শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ৯ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

উদ্বোধনের অপেক্ষায় যমুনা রেল সেতু

বঙ্গবন্ধু সেতুতে চলবে না ট্রেন, বছরে আয় কমবে কোটি টাকা

যমুনা নদীর উপর নির্মিত বঙ্গবন্ধু সেতু (বামে) এবং উদ্বোধনের অপেক্ষায় থাকা যমুনা রেল সেতু। ফাইল ছবি, সংগৃহীত।

উত্তর-দক্ষিণ ও পশ্চিমাঞ্চলের প্রায় ২৩ টি জেলার সঙ্গে রাজধানীর ঢাকা ও বৃহত্তর ময়মনসিংহের সঙ্গে রেল ও সড়ক যোগাযোগের একমাত্র সংযোগস্থল টাঙ্গাইলের যমুনা নদীর উপর নির্মিত বঙ্গবন্ধু সেতু। এ সেতুটি ১৯৯৮ সালের ২৩ জুন উদ্বোধন করা হয়। বর্তমানে সেতুটির উপর দিয়ে প্রতিদিন ১৫ থেকে ১৮ হাজার যানবাহন এবং ৩০-৩৮ টি ট্রেন পারাপার হচ্ছে। এটির পূর্ব প্রান্ত টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর ও পশ্চিম প্রান্ত সিরাজগঞ্জের সংযোগস্থল।

২০০৮ সালে বঙ্গবন্ধু সেতুটিতে ফাটল দেখা দিলে ট্রেনের গতি কমিয়ে দেওয়া হয়। বর্তমানে প্রতিদিন প্রায় ৩০ থেকে ৩৮টি ট্রেন ঘণ্টায় ২০ কিলোমিটার গতিতে সেতু পারাপার হচ্ছে বলে জানা যায়। ফলে ট্রেন যাত্রীদের দুর্ভোগে পড়তে হয়। এই সমস্যার সমাধানে বিগত সরকার যমুনা নদীর ওপর আলাদা একটি রেল সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেন।

এরপর ২০২০ সালের ২৯ নভেম্বর সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভার্চুয়ালি এই রেল সেতুর নির্মাণ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। ২০২১ সালের মার্চে পিলার নির্মাণের জন্য পাইলিং কাজ শুরু হয়। সেতুর ৩০০ মিটার অদূরে নির্মাণ করা হয়েছে দেশের এই দীর্ঘতম ৪.৮০ কিলোমিটার ‘যমুনা রেল সেতু’। যা এখন উদ্বোধনের অপেক্ষায়।

বঙ্গবন্ধু সেতু সাইট অফিস সূত্রে জানা যায়, যমুনা নদীর উপর নির্মিত নতুন এই যমুনা রেল সেতু উদ্বোধনের পর বঙ্গবন্ধু সেতুতে রেল সংযোগ থাকলেও চলবে না কোনো ট্রেন। এতে করে বঙ্গবন্ধু সেতু কর্তৃপক্ষের বছরে কোটি টাকা আয় কমবে। তবে সেতুতে স্থাপিত রেললাইন অপসারণ করে যান চলাচলের রাস্তা প্রশস্ত করা হবে।

বঙ্গবন্ধু সেতু সাইট অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসানুল কবীর পাভেল বলেন, সেতুর ৩০০ মিটার উজানে নতুন রেল সেতু নির্মাণ করা হয়েছে। যা উদ্বোধনের অপেক্ষায়। এই রেল সেতুটি চালু হলে বঙ্গবন্ধু সেতু দিয়ে ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকবে। ফলে বছরে সেতু কর্তৃপক্ষ কোটি টাকা আয় কমবে। তবে, ট্রেন চলাচল বন্ধ হলে সেতুর উপর চাপ কম থাকবে।

তিনি আরও বলেন, বর্তমানে সেতুটির ঢাকা ও উত্তরবঙ্গ লেনের প্রস্থ রয়েছে ৬ মিটার, যেখানে সেতুর প্রস্থ কমপক্ষে ৭.০৩ মিটার থাকা প্রয়োজন। রেল লাইন অপসারণ করা হলে এটি ৮.০৫ মিটার হবে। যান চলাচলে রাস্তা প্রশস্ত (লেন) হবে মর্মে সেতু থেকে রেল লাইন অপসারণের জন্য ২০২৩ সালে সেতু মন্ত্রণালয়ে একটি প্রস্তাবনা দেওয়া হয়েছে।

অপরদিকে, নবনির্মিত যমুনা রেল সেতু দিয়ে সম্প্রতি ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটার গতিতে একসঙ্গে একজোড়া লোকোমোটিভ ট্রেন পৃথক লাইনে সফলভাবে পরীক্ষামূলক চালানো হয়েছে। চলতি জানুয়ারি শেষের দিকে বা ফেব্রুয়ারিতে সেতুটি আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের কথা রয়েছে বলে যমুনা রেল সেতু প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।

প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের ডিসেম্বরে প্রকল্পের নকশা প্রণয়নসহ সেতুর নির্মাণ ব্যয় প্রথমে ৯ হাজার ৭৩৪ কোটি ৭ লাখ টাকা ধরা হয়েছিল। তবে পরবর্তীতে এর মেয়াদ ২ বছর বাড়ানোর ফলে প্রকল্পের ব্যয় বেড়ে ১৬ হাজার ৭৮০ কোটি ৯৬ লাখ টাকা দাঁড়ায়। এরমধ্যে ২৭ দশমিক ৬০ শতাংশ দেশীয় অর্থায়ন এবং ৭২ দশমিক ৪০ শতাংশ জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা) ঋণ দিয়েছেন বলে জানায় যমুনা রেল সেতু প্রকল্প।

Header Ad
Header Ad

ফাগুনের দুপুরে রাজধানীতে স্বস্তির বৃষ্টি

রাজধানীতে স্বস্তির বৃষ্টি। ছবি: সংগৃহীত

রাজধানী ঢাকার আকাশ আজ সকালে কিছুটা মেঘলা ছিল। শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে, ফাগুনের মাঝেই স্বস্তির বৃষ্টি নেমে ভিজিয়ে দিয়েছে শহরটিকে। এখনও আকাশ মেঘলা। কিছু জায়গায় গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি পড়ছে।

এদিকে বৃষ্টির কারণে সড়কে চলতে থাকা অনেকেই সমস্যায় পড়েন। বিশেষ করে, অপ্রস্তুত অবস্থায় যাত্রীদের অনেককে ফুটওভার ব্রিজের নিচে আশ্রয় নিতে দেখা যায়, যাতে বৃষ্টির পরিমাণ কমে যাওয়ার অপেক্ষা করা যায়। অন্যদিকে, বৃষ্টিতে ভিজে অনেকেই নিজেদের গন্তব্যে পৌঁছানোর জন্য বাসে উঠতে বাধ্য হন।

এদিনের আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছিল, পশ্চিমবঙ্গ ও তার পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে পশ্চিমা লঘুচাপের প্রভাব রয়েছে। এছাড়া, মৌসুমী লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। এই অবস্থার প্রভাবে, ঢাকাসহ রাজশাহী, ময়মনসিংহ, খুলনা ও অন্যান্য বিভাগে বৃষ্টি হতে পারে। এদিকে, আগামীকাল রবিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি), দেশের বিভিন্ন জায়গায় বিশেষত রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা, ময়মনসিংহ, বরিশাল, চট্টগ্রাম এবং সিলেট বিভাগের কিছু অংশে বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।

আবহাওয়া দপ্তর আরও জানিয়েছে, রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে, তবে দিনের তাপমাত্রা ১-৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস হ্রাস পেতে পারে। এছাড়া, রাত থেকে ভোর পর্যন্ত কিছু কিছু এলাকায় কুয়াশা পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে, যা দিনের শুরুতে পরিবহণে সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।

আগামী সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি), আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে, তবে আকাশে আংশিক মেঘলা ভাব থাকতে পারে। সেই সাথে, শেষ রাত থেকে ভোর পর্যন্ত কোথাও কোথাও হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। রাতের তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে।

অবশ্য, আগামী ৫ দিনের মধ্যে বড় ধরনের আবহাওয়ার পরিবর্তন হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই, বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

Header Ad
Header Ad

‘আমাদের অনেক বয়স হয়েছে, নবীন-তরুণরা দেশকে নতুন করে চিন্তা করছেন’

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ছবি: সংগৃহীত

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আমাদের অনেক বয়স হয়েছে, নবীন-তরুণরা আছেন, যারা দেশকে নতুন করে চিন্তা করছেন। তবে এ ক্ষেত্রে আমরা যেন আগের (বৃদ্ধদের) অবদানের কথা ভুলে না যাই। কারণ এদের কাজের ওপরই কিন্তু আমরা সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। আজ আমরা আশাবাদী, ফ্যাসিবাদের পরিবর্তন হয়েছে। আন্দোলনের মধ্যদিয়ে পালিয়ে গেছে।

ঐক্য নিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমরা আশার আলো দেখতে পাচ্ছি। বাংলাদেশকে আমরা নতুন করে গড়ে তুলবো। সবাই এই কথাটা বলছে। সবার এ কথাটায় আরও বেশি আন্তরিক হওয়া প্রয়োজন। সত্যিকার অর্থেই আমরা যেন ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য বাসযোগ্য দেশ তৈরি করতে পারি। তখনই তার প্রতি সম্মান দেখানো সফল হবে।

শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সাংবাদিক মাহফুজ উল্লাহর (মরণোত্তর) একুশে পদকপ্রাপ্তি উপলক্ষ্যে জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত আলোচনা সভায় এ কথা বলেন তিনি।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, মাহফুজ উল্লাহর কিছুই ছিল না। তার চিকিৎসার জন্য তার পরিবারকে বন্ধুদের কাছে হাত পাততে হয়েছে। অথচ এখন, নিজেদের আখের গোছানোর জন্য দালালি করেন সাংবাদিকরা। অনেক সাংবাদিক, সবার কথা বলি না। কথাটা ভালো না হলেও বলতে হলো। বাড়িঘর, প্লট সব জোগাড় করে।

স্মৃতিচারণ করে বলেন, ২০১৪ এর নির্বাচনের পরে, ২০১৮ নির্বাচনের আগের সময়টায় সে অনেক কাজ করেছে। তখন সব দলকে ঐক্যবদ্ধ করার জন্য মাহফুজ উল্লাহ, মাহবুব উল্লাহ ও জাফরউল্লাহ ভাইয়ের অসাধারণ প্রচেষ্টা ছিল। তারা ছিলেন বলেই ডান, বাম সবাই মিলে একটা জায়গায় আসা সম্ভব হয়েছিল। একেবারেই গণতন্ত্রে বিশ্বাসী একজন মানুষ ছিলেন, গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করেছেন।

ফখরুল বলেন, জীবনে আমরা বেশিরভাগই বিপ্লবী রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলাম, আমরা সেদিন শ্রেণি শত্রু খতম করার স্লোগানও দিয়েছি। সেই ব্যাপারটা যে সঠিক ছিল, এরপরে রাজনৈতিক চিন্তাভাবনার যে পরিবর্তন এসেছে, সবাইকে নিয়ে একসঙ্গে কাজ শুরু করেছিলাম।

একই অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, মাহফুজ উল্লাহ বাংলাদেশের সাংবাদিকতা অনন্য। মাহফুজ উল্লাহ ভাই যে শ্রম দিয়েছেন, যেই সময়ে খালেদা জিয়ার বক্তব্য ছাপার কারণে বিএনপির অ্যাক্টিভিস্টদের অ্যারেস্ট করা হয়েছে। উনি খালেদা জিয়ার জীবনের সেই সময়ে লিখেছেন। খালেদা জিয়া আরও শক্তিশালী হয়ে ফিরে আসবেন বলে মন্তব্য করেছিলেন। তার সেই দূরদর্শিতা ছিল। তবে তিনি সেটা দেখে যেতে পারেননি।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে আমরা ফলস হিরোদের ওয়ার্কশপ করি, ফলস হিরো খুঁজি। প্রকৃতপক্ষে মাহফুজ উল্লাহ ভাইরা হিরো। ওনাদের লেখা আমাদের সারাজীবন পথনির্দেশনা দেবে।

আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ইকবাল হাসান মাহমুদ, প্রয়াত মাহফুজ উল্লাহর ভাই মাহবুব উল্লাহ, সাবেক সচিব ইসামাইল জবিউল্লাহ, সাংবাদিক গোলাম মর্তুজা, চিত্রশিল্পী রোকেয়া সুলতানা, দৃক গ্যালারির প্রতিষ্ঠাতা শহিদুল আলমসহ অনেকে।

Header Ad
Header Ad

ভেঙে পড়া রাষ্ট্রকে গঠন বিএনপির পক্ষেই সম্ভব: তারেক রহমান

জেলা বিএনপির সম্মেলনে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে দেন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ছবি: সংগৃহীত

বিএনপি অন্যায়ের সঙ্গে আপস করে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। শনিবার যশোর ঈদগাহ ময়দানে জেলা বিএনপির সম্মেলনে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। 

তারেক রহমান বলেন, এখন অনেকেই সংস্কারের কথা বলছেন। কিন্তু একমাত্র বিএনপি স্বৈরাচারের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে আড়াই বছর আগে দেশ পুনর্গঠনের কথা বলেছে, ৩১ দফা ঘোষণা করেছে। বিএনপির রাজনীতির মূললক্ষ্য জনগণ ও দেশ। তাই ভেঙে পড়া রাষ্ট্রকে গঠন বিএনপির পক্ষেই সম্ভব। জনগণের ভোটে বিএনপি দেশ পরিচালনার সুযোগ পেলে সবার আগে পুনর্গঠন করা হবে।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, জনগণের সমর্থন নেই এমন কোনো কাজ বিএনপি করে না। বিএনপিই একমাত্র দল যেটি নিজ দলের দোষী নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়।

তিনি বলেন, বিভ্রান্ত হয়ে অনৈতিক কাজে জড়িয়ে পড়া নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তাই বিএনপির বিরুদ্ধে কারো অপপ্রচারে বিভ্রান্ত হবেন না। বিএনপি অন্যায়ের সঙ্গে আপস করে না।

দ্রুত নির্বাচন দেওয়ার তাগিদ দিয়ে তিনি বলেন, দেশের মানুষের প্রত্যাশা অনুযায়ী দেশ পুনর্গঠনে দ্রুততম সময়ে স্বচ্ছ নির্বাচন দেওয়া জরুরি।

জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক নার্গিস বেগমের সভাপতিত্বে সম্মেলনে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএনপির খুলনা বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, সহসাংগঠনিক সম্পাদক জয়ন্ত কুমার কুণ্ডু, সহ-ধর্মবিষয়ক সম্পাদক অমলেন্দু দাস অপু। সম্মেলনের কেন্দ্র, জেলা , উপজেলা ও পৌর ইউনিটের নেতারা বক্তব্য রাখেন।

দীর্ঘ ১৬ বছর পর শনিবার যশোর জেলা বিএনপির দ্বিবার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। বেলা সাড়ে ১০টার দিকে স্থানীয় কেন্দ্রীয় ঈদগা ময়দানে জাতীয় সংগীতের মধ্য দিয়ে জাতীয় পতাকা উত্তোলন শেষে বেলুন উড়িয়ে সম্মেলনের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়।

প্রধান অতিথির বক্তব্যের পর কাউন্সিলরদের গোপন ভোটে জেলা বিএনপির শীর্ষ নেতারা নির্বাচিত হবেন।

সম্মেলনের শুরুতে বিভিন্ন সময় আন্দোলন-সংগ্রামে নিহত দলের নেতাকর্মীদের স্মরণে মঞ্চে শোক প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়। সাম্প্রতিক সময়ে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শহিদ ছাত্র-জনতা, বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের প্রয়াত সদস্যদের আত্মার মাগফিরাত কামনায় দোয়া করা হয়। পরে সাংগঠনিক প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু।

এদিকে এ সম্মেলন ঘিরে স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মীরা বেশ উচ্ছ্বসিত। শহরজুড়ে সাজসজ্জার বাহার—প্রধান সড়কগুলোতে ব্যানার-ফেস্টুনের ছড়াছড়ি, জাতীয় নেতাদের নামে নির্মিত তোরণ বাড়িয়েছে উৎসবের আমেজ। এর আগে সম্মেলন উপলক্ষে সকাল ৯টা থেকেই ডেলিগেট, কাউন্সিলর ও আমন্ত্রিত অতিথিরা আসতে থাকেন। সকাল ১০টার মধ্যে সম্মেলনস্থল কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায়। জেলা উপজেলা ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতাকর্মীরা মিছিলসহকারে উপস্থিত হন।

উপস্থিত নেতাকর্মীরা জানান, দলের দুর্দিনে যারা ত্যাগ স্বীকার করেছেন, নির্যাতন নিপীড়নের শিকার হয়েছেন তারা যেন সঠিক মূল্যায়ন পান। দলকে সুসংগঠিত করে আগামী সংসদ নির্বাচনে বিএনপি বিজয়ী করতে ভূমিকা রাখবে এমন নেতৃত্ব চান নেতাকর্মীরা।

দলীয় সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সর্বশেষ যশোর জেলা বিএনপির সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় ২০০৯ সালে। সম্মেলনের মাধ্যমে কমিটি গঠনের ১০ বছর পর ২০১৯ সালের ২০ এপ্রিল যশোর জেলা বিএনপির কমিটি ভেঙে আহ্বায়ক কমিটি করা হয়। এ সময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী প্রয়াত তরিকুল ইসলামের সহধর্মিণী অধ্যাপক নার্গিস বেগম আহ্বায়ক এবং সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু সদস্যসচিব হন। ওই কমিটিকে তিন মাসের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ কমিটি করতে বলা হলেও পেরিয়ে যায় ৬ বছর।

শীর্ষ নেতারা বলছেন, এর মধ্যে বিভিন্ন সময়ে ভোটের মাধ্যমে কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হয়। কিন্তু ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকার একদলীয় শাসনব্যবস্থা চালু করার কারণে আন্দোলন ও কমিটি গঠন ঝিমিয়ে পড়ে। গত বছরের ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের পর নেতাকর্মীরা উজ্জীবিত হয়ে দলীয় বিভিন্ন প্রোগ্রামে অংশ নিতে থাকেন। সেই থেকে প্রায় প্রতিদিন ছোট-বড় বিভিন্ন কর্মসূচি চলমান রয়েছে দলটির। সম্মেলন সফল ও সার্থক করতে কয়েকদিন ধরেই দিনরাত কাজ করেছেন বিএনপি ও তার অঙ্গ সংগঠনের অসংখ্য নেতাকর্মী।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

ফাগুনের দুপুরে রাজধানীতে স্বস্তির বৃষ্টি
‘আমাদের অনেক বয়স হয়েছে, নবীন-তরুণরা দেশকে নতুন করে চিন্তা করছেন’
ভেঙে পড়া রাষ্ট্রকে গঠন বিএনপির পক্ষেই সম্ভব: তারেক রহমান
চলন্তবাসে বাসে ডাকাতি ও শ্লীলতাহানি, টাঙ্গাইলে গ্রেফতার ৩
আমরা কারো দাবার গুটি হবো না: জামায়াত আমির
গরমে স্যুট পরে এসির তাপমাত্রা কমানো বন্ধ করুন: জ্বালানি উপদেষ্টা
সেনাবাহিনীতে চাকরির সুযোগ, আবেদন শুরু ২৮ ফেব্রুয়ারি
নতুন দলের শীর্ষ ছয়টি পদ নিয়ে ‘সমঝোতা’
মিঠাপুকুরে তোপের মুখে পালিয়ে গেলেন সাব রেজিস্ট্রার
আমার মা চাইতেন না আমি বিয়ে করে সংসারী হই : পপি  
ঝিনাইদহে ৩ জনকে হত্যা, দায় স্বীকার করলো চরমপন্থী সংগঠন  
দুদকে এখনো বহাল ফ্যাসিস্ট সরকারের প্রেষণে আসা অর্ধশত কর্মকর্তা  
খিলগাঁওয়ের আগুনে পুড়ে ছাই ২০টি দোকান ও দুটি স’মিল
পদ্মাপাড়ে মুখে স্কচটেপ প্যাঁচানো ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার  
সার্ক পুনরুজ্জীবনের প্রশ্নে বাংলাদেশকে যে বার্তা দিলো ভারত
জামায়াতের আমিরকে যানজট মুক্ত করতে গিয়ে প্রাণ দিলেন কর্মী
সুনামগঞ্জের মধ্যনগরে অনির্দিষ্টকালের জন্য ১৪৪ ধারা  
একুশে টিভিকে হুমকি, জামাত নেতার বিরুদ্ধে থানায় জিডি
আফ্রিকার রানের চাপে বড় ব্যবধানে হারলো আফগানিস্তান
আগামীকাল দুই বিভাগে বৃষ্টি হতে পারে