বুধবার, ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ২২ মাঘ ১৪৩১
Dhaka Prokash

খুলনা-মোংলা রেললাইন

এক যুগেও শেষ হয়নি, ব্যয় বেড়েছে দ্বিগুণ

চতুর্থ দফায় মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে খুলনা-মোংলা রেললাইন নির্মাণ প্রকল্পের। তৃতীয় দফায় বাড়ানো মেয়াদ অনুযায়ী চলতি বছর ডিসেম্বর মাসে প্রকল্পটির কাজ শেষ হওয়ার কথা। কিন্তু তা শেষ না হওয়ায় আবারও ছয় মাস মেয়াদ বৃদ্ধির আবেদন করা হয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে আগামী বছরের জুন পর্যন্ত মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে।

তিন বছর মেয়াদি প্রকল্পটির নির্মাণকাজ ১২ বছরেও শেষ হয়নি। একই সঙ্গে নির্দিষ্ট সময়ে প্রকল্পের কাজ শেষ না হওয়ায় বরাদ্দও বেড়েছে দ্বিগুণের বেশি।

প্রকল্প অফিসের তথ্য অনুযায়ী, খুলনার মোংলা বন্দরের সঙ্গে সারাদেশের রেলপথে যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে ২০১০ সালে খুলনা-মোংলা রেললাইন নির্মাণ প্রকল্পটি অনুমোদিত হয়। এর ছয় বছর পর ২০১৬ সালে প্রকল্পটির কার্যক্রম শুরু হয়। দেশের দ্বিতীয় সমুদ্রবন্দর মোংলার সঙ্গে প্রতিবেশী দেশগুলোর পণ্য পরিবহন সহজতর করতে ভারতীয় ঋণের টাকায় এই প্রকল্পটি গ্রহণ করা হয়। ২০১০ সালের ডিসেম্বরে একনেকে (জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদ-এর নির্বাহী কমিটি) প্রকল্পটি অনুমোদিত হয়। সম্ভাব্য ব্যয় ধরা হয় ১ হাজার ৭২১ কোটি টাকা। এর প্রায় ৬ বছর পরে ২০১৬ সালের ১ সেপ্টেম্বর মাঠপর্যায়ে সম্ভাব্যতা যাচাই, নকশাসহ আনুষঙ্গিক কাজ শুরু হয়।

২০১৭ সালের ১ জানুয়ারি জেলা প্রশাসন সর্বশেষ ভূমি আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করে। এরপর প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ে ২০১৮ সালের জুন মাস পর্যন্ত। এরপর ২০১৮ সালের ডিসেম্বর এবং তারপর ২০২০ সালের জুন পর্যন্ত সময় বাড়ানো হয়। এরপর আরও এক দফা সময় বাড়িয়ে চলতি বছরের ডিসেম্বর মাসে এর কাজ শেষ করার সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়। এই সময়েও কাজ শেষ না হওয়ায় আবারও সময় বৃদ্ধির জন্য আবেদন করা হয়েছে। বারে বারে প্রকল্পের ডিজাইন পরিবর্তন হওয়ায় এর মেয়াদ ও প্রকল্প ব্যয় বেড়েছে। প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছিল ১ হাজার ৭২১ কোটি টাকা; বর্তমানে ব্যয় দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার কোটি টাকারও বেশি। বাড়তি ব্যয়ের পরিমাণ আড়াই হাজার কোটি টাকারও বেশি।

প্রাপ্ত নথিপত্র থেকে জানা যায়, খুলনা-মোংলা রেল প্রকল্পটির কাজ ৯০ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে। বাকি কাজ তিন থেকে চার মাসের মধ্যে শেষ করা যাবে বলে সংশ্লিষ্টরা আশা প্রকাশ করেছেন। এরই মধ্যে প্রকল্পটির মেয়াদ আরও ছয় মাস বৃদ্ধি করা হয়েছে। সেই হিসাবে প্রকল্পটি আগামী জুন মাসের মধ্যে শেষ হবে এবং ওই সময়ের মধ্যেই রেল চলাচলের জন্য রেলপথটি উন্মুক্ত করার কথা রয়েছে।

প্রকল্প অফিসের তথ্য, সরেজমিন পরিদর্শন এবং প্রকল্প বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রকল্পের প্রধান কাজগুলো হলো, ৭৭৬ দশমিক ৬৭ একর ভূমি অধিগ্রহণ করা, খুলনা থেকে মংলা বন্দর পর্যন্ত ৬৪ দশমিক ৭৫ কিলোমিটার মেইন লাইন নির্মাণ, ২১ দশমিক ১১ কিলোমিটার লুপ লাইন নির্মাণ, আটটি রেলওয়ে স্টেশন তৈরি করা। এ ছাড়া ৩১টি মেজর ও মাইনর ব্রিজ নির্মাণ করা, ১১২টি কালভার্ট, রূপসা নদীর উপর ৭১৬ দশমিক ৮০ মিটার সেতু নির্মাণ করা, রূপসা সেতুর দুই প্রান্তে ভায়াডাক্ট (উড়াল পথ) নির্মাণ, ২০০ মিটার আরসিসি রিটেইনিং ওয়াল নির্মাণ করা এবং ওয়াটার সাপ্লাই সিস্টেম নির্মাণ করা।

স্বাভাবিকভাবে এই রেললাইন প্রকল্পে কয়েকটি ধাপ রয়েছে। এগুলো হচ্ছে, রেলপথ তৈরি, ওয়ে (লাইন) স্থাপন করা, সংযোগ সড়ক নির্মাণ করা, গুরুত্বপূর্ণ সড়কে আন্ডরপাস নির্মাণ করা, কালভার্ট, ব্রিজ, স্টেশন ভবন, বিভিন্ন সড়কের সংযোগ মুখে নিরাপত্তা কক্ষ তৈরি এবং রূপসা নদীর উপর রেলসেতু নির্মাণ করা। এসব কাজের মধ্যে রেললাইন নির্মাণ কাজের অগ্রগতি ৯০ ভাগ। মূল রেললাইন ৬৫ কিলোমিটার; এ ছাড়া রয়েছে ২৪ কিলোমিটার লুবস অ্যান্ড ইয়ার্ড লাইন। আটটি স্টেশন ভবনের মধ্যে পাঁচটির কাজ প্রায় শেষ হলেও বাকি ৩টির কাজ গড়ে ৮০ ভাগ শেষ হয়েছে। রূপসা নদীর উপরের সেতুটির নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে। তবে এতে এখনো রেললাইন বসানো হয়নি। রেললাইনের জন্য বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে স্বয়ংক্রিয় ইলেকট্রিক সিগনাল স্থাপন করা। সিগনাল স্থাপনের কাজ এখনো শেষ হয়নি।



প্রকল্প কর্মকর্তারা দাবি করেন, শুরু থেকেই প্রকল্পটি নানা বাধার মুখে পড়ে। তিন বছর মেয়াদি প্রকল্পটির ঠিকাদার নিয়োগ দিতেই দুই বছর সময় পেরিয়ে যায়। তারপর দফায় দফায় এর নকশায় পরিবর্তন হয়েছে, সময় বাড়ানো হয়েছে, ব্যয়ও বেড়েছে যথারীতি। সার্বিকভাবে প্রকল্পটির কাজ ৯০ শতাংশ শেষ হয়েছে।

বৃহত্তর খুলনা উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটির সভাপতি শেখ আশরাফ উজ্জামান জানান, আমাদের দেশে উন্নয়নমূলক কাজ নির্দিষ্ট সময়ে শেষ হওয়ার নজির খুবই কম। প্রকল্প গ্রহণের আগে সম্ভাব্য ব্যয় নির্ধারণ করে দরপত্র আহ্বান করা হয়। সেই অনুযায়ী ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানও নিয়োগ হয়। কিন্তু নির্দিষ্ট সময়ে কাজ শেষ না হওয়ায় ব্যয়ও বাড়ানোর উদাহরণ খুলনা-মোংলা রেললাইন স্থাপন প্রকল্প। এটির ১ হাজার ৭২১ কোটি টাকায় শেষ করার কথা থাকলেও সেই ব্যয় এখন ৪ হাজার ২৬০ কোটি টাকায় গিয়ে দাঁড়িয়েছে।

এই প্রকল্পের পরিচালক মো. আরিফুজ্জামান জানান, কয়েক দফা নকশা পরিবর্তন, নতুন নতুন বিষয় সংযুক্ত হওয়ায় নির্দিষ্ট সময়ে প্রকল্পের কাজ শেষ করা যায়নি। সর্বশেষ বর্ধিত মেয়াদ অনুযায়ী চলতি মাসেই শেষ হওয়ার কথা। কিন্তু এখনো কিছু কাজ বাকি রয়েছে। তাই ৬ মাস মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। আশা করছি এই সমযের মধ্যেই পরিপূর্ণ নির্মাণ কাজ শেষ করা সম্ভব হবে।

খুলনা-৫ (ফুলতলা- ডুমুরিয়া) আসনের সংসদ সদস্য নারায়ণ চন্দ্র চন্দ বলেন, এ রেললাইন চালু হলে, ভারত, নেপাল ও ভুটানের সঙ্গে রেল যোগাযোগের মাধ্যমে পণ্য আমদানি ও রপ্তানি খরচ সাশ্রয় হবে। নির্দিষ্ট সময়ে নতুন এই লাইনের কাজ শেষ না হওয়া দুঃখজনক। আমি মনে করি প্রকল্প সংশ্লিষ্টদের সঠিক তদারকি না থাকায় সরকারের নেওয়া উন্নয়ন প্রকল্প নির্দিষ্ট সময়ে শেষ হয় না।

এসএন

Header Ad
Header Ad

খুলনায় ছাত্র-জনতার উচ্ছ্বাস, বুলডোজারের আঘাতে মাটিতে মিশে গেল ‘শেখ বাড়ি’

ছবি: সংগৃহীত

খুলনার ময়লাপোতা এলাকায় ‘শেখ বাড়ি’ নামে পরিচিত আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় রাজনৈতিক নিয়ন্ত্রণকেন্দ্র আজ (বুধবার) রাতে বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা-কর্মীদের আহ্বানে বিপুলসংখ্যক ছাত্র-জনতা সেখানে জড়ো হয়ে বাড়িটির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন এবং সিটি করপোরেশনের দুটি বুলডোজার দিয়ে বাড়িটি ভেঙে ফেলার কাজ শুরু করেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আন্দোলনকারীরা শেখ হাসিনা, আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন। এর আগে গত ৪ আগস্ট ‘শেখ বাড়ি’তে প্রথম দফায় আগুন লাগানো হয়। সেদিন বাড়িটি খালি থাকায় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। তবে ৫ আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানের পর আবারও ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট চালানো হয়। একসময় যেখান থেকে খুলনা অঞ্চলের আওয়ামী লীগের রাজনীতি নিয়ন্ত্রিত হতো, আজ সেটির অস্তিত্ব ধ্বংসস্তূপে পরিণত হলো।

প্রসঙ্গত, ‘শেখ বাড়ি’ ছিল সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চাচার মালিকানাধীন। এ বাড়িতে তাঁর চাচাতো ভাই, সাবেক সংসদ সদস্য শেখ হেলাল উদ্দিন, শেখ সোহেল উদ্দিনসহ আরও কয়েকজন পরিবারের সদস্য বসবাস করতেন। তবে সাম্প্রতিক রাজনৈতিক অস্থিরতার পরিপ্রেক্ষিতে এ বাড়ি দীর্ঘদিন ধরে ফাঁকা ছিল।

বুলডোজার চালানোর সময় ছাত্র-জনতার বিপুল উচ্ছ্বাস লক্ষ করা যায়। তাঁদের দাবি, বৈষম্যমূলক রাজনৈতিক শাসনের প্রতীক হয়ে উঠেছিল এই বাড়ি, তাই এটিকে সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করাই ছিল তাঁদের লক্ষ্য।

Header Ad
Header Ad

ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে ছাত্র-জনতার ঢল, বুলডোজার ছাড়াই গুঁড়িয়ে দেওয়ার ঘোষণা

ছবি: সংগৃহীত

ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে ছাত্র-জনতার ঢল নেমেছে। আজ বুধবার, ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ তারিখে, সন্ধ্যা ৮টার দিকে রাজধানীর ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতি জাদুঘরের সামনে বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা জড়ো হয়। তারা স্লোগান দিতে দিতে জাদুঘরের গেট ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে এবং ভাঙচুর শুরু করে। বিক্ষোভকারীরা বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালসহ জাদুঘরের বিভিন্ন স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত করে।

নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাষণ দেওয়ার ঘোষণার প্রতিবাদে এই বিক্ষোভের আয়োজন করা হয়। বিক্ষোভকারীরা শেখ হাসিনার ভার্চুয়াল ভাষণের বিরোধিতা করে এবং তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্লোগান দেয়।

বিক্ষোভের আগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে 'লং মার্চ টু ধানমন্ডি-৩২' নামে একটি কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হয়, যেখানে বিক্ষোভকারীরা ধানমন্ডি ৩২ নম্বর বাড়ি বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়ার আহ্বান জানায়। তবে, বুলডোজার ছাড়াই তারা নিজ হাতে ভাঙচুর চালায়।

এ ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত থাকলেও বিক্ষোভকারীদের থামাতে ব্যর্থ হয়। বিক্ষোভ ও ভাঙচুরের পর এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।

উল্লেখ্য, ধানমন্ডি ৩২ নম্বর বাড়িটি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতি জাদুঘর হিসেবে পরিচিত, যেখানে তিনি ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট নিহত হওয়ার আগে বসবাস করতেন।

Header Ad
Header Ad

আমরা কী করলাম, সেটি ভবিষ্যৎ প্রজন্ম বিচার করবে : প্রধান উপদেষ্টা

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ছবি: সংগৃহীত

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, আমরা কী করলাম বা করলাম না- ভবিষ্যৎ প্রজন্ম সেটি দিয়ে আমাদের বিচার করবে।

বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে নিজ কার্যালয়ে জনপ্রশাসন ও বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন গ্রহণ অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।

ড. ইউনূস বলেন, দেশের রাজনৈতিক দল ও অংশীজনদের ঐকমত্যে পৌঁছানোর জন্য এসব প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে এবং এর ভিত্তিতেই সংস্কার কার্যক্রম বাস্তবায়িত হবে। তিনি আরও বলেন, "এটি জাতির জন্য এক গুরুত্বপূর্ণ সংবাদ। আমি জাতির পক্ষ থেকে কমিশনের দুই চেয়ারম্যানসহ সকল সদস্যকে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।"

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, "এই দুটি প্রতিবেদন দেশের প্রতিটি মানুষের জীবনে প্রভাব ফেলবে। আপনি দরিদ্র, মধ্যবিত্ত বা ধনী যেই হোন না কেন, এই সংস্কারের প্রভাব থেকে কেউই বাদ যাবেন না।"

তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, "কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়িত হলে নাগরিকরা তাদের প্রকৃত অধিকার ফিরে পাবেন। আমরা যেন সত্যিকারের নাগরিক হিসেবে মর্যাদা পাই, সেটিই আমাদের প্রত্যাশা।"

সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন জনগণ, রাজনৈতিক দল ও সিভিল সোসাইটি অর্গানাইজেশনের হাতে তুলে দেওয়া হবে বলে জানান ড. ইউনূস। তিনি বলেন, "যাতে সবাই মনে করতে পারে, এখানে প্রকৃত সত্য বলা হয়েছে, ভুক্তভোগীদের বাস্তব চিত্র উঠে এসেছে। আমাদের তো পণ্ডিত হতে হবে না এটি বোঝার জন্য, কারণ প্রতিদিনই আমরা নানা অবিচারের শিকার হই।"

প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, "সংস্কার কমিশনের কাজ শুধু বাংলাদেশের জন্য নয়, এটি বিশ্বব্যাপী গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে। বিশ্বের দরবারে এটি তুলে ধরতে হলে এর ইংরেজি অনুবাদ করা প্রয়োজন।"

কমিশনের সদস্যদের প্রশংসা করে তিনি বলেন, "আপনাদের প্রজ্ঞা, অভিজ্ঞতা ও গবেষণার সংমিশ্রণে এই প্রতিবেদন তৈরি হয়েছে, যা বাংলাদেশের ইতিহাসে এক স্মরণীয় দলিল হয়ে থাকবে।"

তিনি আরও বলেন, "আমরা কী করলাম বা করলাম না, ভবিষ্যৎ প্রজন্ম আমাদের সেই কাজের জন্যই বিচার করবে। তারা প্রশ্ন করতে পারে, আপনারা তো পেয়েছিলেন, তাহলে বাস্তবায়ন করেননি কেন? কারণ, সবকিছু তো বইয়ের পাতায় লেখা আছে। এই কাজ জাতির জন্য এক মূল্যবান স্মারক হয়ে থাকবে।"

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

খুলনায় ছাত্র-জনতার উচ্ছ্বাস, বুলডোজারের আঘাতে মাটিতে মিশে গেল ‘শেখ বাড়ি’
ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে ছাত্র-জনতার ঢল, বুলডোজার ছাড়াই গুঁড়িয়ে দেওয়ার ঘোষণা
আমরা কী করলাম, সেটি ভবিষ্যৎ প্রজন্ম বিচার করবে : প্রধান উপদেষ্টা
হাসিনার বিচারের স্বার্থে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে: তারেক রহমান
মুক্তিপনের প্রতিবাদ করায় ছাত্রদল নেতাকে কুড়াল দিয়ে কোপালেন আ'লীগের কর্মিরা
খুব দ্রুতই জবি ছাত্রদলের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠিত হবে: ছাত্রদল সভাপতি
বগুড়ায় ৫০ টাকা অফারে টি-শার্ট কিনতে গিয়ে হুলস্থুল কান্ড, নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনী
নওগাঁ সীমান্তে বাংলাদেশি যুবককে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ
মোহাম্মদপুরে বিড়াল হত্যার অভিযোগে আদালতে মামলা, তদন্তের নির্দেশ
চুয়াডাঙ্গায় সার কাণ্ডে বিএনপি ও যুবদলের ৫ নেতা বহিষ্কার
আজ বন্ধুর সাথে গোসল করার দিন
২ আলাদা বিভাগসহ দেশকে ৪ প্রদেশে ভাগ করার সুপারিশ
শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা মামলায় হাইকোর্টের রায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ৯ আসামিসহ সবাই খালাস
হাসিনার লাইভ প্রচারের আগেই নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের ফেসবুক পেজ উধাও
হাইকোর্ট প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের ওপর বিএনপি নেতাকর্মীদের হামলা
বিচারবিভাগ ও জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন হস্তান্তর
গাজীপুরে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সবজিবাহী পিকআপ খাদে, চালকসহ নিহত ৩
নতুন রাজনৈতিক দল গঠনে জনগনের মতামত চাইলো হাসনাত  
এই ফটো তোলোস কেন? আদালত চত্বরে শাহজাহান ওমর  
মনে হচ্ছে বিবিসি বাংলা গণহত্যাকারী শেখ হাসিনার ভক্ত : প্রেস সচিব