ধান ঘরে তুলতে ব্যস্ত নড়াইলের কৃষকরা
শীতল বাতাসে পাকা সোনালী আমন ধান দোল খাচ্ছে নড়াইলের মাঠে মাঠে। আমন ধান ঘরে তুলতে ব্যস্ত সময় পার করছেন এ অঞ্চলের কৃষকরা। অনাবৃষ্টি, সার সংকট, পোকার আক্রমণ থেকে ফসলকে রক্ষা করে পরম যত্নে এখন চলছে ধান কাটা ও মাড়াইয়ের কাজ। এ বছর আমনের ফলন ভালো হলেও অনাবৃষ্টিতে সেচ কাজে খরচ এবং সারের দাম বাড়ার ফলে চাষাবাদে অন্য বছরের তুলনায় বেশি ব্যয় হয়েছে। তাই বর্তমান বাজারে ধানের দাম যা পাচ্ছে তা নিয়ে কেউ কেউ সন্তুষ্ট থাকলেও শঙ্কায় রয়েছেন অনেকেই। নড়াইলে এ বছর আমন ধানের লক্ষ্য ধরা হয়েছিল ৪২ হাজার ২৫ হেক্টর জমিতে। আবাদ হয়েছে ৪২ হাজার ৯০ হেক্টর। অর্থ্যাৎ লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৬৫ হেক্টর বেশি জমিতে আমনের আবাদ হয়েছে। ইতিমধ্যে প্রায় ৪৮ শতাংশ ধান কাটা হয়েছে বলে জানা গেছে।
উজিরপুর গ্রামের আমন চাষী কার্তিক দাশ ও সুজল বিশ্বাস জানান, রোগ-বালাই যেমন তেমন বৃষ্টি কম থাকায় এ বছর আমন চাষে বেশি ভোগান্তি ও অর্থ ব্যয় হয়েছে। ফলন যা হয়েছে ভালো হয়েছে। বাজার দর যা পাওয়া যাচ্ছে তাতেও তারা সন্তুষ্ট।
একই এলাকার কৃষক মুন্না জানান, এবার আমন মৌসুমে যথেষ্ট ভালো ফলন হয়েছে। কিন্তু আমন মৌসুমে বৃষ্টি কম ছিল। ফলে সেচ দিয়ে চাষাবাদ করতে হয়েছে। তেলের দামও অনেক বেশি ছিল। যার কারণে অতিরিক্তি অর্থ ব্যয় হয়েছে। পর্যাপ্ত পরিমাণে সারও পাওয়া যায়নি। অনেক দূর থেকে সার এনে জমিতে দিতে হয়েছে। ফলে সেখানেও বেশি অর্থ ব্যয় হয়েছে। বাজার মূল্য যদি একটু বেশি হয় তাহলে হয়তো খরচ উঠে লাভের মুখ চোখে দেখবেন। আর বাজার মূল্য যদি কম হয় তাহলে চাষাবাদ চালানো কঠিন হয়ে যাবে।
এ ব্যাপারে নড়াইল কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক দীপক কুমার রায় বলেন, আমন চাষের প্রথম দিকে অনাবৃষ্টি থাকলেও পরবর্তীতে বৃষ্টি হয়েছে এবং কৃষক সম্পূরক সেচের মাধ্যমে বাম্পার ফলন পেয়েছে। এবার মাঠে কোনও রোগ, পোকা-মাকড় ছিল না। ধানের বাজার দরও আর্কষণীয় হওয়ায় কৃষক আগামী বোরো মৌসুমে অধিক পরিমাণে ধান চাষ করবে বলে আশা এই কর্মকর্তার।
এসআইএইচ