রবিবার, ১২ জানুয়ারি ২০২৫ | ২৮ পৌষ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

হিজড়াদের অধিকারের কথা বলতে সংসদে যেতে চান তৃতীয় লিঙ্গের ‘ঊর্মী’

ছবি: সংগৃহীত

‘মানুষের সেবায় নিজেকে বিলিয়ে দিতে চাই। সমাজের অবহেলিত, লাঞ্ছিত কিংবা অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে চাই। সমাজটাকে বদলে দিতে চাই। হিজড়া হয়ে জন্মানোরাও তো সমাজের মানুষ। এই শ্রেণির মানুষের অধিকারের কথা বলতে সংসদে যেতে চাই।’

কথাগুলো বলছিলেন দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে গাজীপুর-৫ (কালীগঞ্জ, গাজীপুর সদরের আংশিক ও গাজীপুর সিটির আংশিক) আসনে প্রার্থী হতে মনোনয়ন ফরম তোলা তৃতীয় লিঙ্গের ঊর্মী। এই আসনটিতে তাকে মনোনয়ন দিয়েছে লিবারেল ইসলামিক জোট। বুধবার দুপুরে মনোনয়নপত্রও জমা দেন ঊর্মী।

ইসলামিক ঐক্য জোট, আশেকানে আউলিয়া ঐক্য পরিষদ, বাংলাদেশ জনদল, ন্যাশনাল আওয়ামী পাটি, কৃষক শ্রমিক পার্টি ও বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি এ ৬টি দল নিয়ে লিবারেল ইসলামিক জোট।

ঊর্মী গাজীপুর মহানগরের পূবাইল থানার বাড়ৈবাড়ি গ্রামের ফাইজ উদ্দিন খানের সন্তান। তার মায়ের নাম সালেহা খাতুন। ৮ ভাই ২ বোনের মধ্যে তিনি সবার ছোট।

তৃতীয় লিঙ্গের মানুষ হয়ে জন্ম নেওয়ায় নানা যন্ত্রণার মধ্য দিয়ে জীবন কেটেছে তার। অবহেলা, লাঞ্ছনা যেন তার জীবনের সঙ্গী। সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলে তিনি সমাজকে বদলে দেওয়ার প্রতিজ্ঞা করেছেন। ঊর্মী বলেন, ‘তৃতীয় লিঙ্গের মানুষের অধিকারের কথা বলতে সংসদে যেতে চাই। নির্বাচনের ঘোষণা দেওয়ার পর থেকেই ব্যাপক সাড়া পাচ্ছি। মানুষ এটাকে ইতিবাচক হিসেবে নিয়েছে।’

গাজীপুর-৫ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ও টানা ৩ বারের সংসদ সদস্য মেহের আফরোজ চুমকির বিপক্ষে লড়বেন ঊর্মী।

Header Ad
Header Ad

নতুন কর্মসূচি নিয়ে মাঠে নামছে বিএনপি  

ছবিঃ সংগৃহীত

বিএনপি ও সমমনা দলগুলো শিগগিরিই নতুন কর্মসূচি নিয়ে মাঠে নামছে বলে জানিয়েছেন ১২ দলীয় জোটের প্রধান মোস্তফা জামাল হায়দার।

শনিবার (১১ জানুয়ারি) বিএনপির সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি এ কথা জানান।

মোস্তফা জামাল বলেন, আমরা শিগগিরিই নতুন কর্মসূচি নিয়ে মাঠে নামছি। বিদ্যমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি, সমস্যা এবং সংকটসহ নানান বিষয়ে দুই ঘণ্টাব্যাপী আলোচনা করেছি। আগামী দু-তিন দিনের মধ্যেই কর্মসূচির ঘোষণা আসবে।

তিনি বলেন, ‘গত ৫ আগস্টের বিজয় আজকে বিভিন্নভাবে বিপদগ্রস্ত হতে চলেছে। আমরা সবাই উপলব্ধি করছি জুলাই-আগস্টের ফ্যাসিবাদবিরোধী সংগ্রামী মেজাজ, সেটা কিছুটা হলেও হারিয়ে যেতে বসেছে। আমাদের ঐক্যে কোথায় যেন একটা চিড় ধরেছে। আমরা এর সমাধান করতে চাই এবং আগামী দু-তিন দিনের মধ্যে সর্বদলীয়ভাবে জুলাই আগস্টে যেভাবে আন্দোলন করেছি, একত্রে ছিলাম, সেভাবে একত্রে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করব। জনজীবনের বিরাজমান যে সমস্যা, দ্রব্যমূল্যের কশাঘাত ও নির্বাচন-সংক্রান্ত যে কুহেলিকা, যে ভিন্ন কথাবার্তা এবং ধূম্রজাল—এ সমস্ত সুনির্দিষ্ট ব্যাখ্যা আমরা প্রদান করব।’

এ সময় নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘জুলাই-আগস্টের আন্দোলনে এক দফার একটা অংশ আমরা অর্জন করতে পেরেছি। আরেকটা অংশ হলো গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা। আমরা সবাই জানি গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা মানে হলো দেশে গণতান্ত্রিক শাসন প্রতিষ্ঠা। সেই শাসন প্রতিষ্ঠা হয় একটা জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে। আমরা সেটার জন্যই অপেক্ষা করছিলাম। কিন্তু সম্প্রতি নানাজনে নানা কথা বলা শুরু করেছে। অন্যান্য কিছু নির্বাচনের কথা আলোচনা হচ্ছে। আমরা মনে করি যেটা গোটা আকাঙ্ক্ষার সঙ্গে সংগতিপূর্ণ নয়।’

Header Ad
Header Ad

দেখা করার অনুমতি নেই জয়েরও, তাহলে হাসিনা কি ভারতে গৃহবন্দি?

ছবিঃ সংগৃহীত

শেখ হাসিনার ভারতে অবস্থান ও তার পরিবারের সদস্যদের চলমান পরিস্থিতি নিয়ে বাংলাদেশের রাজনীতিতে প্রশ্ন উঠছে প্রতিনিয়ত। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের ধারণা, মোদি সরকারের অধীনে শেখ হাসিনা কার্যত গৃহবন্দি অবস্থায় রয়েছেন।

তার সঙ্গে দেখা করার অনুমতি নেই কারো, এমনকি তার একমাত্র ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়েরও। জয় গত আগস্টে ঘোষণা দিয়েছিলেন, তিনি দ্রুত ভারতে এসে মায়ের সঙ্গে দেখা করবেন। কিন্তু পাঁচ মাসেও সেই সাক্ষাৎ সম্ভব হয়নি।

শেখ রেহানা, যিনি ব্রিটিশ নাগরিক এবং যার মেয়ে টিউলিপ সিদ্দিক যুক্তরাজ্যের লেবার পার্টির একজন প্রভাবশালী মন্ত্রী, তিনিও পর্দার আড়ালে রয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক জয়ও বর্তমানে ভারতে আসতে পারছেন না, যা আরও প্রশ্নের জন্ম দিচ্ছে।

শেখ হাসিনার শাসনামলে বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান দীর্ঘদিন দেশে ফেরার সুযোগ পাননি। এমনকি আরাফাত রহমান কোকোর মৃত্যুর পর তারেক রহমান জানাজায়ও অংশ নিতে পারেননি। আজ সেই ইতিহাস যেন অন্যভাবে হাসিনা পরিবারে ফিরে এসেছে।

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে যুক্তরাজ্যে টিউলিপ সিদ্দিকের ওপরও চাপ বাড়ছে। এর মধ্যে বেগম খালেদা জিয়া লন্ডনে রয়্যাল ফ্যামিলির চিকিৎসা ক্লিনিকে সেবা পাচ্ছেন।

Header Ad
Header Ad

রাফিকে চাঁদাবাজ উল্লেখ্য করে স্লোগান, দুই সমন্বয়কের দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে

ছবিঃ সংগৃহীত

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চট্টগ্রামের নেতারা সংবাদ সম্মেলন করে পাল্টাপাল্টি হামলার অভিযোগ করেছেন। এ সময় উপস্থিত শিক্ষার্থীদের একজন তালাত মাহমুদ রাফির ওপর চড়াও হন। পরবর্তীতে উপস্থিত শিক্ষার্থীরা তাকে সরিয়ে দেয়। তবে শিক্ষার্থীদের একটি পক্ষ রাফিকে চাঁদাবাজ উল্লেখ করে স্লোগান দিতে থাকে।

শনিবার (১১ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ৮টায় নগরের প্রেস ক্লাবের এস রহমান হলে সংবাদ সম্মেলন করে সংগঠনের তিন নেতার বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মোহাম্মদ রাসেল আহমেদ ।

মোহাম্মদ রাসেল আহমেদ বলেন, “আজ বিকেলে ‘জুলাইয়ের ঘোষণাপত্রের’ পক্ষে নগরের বিভিন্ন এলাকায় জনসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়। পরে ওয়াসায় একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের অফিসকক্ষে আলোচনার জন্য তারা বসেছিলেন। সেখানে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সমন্বয়ক রিজাউর রহমান এসে মুখ্য সংগঠক আবদুল হান্নান মাসউদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন। রিজাউর রহমানের সঙ্গে ডট গ্যাংয়ের নেতা সাদিক আরমানসহ অনেকেই ছিলেন। একপর্যায়ে খান তালাত মাহমুদ রাফি, রিজাউর ও সাদিক আরমানের নেতৃত্বে আমাদের অবরুদ্ধ করা হয়। প্রায় এক ঘণ্টা অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে। আমাদের নেতা-কর্মীদের মারধর করেন। এতে সাতজন আহত হয়েছেন।’

রাসেল আহমেদ বলেন, একপর্যায়ে ওই বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের অফিসকক্ষ ভাঙচুর করা হয়েছে। তাঁরা এ ঘটনার বিচার চান।

সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন সংগঠনের চট্টগ্রাম জেলার সমন্বয়ক তানভীর শরিফ। তিনি জানান, তিনি আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন। শরীরের যে অংশে গুলি লেগেছিল, ঠিক সেখানেই আজ আঘাত করা হয়েছে।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মোহাম্মদ রাসেল আহমেদ সংবাদ সম্মেলন করার সময় প্রেস ক্লাবে এসে হাজির হন কেন্দ্রীয় সহসমন্বয়ক খান তালাত মাহমুদ রাফি ও রিজাউর রহমান। এ সময় দুই পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে হট্টগোল হয়। রাসেল আহমেদের সমর্থকেরা রিজাউর ও রাফিকে দেখে ‘ভুয়া’ ‘ভুয়া’ বলে স্লোগান দেন। রিজাউর ও রাফির সমর্থকেরাও পাল্টা স্লোগান দিয়েছেন।

রাফি ও রিজাউর যাওয়ার একপর্যায়ে হামলাকারীদের সঙ্গে বসে সংবাদ সম্মেলন হবে না,এমন কথা বলে উঠে দাঁড়ান মোহাম্মদ রাসেল আহমেদ ও তার সমর্থকেরা। তারা কনফারেন্স হল ত্যাগ করেন। এ সময় রাফি সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলা শুরু করেন। তবে তিনি কথা শেষ করার আগেই স্লোগান দিতে দিতে আবার হলে প্রবেশ করেন মোহাম্মদ রাসেল আহমেদসহ একাধিক নেতা-কর্মী। একপর্যায়ে রাফির কাছ থেকে মাইক্রোফোন কেড়ে নেওয়া হয়। পরে দুই পক্ষই সংবাদ সম্মেলন শেষ না করে বের হয়ে যান।

জানতে চাইলে মোহাম্মদ রাসেল আহমেদ বলেন, “সন্ধ্যায় আমাকে এবং মুখ্য সংগঠক আবদুল হান্নান মাসউদকে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছিল। এরপর আমরা সহযোদ্ধাদের ফোন করি। তারা পৌঁছানোর পর আমরা বের হই। বেসরকারি ওই প্রতিষ্ঠানের অফিসকক্ষ ভাঙচুর করা হয়েছে। নেতা-কর্মীদের মারধর করা হয়েছে। যারা এ ঘটনা ঘটিয়েছেন, তাদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দেন কেন্দ্রীয় সহসমন্বয়ক খান তালাত মাহমুদ ওরফে রাফি ও চবির সমন্বয়ক রিজাউর রহমান।”

রাসেলের বক্তব্যের বিষয়ে খান তালাত মাহমুদ বলেন, “আলোচনা করার সময় আমাদের মধ্যে বাগ্‌বিতণ্ডা হয়েছে। এর বাইরে কিছু হয়নি। কাউকে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়নি। সবই মিথ্যা। পরবর্তী সময়ে আমরা কী করব, তা নিয়ে আলোচনার সময় সামান্য বাগ্‌বিতণ্ডা হয়।”

তবে রিজাউর হামলার পাল্টা অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, “কাউকে অবরুদ্ধ করা হয়নি। উল্টো আমাদের ৪ জনকে মারধর করা হয়েছে।”

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

নতুন কর্মসূচি নিয়ে মাঠে নামছে বিএনপি  
দেখা করার অনুমতি নেই জয়েরও, তাহলে হাসিনা কি ভারতে গৃহবন্দি?
রাফিকে চাঁদাবাজ উল্লেখ্য করে স্লোগান, দুই সমন্বয়কের দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে
নাতনিকে পেয়ে মানসিকভাবে অনেকটা চাঙ্গা খালেদা জিয়া  
পাচার হওয়া অর্থ পুনরুদ্ধারে বিদেশি আইনজীবী নিয়োগ করবে সরকার  
মহিলা কলেজের স্ক্রিনে ভেসে উঠল ‘ছাত্রলীগ আবার ভয়ংকর রূপে ফিরবে’
আমরা কাউকে ছাড়ব না: সারজিস
ভ্যাট বাড়ায় কত টাকা বাড়ছে সিগারেটের দাম
৯৯৯ নম্বরে ফোন পেয়ে কবরস্থান থেকে তরুণকে উদ্ধার
আবার ভারত থেকে ২৭ হাজার টন চাল আমদানি  
যারা রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসবে তারা যেন পুরুষ হয়: আমির হামজা
সংখ্যালঘুদের ওপর বেশিরভাগ হামলা রাজনৈতিক উদ্দেশ্য-প্রণোদিত: পুলিশ প্রতিবেদন  
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বোলিং করতে পারবেন না সাকিব
হাসিনার পতনে যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা নেই: জানালেন মার্কিন নিরাপত্তা উপদেষ্টা  
বিএনপির সঙ্গে জামায়াতের কোনো বিরোধ নেই: নায়েবে আমির
পরিবহনের লাইসেন্স দেবে সেনাবাহিনী: পরিবহন উপদেষ্টা  
হাসিনার আমলে ‘কাঁটা তারে লাশ ঝুলত, এখন পতাকা বৈঠক হয়’
উত্তেজনার মধ্যেই বাংলাদেশ সীমান্তে বিএসএফের বাঙ্কার নির্মাণ  
দিনাজপুরের বিরামপুরে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী ঘোড়া দৌড় প্রতিযোগিতা
টাঙ্গাইলে জুলাই-আগস্টে অভ্যুত্থানে আহতদের সাথে মতবিনিময় সভা