কৃষকদের কাছ থেকে ঘুষ আদায়, কৃষি কর্মকর্তা বরখাস্ত
যশোরের শার্শা উপজেলায় সেচ লাইসেন্স ও বিদ্যুৎ সংযোগে অনিয়মের অভিযোগে মোস্তাফিজুর রহমান নামে একজন উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করেছেন উপজেলা কৃষি অফিস। কৃষকদের কাছ থেকে নেওয়া ঘুষের টাকাও বাড়ি বাড়ি গিয়ে ফেরত দিতে হয়েছে অভিযুক্ত কর্মকর্তাকে।
জানা গেছে, উপজেলার একাধিক ইউনিয়নে সেচ সংযোগ লাইসেন্স দেওয়ার নামে সংযোগ প্রদানকারীদের কাছ থেকে ঘুষের টাকা গ্রহণ করেন উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান। যাদের কাছ থেকে টাকা নিয়েছিলেন তাদের মধ্যে উলাশী ইউনিয়নের নজরুল ইসলাম থেকে ৬০ হাজার টাকা, মনিরুল ইসলাম থেকে ২০ হাজার টাকা, বেনেখড়ি গ্রামের শফিউর রহমান থেকে এক লাখ ৩০ হাজার টাকা, হাড়িখালি গ্রামের রবিউল থেকে ১০ হাজার টাকা, পানবুড়ি গ্রামের রিয়াজ উদ্দিন থেকে ২০ হাজার টাকা, বুরুজবাগান গ্রামের আব্দুল হামিদের ছেলে মোজাম্মেল হোসেন থেকে ৫০ হাজার টাকা, বাহাদুরপুর ইউনিয়নের মানিক ও হানিফ থেকে ২০ হাজার টাকা এবং বড়বাড়ীয়া গ্রামের আব্দুল কাদেরের ছেলে সাইদুজ্জামান থেকে তিন লাখ ৫০ হাজার টাকা ঘুষ গ্রহণ করেন তিনি।
পরবর্তীতে কৃষকরা এই কর্মকতার বিরুদ্ধে অভিযোগ করলে কৃষি বিভাগ তদন্ত কমিটি গঠন করে তদন্ত করেন। তদন্তে অভিযোগের সত্যতা প্রমাণিত হওয়ায় অভিযুক্ত কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমানকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা প্রতাপ মণ্ডল জানান, উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমানের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও ঘুষ বাণিজ্যের অভিযোগ পেয়েছি। তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হযেছে সেই সাথে তাকে শোকজ করা হয়েছে। তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি প্রতিবেদন দাখিল করেছে। এছাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও যশোর উপপরিচালক দপ্তর থেকেও আরো দুইটি তদন্ত কমিটি করা হচ্ছে। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন পাওয়ার পর তাকে চাকরিচ্যুত করা হতে পারে।
এ প্রসঙ্গে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নারায়ণ চন্দ্র পাল জানান, বিষয়টি জেনেছি। অভিযুক্ত হলে কঠোর ব্যবন্থা নেওয়া হবে।
এ ব্যাপারে কৃষি সম্প্রসারণ যশোরের উপপরিচালক মনঞ্জুরুল হক জানান, শার্শা উপজেলার ইউনিয়নের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমানের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও ঘুষ বাণিজ্যের বিষয়ে তদন্ত চলছে। তদন্তে সত্যতা প্রমাণিত হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এসআইএইচ