শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪ | ১৩ পৌষ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

খুলনার দর্জিবাড়িতে ব্যস্ততা বেড়েছে

আর কিছুদিন বাদেই ঈদুল ফিতর। এ উপলক্ষে খুলনার দর্জিবাড়িতে ব্যস্ততা বেড়েছে। রমজান মাস চলছে। ঈদে কেমন পোশাক পরবেন লোকজন তার পরিকল্পনা শুরু হয়েছে গেছে। সেলাই মেশিনের খঠ খঠ শব্দে দর্জিপাড়া সরগরম। অক্লান্ত পরিশ্রমে তারা তৈরি করেন ঈদের নতুন জামা। দিন রাত যেন কোনো সময়ই থামে না কাঁচির খ্যাচ খ্যাচ শব্দ। সবমিলিয়ে রমজানের শুরু থেকেই জমজমাট টেইলার্স ব্যবসা। এ ব্যস্ততা চলবে চাঁদ রাত পর্যন্ত।

শবেবরাতের পর থেকেই এসব পোশাক তৈরির অর্ডার নেওয়া শুরু হয়েছে। সাধারণত ২০ রমজানের পর অর্ডার নেওয়া বন্ধ করে দেবেন অনেক দোকানি। তাই প্রতিটি দর্জি দোকানের কারিগরদের এখন নির্ঘুম রাত কাটছে। ঈদ যতই ঘনিয়ে আসছে তাদের ব্যস্ততা ততই বাড়ছে। পোশাকভেদে সেলাই প্রতি ৯০ টাকা থেকে সাড়ে ৩০০ টাকা পর্যন্ত মজুরি পান শ্রমিকরা।

নগরীর সেমেট্রি রোড এলাকার দর্জিপাড়ার দর্জিরা জানান, মাঝে কয়েকদিন বৃষ্টি হলেও এখন গরমের দাপট কম নয়। তাই সুতি কাপড়ের পোশাক তৈরির অর্ডার এবার বেশি হচ্ছে। ঈদের প্রচুর কাজ জমে আছে দোকানগুলোতে। তবে আগের মতো নয়।

ওই এলাকার দর্জি মারুফ হোসেন জানান, অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছর রোজার শুরু থেকেই কাপড় সেলাইয়ের অর্ডার হচ্ছে। বিশেষ করে তরুণীরা পছন্দের জামা সেলাই করতে আগেই অর্ডার দিয়ে দিয়েছে। সেইসব কাজ এখন করছি। তবে বাজারের সব জিনিসপত্রের দাম বাড়লেও আমাদের মজুরি বাড়েনি।

নগরীর ডাকবাংলা ফেরিঘাট এলাকার দর্জি মো. আবু সাইদ জানান, মেয়েদের পোশাকে এবার তেমন একটা পরিবর্তন আসেনি। শবে বরাতের পর থেকেই ঈদের অর্ডার নেওয়া শুরু হয়েছে। তবে কাজের চাপ বেড়েছে ৫-৬ রোজার পর থেকে। এখনো প্রতিদিন নতুন নতুন কাজ আসছে।

নগরীর দৌলতপুর দেয়না দাসপাড়া বাউন্ডারি রোড এলাকার দর্জি মাস্টার সুকুমার দাস জানান, ঈদে কাজের চাপ বেড়েছে। তবে আগের মতো ব্যস্ততা নেই। এখন মানুষের কাছে টাকা নেই। এছাড়া প্রতি গজ সুতি কাপড়ে দাম বেড়েছে ১০ থেকে ১২ টাকা। ক্রেতারা যখন এসে বেশি দামে কেনা কাপড়ের কথা বলে, তখন আমরা আর আমাদের মজুরি বাড়াতে পারি না। আমাদের যাদের টেইলার্স এর দোকান রয়েছে, আমরা সেই দোকানে অর্ডার নিয়ে কাটিং করি। আর সেলাই এর জন্য অন্যরা কাজ করে। একজন কাস্টমারের কাছ থেকে আমরা যে মজুরি নেই, সেই মজুরির তিন ভাগের একভাগ তাদের দিতে হয়। আমাদের দুইভাগে যা আসে তাতে সব খরচ বাদ দিয়ে কী আর সংসার চলে।

এসএন

Header Ad
Header Ad

নাগরিক কমিটির ৩৬ সদস্য বিশিষ্ট নির্বাহী কমিটি ঘোষণা

ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় নাগরিক কমিটির ৩৬ সদস্যের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) সংগঠনটির আহ্বায়ক নাসিরউদ্দিন পাটোয়ারী ও সদস্য সচিব আখতার হোসেন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার বিলোপ ও নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত বাস্তবায়নে জাতীয় নাগরিক কমিটির সাংগঠনিক গতিশীলতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে এই কমিটি গঠন করা হয়েছে।

কমিটিতে রয়েছেন আলাউদ্দীন মোহাম্মদ, ডা. তাজনূভা জাবীন, ফয়সাল আহমেদ শান্ত, মুহাম্মদ হাসান আলী, অ্যাডভোকেট মুস্তাফিজুর রহমান, ডা. মো. আব্দুল আহাদ, জাবেদ রাসিন, অলীক মৃ, ডা. মাহমুদা আলম মিতু, মো. আতাউল্লাহ, সারোয়ার তুষার, অনিক রায়, মাজহারুল ইসলাম ফকির, মাহবুব আলম (মাহির), নাহিদা সারোয়ার চৌধু্রি, এস এম শাহরিয়ার, মশিউর রহমান, মোহাম্মদ মিরাজ মিয়া, আলী আহসান জুনায়েদ, ডা. তাসনিম জারা, মনিরা শারমিন, আব্দুল্লাহ আল আমিন, এস এম সাইফ মোস্তাফিজ, ড. আতিক মুজাহিদ, মো. নিজাম উদ্দিন, আরিফুল ইসলাম আদীব, রাফে সালমান রিফাত, মুশফিক-উস-সালেহীন, আরেফিন মোহাম্মদ হিযবুল্লাহ, সালেহ উদ্দিন সিফাত, আশরাফ উদ্দিন মাহদি, আকরাম হুসাইন সিএফ, সারজিস আলম, সামান্তা শারমিন, আখতার হোসেন ও মুহাম্মদ নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী।

জাতীয় নাগরিক কমিটি থেকে আরও বলা হয়, এই নির্বাহী কমিটি বিদ্যমান অর্গানোগ্রাম অর্থাৎ আহ্বায়ক, সদস্য সচিব, মুখপাত্র ও মুখ্য সংগঠকের অধীনেই কার্যক্রম পরিচালনা করবে।

Header Ad
Header Ad

গাজায় ইসরায়েলি হামলায় আরো ৩৭ জন নিহত

ছবি: সংগৃহীত

গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযানে গত ২৪ ঘণ্টায় অন্তত ৩৭ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরো ৯৮ জন। শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পরিসংখ্যান অনুসারে, বৃহস্পতি-শুক্রবারের সর্বশেষ অভিযানের পর গাজায় মোট নিহতের সংখ্যা পৌঁছেছে ৪৫ হাজার ৪৩৬ জনে। এছাড়া অভিযানে এ পর্যন্ত আহত হয়েছেন ১ লাখ ৮ হাজার ৩৮ জন ফিলিস্তিনি।

নিহত ও আহতের প্রকৃত সংখ্যা আরও অনেক বেশি। কারণ ভবনের ধ্বংস্তূপের তলায় অনেকে চাপা পড়েছেন। প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম ও জনবলের অভাবে তাদের উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি, উল্লেখ করা হয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের শুক্রবারের বিবৃতিতে।

উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের ভূখণ্ডে ঢুকে অতর্কিত হামলা চালায় গাজা উপত্যকা নিয়ন্ত্রণকারী সশস্ত্র রাজনৈতিক গোষ্ঠী হামাসের যোদ্ধারা। ইসরায়েলে প্রবেশের পর প্রথমে এলোপাতাড়ি গুলি চালিয়ে ১ হাজার ২০০ জনকে হত্যা করে যোদ্ধারা, তারপর ২৪২ জনকে জিম্মি হিসেবে ধরে নিয়ে যায়।

হামাসকে ‘যথাযথ শিক্ষা’ প্রদান এবং জিম্মিদের মুক্ত করতে ওই দিন থেকেই গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী, যা এখনও চলছে।

জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকে এ পর্যন্ত বেশ কয়েকবার গাজায় সামরিক অভিযান বন্ধের জন্য ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুকে আহ্বান জানানো হয়েছে।

ইতোমধ্যে জাতিসংঘের আদালত নামে পরিচিত ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিসে (আইসিজে) ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গণহত্যার মামলাও দায়ের করা হয়েছে।

Header Ad
Header Ad

ভারতে কারাভোগ শেষে দেশে ফিরল ৬ বাংলাদেশি জেলে

ভারতে কারাভোগ শেষে দেশে ফিরেছেন ৬ বাংলাদেশি জেলে। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

সুন্দরবনের দুবলার চরে মাছ ধরার সময় ভারতের কোস্ট গার্ডের হাতে আটকের নয় মাস পর সাজা ভোগ করে দেশে ফিরেছেন ৬ বাংলাদেশি জেলে।

শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় যশোরের বেনাপোল আন্তর্জাতিক চেকপোস্ট দিয়ে তাদেরকে ভারতের পেট্রাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশ হস্তান্তর করেন বলে জানান বেনাপোল আন্তর্জাতিক চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন ওসি ইমতিয়াজ আহসান ভূঁইয়া।

ফেরত আসারা হলেন- পটুয়াখালির আব্দুল মালেকের ছেলে গোলাম রব্বি, মান্নান হাওলাদারের ছেলে জামাল হোসেন, আব্দুল জলিলের ছেলে মাসুম বিল্লাল, নাজির হুসাইনের ছেলে মোহাম্মদ হুসাইন, আব্দুর রহমানের ছেলে ইয়াসিন খান ও দিনাজপুরের সফি উদ্দিন কাজির মেয়ে রসিদা বেগম। ফেরত আসাদের বয়স ৩৫থেকে ৫০ এর মধ্যে।

ওসি ইমতিয়াজ বলেন, ২০২৩ সালে মোংলার সুন্দরবনের দুবলার চর এলাকায় নদীতে মাছ ধরার সময় অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করার দায়ে দেশটির কোস্ট গার্ড তাদেরকে ধরে নিয়ে যায়।

পরে কোস্ট গার্ড আটক জেলেদের ভারতের দমদম থানা-পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে। সেখান থেকে তাদেরকে আদালতে তোলা হলে অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে ছয় মাসের সাজা দেওয়া হয়।

দমদম সেন্ট্রাল কারাগারে সাজাভোগ শেষে বিশেষ ‘ট্রাভেল পারমিটের’ মাধ্যমে তারা দেশে ফিরেছেন বলে জানান ওসি ইমতিয়াজ।

ইমিগ্রেশনে আনুষ্ঠানিকতা শেষে তাদেরকে বেনাপোল পোর্ট থানায় সোপর্দ করা হয়েছে বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।

বেনাপোল পোর্ট থানার ওসি রাসেল মিয়া বলেন, ভারত থেকে ফেরত আসা জেলেদেরকে স্বজনদের কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য মানবাধিকার সংগঠন বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতির জিম্মায় দেওয়া হয়েছে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

নাগরিক কমিটির ৩৬ সদস্য বিশিষ্ট নির্বাহী কমিটি ঘোষণা
গাজায় ইসরায়েলি হামলায় আরো ৩৭ জন নিহত
ভারতে কারাভোগ শেষে দেশে ফিরল ৬ বাংলাদেশি জেলে
সচিবালয়ের সকল বেসরকারি পাস বাতিল, ঢুকতে পারবেন না সাংবাদিকেরাও
শেখ হাসিনা-জয়ের ৩০০ মিলিয়ন ডলার পাচারের প্রমাণ পেয়েছে এফবিআই
দুর্নীতিবাজদের ফাইলগুলো পুড়ে গেছে : রুহুল কবির রিজভী
শনিবার যেসব এলাকায় বিদ্যুৎ থাকবে না
গুম অবস্থায় ভারতের কারাগারে যাওয়ার লোমহর্ষক বর্ণনা সুখরঞ্জন বালির
শেখ হাসিনাকে ‘নারী’ বলতে রাজি নন মৎস্য উপদেষ্টা
সূর্যের সবচেয়ে কাছে মানুষের তৈরি যান
বর্তমান সরকার রিজার্ভ বাড়িয়েছে, ব্যাংক সেক্টর সচল করছে: জামায়াত আমির
বাংলাদেশ জটিল রাজনৈতিক সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে : মির্জা ফখরুল
সংবিধান সংস্কারে রাজনৈতিক দলের সংকল্প জরুরি: অধ্যাপক আলী রীয়াজ
চলতি বছরের বিজিবি-বিএসএফ বৈঠক হচ্ছে না
ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে নিহত সবাই একই পরিবারের
ইউসুফ (আঃ)- এর সমাধিতে নিয়ে গেল ইসরায়েলি সেনারা
ইন্টারপোলের রেড নোটিশে ৬৩ বাংলাদেশি: অপরাধীদের ধরতে আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টা
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আজমীর বরখাস্তের আদেশ বাতিল
মাহফিলে আজহারী উঠবেন রাতে, দুপুরেই ভরে গেছে ময়দান
ইসরায়েলি হামলায় অল্পের জন্য প্রাণে বাঁচলেন ডব্লিউএইচও প্রধান