শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫ | ৬ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

মাগুরায় জার্মানী ভক্তের সাড়ে ৭ কিলোমিটারের পতাকা

আর কয়েক দিন পরেই শুরু হবে কাতার বিশ্বকাপ ফুটবল-২০২২। বিশ্বকাপ ফটবল উন্মাদনায় ইতিমধ্যে মেতে উঠেছে সারা বিশ্ব। প্রায় দেড় যুগ ধরে বিশ্বকাপের সময় জার্মানির বড় পতাকা বানিয়ে আসছেন মাগুরা সদরের ঘোড়ামারা গ্রামের কৃষক আমজাদ হোসেন (৭০)। আজ শুক্রবার সকাল ১০ টায় সদরের নিশ্চিতপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে জার্মানির সাড়ে ৭ কিলোমিটার পতাকা প্রদর্শন করে মাগুরাবাসীতে তাক লাগিয়ে দিয়েছে আমজাদ।

এ পতাকা প্রদর্শন অনুষ্ঠানে তার যোগ দেয় চট্রগ্রাম জেলার জার্মানী ফুটবল ফ্যান ক্লাবের সদস্যরা। পাশাপাশি গ্রামের আপমর জনসাধারণসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ। প্রতি বিশ্বকাপেই আমজাদের বানানো পতাকার দৈর্ঘ্য বাড়ে ২০০৬ সালে প্রথমে দেড় কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের জার্মানির পতাকা তৈরি করেন তিনি।

২০১০ সালে বিশ্বকাপের সময় পতাকা হয় আড়াই কিলোমিটার। ২০১৪ সালে আমজাদ তৈরি করেন ৩ কিলোমিটার। সর্বশেষ ২০১৮ সালে পতাকার দৈর্ঘ্য ছিল সাড়ে ৫ কিলোমিটার। এবার কাতার বিশ্বকাপ উপলক্ষে আমজাদ হোসেন তৈরি করেছেন সাড়ে ৭ কিলোমিটার দীর্ঘ জার্মানির পতাকা।

সরজমিন আজ শুক্রবার আমজাদের গ্রামে ঘোড়ামারা গিয়ে কথা হয় তার সাথে। তিনি বলেন, ২০০৬ সালে শুরু দিকে পতাকা তৈরি করতে গিয়ে পরিবারের কারও সমর্থন ছিল না। তারপর নিজের জমি বিক্রি করে গড়েছিলাম জার্মামির পতাকা। তবে এবার নিজের সন্তানেরাই পতাকা তৈরির খরচ দিয়েছেন। এবার নতুন করে দুই কিলোমিটার বাড়িয়ে পর্বের পতাকার সাথে যুক্ত করে মুল পতাকার দৈর্ঘ্য হয়েছে সাড়ে ৭ কিলোমিটার।

গত দুই সপ্তাহ ধরে ৪ জন দর্জি মিলে পতাকা সেলাই করেছেন। এবার নতুন দুই কিলোমিটার পতাকা তৈরি করতে ইতিমধ্যে আমার ৯০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। তার মধ্যে কাপড়ে খরচ হয়েছে প্রায় ৭০ হাজার টাকা। পরিবহন ও সেলাই মজুরিতে বাকি টাকা খরচ হয়েছে। শুধু পতাকা তৈরি করেই আমজাদের বিশ্বকাপের উন্মাদনা শেষ হয় না। যে দিন জার্মানির খেলা হয় সেদিন বাড়িতে চলে নানা আয়োজন। জার্মানির খেলা দেখতে তার বাড়িতে ভিড় করে গ্রামের গ্রামের নানা বয়সী মানুষ । আর দল জিতলেই তার খরচ বেড়ে যায় ।

তিনি আরও বলেন, ২০১৪ সালে আমার মা বাদে পরিবারের সবাই পতাকা তৈরি বিপক্ষে ছিল। কিন্তু আমি সেটা শুনি। ২০ শতক জমি বিক্রি করে দিলাম। পেলাম ৫ লক্ষ টাকা। তারপর বাড়িতে প্রজেক্টও কিনে খেলা দেখার আয়োজন করলাম। ২০১৪ সালে তৎকালিন জার্মান রাষ্ট্রদূত মাগুরায় এসে জার্মানির পতাকা ইদ্বোধন করেন। সে সময় আমাকে জার্মান দূতাবাসের পক্ষ থেকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। একই সাথে জার্মান ফুটবল ফ্যান ক্লাবের অজীবন সদস্য প্রদান করা হয় আমাকে।

২০১৮ সালেও জার্মান দূতাবোসের কর্মকর্তারা এসেছিলেন পতাকা প্রদর্শন অনুষ্ঠানে। তবে এ বছর জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসেনের কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতেই নতুন পতাকা প্রদর্শন করা হয়। কথা প্রসঙ্গে আমজাদ আরও বলেন, ২০০৫ সালে দিকে আমি কঠিন পীড়ায় আক্রান্ত হই। বিভিন্ন ঔষধ খেয়েও কোনো কাজ হয় না। তখন মাগুরা শহরের মনোরঞ্জন কবিরাজ নামের একজন চিকিৎসকের পরামর্শে জার্মানির তৈরি হোমিও ঔষধ সেবন করে আরোগ্য লাভ করি। এরপর থেকেই আমি জার্মান দলের ভক্ত।

জার্মান দলের প্রতি রয়েছে আমার অকৃত্রিম ভালোবাসা। বিশেষ করে বিশ্বকাপ ফুটবল এলেই জার্মানির দলের প্রতি ভালোবাসার টানে কিছু একটা করতে ভালো লাগে। তারই আলোকে আমি আমার ভালোবাসার দল জার্মানির পতাকা দৃষ্টি করি। ভবিষ্যতে আরও বৃদ্ধিও পরিকল্পনা আছে আমার। এবারের বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন হোক জার্মানী এই প্রত্যাশা আমার।

গ্রামের স্থানীয় শরিফুল ইসলাম বলেন, আমজাদ আমাদের গ্রামের ছেলে। সে দারুন ভক্ত ও পাগল জার্মান দলের। জার্মান দলের প্রতি গভীর ভালোবাসার টানেই সে প্রতি বছর তার তৈরিকৃত পতাকার দৈর্ঘ্য বাড়ায়। এবার তার পতাকার দৈর্ঘ্য হয়েছে সাড়ে ৭ কিলোমিটার। আমিও জার্মান দলের ভক্ত। জার্মান দল এবার বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন হোক এটা আমরা চাই।

চট্রগ্রাম থেকে আসা জার্মানি ফুটবল ফ্যান ক্লাবের সদস্য আকতার হোসেন বলেন, আমরা সূদর চট্রগ্রাম থেকে এসেছি আমার প্রিয় দল জার্মানির ভক্ত আমজাদ ভাইকে স্বাগত জানাতে। আমার মনে বাংলাদেশে এত বড় দৈর্ঘ্যে পতাকা আর নেই। আমজাদ সাহস নিয়ে এ পতাকা তৈরি করেছেন। আমি জার্মানিকে ভালোবাসি। জার্মানি এবারের বিশ্বকাপে ফেবারিট দল। তাই এবারের বিশ্বকাপ জার্মানির।

মাগুরার ক্রীড়া সংগঠক বারিক আনজাম বারকি বলেন, আমজাদ ভাই জার্মান দলের দারুন ভক্ত। জার্মান দলের প্রতি ভালোবাসার টানেই সে দীর্ঘ সাড়ে ৭ কিলোমিটার পতাকা তৈরি করেছে। আমরা ফুটবল খেলোয়াড় তৈরি করি। তাই ফুটবলের প্রতি আমাদের ভালোবাসা রয়েছে অনেক।

আমজাদ ভাইয়ের ফুটবলের প্রতি ভালোবাসা আছে বলেই তার এ পতাকা তৈরি করা। আমরা তার সাফল্য কামনা করি। মাগুরা চাউলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান হাফিজার রহমান বলেন,আমজাদ আমার এলাকার ছেলে। সে জার্মান দলের পাগল ভক্ত। নিজের জমি বিক্রি করে সে জার্মান দলের পতাকা তৈরি করেছে। যা অনেকেই পক্ষে করা সম্ভব নয়। আমি তার দল জয়ী হোক এ কামনা করছি।
এএজেড

Header Ad
Header Ad

ভূঞাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালই যেন নিজেই অসুস্থ!

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলার ৫০ শয্যাবিশিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে আসেন ভূঞাপুর ছাড়াও আশপাশের গোপালপুর, ঘাটাইল ও কালিহাতী উপজেলার অসংখ্য মানুষ। তবে জনগুরুত্বপূর্ণ এই হাসপাতালটি বর্তমানে নিজেই এক অসুস্থ প্রতিষ্ঠান হয়ে উঠেছে।

বছরের পর বছর ধরে চলে আসা নানা অব্যবস্থাপনা, জনবল ও যন্ত্রপাতির ঘাটতি এবং অপরিচ্ছন্ন পরিবেশ—সব মিলিয়ে এই সরকারি হাসপাতালটি এখন রোগীদের ভোগান্তির আরেক নাম।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, হাসপাতালের ভিতর ও বাইরের পরিবেশ একেবারেই নোংরা ও দুর্গন্ধযুক্ত। নিয়মিত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার অভাবে জমে থাকা ময়লা-আবর্জনা থেকে ছড়াচ্ছে তীব্র দুর্গন্ধ, যা রোগী ও তাদের স্বজনদের দীর্ঘ সময় ধরে সইতে হচ্ছে। বিশেষ করে টয়লেটের অবস্থা ভয়াবহ; অধিকাংশ টয়লেট ব্যবহারের অযোগ্য এবং পরিচ্ছন্নতার কোনো ব্যবস্থাই নেই। পুরুষ ও নারী ওয়ার্ড উভয়ের রোগীরা এ বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

 

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন অবস্থায় হাসপাতাল কার্যত অন্ধকারে ডুবে যায়। হাসপাতালে একটি জেনারেটর থাকলেও তা চালু করা হয় না এবং সেটিও বহু পুরনো। হাতে গোনা কয়েকটি চার্জিং বাল্ব থাকলেও সেগুলোর অনেকগুলোর আলো টিকেই না, কিছু সময় পর বন্ধ হয়ে যায়। শিশু ওয়ার্ডের (ডায়রিয়া) মতো গুরুত্বপূর্ণ স্থানে চার্জিং বাল্ব পর্যন্ত নেই। ফলে রাতের বেলায় এক ভয়ংকর ভূতুড়ে পরিবেশ সৃষ্টি হয়। আলো না থাকায় নার্সদের মোবাইল ফোনের ফ্ল্যাশলাইট ব্যবহার করে সেবা দিতে দেখা গেছে।

চরম গরমে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়েছেন শিশু ও বৃদ্ধ রোগীরা। শিশু ওয়ার্ডে থাকা আটটি ফ্যানের মধ্যে তিনটি সম্পূর্ণ নষ্ট, আর যেগুলো সচল রয়েছে, বিদ্যুৎ না থাকায় সেগুলোও চলে না। ফলে শিশু রোগীরা ভ্যাপসা গরমে হাঁসফাঁস করছে, তাদের স্বজনরা হাতপাখা বা চার্জার ফ্যান নিয়ে চেষ্টা করছেন কিছুটা স্বস্তি দিতে।

হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ডে প্রবেশ করে দেখা যায়, মেঝেতে ময়লার দাগ, দেয়ালে থুতু, কফ ও পানের পিকের ছিটা। শয্যা ও ওষুধ রাখার ট্রেগুলোতেও দেখা গেছে মরিচা ও জমে থাকা ময়লা। এসব স্থানে মাছি ঘুরে বেড়াচ্ছে অবলীলায়, যা পুরো হাসপাতালের অস্বাস্থ্যকর পরিবেশকে আরও প্রকট করে তুলেছে।

এমন পরিবেশে চিকিৎসা নিচ্ছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা আকবর আলী, যিনি হাসপাতালের বারান্দায় ফ্যানহীন পরিবেশে ভর্তি রয়েছেন। অভিযোগ করে তিনি বলেন, মুক্তিযোদ্ধা পরিচয় দেওয়ার পরও কোনো বিশেষ সুবিধা দেওয়া হয়নি। টয়লেট ব্যবহারের অনুপযোগিতা নিয়েও তিনি তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

তিন মাসের শিশুকে নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোজিনা বেগম বলেন, টয়লেটের অবস্থার কারণে তিনি পানি ও খাবার খাওয়া কমিয়ে দিয়েছেন, যেন টয়লেট ব্যবহার না করতে হয়। টয়লেটে ঢোকা তো দূরের কথা, পাশে দাঁড়ানোও কষ্টকর হয়ে পড়েছে দুর্গন্ধ ও অপরিচ্ছন্নতার কারণে।

গোপালপুর উপজেলার বড়শিলা গ্রামের রোগীর স্বজন সাজেদা বেগম বলেন, এখানে চিকিৎসা নিতে এসে রোগীর স্বজনরাও অসুস্থ হয়ে পড়ছে। কোনো অভিযোগ করার সুযোগ নেই, আর কেউ কিছু বললেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয় না।

স্থানীয়দের দাবি, ২০২২ সালে ডা. মোহাম্মদ আব্দুস সোবহান উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (টিএইচও) হিসেবে যোগদানের পর থেকেই হাসপাতালের এই বেহাল অবস্থা তৈরি হয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক কর্মকর্তা, কর্মচারী ও নার্স জানান, ডা. সোবহান কর্তৃত্ববাদী মনোভাব পোষণ করেন। তার বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতা, দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনার অভিযোগ থাকলেও প্রশাসনিকভাবে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। উল্টো অভিযোগকারীরা বদলি বা হয়রানির শিকার হওয়ার আশঙ্কা করছেন।

তবে আরএমও ডা. খাদেমুল ইসলাম বলেন, “সমস্যা যে নেই, সেটা বলছি না। তবুও আমরা সীমিত জনবল ও সামর্থ্যে কাজ করে যাচ্ছি। শতভাগ কাজ সম্ভব হয় না।”

এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ আব্দুস সোবহান বলেন, “জেনারেটর থাকলেও সেটি চালাতে সরকারি বরাদ্দ নেই। মাঝেমধ্যে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় চালানো হয়। ক্লিনার মাত্র একজন, মাঝে মাঝে বাইরে থেকে লোক ডেকে এনে পরিষ্কার করাতে হয়। আর ফ্যান বা লাইট যেকোনো সময় নষ্ট হতে পারে, যখন জানা যায়, তখনই ব্যবস্থা নেওয়া হয়।” বীর মুক্তিযোদ্ধার বারান্দায় চিকিৎসা নেওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, “মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য কেভিনের ব্যবস্থা রয়েছে। যদি এমন কিছু হয়ে থাকে, তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

সার্বিকভাবে ভূঞাপুর উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে চিকিৎসাসেবা যে ভয়াবহ নাজুক অবস্থায় রয়েছে, তা এই চিত্রগুলো স্পষ্ট করে দেয়। দ্রুত সময়ের মধ্যে যথাযথ নজরদারি ও প্রশাসনিক ব্যবস্থা না নিলে, এই হাসপাতাল রোগীদের সুস্থতার জায়গা হয়ে না থেকে এক ভয়াবহ দুর্ভোগের কেন্দ্রে পরিণত হতে পারে।

Header Ad
Header Ad

জাতীয় পার্টি কোনো সুবিধাবাদী দল নয়: জিএম কাদের

জাতীয় পার্টি (জাপা) কোনো সুবিধাবাদী দল নয় বলে দাবি করেছেন দলটির চেয়ারম্যান জি এম কাদের। আজ শনিবার সকালে রাজধানীর বনানীতে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে আয়োজিত বর্ধিত সভায় তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, আমাদের নামে অনেক ধরনের অপপ্রচার করা হচ্ছে। কিছু মানুষ আমাদেরকে নানাভাবে হেনস্তা করার চেষ্টা করছেন। সোশ্যাল মিডিয়া থেকে শুরু করে বিভিন্ন মাধ্যমে বক্তব্য-বিবৃতি দিয়ে জানাশোনা কথাকে তারা ভুলভাবে তুলে ধরছেন। তাদের কথা হলো- আমরা সুবিধাবাদী, সুবিধাভোগী।

জাপা চেয়ারম্যান বলেন, আমরা বলতে চাই জাতীয় পার্টির সিংহভাগ মানুষ সব সময় জনগণের পাশে ছিল। জনগণের স্বার্থে তারা সংগ্রাম করেছে। আগামীতেও তারা জনগণের পাশেই থাকবে।

 

Header Ad
Header Ad

প্রচণ্ড শ্বাসকষ্ট নিয়ে আইসিইউতে পরিচালক সৃজিত মুখার্জি

ছবি: সংগৃহীত

ওপার বাংলার জনপ্রিয় নির্মাতা সৃজিত মুখার্জিকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গুরুতর সমস্যা নিয়ে শুক্রবার মধ্যরাতে কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে নেয়া হয় তাকে। পরে চিকিৎসকরা তাকে নিবিড় পর্যবেক্ষণের জন্য আইসিইউতে নিয়ে যান।

পরিচালকের ঘনিষ্ঠ সুত্রের বরাত দিয়ে ভারতীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, গতকাল রাতে হঠাৎই শ্বাসকষ্ট শুরু হয় সৃজিতের। সেই সঙ্গে বুকে হালকা ব্যথাও অনুভব করছিলেন পরিচালক। এরপর রাত সাড়ে ১২ টার দিকে দ্রুত হাসপাতালে নেয়া হয় তাকে।

সেখানে রাতেই বেশ কিছু টেস্ট করানো হয়। শনিবার টেস্টের রিপোর্ট পাওয়ার কথা রয়েছে। আর তা দেখে চিকিৎসকেরা সিদ্ধান্ত নেবেন কতদিন পরিচালককে হাসপাতালে থাকতে হবে।

আরও পড়ুন: অন্তরঙ্গ দৃশ্যের আগে প্রেমিক ও পরিবারের অনুমতি নিয়েছিলেন কৌশানি। তবে হাসপাতাল সূত্র জানিয়েছে, সৃজিতের শারীরিক অবস্থা আপাতত স্থিতিশীল।

সদ্যই লিমকা বুক অফ রেকর্ডসের তালিকায় স্থান দখল করেছে সৃজিতের ‘অতি উত্তম’। ইনস্টাগ্রামে গর্বের কথা শেয়ার করেছেন তিনি। তাছাড়া এই নির্মাতার নতুন সিনেমা ‘কিলবিল সোসাইটি’ মুক্তি পেয়েছে গত ১১ এপ্রিল।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

ভূঞাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালই যেন নিজেই অসুস্থ!
জাতীয় পার্টি কোনো সুবিধাবাদী দল নয়: জিএম কাদের
প্রচণ্ড শ্বাসকষ্ট নিয়ে আইসিইউতে পরিচালক সৃজিত মুখার্জি
জুলাই গণঅভ্যুত্থান যেন কোনোভাবেই ব্যর্থ না হয় : নাহিদ ইসলাম
আ.লীগের মিছিল ঠেকাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার নির্দেশ
হাসিনা-কাদেরসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলে ‘রেড নোটিশ’ জারির আবেদন
নিখোঁজের ১৪ ঘণ্টা পর সেই শিশু সেহেরিশের লাশ উদ্ধার
আগামী ঈদের আগেই রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে কাজ করছে সরকার
লাল কাপড়ে ঢাকা হবে দেশের সব পলিটেকনিকের ফটক
৬০ বছর বয়সে বিয়ে করলেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ
চুয়াডাঙ্গা সীমান্তে ১২ কেজি রূপার গয়না জব্দ
ফয়জুল করীমকে বরিশালের মেয়র ঘোষণার দাবি
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে অংশ নেওয়া বাংলাদেশি যুবক নিহত
গোবিন্দগঞ্জে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আটক
বাংলাদেশি যুবককে ধরে নিয়ে বিএসএফের হাতে তুলে দিল ভারতীয়রা
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে এনসিপির বৈঠক শনিবার
বাংলাদেশের সঙ্গে বৈঠক নিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে যা জানাল পাকিস্তান
গাজায় ইসরায়েলের বিমান হামলা, শিশুসহ একই পরিবারের ১৩ জন নিহত
ভারতীয় ক্রিকেটাররা আমাকে নগ্ন ছবি পাঠাত, অভিযোগ ট্রান্সজেন্ডার ক্রিকেটারের
১৮৭ জনকে নিয়োগ দেবে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর