টাঙ্গাইলে এলেঙ্গা রিসোর্টে অভিযান, তিন খদ্দেরসহ ৭ যৌনকর্মী গ্রেফতার

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ
ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কের টাঙ্গাইলের কালিহাতীর বঙ্গবন্ধু সেতু ব্রিজ এলেঙ্গা অভিযান চালিয়ে তিন খদ্দের ও সাত যৌনকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে কালিহাতী থানা পুলিশ। এ ঘটনায় সোমবার (১ জুলাই) সকালে মানবপাচার আইনে মামলা দায়ের করে তাদেরকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
গত রবিবার (৩০ জুন) রাতে ওই রিসোর্ট থেকে তাদের আটক করা হয়। আটককৃতদের মধ্যে ৭ জন নারী এবং ৩ জন পুরুষ। কালিহাতী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সাজ্জাদ হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

গ্রেফতারকৃত হলেন- পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার মুলাডুলি গ্রামের মৃত আ. করিমের ছেলে মো. মোজাম্মেল (৫৮), টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার ব্রাহ্মণশাসন গ্রামের রিয়াজ উদ্দিনের ছেলে আফজাল হোসেন (৩৫), বগুড়া সদর উপজেলার বালিয়াডাঙ্গা গ্রামের রেজাউল করিমের ছেলে কনক ইসলাম (৩০), টাঙ্গাইল শহরের বোয়ালী মধ্যপাড়ার মৃত আবু সাঈদের মেয়ে হাফিজা ওরফে হাবিবা (২৫), একই শহরের অলোয়াভবানী
এলাকার আ. করিমের মেয়ে শিউলী (২৪), একই জেলার গোপালপুর উপজেলার নরিল্যা গ্রামের আ. কাদেরের মেয়ে কুলসুম (১৯), টাঙ্গাইল শহরের বিশ্বাস বেতকা (সৃষ্টি স্কুল রোড) এলাকার মো. সিদ্দিকুর রহমানের মেয়ে সারিয়া রহমান জাকিয়া (২১), শহরের বটতলার মরহুম ফজলুর রহমানের মেয়ে ফারজানা (৩২), একই জেলার মির্জাপুর উপজেলার কুরণী গ্রামের মৃত কদ্দুছ খানের মেয়ে ঈশা ওরফে শাহনাজ (২৭) এবং যশোর জেলার মনিরামপুর উপজেলার বাঙালিপুর গ্রামের আশরাফ গাজীর মেয়ে মুক্তা (৩০)।
উপ-পরিদর্শক (এসআই) সাজ্জাদ হোসেন জানান, গত রবিবার গভীর রাতে অসামাজিক কার্যকলাপের সংবাদ পেয়ে বঙ্গবন্ধু সেতু ব্রিজ।

এলেঙ্গা রিসোর্টে অভিযান চালিয়ে উল্লিখিত ব্যক্তিদের গ্রেফতার করা হয়। এ সময় রিসোর্টের মোসলেম উদ্দিন (৫৫), ফাহাদ (৩৫) ও সিরাজুল (৩৫) সহ আরও ৩-৪জন দৌড়ে পালিয়ে যায়।
এ ঘটনায় কালিহাতী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ কামরুল ফারুক জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এসআই সাজ্জাদ হোসেন অভিযান পরিচালনা করে তিন খদ্দেরসহ সাত যৌনকর্মীকে গ্রেপ্তার করেন।
তিনি আরও জানান, ১৩ জনের নামে মানবপাচার আইনের ১২/১৩ ধারায় মামলা দায়ের হয়েছে। গ্রেফতারকৃতদের সোমবার দুপুরে আদালতে পাঠানো হয়েছে। অন্যদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান চলছে।
