নরসিংদীতে পৃথক বজ্রপাতের ঘটনায় মা-ছেলেসহ ৪ জন নিহত হয়েছেন। শনিবার (১৮ এপ্রিল) সকাল ১০টার দিকে সদর উপজেলার আলোকবালী উত্তরপাড়া এবং শহরতলীর হাজীপুরে এই ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- আলোকবালী উত্তরপাড়ার কামাল মিয়ার স্ত্রী শরিফা বেগম (৫০), তার ছেলে ইকবাল হোসেন (১২) এবং করম আলীর ছেলে কাইয়ুম মিয়া (২২) ও সদর উপজেলার হাজীপুর ইউনিয়নের চকপাড়ায় মোছলেহউদ্দিন (৫০)।
নরসিংদী সদর মডেল থানার ওসি তানভীর আহমেদ জানান, নিহতরা সবাই ধান কাটার জন্য কৃষি জমিতে অবস্থান করছিলেন। এ সময় বিকট শব্দে বজ্রপাত হলে শরিফা বেগম এবং তার ছেলে ইকবাল ঘটনাস্থলেই মারা যান। গুরুতর আহত আবস্থায় হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যান কাইয়ুম নামের অপরজন। কামাল হোসেন নামে আহত আরেকজনকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তাছাড়া হাজীপুরে বজ্রপাতে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে।
টাঙ্গাইলের মধুপুরে পাহাড়ি এলাকায় পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর মাঝে দিনব্যাপি বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা দিয়েছে ঘাটাইল শহীদ সালাহ উদ্দিন সেনানিবাসের সেনাবাহিনী।
বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) দিনব্যাপি সেনাবাহিনীর গ্রীষ্মকালীন প্রশিক্ষণ চলাকালে মেডিকেল ক্যাম্প স্থাপন করে ওই সেবা দেওয়া হয়। ১৯ পদাতিক ডিভিশন ও ঘাটাইল এরিয়ার আয়োজনে ৩০৯ পদাতিক ব্রিগেডের (৫৮ ইবি) ব্যবস্থাপনায় ওই মেডিকেল ক্যাম্পের আয়োজন করা হয়।
জানা যায়, মধুপুর উপজেলার পাহাড়ি এলাকার কুড়াগাছা ইউনিয়নের মমিনপুর গ্রামের একটি কমিউনিটি সেন্টারে মেডিকেল ক্যাম্প স্থপন করে স্থানীয় মমিনপুর, পীরগাছা, ধরাটি, আঙ্গারিয়াসহ আশপাশের কয়েকটি গ্রামের পিছিয়ে পড়া অসহায় দুস্থ আদিবাসী ও মুসলিম নারী-পুরুষদের বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা দেওয়া হয়। বৃষ্টি উপেক্ষা করে স্থানীয় গারো জাতিগোষ্ঠীসহ অন্যান্য জাতি গোষ্ঠীর নারী-পুরুষরা সকাল থেকে চিকিৎসা সেবা নিতে মেডিকেল ক্যাম্পে ভীর জমায়। লাইনে দাঁড়িয়ে সুশৃঙ্খলভাবে চিকিৎসা সেবা পেয়ে স্থানীয়রা বেজায় খুঁশি।
ঘাটাইল শহীদ সালাহ উদ্দিন সেনানিবাসের জিওসি মেজর জেনারেল হুসাইন মুহাম্মদ মাসীহুর রহমান ওই মেডিকেল ক্যাম্পের কার্যক্রম পরিদর্শন করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন- ৩০৯ পদাতিক ব্রিগেড কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আশরাফুল কাদের, এডিএমএস কর্নেল ফজলে ই এলাহী ও ৫৮ ইস্ট বেঙ্গলের অধিনায়ক লে. কর্ণেল আব্দুল্লাহ আল আমিন প্রমুখ।
বর্তমান স্বামী নাসিরের সঙ্গে চমক (বামে), আগের স্বামী খান এইচ কবিরের সঙ্গে চমক (ডানে)। ছবি: সংগৃহীত
বর্তমানে শোবিজের অন্যতম আলোচিত নাম অভিনেত্রী রুকাইয়া জাহান চমক। গত ২১ জুন হঠাৎ করেই সামাজিক যোগযোগমাধ্যমে বিয়ের ছবি প্রকাশ করে সকলকে চমকে দিয়েছিলেন এই অভিনেত্রী। তবে বিয়ের পরেই নতুন করে আলোচনায় আসে তার স্বামী আজমান নাসিরের আগের দুই বিয়ের প্রসঙ্গটি। যা নিয়ে এখনও চলছে নানা আলোচনা-সমালোচনা।
বর্তমান স্বামী নাসিরের সঙ্গে চমক। ছবি: সংগৃহীত
জানা গেছে, ২০০৮ সালের ১০ জুন নাসির প্রথম বিয়ে করেন সামান্তা ইসলামকে। ২০১১ সালে তাদের সংসারে আসে একটি কন্যা সন্তান। এরপর ২০২০ সালে তাদের বিবাহিত জীবনের বিচ্ছেদ ঘটে। ২০১৮ সালে লামিয়া ফারহিনকে বিয়ে করেন নাসির। ২০২০ সালে তাদের সংসারেও একটি কন্যা সন্তান জন্ম নেয়। তারপর ২০২৩ সালে বিচ্ছেদের পথে হাঁটেন নাসির।
বর্তমান স্বামী নাসিরের সঙ্গে চমক। ছবি: সংগৃহীত
এ দুই বিয়ের পর ২০২৪ সালে চমককে তৃতীয় বিয়ে করেন নাসির। একে একে তিন বিয়ে করায় বিচলিত চমক ভক্তরা। এমন পরিস্থিতিতে সমালোচনার তোপে পড়ে আজ (৪ জুলাই) আজমান নাসির তার ফেসবুকে একটি ভিডিও বার্তা পোষ্ট করেছেন। যেখানে তার আগের দুই বিয়ের বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন। ওই পোষ্টে স্ত্রী চমকের কাছে ক্ষমা চেয়ে তাকে ট্যাগ করেছেন নাসির।
এদিকে নাসিরের দুই বিয়ে যখন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে, ঠিক সেই সময় জানা গেল চমকেরও আগে বিয়ে হয়েছিল একটি। জানা গেছে, ২০১৪ সালের নভেম্বরে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন চমক। তার স্বামীর নাম খান এইচ কবির।
আগের স্বামী খান এইচ কবিরের সঙ্গে চমক। ছবি: সংগৃহীত
বিয়ে হওয়ার পর ২০১৫ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি চমকের স্বামী ফেসবুক পেজে ম্যারিড ইউথ চমক স্ট্যাটাস দেন। চমকের বর্তমান স্বামীর বিয়ের খবর প্রকাশ্যে আসতেই সাবেক স্বামীর সঙ্গে চমকের তোলা দুটি সেলফিও ঘুরপাক খাচ্ছে নেট দুনিয়ায়।
চমকের বিয়ের বিষয়টি নিশ্চিত করে প্রতিযোগিতার আয়োজক অন্তর শোবিজ কর্তৃপক্ষ জানান, আমরা জেনেছিলাম চমক বিবাহিত। সেজন্য তাকে যৌথভাবে তৃতীয় করা হয়েছিল। তা না হলে তাকে আমরা দ্বিতীয় করতাম। এর আগে চমক বলেছিল, ছেলেটি নাকি তার প্রেমিক। কিন্তু আমরা অনুসন্ধানে বের করেছিলাম সে-ই চমকের স্বামী। স্বামীর সঙ্গে রাজধানীর উত্তরায় থাকতেন।
এদিকে মিস ওয়ার্ল্ড প্রতিযোগিতায় যৌথভাবে দ্বিতীয় রানারআপ হওয়ার পর থেকে তার স্বামী খান এইচ কবিরের সঙ্গে তার দূরত্ব বাড়ে। এক পর্যায় তাদের বিচ্ছেদ হয়। বর্তমানে কবির দেশের বাহিরে থাকেন।
উল্লেখ্য ২০১৭ সালে ‘মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ ২০১৭’ প্রতিযোগিতায় দ্বিতীয় রানারআপ নির্বাচিত হয়ে শোবিজে পা রাখেন চমক। এমবিবিএস পরীক্ষা শেষ করে নাটক ও সিরিজে অভিনয় শুরু করেন। চমকের উল্লেখযোগ্য কাজের মধ্যে রয়েছে ‘অসমাপ্ত’, ‘ভাইরাল হাজব্যান্ড’, ‘হাউস নং ৯৬’, ‘মহানগর’ ইত্যাদি।
স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে দেশের সব স্থলবন্দরে ডিজিটাল সেবা কার্যক্রম চালু করা হবে বলে জানিয়েছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।
বৃহস্পতিবার সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দরের ডিজিটালাইজেশন প্রকল্পের ই-পোর্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বন্দরের সেবা কার্যক্রম পেপারলেস করার লক্ষ্যে বেনাপোল ও বুড়িমারী স্থলবন্দরের পর তৃতীয় বন্দর হিসেবে ভোমরা স্থলবন্দরে অটোমেশন চালু করা হয়েছে। প্রায় ১২শ’ কোটি টাকা ব্যয়ে ভোমরা স্থলবন্দরের অবকাঠামোগত উন্নয়ন করা হবে। আগামী দিনের প্রাণকেন্দ্র হবে এই বন্দর। ভোমরা স্থলবন্দরের ডিজিটালাইজেশন কার্যক্রম প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে পণ্য সরবরাহ সচল রাখার ক্ষেত্রে ব্যাপক ভূমিকা রাখবে।
ছবি: সংগৃহীত
খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ভোমরা বন্দরে অনেক চ্যালেঞ্জ আছে, সুবিধা-অসুবিধা আছে। নতুন কোনোকিছুতে ধীরে ধীরে আমরা অভ্যস্ত হয়ে যাই। ব্যবসাবান্ধব ও ব্যবসাকে আরও মসৃণ করার জন্য ভোমরা বন্দরে ই-পোর্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম উদ্বোধন করা হলো।
তিনি বলেন, যারা বলছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ বিক্রি করেছে, তারা ভুল বলছেন, মিথ্যা বলছেন। যদি তিনি দেশ বিক্রি করে দিতেন, তাহলে স্থলবন্দর করতেন না। যারা বলছেন, আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক বিশ্বে বন্ধু নাই; তাদের দেখা দরকার, আন্তর্জাতিক ফোরামে আমাদের কী অবস্থা।
বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান জিল্লুর রহমান চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- সংসদ সদস্য ডা. আ ফ ম রুহুল হক, আশরাফুজ্জামান আশু, লায়লা পারভীন সেঁজুতি, সুইসকন্টাক্ট বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর মুজিবুল হাসান, গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর ট্রেড ফ্যাসিলিটেশন (জিএটিএফ) ডিরেক্টর ফিলিপ আইলার, সুইসকন্টাক্টের ডিরেক্টর (গ্লোবাল প্রোগ্রামস) বেনজামিন ল্যাং।