অবরোধ: চলছে ট্রেন, যাচ্ছে লঞ্চ, ছাড়ছে না দূরপাল্লার বাস
ছবি : সংগৃহীত
আজ থেকে সরকারের পদত্যাগ দাবিতে বিএনপি-জামায়াত ও তাদের সমমনা দলগুলোর দেশব্যাপী সর্বাত্মক অবরোধ কর্মসূচি শুরু হয়েছে। এ অবরোধ কর্মসূচি চলবে ৩ দিন। অবরোধ কর্মসূচির প্রথমদিন সকাল পৌনে ৯টা পর্যন্ত রাস্তায় গণপরিবহন চলাচল কম দেখা গেছে। সাধারণ মানুষের চলাচলও অন্যান্য দিনের তুলনায় কম। রাজধানীর সায়দাবাদ থেকে ছেড়ে যায়নি দূরপাল্লার কোনো বাস।
তবে দূরপাল্লার বাস না চললেও কমলাপুর থেকে সময়মতো ছেড়ে গেছে ট্রেন। এদিন যাত্রীর সংখ্যা ছিল অন্যান্য দিনের তুলনায় কম। অতি প্রয়োজনে যারা ট্রেনে চেপে ঢাকা ছেড়েছেন তাদের মধ্যে আতঙ্ক ও উদ্বেগ দেখা গেছে। ট্রেনে চলাচল নিরাপদ করতে রেলওয়ে পুলিশ এবং বাংলাদেশ রেলওয়ের নিরাপত্তা বাহিনী কাজ করলেও উৎকণ্ঠা দেখা গেছে যাত্রীদের মধ্যে।
তিন দিনের অবরোধ কর্মসূচির প্রথম দিনে সদরঘাটে লঞ্চ চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) ভোর থেকেই বিভিন্ন জেলা অভিমুখে লঞ্চগুলো সদরঘাট থেকে ছাড়তে দেখা গেছে। সেই সঙ্গে দক্ষিণাঞ্চল থেকে ছেড়ে আসা লঞ্চগুলোও ঘাটে পৌঁছাতে দেখা গেছে। ভোর থেকেই চাঁদপুর, ভোলাসহ দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন জেলা অভিমুখে লঞ্চ ছেড়ে গেছে সদরঘাট থেকে। লঞ্চ চলাচলের পাশাপাশি বুড়িগঙ্গা নদীতে নৌকা চলাচলও স্বাভাবিক রয়েছে। তবে যাত্রীর উপস্থিতি তুলনামূলক কম দেখা গেছে।
বিএনপি-জামায়াতের ডাকা টানা তিনদিনের অবরোধ শুরুর প্রথম দিন আজ সকালে চট্টগ্রাম নগরে একটি যাত্রীবাহী বাসে আগুন দেওয়া হয়েছে।
পুলিশ বলছে, চট্টগ্রাম নগরের সল্টগুলা ক্রসিং এলাকায় বাসটি যাত্রী তোলার জন্য দাঁড়ায়। ওই সময় যাত্রীবেশে দুজন উঠে বাসে আগুন দিয়ে দ্রুত নেমে পড়েন।
আজ মঙ্গলবার সকাল ছয়টার দিকে নগরের ইপিজেড থানার সল্টগুলা ক্রসিং এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। তবে এতে কেউ হতাহত হয়নি।
এর আগে গতকাল সোমবার রাত ১০টার দিকে নগরের দামপাড়া বাস কাউন্টারের সামনে একটি মিনিবাসে কে বা কারা আগুন লাগিয়ে দেয়। আর গতকাল দিবাগত রাত সাড়ে তিনটার দিকে নগরের বায়েজিদ বোস্তামী থানার বালুচরা ট্যানারি বটতলা এলাকায় রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা একটি বাসে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়।