শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪ | ৬ পৌষ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

বেইলি রোডের আগুন

ঈদের বাজার নিয়ে কখনো বাড়ি ফিরবে না মেহেদী

বেইলী রোডের অগ্নিকাণ্ডে নিহত মেহেদী হাসান। ছবি-সংগৃহীত

পরিবারের বড় ছেলের স্বপ্ন ছিল বিদেশে গিয়ে স্বাবলম্বী হয়ে পরিবারের অভাব-অনটন দূর করবেন। পরিবারের সদস্যদের মুখে ফোটাবেন হাসি। তাইতো পাসপোর্ট করার জন্য কাগজপত্রও প্রস্তুত করছিলেন। কিন্তু ভাগ্যে আর সহায় হলো না তার। তার আগেই ভয়াবহ আগুনে স্বপ্ন পুড়ে ছাঁই হয়ে গেল। এতে অনেকটা স্থায়ীভাবেই বন্ধ হয়ে গেল পরিবারের আনন্দ। ঈদেও ব্যতয় ঘটেনি এমন পরিস্থিতির।

বলছি, টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার বানাইল ইউনিয়নের দেওরা গ্রামের বাসিন্দা মেহেদী হাসানের কথা। তিনি কাজ করতেন রাজধানীর বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজ ভবনের দ্বিতীয় তলার একটি ফাস্টফুডের দোকানে।

গত ২৯ ফেব্রুয়ারি ভবনটিতে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে ঘটনায় প্রাণ যায় তার। এরপর থেকে এখনো শোকের মাতম কাটেনি মেহেদী হাসানের পরিবারের। উপার্জনকারী সন্তানকে হারিয়ে দিশেহারা পরিবারের সদস্যরা।

মেহেদী হাসানের মা-বাবা।

পরিবার জানা যায়, মেহেদী হাসান ২০১২ মির্জাপুর কোড়ালিয়া পাড়া উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাস করেন। ২০১৪ সালে দেলদুয়ার উপজেলার লাউহাটি আরফান খান মেমোরিয়ার ডিগ্রি কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন। অভাব অনটনের সংসারের হাল ধরতে ঢাকাতে চাকনি নেন।

মেহেদীর ছোট ভাই ইসরাফিল মিয়া বলেন, আমরা দুই ভাই একই জায়গায় কাজ করতাম। অগ্নিকাণ্ডের আগেই আমি একটি কাজে ভবনের অন্য আরেকটি ফ্লোরে ছিলাম। পরে আমি ভবন থেকে লাফিয়ে প্রাণে বেঁচে যাই। গত বছর আমরা দুই ভাই বাবা মার সাথে ঈদ করেছি। আর কোন দিন ভাইয়ের সাথে ঈদ করা হবে না আমাদের।

তিনি আরও বলেন, দুই ভাই মিলে সংসার হাল ধরতে চেয়েছিলাম আর তা কোন দিন পূরণ হবে না। জানি না এখন এ স্বপ্ন আমি পূরণ করতে পারবো কি না। সরকারের কাছে দাবি জানাই আমাদের সহযোগিতা করা হোক।

মেহেদীর বাবা আয়নাল হক বলেন, অভাব অনটনের সংসার চালাতেই দুই ভাই কাজ করতেন ঢাকাতে। বড় ছেলে মেহেদীর বিদেশ যাওয়ার স্বপ্ন ছিল। পাসপোর্ট করার জন্য কাগজপত্র রেডি করতেছিল। মেহেদী স্বপ্ন দেখতো, বিদেশে গিয়ে স্বাবলম্বী হয়ে পরিবারের অভাব অনটন দূর করবে। সবার মুখে হাসি ফোটাবে।

তিনি বলেন, আমর বয়স হয়ে গেছে, কিছু করতে পারি না। আমি ঋণ করেছি বড় ছেলে ঋণের টাকা প্রতি মাসে দিতো। এ টাকা এখন কে দিবে। গতবছর মেহেদী আমাদের সাথে ঈদ করেছে। আর কোন দিন আমার ছেলে আমাদের সাথে ঈদ করতে পারবে না।

তিনি আরও বলেন, এ সংসার এখন কিভাবে চলবে। কে দেখবে এ সংসার। মাথায় আর কাজ করে না। ঈদ আসলেও আমাদের মাঝে সে আনন্দ নেই। ছেলের মা সব সময় কান্না করে। কান্না করতে করতে ছেলের মাও অসুস্থ হয়ে গেছে। সরকারের কাছে দাবি জানাই আমাদের যেন সহযোগিতা করেন।

মেহেদীর মা কল্পনা বেগম বলেন, মেহেদী বড় ছেলে ছিল। আমাদের সংসারে হাল ধরেছে সে পরিবারের সব খরচ দিতো। এখন এ সংসার কে দেখবে। গতবছর এক সাথে ঈদ করেছি। আমাদের জন্য গতবছর কাপড় ও বাজার করে নিয়ে আসছিল। এবার আর কেউ আসবে না। এ বলে মেহেদীর মা কান্নায় ভেঙে পড়েন। আর মেহেদীর জন্য দোয়া করছেন।

এদিকে, টাঙ্গাইল-৭ (মির্জাপুর) আসনের সংসদ সদস্য খান আহমেদ শুভ মেহেদীর পরিবারকে কিছু নগদ অর্থ সহযোগিতা দিয়েছেন। তার ছোট ভাইকে চাকরি দেওয়ারও আশ্বাস দিয়েছেন বলে জানায় পরিবারটি।

মির্জাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ নুরুল আলম বলেন, মেহেদীর পরিবারকে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষে থেকে ১০ হাজার টাকা দিয়ে সহযোগিতা করা হয়েছে। আমরা আরও সহযোগিতা করার চেষ্টা করব।

Header Ad
Header Ad

৬১ কোটি টাকা লোকসান; আবারও মাড়াই মওসুম শুরু হচ্ছে কেরুর  

ছবি: সংগৃহীত

 

চিনিকল ইউনিটে ৬১ কোটি ৭ লাখ টাকা লোকসানের বোঝা নিয়ে ২০২৪-২৫ আখ মাড়াই মওসুম শুরু করতে যাচ্ছে দেশের সবচেয়ে বড় চিনিকল চুয়াডাঙ্গার দর্শনা কেরু এ্যান্ড কোম্পানী। মাড়াই মওসুম সফল করতে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে চিনিকল কর্তৃপক্ষ।

শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) বিকেলে চিনিকলের কেইন কেরিয়ারে আখ নিক্ষেপের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে এবারের মাড়াই মওসুম উদ্বোধন করবেন বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশনের চেয়ারম্যান লিপিকা ভদ্র।

এ সময় বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প কর্পোরেশনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা, কেরু চিনিকলের সকল পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারী, বাংলাদেশ চিনিকল শ্রমিক ও কর্মচারী ফেডারেশনের নের্তৃবৃন্দসহ আখচাষী ও সূধীজন উপস্থিত থাকবেন। সবকিছু ঠিকঠাক চললে চিনিতে মোটা অংকের লোকসান কমিয়ে আনতে পারবে ঐতিহ্যবাহি প্রতিষ্ঠানটি এমনটিই আশা করছে কর্তৃপক্ষ।

১৯৩৮ সালে প্রতিষ্ঠিত দেশের সবচেয়ে বড় চিনিকল দর্শনা কেরু এ্যান্ড কোম্পানী। চিনি উৎপাদন কারখানা, ডিষ্টিলারী,  জৈব সার কারখানা,বানিজ্যিক-পরীক্ষামুলক খামার ও ওষুধ কারাখানার সমন্বয়ে গঠিত বৃহৎ এ শিল্প কমপ্লেক্সের চিনি কারখানাটি দীর্ঘদিন ধরে অব্যাহতভাবে লোকসান গুনে আসছে। সরকারিভাবে চিনির মুল্য বৃদ্ধির কারণে কিছুটা ঘুরে দাঁড়িয়েছে চিনিকারখানাটি।

প্রায় ২২ কোটি টাকা ব্যয়ে মিলস হাউজে নতুন নতুন যন্ত্রপাতি সংযোজন করে চিনিকলটি আধুনিকায়নের কাজ চলছে। এতে আখ মাড়াই ও চিনি উৎপাদনের সক্ষমতা বাড়বে।  তবে এলাকায় আখ চাষ ক্রমাগত কমতে থাকায় সংকটে পড়েছে দেশের ঐতিহ্যবাহি এই চিনিকলটি।

চলতি মওসুমে প্রায় ৭০ হাজার মেট্রিক টন আখ মাড়াই করে ৪ হাজার ৪’শ ৫২ টন চিনি উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে। ৬৫ দিন চলবে এবারের মাড়াই মওসুম। চিনি আহরনের হার ধরা হয়েে শতকরা ৬ দশমিক ৩৬ ভাগ। প্রতিদিন গড়ে ১১’শ ৫০ টন আখ মাড়াই করবে চিনিকলটি। মিল জোনে এবার দন্ডায়মান আখ রয়েছে ৫ হাজার ১’শ একর জমিতে।

গত ২০২৩-২৪ মওসুমে ৬৫ হাজার টন আখ মাড়াই করে ৪ হাজার টন চিনি উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল । মোট ৫৫ মাড়াই দিবসের লক্ষ্যমাত্রায় চিনি আহরনের গড় হার ধরা হয়েছিল ৬ দশমিক ২ শতাংশ। এর বিপরীতে চিনিকলটি ৫৬ হাজার ৪’শ ১৪ মে.টন আখ মাড়াই করে ২ হাজার ৬’শ ৮ টন চিনি উৎপাদন করতে সক্ষম হয়। চিনি আহরনের হার ছিল ৪ দশমিক ৬২ ভাগ। আখের অভাবে নির্ধারিত দিবসের আগেই মাড়াই মওসুম বন্ধ হয়ে যায়।

চিনিকলের শ্রমিকরা জানান, এ বছর মিলস হাউজের ফিটিংয়ের কাজ ভালো হয়েছে। মিল ভালই চলবে। ফলে বেশি চিনি উৎপাদন সম্ভব হবে।

কেরু এ্যান্ড কোম্পানীর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ রাব্বিক হাসান বলেন, ‘মাড়াই মওসুম শুরু করতে চিনিকলের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে।  এ মওসুমে চিনি কারখানায় লোকসান কমিয়ে আনতে সবাই মিলে কাজ করছে। এ ছাড়াও এ মওসুমে কোদাল দিয়ে আখ কাটার পদ্ধতি চালু করা হবে। এতে কয়েক হাজার টন আখ বেশি পাওয়া যাবে। চিনির উৎপাদনের পরিমানও বাড়বে।’

চাষীদের দাবীর প্রেক্ষিতে এ মওসুমে আখের মুল্য বাড়িয়েছে  সরকার। এবার প্রতিমন (৪০ কেজি) আখের মুল্য ২৫০ টাকা টাকা করা হয়েছে। তবে চিনির মুল্য বাড়লেও আশানুরূপ হারে আখের মূল্য বাড়েনি। আখের মূল্য আরো বাড়ানোর দাবি চাষীদের।

কেরু চিনিকল আখচাষী কল্যান সংস্থার সভাপতি মোঃ শরীফ উদ্দীন বলেন, চিনিকল কর্তৃপক্ষের কাছে আখচাষীদের এবার দাবী, চাষীদের মাঝে আখ বিক্রির পূজির পরিমান বাড়াতে। আখের মুল্য সরাসরি নগদে পরিশোধ করতে। শিওর ক্যাশ বা বিকাশে চাষীরা টাকা নেবে না। ঋনের সার, বীজ, কীটনাশক সঠিক সময়ে দিতে হবে এবং চাষীদের কোটায় পাওনা চিনি উত্তোলনের সময় বাড়াতে হবে। মাড়াই মওসুম আরো আগে শুরু করতে হবে। নভেম্বর প্রথমেই আখ মাড়াই শুরু করতে হবে। আখের দাম নুন্যতম প্রতিমন ৩’শ টাকা করতে হবে। চাষীদের কাছ থেকে কেটে নেয়া টাকা সম্পুর্নটাই আখচাষী কল্যান সংস্থায় জমা করতে হবে। ’

১৮০৫ সালে মি. জন ম্যাকসওয়েল নামক এক ইংরেজ তাঁর ঐকান্তিক প্রচেষ্ঠায় ভারতের কানপুরে জাগমু নামকস্থানে তখনকার একমাত্র ফরেন লিকার কারখানাটি চালু করেছিলেন। অতঃপর বিভিন্ন সময়ে এর নাম, স্থান, মালিকানা, উৎপাদন ও ব্যবসায়িক কর্মকান্ড পরিবর্তিত ও পরিবর্ধিত হতে থাকে। ১৮৪৭ সালে মি. রবার্ট রাসেল কেরু অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে ঐ প্রতিষ্ঠানের সাথে যুক্ত হন এবং কালক্রমে তা ক্রয় করে নেন। উত্তর ভারতের ‘রোজা’তে অবস্থানকালীন ১৮৫৭ সনে সিপাহী বিপ্লবের সময় কারখানাটি ক্ষতি গ্রস্থ হয়। অতঃপর তা’ পুনঃনির্মাণপূর্বক জয়েন্ট ষ্টক কোম্পানী গঠন করে ‘কেরু এ্যান্ড কোম্পানী লি. হিসেবে প্রতিষ্ঠানটির নতুন নামকরণ করা হয়। ‘রোজা’তে ব্যবসা উন্নতি লাভ করলে আসানসোল ও কাটনীতে এর শাখা প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৩৮ সনে প্রাথমিকভাবে দৈনিক ১০০০ টন আখ মাড়াই ও ১৮ হাজার প্রæফ লিটার স্পিরিট তৈরির লক্ষ্যে আরও একটি শাখা তদানীন্তন নদীয়া জেলার অন্তর্গত এ দর্শনায় স্থাপন করা হয়। ১৯৬৮ সনে ইংরেজরা এ দেশ ছেড়ে যাওয়ার পর কেরু এ্যান্ড কোম্পানী (পাকিস্তান) লি. এর স্থলে ব্যবস্থাপনা দায়িত্ব ইপিআইডিসি’র উপর ন্যস্ত হয়। বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর প্রতিষ্ঠানটি জাতীয়করণ করা হয়। তখন থেকে অদ্যাবধি এটি কেরু এ্যান্ড কোম্পানী (বাংলাদেশ) লি. নামে শিল্প মন্ত্রণালয়ের নিয়ন্ত্রনাধীন বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশনের অধীনে পরিচালিত হয়ে আসছে।  

২০২২-২৩ অর্থবছরে কেরু এন্ড কো¤পানী বাংলাদেশ সরকারের রাজস্ব খাতে জমা দিয়েছে সর্বোচ্চ ১৪৫ কোটি টাকা। এ বছর রাজস্বের পরিমান দাঁড়াবে প্রায় ২০০ কোটি। কেরু এ্যান্ড কোম্পানীর ৬টি ইউনিটের মধ্যে ৫ টি ইউনিট- ডিস্টিলারী, জৈব সার কারখানা, বানিজ্যিক খামার, পরীক্ষামুলক খামার, ফার্মাসিটিক্যাল- আয়কর বাদে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ১১২ কোটি ৭ লাখ টাকা মুনাফা করেছে । কেবলমাত্র চিনিকল ৬১ কোটি ৭ লাখ টাকা লোকসানে রয়েছে।

Header Ad
Header Ad

নোয়াখালী বিভাগ চাই; দাবিতে মানববন্ধন

ছবি: সংগৃহীত

আয়তন-ইতিহাস, ঐতিহ্য, ট্যাক্স ও র‍্যেমিট্যান্সে এগিয়ে থাকা বৃহত্তর নোয়াখালীকে বঞ্চিত করে কুমিল্লাকে বিভাগ করা হলে নোয়াখালীর উপকূলীয় প্রত্যন্ত অঞ্চলের অবহেলিত প্রান্তিক জনগোষ্ঠী আজীবন সুবিধাবঞ্চিত থেকে যাবে দাবি করে মানববন্ধন করেন হাতিয়ার নিঝুমদ্বীপ ইউনিয়নের বাসিন্দারা।

শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) বিকেলে ইউনিয়নের নামার বাজারে সম্মিলিত নিঝুমদ্বীপবাসী আয়োজনে নোয়াখালীকে বিভাগ ও হাতিয়াকে জেলা হিসেবে ঘোষণার দাবিতে মনববন্ধন কালে এ কথা বলেন।

বক্তারা বলেন, নোয়াখালী অঞ্চলের রয়েছে অনেক পুরোনো সংস্কৃতি, তাই সময়ের প্রয়োজনে বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর জীবন মানের উন্নয়নে আমরা নোয়াখালী বিভাগ চাই। খুলনা থেকে নোয়াখালী আয়তনে বড় তবুও এটাকে বিভাগ দেওয়া হয়নি। নোয়াখালীকে বিভাগ করার জন্য আমাদের যা যা করা দরকার আমরা সেটাই করবো।

নিঝুমদ্বীপ ইউনিয়নের বাসিন্দা আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, আমরা নোয়াখালী বিভাগ চাই এবং হাতিয়া জেলা চাই। বাংলাদেশের যে রেমিট্যান্স যোদ্ধা তাদের বেশিরভাগ কিন্তু নোয়াখালীর। আর নোয়াখালীকে বিভাগ করার জন্য যা যা প্রয়োজন তার সব নোয়াখালীর আছে।

জামসেদ নামে আরেক বাসিন্দা বলেন, হাতিয়া উপজেলা অন্যান্য জেলার থেকে অনেক বড়। নতুন নতুন চর জেগে উঠার মাধ্যমে দিন দিন আয়তন বৃদ্ধি পাচ্ছে। কিন্তু উন্নয়নের দিক দিয়ে হাতিয়া অবহেলিত আছে। তাই হাতিয়াকে জেলা চাই এবং নোয়াখালীকে বিভাগ চাই।

বাবলু নামের আরেক বাসিন্দা বলেন, ভৌগোলিক অবস্থান, নোয়াখালী-লক্ষ্মীপুর-ফেনী জেলার আয়তন, জনসংখ্যা, মেঘনার বুকে প্রতি বছর বিশাল ভূখণ্ডের সৃষ্টি এবং অর্থনৈতিক সম্ভাবনার নিরিখে নোয়াখালীকে বিভাগ ঘোষণার যৌক্তিকতা আরও বেশি। তাই জনস্বার্থের কথা বিবেচনা করে নোয়াখালীকে বিভাগ ঘোষণার দাবি জানাচ্ছি।

মানবন্ধনে নিঝুম দ্বীপ ইউনিয়নের বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।

 

Header Ad
Header Ad

নওগাঁয় মাদক বিরোধী প্রীতি ফুটবল ম্যাচ অনুষ্ঠিত

ছবি: সংগৃহীত

জীবনকে ভালো বাসুন মাদক থেকে দূরে থাকুন এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে নওগাঁয় মাদক বিরোধী প্রীতি ফুটবল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) বিকেলে নওগাঁ জেলা স্টেডিয়ামে ফুটবল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়ে।

খেলায় নওগাঁ পৌরসভা একাদশ বনাম নওগাঁ সদর উপজেলা একাদশ অংশ গ্রহন করেন। খেলায় নওগাঁ সদর উপজেলা একাদশ ২-০ গোলে জয়লাভ করে।

খেলার উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক আব্দুল আউয়াল। জেলা প্রশাসন ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, জেলা কার্যালয়, নওগাঁ এর আয়োজন করে।

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর জেলা কার্যালয় নওগাঁর সহকারী পরিচালক লোকমান হোসেন এর সভাপতিত্বে এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, পুলিশ সুপার (অতিরিক্ত ডিআইজি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) কুতুব উদ্দিন, নওগাঁ সদর উপজেলা নিবার্হী অফিসার এস.এম. রবিন শীষ, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম ধুলু, সাবেক ফুটবলার এনামুল হক ,আজাদ হোসেন মো. সাজ্জু, শামীনূর রহমান শামীম প্রমূখ।

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর জেলা কার্যালয় নওগাঁর সহকারী পরিচালক লোকমান হোসেন বলেন, যুব সমাজকে মাদক থেকে দূরে রাখতে খেলাধুলার বিকল্প নেই। তাই সারাদেশের ন্যায় নওগাঁতেও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণে যুবকদের নিয়ে প্রীতি ফুটবল ম্যাচের আয়োজন করা হয়। খেলাধুলা শুধু নিজেকে সুস্থ আর মনোবল চাঙ্গা রাখেনা, সম্প্রীতির বন্ধনকেও সুদৃঢ় করে। ক্রীড়া প্রতিযোগিতার মাধ্যমে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি অটুট রাখতে হবে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

৬১ কোটি টাকা লোকসান; আবারও মাড়াই মওসুম শুরু হচ্ছে কেরুর  
নোয়াখালী বিভাগ চাই; দাবিতে মানববন্ধন
নওগাঁয় মাদক বিরোধী প্রীতি ফুটবল ম্যাচ অনুষ্ঠিত
উপদেষ্টা মাহফুজের ফেইসবুক পোস্টে ভারতের ‘তীব্র প্রতিবাদ’
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পাহাড় ধসে শিশুর মৃত্যু
টাঙ্গাইলে হাতকড়া পরা অবস্থায় বাবার জানাজায় আ’লীগ নেতা
যমুনা রেল সেতু জানুয়ারির শেষ বা ফেব্রুয়ারির প্রথমে উদ্বোধন: রেল সচিব
টাঙ্গাইলে গ্রামীণ ‘নারীদের রান্নার প্রতিযোগিতা’ 
দেড় মাসে ৫০ হাজার কেজি পলিথিন জব্দ, জরিমানা ২৫ লাখ
খ্যাতনামা নির্মাতা সি বি জামান আর নেই
হাসিনার শেষ ৫ বছরে ১৬ হাজারেরও বেশি হত্যাকাণ্ড
নদী থেকে ১০ রাউন্ড গুলিসহ অস্ত্র উদ্ধার
উপদেষ্টা হাসান আরিফ মারা গেছেন
নেপালকে হারিয়ে অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের ফাইনালে বাগিনীরা
জামদানি শাড়ির ফ্যাশনে নতুনত্ব তুলে ধরলেন জয়া আহসান
ভারতের আদালতে জামিন পেলেন পি কে হালদার
ট্রাম্পের সঙ্গে যেকোনো সময় আলোচনায় প্রস্তুত পুতিন
জামালপুরে জামাই মেলা জমে উঠেছে
৩ ঘন্টা পর নিয়ন্ত্রণে উত্তরার রেস্টুরেন্টের আগুন, উদ্ধার ৭
পূর্বাচলে বুয়েট শিক্ষার্থীর মৃত্যু, সহপাঠীদের ৬ দফা দাবি