শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪ | ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

দ্রব্যমূল্যের আঁচে পুড়ছে মানুষ

নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য বাড়ছে দিন দিন। একদিকে ক্রেতার পকেট শূন্য আরেকদিকে বাজার ক্রেতাশূন্য। সামনে শবেবরাত আর রোজায় আরও এক দফা মূল্য বৃদ্ধির আশঙ্কা করছে সাধারণ মানুষ। তাদের দাবি, বাজার মনিটরিং জোরদার না করলে আসন্ন রোজার মাসে কষ্ট আরও বাড়বে।

যশোরের ঝিকরগাছার বাজারেও লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে নিত্য পণ্যের মূল্য। ফলে সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতা হ্রাস পাচ্ছে। মধ্যবিত্ত ও নিম্ন আয়ের মানুষ দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। চাকরিজীবীরাও আয়ের সঙ্গে ব্যয়ের সমন্বয় করতে পারছেন না। গত কয়েক সপ্তাহে কাঁচাবাজার, মুদিখানা ও মাংসের বাজার ব্যাপক অস্থিতিশীল হয়ে উঠেছে।

সরেজমিনে ঝিকরগাছা কাঁচাবাজারে দেখা গেছে ক্রেতাদের উপস্থিতি খুবই কম। দোকানদারদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গত ৭ থেকে ১০ দিনের ব্যবধানে তরিতরকারির দাম কেজিতে ৫ থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রতি কেজি কলা ২৫ টাকা থেকে ৩৫ টাকা, ১০ টাকার টমেটো ২০ টাকা, ৪০ টাকার বেগুন ৫০ টাকায়, ৪০ টাকার মেটে আলু ৬০ টাকা, ১৫ টাকার শিম ৩০ টাকা, ২০ টাকার ডাটা ৩৫ টাকা, প্রতি পিস লাউ ৪০/৫০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। ঝাঁঝ বেড়েছে কাঁচা মরিচেরও। ৮০ টাকার মরিচ ১৪০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। ৪০ টাকার বরবটি ৬০ টাকা আর ১৫ টাকার গোল আলু ২০ টাকা বিক্রি হচ্ছে।

সবচেয়ে দাম বেশি উচ্ছে আর সজনের ডাটার। উচ্ছে ১২০ টাকা আর সজনের ডাটা ৩২০ টাকা কেজি। কাঁচা তরকারি ব্যবসায়ী মোস্তফা বলেন, তরকারির মূল্য বৃদ্ধির কারণে ক্রেতাদের সবজি ক্রয়ের পরিমাণ কমেছে, যে ক্রেতা ১ কেজি সবজি কিনতেন তিনি এখন ৫০০ গ্রাম সবজি কিনছেন। সবজি কিনতে আসা ক্রেতা রুস্তম আলী বলেন, কয়দিন আগে সবজির যে দাম ছিল এখন তার থেকে অনেক বেড়ে গিয়েছে।

অন্যদিকে মুদি দোকানের দ্রব্যের দামও প্রতি কেজিতে প্রচুর বৃদ্ধি পেয়েছে। ৭ থেকে ১০ দিনের মধ্যে মসুরের ডাল ৯০ টাকা থেকে বেড়ে ১১০ টাকায়, ছোলার ডাল ৮০ টাকা থেকে ৯০ টাকা, মুগের ডাল ১১০ টাকা থেকে ১২৫ টাকা, জিরা ৪৬০ টাকা থেকে ৬৫০ টাকায়, লবণ ৩২ টাকা থেকে ৪০ টাকায়, এলাচ ১ হাজার ২০০ টাকা থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকা, লবঙ্গ ১ হাজার ১০০ টাকা থেকে ১ হাজার ৪০০ টাকা, দারুচিনি ৩২০ টাকা থেকে ৪০০ টাকা, চিনি ১১৫ টাকা, ৮০ টাকার ছোলা ৮৫ টাকা, বিভিন্ন ধরনের ডিটারজেন্ট পাউডার প্রতি কেজি ২০ থেকে ৬০ টাকা বেড়েছে, সাবানেও একই অবস্থা।

মুদি দোকানে পণ্য কিনতে আসা আশরাফ হোসেন জানান, মসলার দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় তরকারিতে এখন মসলা খাচ্ছি না বললেই চলে। প্রয়োজনের তুলনায় এখন অনেক কম মসলা কিনছি।

মুদি দোকান ব্যবসায়ী সন্দীপ কুমার মোদক বলেন, ক্রেতারা এখন প্রয়োজনের তুলনায় কম পণ্য কিনছেন। বাজার মূল্য বৃদ্ধির কারণেই এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।

মাংসের বাজারেও দেখা দিয়েছে চরম অরাজকতা। সাত থেকে ১০ দিনের মধ্যে প্রতি কেজি বিভিন্ন ধরনের মুরগির মাংস দাম বৃদ্ধি পেয়েছে ৫০ থেকে ১০০ টাকা। দেশি মুরগি ৫৫০ টাকা থেকে ৬০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর ব্রয়লার মুরগি ২০০ টাকা থেকে ২৪০ টাকা, কাটা পল্টি মুরগির মাংস ২৬০ টাকা থেকে ৩০০ টাকা, সোনালি মুরগি ২৮০ টাকা থেকে ৩২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

কাটা পোল্ট্রির মাংস কিনতে আসা ভ্যান চালক শহিদুল জানান, পোল্ট্রি গোস্তের দাম বেড়ে যাওয়ায় এখন আগের চেয়ে অর্ধেক কিনছি। আয় ইনকামও কমে গিয়েছে। তিনি আরও বলেন, সামনের ঈদে মাংস কিনে খেতে পারবে কি না বলতে পারছি না। সাড়ে তিনশ টাকায় কাটা পোল্ট্রির মাংস কিনতে হতে পারে। পোল্ট্রির মাংস বিক্রেতা হাফিজুর রহমান জানান, মাংস ক্রেতারা তাদের পূর্বের চাহিদার তুলনায় এখন অনেক কম মাংস কিনছেন।

একই অবস্থা গরুর মাংসের বাজারে। বিগত সাত থেকে ১০ দিনে সেখানে প্রতি কেজিতে ৪০ থেকে ৫০ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে আশঙ্কা করা হচ্ছে আগামী ঈদের বাজারে প্রতি কেজি মাংসের দাম সাড়ে সাতশ থেকে আটশ টাকায় দাঁড়াতে পারে। এখন প্রতি কেজি মাংস ৬৬০ টাকা থেকে ৭০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে এমনটাই জানালেন মাংস ব্যবসায়ী কিতাব আলী। গরুর মাংস কিনতে আসা আব্দুস সালাম জানান, আগামী শবেবরাতে মাংসের দাম আরও ৫০ টাকা বেড়ে যাবে। অর্থাৎ সাধারণ মাংস ৭০০ টাকার জায়গায় সাড়ে ৭০০ টাকা কিনতে হতে পারে।

খাসির মাংস এখন অনেকে খেতে ভুলেই গিয়েছেন। প্রতি কেজি খাসির মাংস গত ১০ দিনে ৯০০ টাকা থেকে এখন ১ হাজার ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ক্রেতা দীপক কুমার ঘোষ জানান, খাসির মাংসের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় এখন আমাদের সম্প্রদায়ের মানুষ সোনালী মুরগি এবং পোল্ট্রি মুরগির দিকে ঝুঁকে পড়েছেন।

দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির কথা জানতে চাওয়া হলে বাঁকড়া ডিগ্রি কলেজের গণিত বিভাগের সহকারী অধ্যাপক প্রশান্ত কুমার পাল জানান, আগে টিউশনি করতাম না, পণ্য মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে এখন টিউশনি করা ধরেছি। আরেকটি কথা হলো ডলারের মূল্য বিবেচনা করলে দেশের সকল চাকরিজীবী মানুষের বেতন কমে গিয়েছে। এ কারণে চাকরিজীবীরাই খুব অস্বস্তিতে রয়েছেন। বাজার মূল্য নিয়ন্ত্রণে সরকারকে কঠোর অবস্থানে থাকতে হবে।

সরকারি চাকরিজীবী এমদাদুল হক জানান, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির কারণে সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।

ভারপ্রাপ্ত ঝিকরগাছা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং সহকারী কমিশনার (ভূমি) কে এম মামুনুর রশিদ জানান, রোজার আগে দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল রাখতে সরকারিভাবে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে সাধারণ জনগণ বাজার নিয়ন্ত্রণে এখনই সরকারের কঠিন মনিটরিং দাবি করেন।

এসএন

Header Ad

দেশ ও মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় দ্রুত নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই : তারেক রহমান

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান জানিয়েছেন, দেশ ও মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় দ্রুত নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই।

শনিবার (২৩ নভেম্বর) দুপুরে চুয়াডাঙ্গা টাউন ফুটবল মাঠে জেলা বিএনপির সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

এসময় তারেক রহমান বলেন, সব রাজনৈতিক দল মিলে আমরা এই অন্তর্বর্তী সরকারকে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছি। দেশের মানুষের হাতে ক্ষমতা ফিরে যেতে নির্বাচন প্রয়োজন।

তিনি বলেন, দেশের উন্নয়নের জন্য আরও ২ বছর আগে সংস্কারের প্রস্তাব ৩১ দফা দিয়েছি আমরা। সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া। একজন শুরু করবে, আরেকজন টেনে নিয়ে যাবে। অন্তর্বর্তী সরকার নিরপেক্ষ ও সত্যিকারের নির্বাচন আয়োজন করতে পারলে, জনগণ তবেই জনপ্রতিনিধি বাছাই করতে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবে।

নির্বাচন সম্পর্কে তিনি বলেন, অনেকের মনে প্রশ্ন আমরা কেন বারবার নির্বাচনের কথা বলছি। আমরা বিশ্বাস করি, অন্তর্বর্তী সরকার একটি নির্বাচন আয়োজন করতে পারবে। এর ফলে সংসদের যারা জনপ্রতিনিধি বাছাই হয়ে আসবে, তারা সংসদে বসে আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নিতে পারবে, কীভাবে দেশের প্রত্যেকটি সেক্টরের সমস্যা সমাধান করা যায়। সকল সংস্কার বাস্তবায়ন সম্ভব প্রকৃত ও সত্যিকারের একটি নির্বাচনের মাধ্যমে।

নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, দায়িত্ব নিতে হলে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে। দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে আশপাশের মানুষের প্রত্যাশা পূরণ করতে হবে। যদি এই প্রত্যাশা পূরণ করতে পারা যায়, তবেই মানুষ আপনাদের দায়িত্ব দিবে, অন্যথায় দ্বিতীয়বার ভাববে।

এর আগে শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় সম্মেলনের উদ্বোধন করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মাহমুদ হাসান খান বাবুর সভাপতিত্বে সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই রায় চৌধুরী, বিএনপির খুলনা বিভাগের ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, বিএনপি খুলনা বিভাগের সহসাংগঠনিক সম্পাদক জয়ন্ত কুমার কুন্ডু, চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির সদস্যসচিব মো. শরীফুজ্জামান শরীফ, বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল প্রমুখ।

Header Ad

২৪ ঘণ্টার মধ্যে বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপের আশঙ্কা

ফাইল ছবি

আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর। দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় লঘুচাপ সৃষ্টি হবে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।

শনিবার (২৩ নভেম্বর) বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ ড. মো. বজলুর রশিদের দেওয়া পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়।

আবহাওয়া অফিস জানায়, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। শেষরাত থেকে ভোর পর্যন্ত দেশের উত্তরাঞ্চলের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা এবং দেশের অন্যত্র হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। সারাদেশে রাতের এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে

রোববার (২৪ নভেম্বর) সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। শেষরাত থেকে ভোর পর্যন্ত সারাদেশের কোথাও কোথাও হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। এছাড়া সারাদেশে রাতের এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে।

সোমবার (২৫ নভেম্বর) সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। শেষরাত থেকে ভোর পর্যন্ত সারাদেশের কোথাও কোথাও হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। সারাদেশে রাতের এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। এছাড়া আগামী পাঁচদিনে আবহাওয়া পরিস্থিতি উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই।

Header Ad

অক্টোবরে সড়কে প্রাণ গেছে ৪৭৫ জনের

ছবি: সংগৃহীত

গত অক্টোবর মাসে দেশজুড়ে সড়ক, রেল ও নৌ-পথে সর্বমোট ৫৩৪টি দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন ৫৭৫ জন এবং আহত হয়েছেন ৮৭৫ জন। এরমধ্যে ৪৫২টি সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন ৪৭৫ জন এবং আহত হয়েছেন ৮১৫ জন। একই সময়ে রেলপথে ৬৩টি দুর্ঘটনায় ৭৬ নিহত, ২৪ জন আহত হয়েছেন। নৌ-পথে ১৯টি দুর্ঘটনায় ২৪ জন নিহত, ৩৬ জন আহত এবং ৯ জন নিখোঁজ রয়েছেন।

এছাড়া এই সময়ে ১৩৮টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ১৬৩ জন নিহত, ২৩৯ জন আহত হয়েছে। যা মোট দুর্ঘটনার ৩০.৫৩ শতাংশ, নিহত ৩৪.৩১ শতাংশ ও আহত ২৯.৩২ শতাংশ।

শনিবার (২৩ অক্টোবর) সংবাদ মাধ্যমে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরীর পাঠানো এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা যায়। সংগঠনটি বহুল প্রচারিত ও বিশ্বাসযোগ্য জাতীয়, আঞ্চলিক, অনলাইন এবং ইলেক্ট্রনিক সংবাদপত্রে প্রকাশিত সড়ক, রেল ও নৌ-পথের সংগঠিত দুর্ঘটনার সংবাদ মনিটরিং করে এই প্রতিবেদন তৈরি করেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, সড়কে দুর্ঘটনায় আক্রান্ত ব্যক্তির মধ্যে ১৭ জন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য, ১৪৯ চালক, ১৩৭ পথচারী, ৫১ পরিবহন শ্রমিক, ৭৩ শিক্ষার্থী, ১৮ শিক্ষক, ৭৬ নারী, ৬২ শিশু, ৫ চিকিৎসক, ৯ সাংবাদিক এবং ১৩ জন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীর পরিচয় মিলেছে। এদের মধ্যে নিহত হয়েছে ৬ জন পুলিশ সদস্য, ৩ সেনা সদস্য, ১ আনসার সদস্য, ১২৪ জন বিভিন্ন পরিবহনের চালক, ১১৭ জন পথচারী, ৫৮ জন নারী, ৫১ জন শিশু, ৪৯ জন শিক্ষার্থী, ৩২ জন পরিবহন শ্রমিক, ১৫ জন শিক্ষক, ৪ জন চিকিৎসক, ৬ জন সাংবাদিক, ১৬ জন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী।

এই সময় সড়ক দুর্ঘটনায় সংগঠিত ৬৩১টি যানবাহনের পরিচয় মিলেছে। এতে দেখা যায়, ২৪.৪১ শতাংশ মোটরসাইকেল, ২২.৫০ শতাংশ ট্রাক-পিকাপ-কাভার্ডভ্যান ও লরি, ১৮.৫৪ শতাংশ বাস, ১৭.৯১ শতাংশ ব্যাটারিচালিত রিকশা ও ইজিবাইক, ৩.৯৬ শতাংশ সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ৬.৬৫ শতাংশ নছিমন-করিমন-মাহিন্দ্রা-ট্রাক্টর ও লেগুনা, ৬.০২ শতাংশ কার-জিপ-মাইক্রোবাস সড়কে দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে। সংগঠিত মোট দুর্ঘটনার ৪৯.৪৮ শতাংশ গাড়ি চাপা দেওয়ার ঘটনা, ২৫.২৫ শতাংশ মুখোমুখি সংঘর্ষ, ১৪.৭৭ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে, ৯.৫১ শতাংশ বিবিধ কারণে, ০.২৫ শতাংশ ট্রেন যাববাহনে সংঘর্ষ। এবং চাকায় ওড়না পেছিয়ে ০.৭৫ শতাংশ।

সেপ্টেম্বর মাসে সড়ক দুর্ঘটনার উল্লেখযোগ্য কারণ হিসেবে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে— দেশের সড়ক-মহাসড়কে ট্রাফিক পুলিশ, হাইওয়ে পুলিশের অনুপস্থিতি সুযোগে আইন লঙ্ঘন করে যানবাহনের অবাধ চলাচল; জাতীয় মহাসড়কে রোড সাইন বা রোড মার্কিং, সড়কবাতি না থাকায় এবং অতি বৃষ্টির কারণে সড়কের মাঝে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হওয়া; এসব গর্তের কারণে যানবাহন চলাচলে ঝুঁকি বেড়েছে; জাতীয়, আঞ্চলিক ও ফিডার রোডে টানিং চিহ্ন না থাকার ফলে নতুন চালকের এসব সড়কে দুর্ঘটনায় পতিত হয়েছে; মহাসড়কের নির্মাণ ত্রুটি, যানবাহনের ত্রুটি, ট্রাফিক আইন অমান্য করার প্রবণতা; উল্টোপথে যানবাহন চালানো, সড়কে চাদাঁবাজি, পণ্যবাহী যানে যাত্রী পরিবহন এবং অদক্ষ চালক, ফিটনেসবিহীন যানবাহন, অতিরিক্ত যাত্রী বহন, বেপরোয়া যানবাহন চালানো এবং একজন চালক অতিরিক্ত সময় ধরে যানবাহন চালানোকে।

দুর্ঘটনার প্রতিরোধে সুপারিশ হিসেবে বলা হয়েছে— জরুরি ভিত্তিতে মোটরসাইকেল ও ইজিবাইকের মত ছোট ছোট যানবাহন আমদানি ও নিবন্ধন বন্ধ করা; জাতীয় ও আঞ্চলিক মহাসড়কে রাতের বেলায় অবাধে চলাচলের জন্য আলোকসজ্জার ব্যবস্থা করা; দক্ষ চালক তৈরির উদ্যোগ গ্রহণ, যানবাহনের ডিজিটাল পদ্ধতিতে ফিটনেস প্রদান; ধীরগতির যান ও দ্রুতগতির যানের জন্য আলাদা লেনের ব্যবস্থা করা; সড়কে চাদাঁবাজি বন্ধ করা, চালকদের বেতন ও কর্মঘণ্টা সুনিশ্চিত করা; মহাসড়কে ফুটপাত ও পথচারী পারাপারের ব্যবস্থা রাখা, রোড সাইন, রোড মার্কিং স্থাপন করা; সড়ক পরিবহন আইন যথাযতভাবে ডিজিটাল পদ্ধতিতে প্রয়োগ করা; উন্নতমানের আধুনিক বাস নেটওয়ার্ক গড়ে তোলা, নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিআরটিএর সক্ষমতা বৃদ্ধি করা; মানসম্মত সড়ক নির্মাণ ও মেরামত সুনিশ্চিত করা, নিয়মিত রোড সেফটি অডিট করা; মেয়াদোত্তীর্ণ গণপরিবহন ও দীর্ঘদিন যাবৎ ফিটনেসহীন যানবাহন স্ক্যাপ করার উদ্যোগ নেওয়া এবং বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক-মহাসড়ক দ্রুত মেরামতের ব্যবস্থা করা।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

দেশ ও মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় দ্রুত নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই : তারেক রহমান
২৪ ঘণ্টার মধ্যে বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপের আশঙ্কা
অক্টোবরে সড়কে প্রাণ গেছে ৪৭৫ জনের
গায়ানায় দলের সঙ্গে যোগ দিলেন সাকিব
আইপিএল নিলামের আগেই নিষিদ্ধ হলেন ভারতের ২ ক্রিকেটার
গাজীপুরে পিকনিকের বাসে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ৩ শিক্ষার্থীর মৃত্যু
কবে বিয়ে করবেন জানালেন তামান্না ভাটিয়া
পঞ্চগড়ে ৫০০ টাকায় সন্তান বিক্রি, অতঃপর যা ঘটল...
অ্যান্টিগায় প্রথম দিন শেষে স্বস্তিতে টাইগাররা
সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারালেন পরীমণির প্রথম স্বামী
বিচারের আগে আ.লীগের মাঠে থাকার সুযোগ নেই: উপদেষ্টা নাহিদ
মাকে হত্যার পর থানায় হাজির ছেলে
৮ ক্রিকেটারসহ ৯ জনকে নিষিদ্ধ করলো বিসিবি
উপদেষ্টাদের যাচ্ছেতাই কর্মকাণ্ড মেনে নেওয়া হবে না: রিজভী
ভিসা কবে উন্মুক্ত করবে সেটা ভারতের নিজস্ব ব্যাপার: হাসান আরিফ
জুরাইন রেলক্রসিং ছাড়লেন রিকশাচালকরা, ৪ ঘণ্টা পর ট্রেন চলাচল শুরু
পাঁচ দেশে যাওয়ার ব্যাপারে বাংলাদেশিদের জন্য সতর্কতা
সাফজয়ী নারী ফুটবলার আইরিনকে নওগাঁয় সংবর্ধনা
বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের স্কলারশিপ দেবে পাকিস্তান
বেনাপোলে সীমান্ত থেকে বিপুল পরিমাণ ফেনসিডিল উদ্ধার