৭ মাসেও চালু হয়নি সাড়ে ৭ কোটি টাকার সেতু!
মেহেরপুর-কুষ্টিয়া জেলার বেতবাড়িয়া-মধুখালী গ্রামের মাথাভাঙ্গা নদীর উপর সেতু নির্মান কাজ শেষ হলেও ৭ মাসেও চালু হয়নি। মাত্র ১০০ ফিট রাস্তা না হওয়ার কারণে সেতুটি ব্যবহার করতে পারছেনা দুই জেলার কয়েক লাখ বাসিন্দা। ফলে চরম দূর্ভোগে পড়েছে এলাকাবাসি। জটিলতা কাটিয়ে দ্রত সময়ের মধ্যে সেতু চলাচল উপযোগি করার দাবি স্থানীয়দের।
চলতি বছর প্রায় সাড়ে ৭ কোটি টাকা ব্যায়ে গাংনী ও দৌলৎপুর উপজেলার বেতবাড়িয়া-মধুগাড়ী মাথাভাঙ্গা নদীর উপর গার্ডার সেতু নির্মান করে এলজিইডি। দৌলতপুর উপজেলার পাশে সংযোগ সড়ক তৈরি হয়েছে কিন্তু জমি অধিগ্রহণ জটিলতায় সেতু নির্মাণের ৭ মাসেও গাংনী অংশের সংযোগ সড়ক তৈরি করতে না পারায় সেতুটি ব্যবহার করতে পারছেনা দুই উপজেলার কয়েকলাখ মানুষ।
মাত্র ১০০ ফিট রাস্তা না থাকায় ৫ কিলোমিটার পথ ঘুরে যাতায়াত করতে হচ্ছে গাংনী ও দৌলতপুর উপজেলার বাসিন্দাদের। এতে খরচের পাশাপাশি এ অঞ্চলের কৃষক, ব্যবসায়ী শিক্ষার্থী সহ এলাকাবাসি চরম দূর্ভোগে পড়েছে। কৃষকরা পায়ে হেটে মাথায় ক্ষেত নিয়ে অনেক কষ্ট করে সেতুতে উঠতে হচ্ছে। তাছাড়া মোটরসাইকেল,ভ্যান ও বাইসাইকেল কয়েকজন মিলে ঠেলে সেতুতে উঠলেও সংযোগ সড়ক না থাকায় বাস ট্রাক সহ বড় ধরনের যান চলাচল করতে পারছেনা। এ কারণে এক এলাকার সবজী বা কৃষি পন্য অন্য এলাকায় যেতে পারছে না।
জমি জটিলতা কাটিয়ে সেতুটি চলাচলের উপযোগী করা হলে দুই জেলার বাসিন্দাদের ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার ও শিক্ষাসহ নানা সুবিধা পাবে।
স্থানীয়রা জানায়, মাত্র ১০০ ফিট রাস্তা না থাকায় রোগীরা চিকিৎসাসেবা নিতে যেতে পারে না।
কৃষক আব্দুল জলিল বলেন, মাথায় করে বোঝা (ফসল) নিয়ে আনতে অনেক কষ্ট হয়।
কাজিপুর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য বেতবাড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা মো. সাইদুর রহমান বলেন, দৌলৎপুর অংশে রাস্তা হয়েছে গাংনী অংশে রাস্তা না হওয়ায় সেতুটি কোনো কাজেই লাগছে না। এ অঞ্চলের মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়েছে।
ভ্যান চালক রফিকুল ইসলাম বলেন, সরকার কোটি টাকা ব্যয়ে সেতু তৈরি করলেও যাতায়াত করা যাচ্ছেনা। রাস্তাটি নির্মাণ করা হলে চলাচলে সুবিধা হবে।
স্যালো ইঞ্জিন চালক আব্দুর রাজ্জাক বলেন, সামান্য রাস্তা না থাকায় ৫ কিলোমিটার ঘুরে গাংনী কিংবা দৌলৎপুর যেতে হয়। সরকার কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে সেতু নির্মাণ করলেও রাস্তা সামান্য না থাকায় সেতুটি পড়ে রয়েছে।
এদিকে গাংনী উপজেলা প্রকৌশলী মো. ফয়সাল হোসেন বলেন, জমি অধিগ্রহণ জটিলতায় আটকে গেছে দাবি করে সমাধানের চেষ্টা চলছে বলে জানান তিনি।
এএজেড