শুক্রবার, ১১ এপ্রিল ২০২৫ | ২৭ চৈত্র ১৪৩১
Dhaka Prokash

খুলনায় ওএমএসের চাল-আটা পাচারে জড়িত কারা

গরিব ও দুস্থ মানুষের জন্য ওএমএসের মাধ্যমে স্বল্পমূল্যে চাল বিক্রির ব্যবস্থা করে সরকার। সেই চাল বিক্রি না করে অসাধু ব্যবসায়ীরা কালোবাজারে চাল বিক্রি করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে মঙ্গলবার (১ নভেম্বর) থেকে র‌্যাব খুলনা মহানগরীর বার্মাশীল রোডে কয়েকটি গোডাউন গোয়েন্দা নজরদারিতে রাখে। তারই ধারাবাহিকতায় র‌্যাব সেখানে অভিযান চালিয়ে প্রায় ১৪ হাজার কেজি চাল উদ্ধার করে।

এ সময় গোডাউন মালিক নাদিম আহমেদ ও তার কর্মচারী রবিউল ইসলামকে আটক করা হয়। র‌্যাব জানায়, কিছু সংখ্যক ডিলার দরিদ্রদের কাছে ৩০ টাকা কেজি দরে চাল বিক্রি না করে সেই চাল কালোবাজারে বেশি দামে বিক্রি করে দেন। নাদিম আহমেদ অসাধু ডিলারদের কাছ থেকে চাল কিনে তা বিভিন্ন বাজার ও দোকানে বিক্রি করতেন।

র‌্যাব জানায়, আটক হওয়া ওই দুই ব্যক্তি ৮ জন ডিলারের নাম বলেছে। এ ছাড়া খাদ্য বিভাগের কয়েকজন কর্মকর্তা-কর্মচারী এ কাজে সহযোগিতা করে বলেও উল্লেখ করেছে।

র‌্যাবের অনুসন্ধানে জানা গেছে, নিম্ন আয়ের মানুষের কাছে ন্যায্যমূল্যে চাল ও আটা বিক্রি না করে অধিক দামে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের কাছে গোপনে বিক্রি করছেন বেশ কয়েকজন প্রভাবশালী ডিলার। খুলনার বড় বাজারের বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ী এসব চাল কিনছে বলে অভিযোগ রয়েছে। যাদের মধ্যে রয়েছে কাজী অ্যান্ড সন্স, পলি এন্টারপ্রাইজ,কাশফিয়া এন্টারপ্রাইজ,রাবেয়া এন্টারপ্রাইজ, আশরাফ ভাণ্ডার, উজ্জ্বল ব্রিডার্স, বিসমিল্লাহ স্ট্রোর ও উজ্জ্বল ট্রেডার্স। এসব প্রতিষ্ঠানের মালিকরা ডিলারদের কাছ থেকে কম দামে চাল কিনে বস্তা পরিবর্তন করে বেশি দামে অন্য দোকানে বিক্রি করে। এদের গোডাউন বার্মাশিল রোড, কালীবাড়ি এলাকায় ও কোহিনুর গলিতে অবস্থিত।

র‌্যাব আরও জানায়, মোটা চাল নুরজাহান মার্কা বস্তায় এবং চিকুন চাল প্লাস্টিকের জোড়া কবুতর মার্কা বস্তায় ভরে বিক্রি হচ্ছে। আটা মিল মালিকরা কিনে তাদের নিজস্ব বস্তায় ভরে বিক্রি করেন। খোলা বাজারে বিক্রির (ওএমএস) চাল ও আটা ব্যাপক লুটপাট করছেন ডিলার ও খাদ্য কর্মকর্তারা। যারা মনিটরিং করার দায়িত্বে, তাদের যোগসাজশেই বস্তা বদল করে রাতারাতি সরকারি কম মূল্যে বিক্রির এই খাদ্যপণ্য চলে যাচ্ছে আড়তদারের ঘরে। মাঝখানে সংশ্লিষ্ট খাদ্য কর্মকর্তাদের সিন্ডিকেট ও মধ্যস্বত্বভোগীদের পকেটে ঢুকছে লাখ লাখ টাকার কমিশন। এভাবে গরিবের চাল লুটপাটের ভয়াবহ ঘটনা ঘটছে খুলনায়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যবসায়ী জানান, কোটি কোটি টাকার ভর্তুকি দিয়ে সরকার যে ওএমএস চালু রেখেছে তার সুফল গরিব মানুষ না পেলেও পেয়ে যাচ্ছে ওএমএসের ডিলারেরা। ওএমএস চালের এই দুর্নীতি এখন ওপেন সিক্রেট। প্রশাসনের সবাই জানে অথচ কেউ ধরা পড়ে না। কারো লাইসেন্স বাতিল হয় না, কেউ শাস্তিও পায় না। এটা একটা আজব ব্যাপার।

অভিযোগ রয়েছে, খুলনার নতুন বাজারে এক ডিলার রাতারাতি কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছেন। অথচ এই ওএমএস ছাড়া তার আর কিছুই ব্যবসা-বাণিজ্য নেই। সরকারি চাল ও আটার লাইসেন্স থাকলে এত টাকার মালিক হওয়া যায় তা এসব ডিলার দেখলেই বোঝা যায়। অনেক ডিলার তো আটার বস্তা গোডাউন থেকেই পাইকারি বাজারে উচ্চ মূল্যে বিক্রি করে দেন। অধিকাংশ ডিলার সরকার দলীয় লোক হওয়ায় সাধারণ মানুষ কোনো প্রতিবাদ করে না।

সচেতন মহল বলছেন, এভাবে ওএমএসের চাল চোরাই পথে বাজারে চলে আসার কারণে সরকার বাজারদর নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যর্থ হচ্ছে। ফলে চোরাকারবারিদের হাত ঘুরে আসা খোলাবাজারের চাল সাধারণ মানুষকে উচ্চ মূল্যে কিনতে হচ্ছে। সঙ্গত কারণে ওএমএস কর্মসূচি কার্যত কাজে আসছে না।

জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক অফিস সূত্রে জানা যায়, খুলনা মহাগরীতে ৯২ জন ডিলারের মাধ্যমে চাল বিক্রি করা হয়। প্রতিদিন ৩৭ জন ডিলার চাল তুলতে পারেন। এর মধ্যে ১৩টি ট্রাকে বিক্রি করা হয় এবং বাকিগুলো দোকানে বিক্রি করা হয়।

সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক) খুলনার সাবেক সভাপতি অধ্যাপক আনোয়ারুল কাদির ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, অতি দরিদ্র মানুষের কষ্ট লাঘবে সরকার ওএমএসের মাধ্যমে চাল-আটা বিক্রির কর্মসূচি নিয়েছে। উদ্দেশ্য অতি মহৎ হলেও অতি দরিদ্র লোকজন তা থেকে খুব বেশি উপকৃত হতে পারছে না। কিছু নিম্ন রুচির অতি লোভী মানুষের কারসাজিতে সেই চাল ঠিকমতো দরিদ্রদের হাতে পৌঁছে না। ডিলাররা চাল তুলে কালোবাজারে বিক্রি করে। যারা অতি দরিদ্রদের চাল ও আটা এভাবে আত্মসাৎ করে তারা অতি ঘৃণ্য অপরাধী। তাদের কঠোর শাস্তি না হলে আত্মসাৎ বন্ধ হবে না, সরকারের কোনো কর্মসূচিও লক্ষ্য অর্জন করতে পারবে না। ব্যক্তিগত স্বার্থে সরকারি সম্পদের অপব্যবহার করার দায়ে ডিলারশিপ বাতিল করা হোক। একই সঙ্গে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হোক।

র‌্যাব-৬ খুলনার সিনিয়র এএসপি পহন চাকমা বলেন, আমরা দীর্ঘদিন গোয়েন্দা নজরদারি চালিয়ে আসছিলাম। আমাদের কাছে তথ্য ছিল চোরাকারবারিরা নিয়মিত গরিবের জন্য বরাদ্দ দেওয়া সরকারি চাল বাইরের ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করে আসছিল। এর ভিত্তিতে আমরা গত মঙ্গলবার অভিযান চালাই বড় বাজারে। সেখান থেকে বিপুল পরিমাণ চাল জব্দ করা হয়।

তিনি বলেন, আমরা তদন্তের স্বার্থে এখনই কারা এ চোরাকারবারের সঙ্গে জড়িত তা বলতে পারছি না। তবে আটক হওয়া ওই দুই ব্যবসায়ী ৮ জন ডিলারের নাম বলেছে। এ ছাড়া খাদ্য বিভাগের কয়েকজন কর্মকর্তা-কর্মচারী এ কাজে সহযোগিতা করে বলেও উল্লেখ করেছে। এখন তাদের দেওয়া নামগুলো নিয়ে যাচাই-বাছাই করছি।

এ বিষয়ে খুলনা জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. বাবুল হোসেন বলেন, আমরা পত্রিকার মাধ্যমে ওএমএসের চাল উদ্ধারের বিষয়টি জানতে পেরেছি। সেটির তদন্তে জেলা সহকারী খাদ্য নিয়ন্ত্রক শেখ মো. জাহিদুল ইসলামকে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটি কোনো প্রতিবেদন না দিলে আমরা কিছুই বলতে পারছি না।

তদন্ত কমিটির প্রধান শেখ মো. জাহিদুল ইসলাম বলেন, চাল উদ্ধারের দিন খবর পেয়ে আমি থানায় যাই। সেটি ওএমএসের চাল কিনা জানি না। তবে বস্তাগুলো ছিল খাদ্য বিভাগের। আমি চাল দেখিনি। তদন্তের বিষয়ে তিনি বলেন, এখনো কোনো চিঠি পাইনি। দায়িত্ব এলে তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দেব।

এসএন

Header Ad
Header Ad

জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্য দিলশাদ আফরিন বহিষ্কার

দিলশাদ আফরিন। ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় নাগরিক কমিটির শৃঙ্খলা ও আদর্শ বিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে সংগঠনটির নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানা শাখার সদস্য দিলশাদ আফরিনকে বহিষ্কার করা হয়েছে। সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী গত মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) এই বহিষ্কারাদেশ জারি করা হয়।

বিষয়টি বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) গণমাধ্যমের সামনে আসে।

জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্য সচিব আখতার হোসেন স্বাক্ষরিত ওই বহিষ্কারাদেশে বলা হয়, ‘এই পত্রের মাধ্যমে আপনাকে জানানো যাচ্ছে যে, জাতীয় নাগরিক কমিটি-এর নিয়ম ও নীতিমালা অনুযায়ী আপনার সাম্প্রতিক কর্মকান্ড আমাদের সংগঠনের শৃঙ্খলা এবং আদর্শের পরিপন্থী বলে প্রতীয়মান হয়েছে। সমস্ত অভিযোগের ভিত্তিতে এবং সংগঠনের শৃঙ্খলা রক্ষার স্বার্থে আহ্বায়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী ও সদস্য সচিব আখতার হোসেন এর অনুরোধক্রমে আপনাকে জাতীয় নাগরিক কমিটি থেকে বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।’

নারায়ণগঞ্জ জেলার দায়িত্বে থাকা জাতীয় নাগরিক কমিটির সাবেক যুগ্ম সদস্য সচিব আব্দুল্লাহ আল আমিন দিলশাদ আফরিনকে বহিষ্কারের বিষয়ে বলেন, ‘তার বিরুদ্ধে বেশ কিছু অভিযোগ উঠেছিল। জাতীয় নাগরিক কমিটি অভিযোগ তদন্ত করে সত্যতা পাওয়ায় গত ৮ এপ্রিল তাকে দল থেকে বহিষ্কার করে।

আফরিন জাতীয় নাগরিক কমিটির শহীদ আহত কল্যাণ সেলের কোনো দায়িত্বে ছিলেন না। তারপরেও তিনি ব্যক্তিগতভাবে শহীদ ও আহত পরিবারের আর্থিক বিষয় নিয়ে কাজ করেছেন। যা নিয়ে জাতীয় নাগরিক কমিটি অবগত ছিল না বলেও জানান তিনি।

Header Ad
Header Ad

সরকারে এলে প্রথম ১৮ মাসে ১ কোটি কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করবে বিএনপি

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নির্বাচিত হয়ে সরকার গঠন করতে পারলে প্রথম ১৮ মাসে বিএনপি ১ কোটি কর্মসংস্থান বা চাকরির ব্যবস্থা করবে। ২০৩৪ সালে জিডিপির লক্ষ্যমাত্রা ১ ট্রিলিয়ন ডলার নির্ধারণ করেছে বিএনপি। এ ছাড়া জনগণের ঘাড় থেকে বাড়তি করের লাগাম টেনে ধরা, মানুষের মন থেকে করের ভয় দূর করে কীভাবে কর আহরণ বাড়ানো যায়, তা নিয়েও দলটি কাজ করতে চায়।

বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) আয়োজনে বিনিয়োগ সম্মেলন ২০২৫–এ অংশ নিয়ে বিএনপি এসব পরিকল্পনার কথা জানিয়েছে। বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে এসব তথ্য জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

‘১ ট্রিলিয়ন ডলার ইকোনমি’ শিরোনামে দেওয়া ওই পোস্টে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর লিখেছেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি নির্বাচিত হয়ে সরকার গঠন করতে পারলে প্রথম ১৮ মাসে ১ কোটি কর্মসংস্থান বা চাকরির ব্যবস্থা করবে। প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ (এফডিআই)/মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) লক্ষ্যমাত্রার শূন্য দশমিক ৪৫ শতাংশ থেকে জিডিপির ২ দশমিক ৫ শতাংশে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছে বিএনপি। ২০৩৪ সালে জিডিপির লক্ষ্যমাত্রা ১ ট্রিলিয়ন ডলার নির্ধারণ করেছে বিএনপি। জনগণের ঘাড় থেকে বাড়তি করের লাগাম টেনে ধরা, মানুষের মন থেকে করের ভয় দূর করে কীভাবে কর আহরণ বৃদ্ধি করা যায়, তা নিয়েও কাজ করতে চায় বিএনপি।

বাংলাদেশে বিদেশি বিনিয়োগ বা এফডিআইকে জনপ্রিয় করতে বিএনপি ১১টি রেগুলেটরি পরিবর্তনের প্রস্তাব করেছে বলেও পোস্টে উল্লেখ করেন মির্জা ফখরুল। এর মধ্যে আটটি প্রস্তাবের কথা তুলে ধরেছেন তিনি। এগুলো হলো বিডাকে কার্যকর করা, ভিসা বা ওয়ার্ক পারমিট বিধির আধুনিকীকরণ, বিনিয়োগকারীদের জন্য ২৪x৭ (দিনে ২৪ ঘণ্টা ও সপ্তাহে ৭ দিন) সেবা চালু করা, স্বয়ংক্রিয় মুনাফা প্রত্যাবাসনের ব্যবস্থা, স্থানীয়ভাবে দক্ষ জনশক্তির ব্যবস্থা করা, বিনিয়োগকারীদের নিরাপত্তা আইন প্রণয়নের সঙ্গে অবকাঠামোগত উন্নয়ন, মানবসম্পদের কর্মদক্ষতা বৃদ্ধির ব্যবস্থা নেওয়া এবং প্রকৃত প্রশিক্ষণ ও প্রণোদনার ব্যবস্থা করে বৈদেশিক কর্মসংস্থানের পরিমাণ ও আওতা বৃদ্ধি।

সরকার গঠন করতে পারলে দেশের মানবসম্পদের কর্মদক্ষতা বৃদ্ধির ব্যবস্থা নেওয়া, প্রকৃত প্রশিক্ষণ ও প্রণোদনার ব্যবস্থা করে বৈদেশিক কর্মসংস্থানের পরিমাণ ও আওতা বৃদ্ধির জন্য বিএনপি অতীতের চেয়েও ব্যাপক সফলতা অর্জন করতে চায় বলে জানান মির্জা ফখরুল। পোস্টে তিনি জানান, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বিনিয়োগ সম্মেলন উপলক্ষে এক শুভেচ্ছাবার্তায় তিনটি বিষয় বলেছেন। এগুলো হলো ঐক্যই ভবিষ্যৎ জাতীয় উন্নয়নের সোপান, এফডিআই আকৃষ্ট করতে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সরকার আইন করেছিল এবং দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার সরকারগুলোর বিনিয়োগবান্ধব নীতি ছিল।

Header Ad
Header Ad

চুয়াডাঙ্গা সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফের কমান্ডার পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত

চুয়াডাঙ্গা সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফের কমান্ডার পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

চুয়াডাঙ্গা সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফ ব্যাটালিয়ন কমান্ডার পর্যায়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) বেলা ১১ টা থেকে ‍দুপুর ১২ টা ২০ মিনিট পর্যন্ত চুয়াডাঙ্গা ব্যাটালিয়ন (৬ বিজিবি) এর দায়িত্বপূর্ণ এলাকা মেহেরপুর জেলার ইছাখালি সীমান্ত এলাকার মেইন পিলার ১২৪ এর নিকট শূন্য রেখা বরাবর ভারতীয় পার্শ্বে বিএসএফ নব চন্দ্রপুর ক্যাম্পে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

বিজিবি সূত্র জানায়, চুয়াডাঙ্গা ব্যাটালিয়ন (৬ বিজিবি) এবং প্রতিপক্ষ ৫৬ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের সাথে ব্যাটালিয়ন কমান্ডার পর্যায়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে বিজিবি’র পক্ষে চুয়াডাঙ্গা ব্যাটালিয়ন (৬ বিজিবি) এর অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. নাজমুল হাসান স্টাফ অফিসারসহ মোট ৯ সদস্যের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব প্রদান করেন।

অপরদিকে বিএসএফ এর পক্ষে ৫৬ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের কমান্ড্যান্ট শ্রী বিনয় কুমার তাঁর স্টাফ অফিসারসহ ৮ সদস্য বিশিষ্ট প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন।

বৈঠকের শুরুতে উভয় পক্ষ ঈদ-উল-ফিতর পরবর্তী শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। শুভেচ্ছা বিনিময়ের পর উভয় ব্যাটালিয়ন কমান্ডার সীমান্ত এলাকায় শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখার লক্ষ্যে চোরাচালান প্রতিরোধ, অবৈধ অনুপ্রবেশ রোধ, যৌথ টহল তৎপরতা জোরদারকরণ এবং গোয়েন্দা নজরদারির বিষয়সমূহে বিস্তারিত আলোচনা করেন। সীমান্তকে অধিক সুসংহত ও কার্যকরী করার লক্ষ্যে বিজিবি-বিএসএফ যৌথভাবে কার্যক্রম পরিচালনার বিষয়ে ব্যাটালিয়ন কমান্ডারগণ একমত পোষণ করেন। এছাড়াও, সীমান্তে দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে উভয় দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে পারস্পরিক সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখা ও সীমান্ত সংক্রান্ত যে কোনো গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার তাৎক্ষণিক তথ্য আদান-প্রদানের বিষয়ে উভয় ব্যাটালিয়ন কমান্ডারগণ সম্মত হন।

বৈঠক শেষে উভয় ব্যাটালিয়ন কমান্ডার মেইন পিলার ১২৪ সহ তৎসংলগ্ন সীমান্ত পিলারসমূহ যৌথভাবে পায়ে হেঁটে পরিদর্শন করেন।
দু’দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে বিদ্যমান সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় করার প্রত্যয় ব্যক্ত করে আন্তরিক ও সদ্ভাবপূর্ণ পরিবেশে বৈঠক শেষ হয়।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্য দিলশাদ আফরিন বহিষ্কার
সরকারে এলে প্রথম ১৮ মাসে ১ কোটি কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করবে বিএনপি
চুয়াডাঙ্গা সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফের কমান্ডার পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত
আবারও চেন্নাইয়ের অধিনায়ক হলেন ধোনি
‘ক্রিম আপা’ খ্যাত কন্টেন্ট ক্রিয়েটর শারমিন শিলা গ্রেফতার
দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ দামে সোনা, ভরি ১ লাখ ৫৯ হাজার টাকা
ভিন্ন ধর্মের ছেলের সঙ্গে প্রেম, বাবার হাতে প্রাণ গেল মেয়ের
পোল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত হলেন সাবেক আইজিপি ময়নুল
জেনে নিন গ্রীষ্মে সুস্বাদু আর উপকারী কাঁচা আমের ১১টি বিস্ময়কর গুণ
এসএসসি পরীক্ষা না দিয়ে প্রেমিকের বাড়িতে অনশনে কিশোরী
সাধারণ মানুষ চায় এই সরকার আরো ৫ বছর থাকুক: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
ফিলিস্তিনে গণহত্যার প্রতিবাদে টাঙ্গাইলে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের মানববন্ধন (ভিডিও)
জিয়াউর রহমান বেঁচে থাকলে ইসরায়েল এমন অপকর্মের সাহস পেত না: মির্জা আব্বাস (ভিডিও)
নওগাঁয় গাছ কাটাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে নিহত ২
বাংলাদেশ রেলওয়ের দুই কর্মকর্তাকে পদায়ন ও বদলি
২০ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে বাংলাদেশে হাসপাতাল বানাচ্ছে মার্কিন কোম্পানি
কাদের-কামালসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের রেড নোটিশ জারি করতে চিঠি
সিলেটে থানায় লালগালিচা দেখে ক্ষোভ ঝাড়লেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
দিল্লিতে লিঙ্গ পরিবর্তনের চিকিৎসা নিতে এসে গ্রেপ্তার ৫ বাংলাদেশি
রবিবার ৩ জেলায় সাধারণ ছুটি, সবমিলিয়ে টানা ৪ দিনের অবকাশ