আইএলও শিক্ষার্থীদের ড্রাইভিং লাইসেন্স এর নামে ঘুষ আদায়
ইনস্টিটিউট অব মেরিন টেকনোলজি (আইএলও) স্কিলস-২১ প্রকল্পের মাধ্যমে প্রশিক্ষণ নেওয়া শিক্ষার্থীদের ড্রাইভিং লাইসেন্স করে দেওয়ার কথা বলে ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ উঠেছে প্রশিক্ষকের বিরুদ্ধে। ২৫ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে অন্তত ১৮ জনের কাছ থেকে ৩হাজার টাকা করে ঘুষ নেওয়া হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির ড্রাইভিং প্রশিক্ষক মো. রুবেলের বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ করেছেন প্রতিষ্ঠানটির দ্বিতীয় ব্যাচের ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা।
বিআরটিএ বাগেরহাট কার্যালয়ের পরিদর্শক রনজিত কুমার হালদার বলেন, বিআরটিএর লাইসেন্স প্রদানের জন্য এখানে আমরা কোনো টাকা নেই না। যদি কেউ বিআরটিএর নাম ভাঙ্গিয়ে টাকা নেয়, তাহলে সে দায় দায়িত্ব তাদের। আমরা
শুধু লাইসেন্সের জন্য সরকারি ফি গ্রহণ কওে থাকি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অপর এক শিক্ষার্থী বলেন, বিআরটিএতে টাকা দেওয়া লাগবে বলে আমাদের কাছ থেকে তিন হাজার টাকা করে নেওয়া হয়েছে। আমিসহ অন্তত ১৮ জন শিক্ষার্থী তিন হাজার টাকা দিয়েছি।
প্রশিক্ষনার্থী মোঃ সাব্বির হোসেন সুজন বলেন, ইনস্টিটিউট অব মেরিন টেকনোলজি বাগেরহাটে আইএলও‘র চার মাসের ড্রাইভিং কোর্স সম্পন্ন করলে আমরা আইএলও থেকে চার হাজার ২০০ টাকা পাই। ভর্তির সময় বলা হয়েছিল, ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য আমাদের কোনো টাকা লাগবে না। কিন্তু এখন আমাদের কাছ থেকে ড্রাইভিং পরীক্ষায় পাশ করিয়ে দেওয়ার জন্য জন্য ৩ হাজার টাকা করে নিয়েছেন প্রশিক্ষক মো. রুবেল স্যার।
প্রশিক্ষনার্থী মোঃ নুরুজ্জামান বলেন, আমি ঢাকাতে থাকতাম। রুবেল স্যার ফোন করে বিআরটিএতে দেওয়ার জন্য তিন হাজার টাকা চেয়েছিলেন। না দিলে ফেল হয়ে যাব বলে তিনি জানান। অভিযোগ অস্বীকার করে প্রশিক্ষক মো. রুবেল বলেন, আমি কোনো টাকা নেইনি। এসব মিথ্যে কথা। বেই আমাকে নিয়ে ষড়যন্ত করছে।
আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) স্কিলস-২১ প্রকল্পের সমন্বয়ক ইলিয়াস রহমাতুল্লাহ বলেন, টাকা নেওয়ার বিষয়টি তিনি অবগত নন। যদি অভিযোগ প্রমাণিত হয়, তাহলে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ইনস্টিটিউট অব মেরিন টেকনোলজি বাগেরহাটের অধ্যক্ষ মোঃ জিয়াউল হক বলেন, কোন ছাত্র আমার কাছে এমন অভিযোগ কওে নি। যদি অভিযোগ পাই ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। তিনি দাবি করেন, এভাবে টাকা নেওয়ার নিয়ম নেই।
এএজেড