সীমান্তে উদ্ধার করা বিপুল পরিমাণ মাদক ধ্বংস

ভারত থেকে বিভিন্ন সময়ে দেশে ঢুকার সময় চুয়াডাঙ্গার সীমান্তে উদ্ধার করা বিপুল পরিমান মাদকদ্রব্য ধ্বংস করল বিজিবি। সোমবার বেলা ১১টায় চুয়াডাঙ্গা-৬ বিজিবি ব্যাটালিয়ন দপ্তরে আনুষ্ঠানিকভাবে এসব মাদকদ্রব্য ধ্বংস করা হয়।
চুয়াডাঙ্গা-৬ বিজিবির পরিচালক লে.কর্ণেল সাঈদ মোহাম্মদ জাহিদুর রহমান পিএসসি জানান, ২০২০ সালের জুন মাস থেকে ২০২২ সালের ৩১ জুলাই পর্যন্ত চুয়াডাঙ্গা ও মেহেরপুর জেলার ভারত সীমান্তবর্তী বিভিন্ন এলাকা থেকে ২৬ হাজার ১৮৮ বোতল ফেন্সিডিল, ৪ হাজার ৭৪৯ বোতল মদ, ৩৭ লিটার দেশীয় খোলা মদ, ৭ বোতল বিয়ার, ৬৭০ কেজি গাঁজা, ৬১১ টি ইয়াবা, ৩৭ কেজি আলফিকিরি সীসা, ৩৮ গ্রাম ফেচুয়া পাউডার, ৬ হাজার ১৮৪ প্যাকেট ভারতীয় সিগারেট, ৩ হাজার ৩৩৬ প্যাকেট ভারতীয় বিড়ি, ৫ হাজার ৯৭৯ টি নেশা জাতীয় ট্যাবলেট, ২ হাজার ৫৫০ টি নেশা জাতীয় ইনজেকশন, ৫ দশমিক ৫২২৪৮ কেজি হেরোইন ও ৪৭ গ্রাম কোকেন জব্দ করা হয়। এ পরিমাণ মাদকদ্রব্যের আনুমানিক মূল্য ৩ কোটি ৬৯ লাখ ৮৪ হাজার ৮২৭ টাকা। যা ধ্বংস করা হয়েছে।
মাদকদ্রব্য ধ্বংস উপলক্ষে অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন চুয়াডাঙ্গা-৬ বিজিবির পরিচালক লে কর্ণেল সাঈদ মোহাম্মদ জাহিদুর রহমান পিএসসি। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিজিবির যশোর দক্ষিন-পশ্চিম রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম আহমেদ এসজিপি, এসপিপি।
বিশেষ অতিথি ছিলেন কুষ্টিয়া বিজিবির সেক্টর কমান্ডার কর্ণেল এমারাত হোসেন পিবিজিএম ও চুয়াডাঙ্গা বিজিবি হাসপাতালের অধিনায়ক লে.কর্ণেল শায়লা চৌধুরী এফসিপিএস এমসি। বিজিবির যশোর দক্ষিন-পশ্চিম রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম আহমেদ এসজিপি, এসপিপি বলেন, মাদক সমাজের জন্য, বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত খারাপ একটি বিষয়।
দেশের তরুন সমাজকে ধ্বংস করছে এই মাদক। আমাদের প্রধানমন্ত্রীও বলেছেন মাদকের জন্য জিরো টলারেন্স। এই জিরো টলারেন্সের মধ্যে একটা মেসেজ আছে। এই জিরো টলারেন্স কাজটি শুধু বিজিবির পক্ষে করা সম্ভব নয়। বিজিবি আছে অগ্রভাগে। সঙ্গে সঙ্গে সাংবাদিক, শিক্ষক সমাজ, বাবা-মাসহ সমাজের সবাইকে এ জন্য এগিয়ে আসতে হবে।
এএজেড
