বেতন বৃদ্ধিসহ নানা দাবিতে আবারও উত্তাল আশুলিয়া, বন্ধ ৫১ কারখানা
বেতন বৃদ্ধিসহ নানা দাবিতে আবারও উত্তাল আশুলিয়া, বন্ধ ৫১ কারখানা। ছবি: সংগৃহীত
পোশাক শ্রমিকদের অসন্তোষ যেন কিছুতেই নিরসন করা যাচ্ছে না। থামছে না বিক্ষোভ, অবরোধ ও কর্মবিরতি। এরই মধ্যে ঢাকার আশুলিয়ায় বেতন বৃদ্ধিসহ নানা দাবিতে সড়ক অবরোধ, বিক্ষোভ ও কর্মবিরতি পালন করেছেন পোশাক শ্রমিকরা। এতে আশুলিয়ায় ৫১টি পোশাক কারখানা বন্ধ রয়েছে।
সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে শিল্প পুলিশ-১-এর পুলিশ সুপার সারোয়ার আলম গণমাধ্যমকে কারখানা বন্ধের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ-শ্রমিক ও কারখানা কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, সকাল সাড়ে ৯টার দিকে আশুলিয়া-ডিইপিজেড-নবীনগর মহাসড়কের নরসিংহপুর এলাকায় ‘জেনারেশন নেক্সট’ নামে একটি পোশাক কারখানার সামনে কয়েক শতাধিক শ্রমিক সড়ক অবরোধ করেন। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে পোশাক কারখানা গুলোর সামনে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
এছাড়াও গতকাল রোববার দুপুরের পর বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা হা-মীম, শারমিন, নাসা ও আল মুসলিম ডেকো গ্রুপের পোশাক কারখানাগুলোতে হামলা চালায়। এ সময় তারা কারখানার প্রধান গেট ভেঙে ভিতরে ঢোকার চেষ্টা করেন। ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে অন্যান্য শ্রমিকদেরকে কাজ বন্ধ করে বেরিয়ে আসতে বাধ্য করেন।
এমন পরিস্থিতে রোববার সন্ধ্যায় টঙ্গী আশুলিয়া সড়কের দুপাশের প্রায় ৪৩ পোশাক কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে প্রধান গেটে নোটিশ দেয় কারখানা কর্তৃপক্ষ। সোমবার সকালে ৮ পোশাক কারখানায় শ্রমিকরা কাজে যোগ দিলেও দুপুরের পর কারখানাগুলোতে শ্রমিক বিক্ষোভের কারণে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।
বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা বলেন, ‘আমরা বিভিন্ন দাবিতে কারখানার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কয়েকবার বসেছি। কিন্তু কর্তৃপক্ষ আমাদের দাবিগুলো মেনে নেয়নি। আমাদের পোষাক খাতে শ্রমিকদের ন্যূনতম বেতন ২৫ হাজার টাকা করার জন্য কয়েকবার আন্দোলন করা হয়েছে। তবে কারখানা কর্তৃপক্ষ দাবি মেনে না নিয়ে তালবাহানা করছে।’
এ বিষয়ে শিল্প পুলিশ-১ এর পুলিশ সুপার সারোয়ার আলম গণমাধ্যমকে বলেন, ‘সকালে একটি পোশাক কারখানার শ্রমিকরা সড়ক অবরোধ করেন। পরে তাদেরকে বুঝিয়ে সড়ক থেকে সরিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করা হয়েছে। তবে শিল্পাঞ্চলে ৪৩ পোশাক কারখানা ১৩ (১) ধারায় বন্ধ ঘোষণা করেছে কারখানা কর্তৃপক্ষ। এছাড়াও ৮ পোশাক কারখানায় শ্রমিকদের সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। তবে কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন রয়েছে এবং সেনাবাহিনী টহল অব্যাহত রেখেছে।’