সুন্দরবনে নৌযান ডুবি, ১৩ পর্যটক উদ্ধার
সুন্দরবনে যাবার পথে ১৩ জন পর্যটক নিয়ে একটি যন্ত্রচালিত নৌযান ডুবে গেছে। ডুবে যাওয়া পর্যটকদের তাৎক্ষণিকভাবে উদ্ধারে সক্ষম হয় ট্যুরিস্ট পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার দুপুরে বাগেরহাটের মোংলা বন্দরের পিকনিক কর্ণার সংলগ্ন পশুর নদীতে। দুর্ঘটনার শিকার পর্যটকরা মেহেরপুরের গাংনি উপজেলা থেকে সুন্দরবন ভ্রমনে এসেছিলেন বলে জানিয়েছে ট্যুরিস্ট পুলিশ।
মোংলা ট্যুরিস্ট পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) মো. সাখাওয়াত হোসেন জানান, শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে পর্যটকবাহী একটি যন্ত্রচালিত নৌযান ডুবে যাওয়ার খবর পেয়ে ট্যুরিস্ট পুলিশের একটি উদ্ধারকারী দল দ্রুত ঘটনাস্থলে যায়। সেখানে গিয়ে তারা একটি নৌযানটি সম্পূর্ণ উল্টো অবস্থায় দেখতে পান। পর্যটকরা সবাই নদী সাঁতরাচ্ছিলেন। এসময় ওই এলাকায় অবস্থানরত অন্যান্য নৌযান চালক ও স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় তাদের সবাইকে নদী থেকে জীবীত উদ্ধার করা হয়।
এসব পর্যটকরা মেহেরপুর জেলার গাংনি উপজেলা থেকে মোংলা বন্দরের পিকনিক কর্ণারে পিকনিকের পাশাপাশি সুন্দরবন ভ্রমণের উদ্দেশে এসেছিলেন। গাংনি উপজেলা পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের ব্যবস্থাপক আলমগীর কবিরের নেতৃত্বে নৌযানটিতে মোট ১৩ জন পর্যটক ছিলেন। পর্যটকরা সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জের করমজল বন্যপ্রাণি প্রজনন ও পর্যটন কেন্দ্রের উদ্দেশে যাচ্ছিলেন তারা। ঘাট থেকে ছেড়ে কিছুদূর যাওয়ার পরই পর্যটকদের তাড়াহুড়ায় নৌযানটি উল্টে পশুর নদীতে ডুবে যায়।
সুন্দরবনের করমজল বন্যপ্রাণি প্রজনন ও পর্যটন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাওলাদার মো. আজাদ কবির জানান, পর্যটকরা নৌযানে করে সুন্দরবনের করমজলে আসছিলেন। পথিমধ্যে পশুর নদীতে নৌযানটি ডুবে যায়। তবে, কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটার আগেই তাদেরকে উদ্ধার করেছে ট্যুরিস্ট পুলিশ।
এএজেড