জোড়া খুনের মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি গ্রেপ্তার
কুষ্টিয়ায় ইভটিজিং প্রতিবাদ করায় দুই জনকে হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত রনি শেখ নামের পলাতক ১ আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। সোমবার (১২ সেপ্টেম্বর) বেলা ১২টায় এক সাংবাদিক সম্মেলনে র্যাব-১২, সিপিসি-১ কুষ্টিয়া ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার স্কোয়াড্রন লিডার মোহাম্মদ ইলিয়াস খান এসব তথ্য জানান।
র্যাব-১২ কোম্পানি কমান্ডার আরও জানান, কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলায় ৭ম শ্রেণিতে পড়ুয়া নাতনীকে ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় ২০১৬ সালের ২৫ এপ্রিল উপজেলার গোলাপনগর এলাকায় ছুরিকাঘাত করে কুষ্টিয়া জেলার ভেড়ামারা উপজেলার গোলাপনগর ইউনিয়নের ফকিরাবাদ গ্রামের মুজিবর রহমান মাস্টার ও তার ভাই মিজানুর রহমানকে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় জাহারুল ইসলাম বাদী হয়ে ঘটনার পর দিন ২৬ এপ্রিল ২০১৬ তারিখ ভেড়ামারা থানায় মামলা দায়ের করেন।
মামলার বিচার শেষে ২০১৯ সালের ১ ডিসেম্বর কুষ্টিয়ার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালের বিচারক ৪ জন আসামিকে মৃত্যুদণ্ড ও প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেন জরিমানা করা হয়। একই সাথে ৭ জন আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় অনাদায়ে তাদের আরও ১ বছর বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং ১ জন আসামিকে ১০ বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন আদালত। রায় ঘোষণার আগে থেকেই মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত আসামি নয়ন শেখ পলাতক ছিলো।
র্যাব-১২ সিপিসি-১ কুষ্টিয়া ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার স্কোয়াড্রন লিডার মোহাম্মদ ইলিয়াস খান সাংবাদিক সম্মেলনে আরও জানান, গ্রেপ্তার নয়ন শেখ একটি অস্ত্র মামলা, একটি ছিনতাই মামলা ও একটি ডাকাতি মামলায় তার সংশ্লিষ্টতার কথাও র্যাবকে জানিয়েছে। মো. নয়ন শেখ এলাকায় নয়ন বন্ড, নয়ন ডাকাত ইত্যাদি নামে পরিচিত ছিলো।
হত্যাকাণ্ডের পর সে প্রথমে ঢাকায় পালিয়ে যায়। পরে আদালতে আত্মসমর্পণ করে এ মামলায় দেড় বছর কারাগারে ছিলো। জেল থেকে জামিনে মুক্তি পেলেও পরবর্তীতে জামিন বাতিল হওয়ায় সে ভারতে পালিয়ে যায়। সেখানে সে এক কৃষকের বাড়িতে মহিষের রাখাল হিসেবে কাজ করতো। ভারতে থাকা অবস্থায় সে কুষ্টিয়া ও রাজশাহীর বালুর ইজারাদারদের নিকট হতে বিকাশের মাধ্যমে নিয়মিত চাঁদা আদায় করতো।
এছাড়া তার বিরুদ্ধে নিজস্ব ট্রলার যোগে মাদক ব্যবসা, মারামারি ইত্যাদি কাজে লিপ্ত থাকার অভিযোগ রয়েছে। ভেড়ামারার ডাবল হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে প্রত্যক্ষভাবে অংশগ্রহণ করাসহ সমন্বয় এবং পরিকল্পনার সাথে যুক্ত ছিলো। তার নামে কুষ্টিয়া জেলার ভেড়ামারা ও দৌলতপুর থানায় ১টি অস্ত্র মামলা, ১টি ডাকাতি, ২টি মারামারি ও ১টি ছিনতাই মামলাসহ মোট ৫টি মামলা রয়েছে।
এএজেড