত অভাবী, দুঃখী ও দরিদ্র মানুষকে আইনগত সহায়তা দিয়ে তাদের পাশে থাকার আহ্বান জানান।
ঝিনাইদহ জেলা লিগ্যাল এইড কমিটির চেয়ারম্যান বিজ্ঞ জেলা ও দায়রা জজ মো. নাজিমুদ্দৌলার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আল আমিন মাতব্বার, পুলিশ সুপার আশিকুর রহমান, সিভিল সার্জন শুভ্রা রানী দেবনাথ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রাজিবুল ইসলাম খান, পৌর মেয়র কাইয়ুম শাহরিয়ার জাহেদী হিজল, সিনিয়র সহকারী জজ মো. বুলবুল আহম্মেদ, আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাড মো. রবিউল ইসলাম, পিপি অ্যাড ইসমাইল হোসেনসহ বিজ্ঞ বিচারক ও আইনজীবীরা উপস্থিত ছিলেন।
/এএস