টানা বর্ষনে বাগেরহাটের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত
বঙ্গোপসাগরে নিন্ম চাপের প্রভাবে গত কয়েক তিন থেমে থেমে বৃষ্টি আর জোয়ার পানিতে বাগেরহাটের নিন্মাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। বৃষ্টি ও জোয়ারের পানিতে বাগেরহাট জেলা সদরসহ বিভিন্ন উপজেলার প্রায় দুই হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।
জোয়ার ও বৃষ্টির পানি জমে ওইসব এলাকার মানুষের দুর্ভোগ বেড়েছে। টানা বর্ষনে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে নি¤œ আয়ের মানুষ। বাগেরহাট জেলা শহরের কাচাঁবাজার, নাগেরহাট বাজার, পোস্ট অফিস, খারদ্বার এলাকায় বৃষ্টি ও জোয়ারের পানিতে জলবদ্ধতা দেখা দিয়েছে।
সদরের উপজেলা, মোরেলগঞ্জ ও শরনখোলা, রামপাল, মোংলায় ভেসে গেছে অনেক পুকুর ও ঘেরের মাছ। অনেক চিংড়ি ঘেরের আইল পানি ছুঁইছুঁই করছে। বৃষ্টিপাত ও নদনদীতে জোয়ারের পানির চাপ অব্যাহত থাকলে মাছের ঘের তলিয়ে যাওয়ার আশংকা করছে মৎস্য বিভাগ।
তৃতীয় দিনের মতো উচ্চ জোয়ারের পানিতে সুন্দরবনের বিস্তৃীর্ণ এলাকাসহ ও করমজল কুমির প্রজনন কেন্দ্রটিতে পানি উঠে যায়। পূর্ব সুন্দরবনের করমজল কুমির প্রজনন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আজাদ কবির বলেন, গত তিন দিন ধরে জোয়ারের পানিতে সুন্দরবনের বিস্তৃীর্ণ এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। তবে আজ মঙ্গলবার জোয়ারের পানির চাপ ছিল কম।
বাগেরহাট শহরের কাঁচা বাজারের বিত্রেতারা জানান, বৃষ্টি ও জোয়ারের পানিতে বাজারে পানি উঠে গেছে। এতে তাদের কেনাবেচা নাই বললেই চলে। এমনিতেই মানুষ ঘর থেকে বের হচ্ছে না। আবার বাজারে জলবদ্ধতা।
রিক্সা চালক মশিউর জানান, মানুষ জরুরী প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছে না। তাই রাস্তায় তেমন মানুষ নেই। গত কয়েকদিন ধরে তেমন ভাড়া পাচ্ছেন না বলে তিনি জানান।
বাগেরহাট কৃষি বিভাগের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মো. আজিজুর রহমান বলেন, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপের প্রভাবে উপকূলীয় বাগেরহাট জেলাজুড়ে রবিবার সকাল থেকে থেমে থেকে বৃষ্টিপাত হচ্ছে।
বৃষ্টি ও জোয়ারের পানি জমে বেশকিছু এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। এতে শীতকালিন কিছু সবজিক্ষেত নিমজ্জিত হয়েছে। তবে এই বৃষ্টিতে উচু ফসলি জমির ফসল ও রোপা আমন ধানের উপকার হচ্ছে। এই বৃষ্টি দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের ব্যপক উপকার হবে।
বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আজিজুর রহমান বলেন, বঙ্গোপসাগরে লঘু চাপের প্রভাবে জোয়ার ও অব্যাহত বৃষ্টিতে বাগেরহাট সদর, মোরেলগঞ্জ, রামপাল ও মোংলা উপজেলার নদীতীরবর্তি নিচু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। জলবদ্ধতার খোজখবর রাখার জন্য সকল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের দির্দেশ দেয়া হয়েছে।
এএজেড