শনিবার, ১১ জানুয়ারি ২০২৫ | ২৭ পৌষ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

মেঘনায় বাল্কহেড-স্পিডবোট সংঘর্ষে প্রাণ গেল ২ জনের, নিখোঁজ একাধিক

প্রতীকী ছবি

মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ায় মেঘনা নদীতে বাল্কহেডের সঙ্গে স্পিডবোটের সংঘর্ষে দুইজন নিহত ও একাধিক ব্যক্তি নিখোঁজ হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ১০টার দিকে গজারিয়ার গুয়াগাছিয়া ইউনিয়নের কালীপুরা সংলগ্ন মেঘনা নদীতে এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতদের নাম জানা গেছে অদুদ বেপারী (৩৫) এবং নাঈম (৩০)। তাদের উভয়েরই বাড়ি গজারিয়ার গুয়াগাছিয়ায়। গজারিয়া নৌপুলিশ ফাঁড়ির সহকারী উপপরিদর্শক মো. আলামিন দুর্ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, রাতের অন্ধকারে নোঙর করা একটি বাল্কহেডের সঙ্গে দ্রুতগতির স্পিডবোটের সংঘর্ষ হয়। এতে দুইজন নিহত হন, তবে কতজন আহত হয়েছেন তা এখনো জানা যায়নি। তিনি আরো জানান, স্পিডবোটে ১০-১২ জন লোক ছিল বলে শোনা গেছে।

গজারিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক সায়মা আক্তার জানিয়েছেন, হাসপাতালে তিনজনকে আনা হয়েছিল, তাদের মধ্যে দুজনকে মৃত অবস্থায় আনা হয় এবং অপরজন গুরুতর আহত। আহত ব্যক্তি বর্তমানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

গজারিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার আলম আজাদ জানান, নিহতদের মরদেহ গজারিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, ঘন কুয়াশার কারণে নৌযানের একটি অন্যটিকে দেখতে পায়নি, যা এই দুর্ঘটনার কারণ হতে পারে। তবে দুর্ঘটনার সঠিক কারণ নির্ধারণ করতে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।

Header Ad
Header Ad

সুশাসন প্রতিষ্ঠার কারণে দেশ থেকে টাকা পাচার বন্ধ হয়েছে: গভর্নর

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মুনসুর। ছবি: সংগৃহীত

‘সুশাসন প্রতিষ্ঠা হওয়ায় দেশ থেকে টাকা পাচার বন্ধ হয়েছে’ বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মুনসুর। শনিবার (১১ জানুয়ারি) রাজধানীর একটি হোটেল ‘ব্র্যান্ডিং বাংলাদেশ’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে এ মন্তব্য করেন তিনি।

গভর্নর বলেন, সুশাসন প্রতিষ্ঠা হওয়ায় দেশ থেকে টাকা পাচার বন্ধ হয়েছে। রিজার্ভ চুরির ৮০ শতাংশ অর্থ ইতোমধ্যে ফেরানো হয়েছে। বাকি অর্থ আদায়ে মামলা চলছে। আশা করি, মামলায় জিতবে বাংলাদেশ।

তিনি বলেন, চট্টগ্রামের একটি প্রতিষ্ঠানই ২০ বিলিয়ন ডলার বিদেশে পাচার করেছে। সব অর্থ উদ্ধারে কাজ চলছে। বিদেশিরাও সহযোগিতা করছে। পাচার হওয়া অর্থ ফেরাতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশনসহ (এফবিআই) অন্যান্য সংস্থার সঙ্গে আলাপ-আলোচনা হচ্ছে। বিদেশি আইনজীবী নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে।

ড. আহসান এইচ মুনসুর বলেন, রাজনৈতিক অস্থিরতা সত্ত্বেও রেমিট্যান্স প্রবাহ স্মরণকালের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে। ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স আনতে আড়াই শতাংশ প্রণোদনা দেওয়ায় বছরে ৭ হাজার কোটি টাকা ব্যয় হচ্ছে সরকারের।

প্রবাসীদের সরাসরি ব্যাংকিং চ্যানেলে টাকা পাঠানোর অনুরোধ জানিয়ে তিনি এরপর বলেন, সৌদি আরবকে টপকে রেমিট্যান্স পাঠানোয় শীর্ষে উঠেছে দুবাই। এটা ভালো লক্ষণ নয়। কারণ, সৌদি আরব থেকে অর্থ প্রথমে দুবাই আসছে। সেখান থেকে বাংলাদেশে আসছে। দুবাইয়ের কিছু প্রতিষ্ঠান এই সুযোগে মুদ্রা বিনিময় হার ম্যানুপুলেট করার চেষ্টা করছে।

Header Ad
Header Ad

আ.লীগ নির্বাচন করতে পারবে কি না, তা সময় বলে দেবে: সিইসি

বক্তব্য রাখছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দীন। ছবি: সংগৃহীত

ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে যাওয়ার পর থেকেই আওয়ামী লীগ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে কি না এমন প্রশ্ন জনমনে দানা বেধেছে। বিভিন্ন মহল থেকে নানাবিধ উত্তর আসলেও এবার প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দীন এ বিষয়ে মুখ খুলেছেন। তিনি বলেছেন, আওয়ামী লীগ আগামী নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে কি না, তা সময় বলে দেবে। সময় আসলে দেখা যাবে কোন কোন দলের নিবন্ধন থাকে।

শনিবার (১১ জানুয়ারি) সকাল ১০টায় সিলেট সার্কিট হাউসের সম্মেলনকক্ষে ভোটার হালনাগাদ ও ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে সিলেট জেলার সব নির্বাচন কর্মকর্তার সঙ্গে মতবিনিময় সভা শুরুর আগে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, সংস্কার কমিশন প্রতিবেদন দেওয়ার পর রাজনৈতিক দলগুলোর নিবন্ধন নিয়ে নতুন পরিকল্পনা করবে ইসি। সেই সঙ্গে ভোটার আইডি কার্ড সংশোধনে আর্থিক দুর্নীতির সঙ্গে বিগত দিনে যারা জড়িত ছিল, তাদেরকে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, স্থানীয় সরকার নির্বাচন নিয়ে কোনো মন্তব্য করব না। অনেকে একদিনে নির্বাচন দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। তবে একদিনে সব নির্বাচন করা কোনোভাবেই সম্ভব না।

সিইসি বলেন, প্রধান উপদেষ্টা জাতীয় নির্বাচন নিয়ে যে রোডম্যাপের কথা বলেছেন সেই অনুসারে কাজ করছে নির্বাচন কমিশন। আগামী জাতীয় নির্বাচন ইভিএমের মাধ্যমে হবে না। প্রধান উপদেষ্টার দেওয়া সময় অনুযায়ী নির্বাচন করার জন্য কাজ করছি সিইসি, যা সুনির্দিষ্ট নীতিমালার মধ্য দিয়ে হবে।

প্রবাসী ভোটার অন্তর্ভুক্তির বিষয়ে তিনি বলেন, প্রথম বছরেই সবাইকে অন্তর্ভুক্তি করা সম্ভব হবে না। তবে প্রক্রিয়া যেহেতু শুরু হয়েছে সব প্রবাসীকেই পর্যায়ক্রমে ভোটার তালিকায় আনা হবে।

Header Ad
Header Ad

যশোরে তীব্র শীতে ফুটপাতের দোকানে ভিড়, বিপাকে নিম্ন আয়ের মানুষ

যশোরে তীব্র শীতে ফুটপাতের দোকানে ভিড় বাড়ছে। ছবি: সংগৃহীত

যশোরের সীমান্তাঞ্চলের মানুষের শৈত্যপ্রবাহের তীব্রতায় কঠিন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। বিশেষ করে স্বল্প আয়ের মানুষদের জন্য শীতের প্রকোপ সহ্য করা দুষ্কর হয়ে উঠেছে। শীতের এই সময়টাতে মানুষের বেশিরভাগই বাঁচার জন্য প্রয়োজনীয় গরম কাপড় কিনতে আশ্রয় নিচ্ছেন ফুটপাতের কম দামের দোকানগুলোর দিকে।

যশোরের শার্শা উপজেলার ছোট-বড় শপিংমল ও ফুটপাতে গরম কাপড়ের চাহিদা বেড়ে গেছে। বিশেষ করে শিশু ও বয়স্কদের জন্য শীতবস্ত্র কিনতে ভিড় করছে ক্রেতারা। তবে শপিংমলগুলোর দাম বেশি হওয়ায় নিম্ন ও মধ্যম আয়ের মানুষ বেশি জড়ো হচ্ছে ফুটপাতের দোকানে।

বেনাপোল, নাভারন, শার্শা, বাগআচড়া বাজারে ফুটপাতের দোকানগুলোতে গরম কাপড়ের কেনাবেচা জমে উঠেছে। তবে, কাপড়ের দাম কিছুটা চড়া হওয়ায় অনেক দরিদ্র মানুষ শীতবস্ত্র কিনতে হিমশিম খাচ্ছেন। এ বছর ক্রেতাদের আগমন আগেই বেড়ে গেছে, এবং বিক্রেতারা এতে সন্তুষ্ট।

নাভারন সাতক্ষীরা মহাসড়কের ধারে বাগআচড়া ফুটপাতে গরম কাপড় বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা। বাগআচড়া বাজারের ফুটপাতের দোকানি আরাফাত আলি জানান, এখানে মূলত দরিদ্র ও স্বল্প আয়ের মানুষই আসেন, তবে কিছু মধ্যবিত্ত মানুষও তাদের কাছে আসছেন।

এছাড়া, ফুটপাতের দোকানে বিক্রি হওয়া পুরাতন কাপড়ের মধ্যে জ্যাকেট, সোয়েটার, চাদর, কোর্ট, মাফলার, হাত মোজা ও পা মোজা বেশি বিক্রি হচ্ছে। নাভারন বড় মসজিদের সামনে ফুটপাতের দোকানি সায়েদ আলি বলেন, কৃষক, দিনমজুর, কৃষি শ্রমিক, নির্মাণ শ্রমিক, রিকশা-ভ্যান চালকরা বেশি আসছেন। তবে মধ্যম ও নিম্ন-মধ্যম আয়ের মানুষও এই দোকানগুলোতে ভিড় করছেন।

বেনাপোলের লালমিয়া সুপার মার্কেটের ‘আর ফ্যাশন কর্নারের’ মালিক তোফাজ্জেল হোসেন বলেন, শীতের তীব্রতা বাড়ানোর সাথে সাথে তার দোকানে গরম কাপড়ের বিক্রি ভালোই চলছে। ক্রেতাদের সংখ্যা বাড়ছে, তবে দাম বেশি হওয়ায় অনেকেই চলে যাচ্ছেন।

নাভারন বড় মসজিদের সামনের ফুটপাত থেকে একটি পুরাতন জ্যাকেট কিনে ফিরছিলেন বাগআচড়ার আব্দুর রাজ্জাক। তিনি জানান, শীতে কাঁপতে কাঁপতে তিনি জাম্পার কিনতে গিয়েছিলেন, কিন্তু দাম বেশি হওয়ায় তার সামর্থ্য অনুযায়ী সাড়ে ৩০০ টাকা দিয়ে একটি জাম্পার কিনেছেন।

কলেজ শিক্ষক খলিলুর রহমান ছেলের জন্য শীতের কাপড় কিনতে এসেছিলেন নাভারন নিউমার্কেটে। তিনি জানান, এবারের দাম অন্যান্য বারের চেয়ে কিছুটা বেশি, তবে তিনি তার ছেলের জন্য প্রয়োজনীয় শীতবস্ত্র কিনে নিয়েছেন।

এই পরিস্থিতি থেকে স্পষ্ট হয় যে, সীমান্তাঞ্চলের নিম্ন-মধ্যম আয়ের মানুষের জন্য শীতের তীব্রতা মোকাবেলা করা খুবই কঠিন হয়ে পড়েছে। তবুও, ফুটপাতের কম দামের দোকানগুলো তাদের জন্য কিছুটা আরাম দেওয়ার চেষ্টা করছে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

সুশাসন প্রতিষ্ঠার কারণে দেশ থেকে টাকা পাচার বন্ধ হয়েছে: গভর্নর
আ.লীগ নির্বাচন করতে পারবে কি না, তা সময় বলে দেবে: সিইসি
যশোরে তীব্র শীতে ফুটপাতের দোকানে ভিড়, বিপাকে নিম্ন আয়ের মানুষ
আমি মানুষ, দেবতা নই: মোদি
টিউলিপের বিকল্প খুঁজছে যুক্তরাজ্য সরকার!
বুধবার বাইডেনের বিদায়ী ভাষণ
মেঘনায় বাল্কহেড-স্পিডবোট সংঘর্ষে প্রাণ গেল ২ জনের, নিখোঁজ একাধিক
ঘুষের মামলায় দোষী সাব্যস্ত, তবুও নিঃশর্ত খালাস পেলেন ট্রাম্প
১০ জেলায় বইছে শৈত্যপ্রবাহ, তাপমাত্রা নিয়ে নতুন বার্তা
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে হাতাহাতি, আহত ৩
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানালেন তামিম ইকবাল
ঢাকার হারের হেক্সা, প্রথম জয় পেল সিলেট
খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য স্থিতিশীল, চিকিৎসায় নতুন পরিবর্তন
কিশোরগঞ্জে একটি আম বিক্রি হলো ১৬০০ টাকায়
সিঙ্গারা খেয়ে টাকা না দেয়ায় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ, বিএনপি নেতাসহ আহত ১৩
নওগাঁ সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ বন্ধ রাখতে সম্মত বিএসএফ
ইসলাম ‘অবমাননার’ দায়ে শ্রীলঙ্কায় বৌদ্ধ সন্ন্যাসীর জেল
৩০০ আসনেই প্রার্থী দেবে গণঅধিকার পরিষদ: শাকিল উজ্জামান
ডাক বিভাগে ৫২৪ পদে বিশাল নিয়োগ, আবেদন ফি ৫৬ টাকা
‘সাহস নিয়ে কাস্তে হাতে বসে ছিলাম, জীবন দিতেও দ্বিধা করতাম না‌’