শুক্রবার, ১১ এপ্রিল ২০২৫ | ২৭ চৈত্র ১৪৩১
Dhaka Prokash

খুলনা-মোংলা রেললাইন

এক যুগেও শেষ হয়নি, ব্যয় বেড়েছে দ্বিগুণ

চতুর্থ দফায় মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে খুলনা-মোংলা রেললাইন নির্মাণ প্রকল্পের। তৃতীয় দফায় বাড়ানো মেয়াদ অনুযায়ী চলতি বছর ডিসেম্বর মাসে প্রকল্পটির কাজ শেষ হওয়ার কথা। কিন্তু তা শেষ না হওয়ায় আবারও ছয় মাস মেয়াদ বৃদ্ধির আবেদন করা হয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে আগামী বছরের জুন পর্যন্ত মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে।

তিন বছর মেয়াদি প্রকল্পটির নির্মাণকাজ ১২ বছরেও শেষ হয়নি। একই সঙ্গে নির্দিষ্ট সময়ে প্রকল্পের কাজ শেষ না হওয়ায় বরাদ্দও বেড়েছে দ্বিগুণের বেশি।

প্রকল্প অফিসের তথ্য অনুযায়ী, খুলনার মোংলা বন্দরের সঙ্গে সারাদেশের রেলপথে যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে ২০১০ সালে খুলনা-মোংলা রেললাইন নির্মাণ প্রকল্পটি অনুমোদিত হয়। এর ছয় বছর পর ২০১৬ সালে প্রকল্পটির কার্যক্রম শুরু হয়। দেশের দ্বিতীয় সমুদ্রবন্দর মোংলার সঙ্গে প্রতিবেশী দেশগুলোর পণ্য পরিবহন সহজতর করতে ভারতীয় ঋণের টাকায় এই প্রকল্পটি গ্রহণ করা হয়। ২০১০ সালের ডিসেম্বরে একনেকে (জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদ-এর নির্বাহী কমিটি) প্রকল্পটি অনুমোদিত হয়। সম্ভাব্য ব্যয় ধরা হয় ১ হাজার ৭২১ কোটি টাকা। এর প্রায় ৬ বছর পরে ২০১৬ সালের ১ সেপ্টেম্বর মাঠপর্যায়ে সম্ভাব্যতা যাচাই, নকশাসহ আনুষঙ্গিক কাজ শুরু হয়।

২০১৭ সালের ১ জানুয়ারি জেলা প্রশাসন সর্বশেষ ভূমি আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করে। এরপর প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ে ২০১৮ সালের জুন মাস পর্যন্ত। এরপর ২০১৮ সালের ডিসেম্বর এবং তারপর ২০২০ সালের জুন পর্যন্ত সময় বাড়ানো হয়। এরপর আরও এক দফা সময় বাড়িয়ে চলতি বছরের ডিসেম্বর মাসে এর কাজ শেষ করার সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়। এই সময়েও কাজ শেষ না হওয়ায় আবারও সময় বৃদ্ধির জন্য আবেদন করা হয়েছে। বারে বারে প্রকল্পের ডিজাইন পরিবর্তন হওয়ায় এর মেয়াদ ও প্রকল্প ব্যয় বেড়েছে। প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছিল ১ হাজার ৭২১ কোটি টাকা; বর্তমানে ব্যয় দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার কোটি টাকারও বেশি। বাড়তি ব্যয়ের পরিমাণ আড়াই হাজার কোটি টাকারও বেশি।

প্রাপ্ত নথিপত্র থেকে জানা যায়, খুলনা-মোংলা রেল প্রকল্পটির কাজ ৯০ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে। বাকি কাজ তিন থেকে চার মাসের মধ্যে শেষ করা যাবে বলে সংশ্লিষ্টরা আশা প্রকাশ করেছেন। এরই মধ্যে প্রকল্পটির মেয়াদ আরও ছয় মাস বৃদ্ধি করা হয়েছে। সেই হিসাবে প্রকল্পটি আগামী জুন মাসের মধ্যে শেষ হবে এবং ওই সময়ের মধ্যেই রেল চলাচলের জন্য রেলপথটি উন্মুক্ত করার কথা রয়েছে।

প্রকল্প অফিসের তথ্য, সরেজমিন পরিদর্শন এবং প্রকল্প বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রকল্পের প্রধান কাজগুলো হলো, ৭৭৬ দশমিক ৬৭ একর ভূমি অধিগ্রহণ করা, খুলনা থেকে মংলা বন্দর পর্যন্ত ৬৪ দশমিক ৭৫ কিলোমিটার মেইন লাইন নির্মাণ, ২১ দশমিক ১১ কিলোমিটার লুপ লাইন নির্মাণ, আটটি রেলওয়ে স্টেশন তৈরি করা। এ ছাড়া ৩১টি মেজর ও মাইনর ব্রিজ নির্মাণ করা, ১১২টি কালভার্ট, রূপসা নদীর উপর ৭১৬ দশমিক ৮০ মিটার সেতু নির্মাণ করা, রূপসা সেতুর দুই প্রান্তে ভায়াডাক্ট (উড়াল পথ) নির্মাণ, ২০০ মিটার আরসিসি রিটেইনিং ওয়াল নির্মাণ করা এবং ওয়াটার সাপ্লাই সিস্টেম নির্মাণ করা।

স্বাভাবিকভাবে এই রেললাইন প্রকল্পে কয়েকটি ধাপ রয়েছে। এগুলো হচ্ছে, রেলপথ তৈরি, ওয়ে (লাইন) স্থাপন করা, সংযোগ সড়ক নির্মাণ করা, গুরুত্বপূর্ণ সড়কে আন্ডরপাস নির্মাণ করা, কালভার্ট, ব্রিজ, স্টেশন ভবন, বিভিন্ন সড়কের সংযোগ মুখে নিরাপত্তা কক্ষ তৈরি এবং রূপসা নদীর উপর রেলসেতু নির্মাণ করা। এসব কাজের মধ্যে রেললাইন নির্মাণ কাজের অগ্রগতি ৯০ ভাগ। মূল রেললাইন ৬৫ কিলোমিটার; এ ছাড়া রয়েছে ২৪ কিলোমিটার লুবস অ্যান্ড ইয়ার্ড লাইন। আটটি স্টেশন ভবনের মধ্যে পাঁচটির কাজ প্রায় শেষ হলেও বাকি ৩টির কাজ গড়ে ৮০ ভাগ শেষ হয়েছে। রূপসা নদীর উপরের সেতুটির নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে। তবে এতে এখনো রেললাইন বসানো হয়নি। রেললাইনের জন্য বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে স্বয়ংক্রিয় ইলেকট্রিক সিগনাল স্থাপন করা। সিগনাল স্থাপনের কাজ এখনো শেষ হয়নি।



প্রকল্প কর্মকর্তারা দাবি করেন, শুরু থেকেই প্রকল্পটি নানা বাধার মুখে পড়ে। তিন বছর মেয়াদি প্রকল্পটির ঠিকাদার নিয়োগ দিতেই দুই বছর সময় পেরিয়ে যায়। তারপর দফায় দফায় এর নকশায় পরিবর্তন হয়েছে, সময় বাড়ানো হয়েছে, ব্যয়ও বেড়েছে যথারীতি। সার্বিকভাবে প্রকল্পটির কাজ ৯০ শতাংশ শেষ হয়েছে।

বৃহত্তর খুলনা উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটির সভাপতি শেখ আশরাফ উজ্জামান জানান, আমাদের দেশে উন্নয়নমূলক কাজ নির্দিষ্ট সময়ে শেষ হওয়ার নজির খুবই কম। প্রকল্প গ্রহণের আগে সম্ভাব্য ব্যয় নির্ধারণ করে দরপত্র আহ্বান করা হয়। সেই অনুযায়ী ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানও নিয়োগ হয়। কিন্তু নির্দিষ্ট সময়ে কাজ শেষ না হওয়ায় ব্যয়ও বাড়ানোর উদাহরণ খুলনা-মোংলা রেললাইন স্থাপন প্রকল্প। এটির ১ হাজার ৭২১ কোটি টাকায় শেষ করার কথা থাকলেও সেই ব্যয় এখন ৪ হাজার ২৬০ কোটি টাকায় গিয়ে দাঁড়িয়েছে।

এই প্রকল্পের পরিচালক মো. আরিফুজ্জামান জানান, কয়েক দফা নকশা পরিবর্তন, নতুন নতুন বিষয় সংযুক্ত হওয়ায় নির্দিষ্ট সময়ে প্রকল্পের কাজ শেষ করা যায়নি। সর্বশেষ বর্ধিত মেয়াদ অনুযায়ী চলতি মাসেই শেষ হওয়ার কথা। কিন্তু এখনো কিছু কাজ বাকি রয়েছে। তাই ৬ মাস মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। আশা করছি এই সমযের মধ্যেই পরিপূর্ণ নির্মাণ কাজ শেষ করা সম্ভব হবে।

খুলনা-৫ (ফুলতলা- ডুমুরিয়া) আসনের সংসদ সদস্য নারায়ণ চন্দ্র চন্দ বলেন, এ রেললাইন চালু হলে, ভারত, নেপাল ও ভুটানের সঙ্গে রেল যোগাযোগের মাধ্যমে পণ্য আমদানি ও রপ্তানি খরচ সাশ্রয় হবে। নির্দিষ্ট সময়ে নতুন এই লাইনের কাজ শেষ না হওয়া দুঃখজনক। আমি মনে করি প্রকল্প সংশ্লিষ্টদের সঠিক তদারকি না থাকায় সরকারের নেওয়া উন্নয়ন প্রকল্প নির্দিষ্ট সময়ে শেষ হয় না।

এসএন

Header Ad
Header Ad

জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্য দিলশাদ আফরিন বহিষ্কার

দিলশাদ আফরিন। ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় নাগরিক কমিটির শৃঙ্খলা ও আদর্শ বিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে সংগঠনটির নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানা শাখার সদস্য দিলশাদ আফরিনকে বহিষ্কার করা হয়েছে। সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী গত মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) এই বহিষ্কারাদেশ জারি করা হয়।

বিষয়টি বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) গণমাধ্যমের সামনে আসে।

জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্য সচিব আখতার হোসেন স্বাক্ষরিত ওই বহিষ্কারাদেশে বলা হয়, ‘এই পত্রের মাধ্যমে আপনাকে জানানো যাচ্ছে যে, জাতীয় নাগরিক কমিটি-এর নিয়ম ও নীতিমালা অনুযায়ী আপনার সাম্প্রতিক কর্মকান্ড আমাদের সংগঠনের শৃঙ্খলা এবং আদর্শের পরিপন্থী বলে প্রতীয়মান হয়েছে। সমস্ত অভিযোগের ভিত্তিতে এবং সংগঠনের শৃঙ্খলা রক্ষার স্বার্থে আহ্বায়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী ও সদস্য সচিব আখতার হোসেন এর অনুরোধক্রমে আপনাকে জাতীয় নাগরিক কমিটি থেকে বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।’

নারায়ণগঞ্জ জেলার দায়িত্বে থাকা জাতীয় নাগরিক কমিটির সাবেক যুগ্ম সদস্য সচিব আব্দুল্লাহ আল আমিন দিলশাদ আফরিনকে বহিষ্কারের বিষয়ে বলেন, ‘তার বিরুদ্ধে বেশ কিছু অভিযোগ উঠেছিল। জাতীয় নাগরিক কমিটি অভিযোগ তদন্ত করে সত্যতা পাওয়ায় গত ৮ এপ্রিল তাকে দল থেকে বহিষ্কার করে।

আফরিন জাতীয় নাগরিক কমিটির শহীদ আহত কল্যাণ সেলের কোনো দায়িত্বে ছিলেন না। তারপরেও তিনি ব্যক্তিগতভাবে শহীদ ও আহত পরিবারের আর্থিক বিষয় নিয়ে কাজ করেছেন। যা নিয়ে জাতীয় নাগরিক কমিটি অবগত ছিল না বলেও জানান তিনি।

Header Ad
Header Ad

সরকারে এলে প্রথম ১৮ মাসে ১ কোটি কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করবে বিএনপি

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নির্বাচিত হয়ে সরকার গঠন করতে পারলে প্রথম ১৮ মাসে বিএনপি ১ কোটি কর্মসংস্থান বা চাকরির ব্যবস্থা করবে। ২০৩৪ সালে জিডিপির লক্ষ্যমাত্রা ১ ট্রিলিয়ন ডলার নির্ধারণ করেছে বিএনপি। এ ছাড়া জনগণের ঘাড় থেকে বাড়তি করের লাগাম টেনে ধরা, মানুষের মন থেকে করের ভয় দূর করে কীভাবে কর আহরণ বাড়ানো যায়, তা নিয়েও দলটি কাজ করতে চায়।

বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) আয়োজনে বিনিয়োগ সম্মেলন ২০২৫–এ অংশ নিয়ে বিএনপি এসব পরিকল্পনার কথা জানিয়েছে। বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে এসব তথ্য জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

‘১ ট্রিলিয়ন ডলার ইকোনমি’ শিরোনামে দেওয়া ওই পোস্টে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর লিখেছেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি নির্বাচিত হয়ে সরকার গঠন করতে পারলে প্রথম ১৮ মাসে ১ কোটি কর্মসংস্থান বা চাকরির ব্যবস্থা করবে। প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ (এফডিআই)/মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) লক্ষ্যমাত্রার শূন্য দশমিক ৪৫ শতাংশ থেকে জিডিপির ২ দশমিক ৫ শতাংশে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছে বিএনপি। ২০৩৪ সালে জিডিপির লক্ষ্যমাত্রা ১ ট্রিলিয়ন ডলার নির্ধারণ করেছে বিএনপি। জনগণের ঘাড় থেকে বাড়তি করের লাগাম টেনে ধরা, মানুষের মন থেকে করের ভয় দূর করে কীভাবে কর আহরণ বৃদ্ধি করা যায়, তা নিয়েও কাজ করতে চায় বিএনপি।

বাংলাদেশে বিদেশি বিনিয়োগ বা এফডিআইকে জনপ্রিয় করতে বিএনপি ১১টি রেগুলেটরি পরিবর্তনের প্রস্তাব করেছে বলেও পোস্টে উল্লেখ করেন মির্জা ফখরুল। এর মধ্যে আটটি প্রস্তাবের কথা তুলে ধরেছেন তিনি। এগুলো হলো বিডাকে কার্যকর করা, ভিসা বা ওয়ার্ক পারমিট বিধির আধুনিকীকরণ, বিনিয়োগকারীদের জন্য ২৪x৭ (দিনে ২৪ ঘণ্টা ও সপ্তাহে ৭ দিন) সেবা চালু করা, স্বয়ংক্রিয় মুনাফা প্রত্যাবাসনের ব্যবস্থা, স্থানীয়ভাবে দক্ষ জনশক্তির ব্যবস্থা করা, বিনিয়োগকারীদের নিরাপত্তা আইন প্রণয়নের সঙ্গে অবকাঠামোগত উন্নয়ন, মানবসম্পদের কর্মদক্ষতা বৃদ্ধির ব্যবস্থা নেওয়া এবং প্রকৃত প্রশিক্ষণ ও প্রণোদনার ব্যবস্থা করে বৈদেশিক কর্মসংস্থানের পরিমাণ ও আওতা বৃদ্ধি।

সরকার গঠন করতে পারলে দেশের মানবসম্পদের কর্মদক্ষতা বৃদ্ধির ব্যবস্থা নেওয়া, প্রকৃত প্রশিক্ষণ ও প্রণোদনার ব্যবস্থা করে বৈদেশিক কর্মসংস্থানের পরিমাণ ও আওতা বৃদ্ধির জন্য বিএনপি অতীতের চেয়েও ব্যাপক সফলতা অর্জন করতে চায় বলে জানান মির্জা ফখরুল। পোস্টে তিনি জানান, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বিনিয়োগ সম্মেলন উপলক্ষে এক শুভেচ্ছাবার্তায় তিনটি বিষয় বলেছেন। এগুলো হলো ঐক্যই ভবিষ্যৎ জাতীয় উন্নয়নের সোপান, এফডিআই আকৃষ্ট করতে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সরকার আইন করেছিল এবং দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার সরকারগুলোর বিনিয়োগবান্ধব নীতি ছিল।

Header Ad
Header Ad

চুয়াডাঙ্গা সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফের কমান্ডার পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত

চুয়াডাঙ্গা সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফের কমান্ডার পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

চুয়াডাঙ্গা সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফ ব্যাটালিয়ন কমান্ডার পর্যায়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) বেলা ১১ টা থেকে ‍দুপুর ১২ টা ২০ মিনিট পর্যন্ত চুয়াডাঙ্গা ব্যাটালিয়ন (৬ বিজিবি) এর দায়িত্বপূর্ণ এলাকা মেহেরপুর জেলার ইছাখালি সীমান্ত এলাকার মেইন পিলার ১২৪ এর নিকট শূন্য রেখা বরাবর ভারতীয় পার্শ্বে বিএসএফ নব চন্দ্রপুর ক্যাম্পে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

বিজিবি সূত্র জানায়, চুয়াডাঙ্গা ব্যাটালিয়ন (৬ বিজিবি) এবং প্রতিপক্ষ ৫৬ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের সাথে ব্যাটালিয়ন কমান্ডার পর্যায়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে বিজিবি’র পক্ষে চুয়াডাঙ্গা ব্যাটালিয়ন (৬ বিজিবি) এর অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. নাজমুল হাসান স্টাফ অফিসারসহ মোট ৯ সদস্যের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব প্রদান করেন।

অপরদিকে বিএসএফ এর পক্ষে ৫৬ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের কমান্ড্যান্ট শ্রী বিনয় কুমার তাঁর স্টাফ অফিসারসহ ৮ সদস্য বিশিষ্ট প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন।

বৈঠকের শুরুতে উভয় পক্ষ ঈদ-উল-ফিতর পরবর্তী শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। শুভেচ্ছা বিনিময়ের পর উভয় ব্যাটালিয়ন কমান্ডার সীমান্ত এলাকায় শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখার লক্ষ্যে চোরাচালান প্রতিরোধ, অবৈধ অনুপ্রবেশ রোধ, যৌথ টহল তৎপরতা জোরদারকরণ এবং গোয়েন্দা নজরদারির বিষয়সমূহে বিস্তারিত আলোচনা করেন। সীমান্তকে অধিক সুসংহত ও কার্যকরী করার লক্ষ্যে বিজিবি-বিএসএফ যৌথভাবে কার্যক্রম পরিচালনার বিষয়ে ব্যাটালিয়ন কমান্ডারগণ একমত পোষণ করেন। এছাড়াও, সীমান্তে দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে উভয় দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে পারস্পরিক সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখা ও সীমান্ত সংক্রান্ত যে কোনো গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার তাৎক্ষণিক তথ্য আদান-প্রদানের বিষয়ে উভয় ব্যাটালিয়ন কমান্ডারগণ সম্মত হন।

বৈঠক শেষে উভয় ব্যাটালিয়ন কমান্ডার মেইন পিলার ১২৪ সহ তৎসংলগ্ন সীমান্ত পিলারসমূহ যৌথভাবে পায়ে হেঁটে পরিদর্শন করেন।
দু’দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে বিদ্যমান সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় করার প্রত্যয় ব্যক্ত করে আন্তরিক ও সদ্ভাবপূর্ণ পরিবেশে বৈঠক শেষ হয়।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্য দিলশাদ আফরিন বহিষ্কার
সরকারে এলে প্রথম ১৮ মাসে ১ কোটি কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করবে বিএনপি
চুয়াডাঙ্গা সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফের কমান্ডার পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত
আবারও চেন্নাইয়ের অধিনায়ক হলেন ধোনি
‘ক্রিম আপা’ খ্যাত কন্টেন্ট ক্রিয়েটর শারমিন শিলা গ্রেফতার
দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ দামে সোনা, ভরি ১ লাখ ৫৯ হাজার টাকা
ভিন্ন ধর্মের ছেলের সঙ্গে প্রেম, বাবার হাতে প্রাণ গেল মেয়ের
পোল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত হলেন সাবেক আইজিপি ময়নুল
জেনে নিন গ্রীষ্মে সুস্বাদু আর উপকারী কাঁচা আমের ১১টি বিস্ময়কর গুণ
এসএসসি পরীক্ষা না দিয়ে প্রেমিকের বাড়িতে অনশনে কিশোরী
সাধারণ মানুষ চায় এই সরকার আরো ৫ বছর থাকুক: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
ফিলিস্তিনে গণহত্যার প্রতিবাদে টাঙ্গাইলে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের মানববন্ধন (ভিডিও)
জিয়াউর রহমান বেঁচে থাকলে ইসরায়েল এমন অপকর্মের সাহস পেত না: মির্জা আব্বাস (ভিডিও)
নওগাঁয় গাছ কাটাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে নিহত ২
বাংলাদেশ রেলওয়ের দুই কর্মকর্তাকে পদায়ন ও বদলি
২০ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে বাংলাদেশে হাসপাতাল বানাচ্ছে মার্কিন কোম্পানি
কাদের-কামালসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের রেড নোটিশ জারি করতে চিঠি
সিলেটে থানায় লালগালিচা দেখে ক্ষোভ ঝাড়লেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
দিল্লিতে লিঙ্গ পরিবর্তনের চিকিৎসা নিতে এসে গ্রেপ্তার ৫ বাংলাদেশি
রবিবার ৩ জেলায় সাধারণ ছুটি, সবমিলিয়ে টানা ৪ দিনের অবকাশ