খুলনায় নদী ভাঙন আতঙ্কে আশ্রয়ন প্রকল্পের বাসিন্দারা
খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার আটলিয়া ইউনিয়নের কাঁঠালতলা বাজারের পাশ দিয়ে প্রবাহিত হয়ে গেছে আপার ভদ্রা নদী। আর এ নদীর তীরে নির্মিত আশ্রয়ন প্রকল্প এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে চলছে নদী ভাঙন। এর ফলে পরিবার-পরিজন নিয়ে চরম ঝুঁকির মধ্যে বসবাস করছেন আশ্রয়ন প্রকল্পের বাসিন্দারা। এদিকে ভাঙন কবলিত এলাকা সংঙ্কার করা না হলে নদীগর্ভে বিলিন হতে পারে আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘরবাড়িগুলো। তাই এ নিয়ে আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন প্রকল্প পল্লীর মানুষেরা।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বর্ষ উপলক্ষে ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের জন্য দেশব্যাপী সরকারি জায়গায় সমাজের হতদরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য আধা-পাঁকা ঘর ও জমির ব্যবস্থা করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তারই ধারাবাহিকতায় ডুমুরিয়া উপজেলার কাঁঠালতলা এলাকায় এই প্রকল্পের আওতায় ঘর তৈরি করে তা দরিদ্র পরিবারের মাঝে কবলা দলিল মূলে হস্তান্তর করা হয়। এর ফলে সমাজের বঞ্চিত হতদরিদ্র জনগোষ্ঠীর আশ্রয়ের বন্দোবস্ত হয়। সরকার প্রদত্ত ঘর ও জমি পেয়ে সুখে, স্বাচ্ছন্দে দিন কাটছিল তাদের। কিন্তু সম্প্রতি আপার ভদ্রা নদীর ভাঙনের কবলে পড়ে চরম বিপাকে রয়েছেন এলাকার বাসিন্দারা। ভাঙনের কারণে আবাসন এলাকার অধিকাংশ স্থান নদীগর্ভে চলে গেছে।
আবাসন প্রকল্পের বাসিন্দা নারগিস বেগম, আঞ্জুয়ারা বেগম, হাফিজুর রহমান, পারুল বেগম, বিলকিস বেগম, রোকেয়া বেগম, আমিনুর রহমান, মর্জিনা বেগম, জোসনা বেগম, হালিম গাজীসহ ভুক্তভোগীরা নদী ভাঙ্গন রোধে এবং স্থায়ী সংস্কারের জন্য সরকারের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট জোর দাবি জানিয়েছেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শরীফ আসিফ রহমান বলেন, একটি বরাদ্দ দিয়ে সংঙ্কারের কাজ করা হচ্ছে কিন্তু যথেষ্ট নয়। ইতিমধ্যে আশ্রয়ন প্রকল্পের ভাঙ্গন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করা হয়েছে। বড় ধরনের বরাদ্দ পেলে প্রকল্পের মাধ্যমে ভাঙন কবলিত এলাকা পুনরায় সংঙ্কার কাজ করা সম্ভব হবে বলেও জানান তিনি।
এসআইএইচ