শুক্রবার, ১৪ মার্চ ২০২৫ | ২৯ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

নির্বাচন নিয়ে সাতক্ষীরার রাজনীতি- পর্ব ৪

নির্বাচন নিয়ে জাতীয় পার্টির প্রচারে নেই অগ্রগতি

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে নড়েচড়ে বসেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। বিএনপি নিরপেক্ষ সরকার ইস্যুতে অনড় থাকলেও তলে তলে নির্বাচনের প্রস্তুতি রাখছে। অপরদিকে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর সরকারের সঙ্গে ‘ডোন্ট ডিস্টার্ব’ চুক্তি করে রাজপথের আন্দোলন থেকে সরে এসেছে জামায়াতে ইসলামী।

প্রকাশ্যে কোনো আন্দোলনে না থাকলেও যুদ্ধাপরাধীর তকমা লাগা এই সংগঠনটি গতবছর বিএনপি জোট থেকে সরে আসার ঘোষণা দিয়েছে। আর দেশের ৩০০ আসনের বিপরীতে ইতোমধ্যে ১২০ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেছে তারা। তলে তলে সংগঠনকে সুসংগঠিত করার পাশাপাশি নিজেদের প্রার্থীকে বিজয়ী করতে গোপনে নির্বাচনী কার্যক্রমও চালাচ্ছে দলটির নেতা-কর্মীরা। তবে দেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে সবার চোখ এখন জাতীয় পার্টির (জাপা) দিকে!

১৯৮৬ সালে জাতীয় পার্টি প্রতিষ্ঠার পর থেকে সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতা হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের মৃত্যুর আগ পর্যন্ত জাতীয় পার্টি ৫টি অংশে ভাগ হয়েছে। বর্তমানে জাপার মূল অংশ নিয়ে একাদশ জাতীয় সংসদে বিরোধী দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন দলটির প্রধান পৃষ্ঠপোষক রওশন এরশাদ ও চেয়ারম্যান জিএম কাদের। বর্তমান সংসদে জাপার মূল অংশের ২৪ সদস্য প্রতিনিধিত্ব করছেন। দেশের রাজনীতিতে জাতীয় পার্টি বড় ধরনের একটা ফ্যাক্ট হলেও জাতীয় পার্টিতে নাটকীয়তা নতুন কিছু নয়।

বায়ুদূষণে রাজধানী ঢাকার যেমন বেহাল দশা, রাজনৈতিক দল হিসেবে জাতীয় পার্টির অবস্থাও বর্তমানে তেমন। দলটির প্রতিষ্ঠাতা এরশাদের মৃত্যুর পর দেবর-ভাবির বিরোধে বর্তমানে জাতীয় পার্টির অবস্থা ‘হ-য-ব-র-ল’ হলেও দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে নতুন করে দলটি কোনো পলিটিকাল ড্রামা দেখাবে কি না? সেটাই এখন ভাবনার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে অন্যান্য রাজনৈতিক সংগঠনের কাছে।

এদিকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সাতক্ষীরার ৪টি আসনে রাজনৈতিক সংগঠনগুলো যখন তৎপর তখন ব্যতিক্রম অবস্থানে জাতীয় পার্টি। টানা দুই মেয়াদে জাতীয় পার্টি দেশের প্রধান বিরোধী দলের ভূমিকায় থাকলেও সেই অর্থে সাতক্ষীরার শহর থেকে গ্রামপর্যায়ে জাতীয় পার্টি নিজেদের জায়গা ও কর্মী সমর্থক বাড়াতে পারিনি।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জেলার বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠন নিয়ে চার পর্বের ধারাবাহিকতার আজ শেষ পর্বে থাকছে সাতক্ষীরার ৪টি আসনে জাতীয় পার্টির সম্ভাব্য প্রার্থী ও দলটির আদ্যোপান্ত নিয়ে।

টানা দুই মেয়াদে জাতীয় পার্টি (জাপা) বিরোধী দলের ক্ষমতায় থাকলেও সাতক্ষীরায় জাতীয় পার্টির অবস্থান নড়বড়ে। কেন্দ্রীয় নেতাদের দ্বন্দ্বে প্রভাব পড়েছে তৃণমূলে। বর্তমানে সাতক্ষীরায় সে অর্থে (শহরকেন্দ্রিক ব্যতীত) দলটির সাংগঠনিক কার্যক্রম নেই বললেও চলে। নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় মহাজোটের প্রার্থী হয়ে সাতক্ষীরার ৪টি আসনের মধ্যে ২টি আসনে জয় পায় জাতীয় পার্টি। তবে পরবর্তী দুটি সংসদ নির্বাচনে আসনগুলো আর ফিরে পায়নি দলটি।

সাতক্ষীরা-১: জেলার কলারোয়া ও তালা উপজেলা নিয়ে গঠিত সাতক্ষীরা-১ আসন। এ আসন থেকে সর্বশেষ ১৯৮৮ সালের ৩ মার্চ অনুষ্ঠিতব্য চতুর্থ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টির মনোনয়নে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন সৈয়দ দীদার বখত। সে বারের নির্বাচন আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, কমিউনিস্ট পার্টি, ওয়ার্কার্স পার্টিসহ দেশের অধিকাংশ প্রধান দলই বর্জন করে। ওই নির্বাচনে জয়লাভ করার পর ১৯৮৯ সালের ২৩ ডিসেম্বর সৈয়দ দীদার বখত এরশাদের মন্ত্রিসভায় সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পান এবং ১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত তিনি এ দায়িত্ব পালন করেন।

পরে ২০০০ সালে তিনি বিএনপিতে যোগদান করেন কিন্তু বিএনপি থেকে সাতক্ষীরা-১ আসনের মনোনয়ন না পাওয়ায় লিবারেল ডেমোক্র্যাটিক পার্টিতে যোগদান করেন। পরে তিনি পুনরায় জাতীয় পার্টিতে ফিরে আসেন এবং ২০১৯ সালের মে মাসে তাকে জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য করা হয়। যদিও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী হয়ে নির্বাচন করলেও প্রদত্ত ভোটের ৮ ভাগের কম ভোট পাওয়ায় জামানত বাজেয়াপ্ত হয় তার। তবে জেলার ৪টি আসনে অবস্থিত ৭টি উপজেলার মধ্যে দিদার বখতয়ের নিজ উপজেলা তালাতে জাতীয় পার্টি সাংগঠনিকভাবে অনেক মজবুত। এই আসনটিতে সাবেক সংসদ ও প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করার সুবাদে এখনো বেশ জনপ্রিয় তিনি। এ কারণে সত্তরোর্ধ্ব সৈয়দ দীদার বখত-এ ভরসা রাখতে হবে জাতীয় পার্টির। জাতীয় পার্টি থেকে সাতক্ষীরা-১ আসনে সৈয়দ দীদার বখত যে জাতীয় পার্টির প্রার্থী হবেন সেটা একপ্রকার নিশ্চিত।

সাতক্ষীরা-২: মহাজোটের প্রার্থী হয়ে সর্বশেষ নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচন থেকে এ আসনে জয় পায় জাতীয় পার্টি। এরপর অনুষ্ঠিতব্য দুটি সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টির কোনো প্রার্থী এ আসন থেকে জয় পাইনি। বরং কাঙ্ক্ষিত ভোট না পাওয়ায় এ আসনে জামানত হারাতে হয় জাতীয় পার্টির প্রার্থীদের। এবারের নির্বাচনে এই আসন থেকে জাতীয় পার্টির মনোনয়ন প্রত্যাশী কেন্দ্রীয় জাপার নেতা শেখ মাতলুব হোসেন লিয়ন। এ ছাড়া সাতক্ষীরা জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি অ্যাডভোকেট শেখ আজহার হোসেন, জেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক আশরাফুজ্জামান আশু এ আসন থেকে দলীয় মনোনয়ন চাইবেন বলে নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে।

সাতক্ষীরা-৩: এই আসন থেকে এখন পর্যন্ত একবার জয় পেয়েছে জাতীয় পার্টি। ১৯৮৮ সালের ৩ মার্চ অনুষ্ঠিতব্য চতুর্থ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টির মনোনয়ন নিয়ে জয়লাভ করেন জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় নেতা ও সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাড. স ম সালাহউদ্দিন সরদার। এর আগে ১৯৮৬ সালের ৭ মে অনুষ্ঠিতব্য সংসদ নির্বাচনে তিনি জয়লাভ করলে সেবার স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করেছিলেন তিনি। এরপর থেকে জাতীয় পার্টির কোনো প্রার্থী এ আসন থেকে জয় পাইনি। তবে এবারের নির্বাচনে এ আসন থেকে জাতীয় পার্টির মনোনয়নের তালিকায় অ্যাড. স ম সালাহউদ্দিনসহ দেবহাটা উপজেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক চেয়ারম্যান আলহাজ আবুল ফজলের নাম শোনা যাচ্ছে।

সাতক্ষীরা-৪: সর্বশেষ নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এ আসনে মহাজোটের শরিক জাতীয় পার্টির গোলাম রেজা নির্বাচনে জয়লাভ করেন। এরপর দুবার জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলেও এ আসন ফিরে পায়নি জাতীয় পার্টি। তবে এই আসনে জাতীয় পার্টির যেমন প্রভাব রয়েছে তেমন আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জামায়াতের প্রভাব থাকায় এবারের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চতুর্মুখী হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের সম্ভাবনা রয়েছে। এবারের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এ আসনে জাতীয় পার্টির হয়ে দলীয় মনোনয়ন চাইবেন কালিগঞ্জ উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি ও সাবেক চেয়ারম্যান মাহবুবর রহমানসহ আরও কয়েকজন।

দ্বাদশ নির্বাচন নিয়ে তৃণমূলের নেতা-কর্মীর ভাবনা: জাতীয় পার্টির প্রধান দুই কর্ণধার দেবর-ভাবির বিরোধে তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের মধ্যে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে। তারা বলছেন, ইতোপূর্বে জাতীয় পার্টির নেতাদের বিরোধের কারণে দলটি আজ ৫ ভাগে বিভক্ত। তবে সবার মধ্যে যদি ঐক্য থাকত তাহলে জাতীয় পার্টি আওয়ামী লীগ-বিএনপির চেয়ে দেশের অন্যতম একটা রাজনৈতিক দল হতে পারত।

এবারের নির্বাচনে কেমন প্রার্থী চান তারা? প্রশ্নের জবাবে তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা বলেন, আমরাতো এখনো এটা জানি না এবার জাতীয় পার্টি মহাজোটের শরিক হয়ে নির্বাচন করবে নাকি মহাজোট ব্যতীত নির্বাচন করবে। সম্প্রতি শুনছি জাতীয় পার্টি এককভাবে ৩০০ আসনে প্রার্থী দেবে। তবে যদি সেটা হয় তাহলে সাতক্ষীরার অনেক আসন যোগ্য প্রার্থীর সংকটে ভুগবে বলে জানান তারা।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে কেন্দ্রীয় নেতাদের ভাবনা: দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টির প্রস্তুতি সম্পর্কিত বিষয়ে কথা হয় দলটির অনেক কেন্দ্রীয় পর্যায়ের নেতাদের সঙ্গে। তারা বলছেন, দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ঘুরে দাঁড়াতে চায় জাতীয় পার্টি (জাপা)। আগামী সংসদ নির্বাচনের জন্য আমরা ৩০০ আসনেই নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছি। যেটা জাতীয় পার্টির পক্ষ থেকে দলটির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের ইতোমধ্যে গণ্যমাধ্যমকেও জানিয়েছেন।

দেবর-ভাবির বিরোধ নির্বাচনে প্রভাব ফেলবে কি না? প্রশ্নের জবাবে তারা বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দেবর-ভাবির বিরোধ প্রভাব ফেলবে না।

দলের মধ্যে যে সমস্যাটা ছিল সেটা মিটে গেছে দাবি করে তারা বলেন, জাতীয় পার্টি কারও দয়া-দাক্ষিণ্যে নয়, জনগণের ভালোবাসা নিয়ে ক্ষমতায় যেতে চাই। আর সে লক্ষ্যে তিন স্তরে প্রার্থী বাছাই প্রক্রিয়া চলছে।

তবে সূত্র বলছে, জাতীয় পার্টি এখন ঘর সামলাবে নাকি দেবর-ভাবির বিরোধে বিভক্ত জাপার তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের ঐক্যবদ্ধ করবে? সেটা নিয়ে রাজনৈতিক এবং সাংগঠনিকভাবে দিশেহারা হয়ে পড়েছে দেবর-ভাবির নেতৃত্বাধীন জাতীয় পার্টির শীর্ষপর্যায়ের নেতারা। এ কারণে এবারের নির্বাচনে ষষ্ঠবারের মতো জাপা বিভক্ত হবে নাকি ভিন্ন কোমো চমক দেখাবে সেটাই এখন ভাবনার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে দলটির তৃণমূলের নেতা-কর্মীসহ অন্যান্য রাজনৈতিক সংগঠনদের কাছে।

সব মিলিয়ে সাতক্ষীরার ৪টি আসনে আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দল, জামায়াতের জোট ছাড়ার ঘোষণা, বিএনপির যোগ্য প্রার্থীর সংকট, জাতীয় পার্টির দেবর-ভাবির বিরোধে তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা বিভক্ত হওয়ায় এবারের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যেকোনো দলের প্রার্থীকে জয় পেতে হলে তরুণ ও ভাসমান ভোটারদের সমর্থন লাগবে। অন্যথায় হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের সম্ভাবনা রয়েছে জেলার সবকটি আসনে।

এসজি

Header Ad
Header Ad

আমি জানি না, ওরা কেন মাঠ থেকে অবসর নিতে চায় না : খালেদ মাহমুদ সুজন

আমি জানি না, ওরা কেন মাঠ থেকে অবসর নিতে চায় না : খালেদ মাহমুদ সুজন। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশের ক্রিকেটে আন্তর্জাতিক মঞ্চ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে বিদায় নেওয়ার সংস্কৃতি এখনো গড়ে ওঠেনি। সর্বশেষ মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অবসরের ঘোষণা দেওয়ার পর এই প্রসঙ্গ আবার আলোচনায় এসেছে।

২০০৬ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ঘরের মাঠে সিরিজ খেলে ফুলের তোড়া হাতে নিয়ে হাসিমুখে বিদায় নিয়েছিলেন খালেদ মাহমুদ সুজন। একইভাবে ২০০৮ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে বিদায় নিয়েছিলেন মোহাম্মদ রফিক। কিন্তু এরপর থেকে দুই দশকের বেশি সময়েও বাংলাদেশি ক্রিকেটারদের মধ্যে মাঠ থেকে আনুষ্ঠানিক বিদায়ের দৃশ্য দেখা যায়নি।

এ প্রসঙ্গে খালেদ মাহমুদ সুজন বলেন, “ওদের ক্যারিয়ার বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্য অসাধারণ ছিল। মাঠ থেকে বিদায় নেওয়ার সুযোগ ওদের প্রাপ্য ছিল। যারা ভালোবেসেছে ও সমর্থন দিয়েছে, তারাও চাইত গ্যালারি ভরা দর্শকের হাততালির মধ্যে তারা বিদায় নিক। কিন্তু সেই সুযোগটা আর হলো না। কেন মাঠে অবসর নেয়নি, সেটা ওরাই ভালো বলতে পারবে।”

অনেকে মনে করেন, বোর্ডের পরিকল্পনার অভাবের কারণেই এমনটা ঘটছে। তবে সুজন এই দাবির সঙ্গে একমত নন। তিনি বলেন, “যখন আমি অবসর নিয়েছিলাম, আগেই জানিয়েছিলাম সেটাই আমার শেষ ম্যাচ। কিন্তু যদি কেউ না জানায়, বোর্ড বুঝবে কীভাবে? ক্রিকেটাররা আগেই বললে বোর্ডও সম্মানজনক বিদায়ের ব্যবস্থা করতে পারে।”

সম্প্রতি মুশফিকুর রহিম ওয়ানডে ক্রিকেট থেকে এবং মাহমুদউল্লাহ সব ফরম্যাট থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন। তাদের এমন সিদ্ধান্তকে সময়োপযোগী বলেই মনে করছেন সুজন। তার মতে, “ওরা চাইলে হয়তো আরও কিছুদিন খেলতে পারত। কিন্তু মাঠ থেকে বিদায় নিলে সেটা আরও স্মরণীয় হয়ে থাকত।”

মাঠ থেকে বিদায় নেওয়ার সংস্কৃতি গড়ে তোলা না গেলে ভবিষ্যতেও এই ধরনের পরিস্থিতি চলতেই থাকবে বলে মনে করছেন অনেকেই।

Header Ad
Header Ad

উপদেষ্টা মাহফুজ শাহরিয়ার কবিরদের ভাষাতেই কথা বলেছেন : জামায়াত

উপদেষ্টা মাহফুজ শাহরিয়ার কবিরদের ভাষাতেই কথা বলেছেন : জামায়াত। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার ১৩ মার্চ এক বিবৃতিতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের মন্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।

বিবৃতিতে তিনি বলেন, মাহফুজ আলম গত ১২ মার্চ ফেসবুক স্ট্যাটাসে বলেছেন যে, “জামায়াত যুদ্ধাপরাধের সহযোগী ছিল।” মিয়া গোলাম পরওয়ার এ বক্তব্যকে ভিত্তিহীন ও মিথ্যা আখ্যা দিয়ে বলেন, মাহফুজ আলম জামায়াত সম্পর্কে যে মন্তব্য করেছেন তা আসলে একটি প্রতিবেশি দেশের গুপ্তচর শাহরিয়ার কবিরদের ভাষার অনুকরণ।

তিনি আরও বলেন, মাহফুজ আলমের উচিত স্মরণ রাখা যে, তিনি একটি অরাজনৈতিক অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা এবং কোনো রাজনৈতিক দলকে টার্গেট করে এমন মন্তব্য করার অধিকার তার নেই। এমন মন্তব্য দিয়ে তিনি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অরাজনৈতিক চরিত্রকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছেন।

মিয়া গোলাম পরওয়ার উল্লেখ করেন যে, শেখ মুজিবুর রহমানের সময় গঠিত তদন্ত কমিশনেও জামায়াতের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। এমনকি অধ্যাপক গোলাম আযম সুপ্রিম কোর্টে নির্দোষ প্রমাণিত হয়ে নাগরিকত্ব ফিরে পেয়েছিলেন।

তিনি আরও বলেন, শাহবাগে গণজাগরণ মঞ্চের প্রভাবিত বিচার এবং স্কাইপ কেলেঙ্কারি, বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার বক্তব্য এবং সাঈদীর মামলার সাক্ষী সুখরঞ্জন বালীর বক্তব্য এই বিচার ব্যবস্থার গ্রহণযোগ্যতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, জামায়াতে ইসলামী আহলে সুন্নত আল জামায়াতের অনুসারী এবং এর আক্বিদার বিষয়ে প্রশ্ন তোলা অযৌক্তিক। জামায়াতে ইসলামী স্বাধীনতার পর থেকেই দেশের বিভিন্ন ইসলামি দলগুলোর সঙ্গে ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলন করে আসছে।

মিয়া গোলাম পরওয়ার আশা প্রকাশ করেন যে, মাহফুজ আলম তার মন্তব্যের জন্য দুঃখ প্রকাশ করবেন এবং ভবিষ্যতে এমন বক্তব্য দেওয়া থেকে বিরত থাকবেন।

Header Ad
Header Ad

নওগাঁ জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের পূর্ণাঙ্গ আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা

ছবি: সংগৃহীত

শফিউল আজম টুটুলকে আহ্বায়ক ও মোস্তাফিজুর রহমান মানিককে সদস্য সচিব করে নওগাঁ জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের ৫১ সদস্য বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ আহ্বায়ক কমিটি অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) রাতে কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানি ও সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহসান এই কমিটি অনুমোদন দেন।

কমিটির অন্যান্য নেতারা হলেন, যুগ্ম-আহ্বায়ক দেওয়ান কামরুজ্জামান কামাল,মো. জাহাঙ্গীর আলম গুলজার, শামিম নুর আলম শিপলু,মো. মাহমুদ হাসান,গোলাম মোস্তফা তাতু,আলম তাজ তাজু,মো. মিজানুর রহমান রনি, মো. মামুনুর রশিদ,আব্দুল্লাহ আল মামুন শিমুল,হাসিবুর রহমান প্লাবন,মো. নূর নবী,মো. আব্দুল বারী তুহিন,মো. রাগিব শাহরিয়ার কৌশিক,মো. শহিদুজ্জামান সৌরভ,মো. ফারহিম ইসলাম মুন্না।

 

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

এছাড়া সদস্যরা হলেন, আব্দুল বারী হিরা, মহসিন আলী,মুশফিকুর রহমান সুজন চৌধুরী,মেহেদী হাসান পলাশ,মো. হেলাল উদ্দিন,আরিফুল ইসলাম বাপ্পী,স্বাধীন সরদার,কে এম রাব্বি রিফাত স্বচ্ছ,মো. সুরুজ সরকার,মো. মামুনুর রশিদ বুলেট,মো. মাসুদ রানা,মো. শাহরিয়ার হক রাজু,মো. সালমান ফারসী রাজ,মো. শামীম হোসেন, মো. ইস্রাফিল আলম তিতাস,মো. রায়হানুল ইসলাম রিপন,মো.শামস বিন আইয়ুব,মো. আশাদুল ইসলাম,মো. রুহুল আমিন মল্লিক,মো. ইশতিয়াক আহমেদ মিনার,মো. এনামুল হক (দপ্তরের দায়িত্বে),মো. রাকিন হোসেন (সহ-দপ্তরের দায়িত্বে),মো. পাঠান মুরাদ,মো. আশিক আহমেদ শাওন,মো. সবুজ হোসেন,মো. ডলার,শ.ম. আলেফ হোসেন সুমন,মো. শহীদুজ্জামান মুরাদ,মো. রিপন রেজা, এ্যাড, আলতাফ হোসেন উজ্জল,সোহেলী আক্তার শুভ,সোহাগ কুমার কর্মকার,মোঃ ওমর ফারুক (ওমর),মো. স্বাধীন আহমেদ।

 

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

 

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

আমি জানি না, ওরা কেন মাঠ থেকে অবসর নিতে চায় না : খালেদ মাহমুদ সুজন
উপদেষ্টা মাহফুজ শাহরিয়ার কবিরদের ভাষাতেই কথা বলেছেন : জামায়াত
নওগাঁ জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের পূর্ণাঙ্গ আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা
শিশু আছিয়ার দাফন সম্পন্ন, অভিযুক্তের বাড়িতে আগুন দিলো বিক্ষুব্ধ জনতা
বেইজিংয়ে শি জিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠকে বসছেন ড. ইউনূস
‘২০২৬ সালেই বাংলাদেশকে এলডিসি থেকে উত্তরণ করা হবে’
নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি শোভনের বাবা গ্রেপ্তার
শুক্রবার থেকে বন্ধ হচ্ছে দেশের সব পর্ন ওয়েবসাইট
ট্রাম্পের গাজা দখলের পরিকল্পনা থেকে সরে আসা নিয়ে যা বলল হামাস
গাম্বিয়ার সঙ্গে ভিসা অব্যাহতি চুক্তি দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরও গভীরতর করবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
স্ত্রীসহ সাবেক বিজিবি প্রধান সাফিনুল ইসলামের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
মাগুরার শিশু ধর্ষণ ও হত্যার বিচার ৭ দিনের মধ্যে শুরু হবে: আইন উপদেষ্টা
আছিয়ার মরদেহ সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টারে মাগুরায় নেওয়া হবে
ঢাকায় পৌঁছেছেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস
সোয়া ২ কোটি শিশুকে খাওয়ানো হবে ভিটামিন-এ প্লাস ক্যাপসুল
ধর্ষণের হুমকি পেলেন ভাইরাল কন্যা ফারজানা সিঁথি, অতঃপর...
যমুনা সেতু মহাসড়কে দুই বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ, আহত ২৫
নওগাঁ মেডিকেল কলেজ নিয়ে ষড়যন্ত্র বন্ধ ও স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মাণের দাবি
চুয়াডাঙ্গায় ১ লাখ ৪৭ হাজার শিশুকে খাওয়ানো হবে ভিটামিন 'এ' প্লাস ক্যাপসুল
টাঙ্গাইলে ‘বঙ্গবন্ধু সেনানিবাস ও বঙ্গবন্ধু ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ’র নাম পরিবর্তন