শরীয়তপুর সদরে মন্দিরের প্রতিমা ভাঙচুর
শরীয়তপুর সদর উপজেলায় মন্দিরের প্রতিমা ভাঙচুর করেছে দুর্বৃত্তরা। মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) ভোররাতের দিকে পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের নিরালা আবাসিক এলাকার বনিক বাড়ির শিতলা মন্দিরের প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।
সদরের পালং মডেল থানা ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে ,ওই এলাকাটি হিন্দু অধ্যুসিত এলাকা হিসেবে পরিচিত। বনিক বাড়িতে পারিবারিক শিতলা মন্দির রয়েছে। টিনসেডের পাকা দেয়ালের ওই ঘরের মধ্যে শিতলা প্রতিমাকে পূজা-অর্চনা করা হয়। বুধবার ভোররাতের দিকে দুর্বৃত্তরা মন্দিরে প্রবেশ করে শিতলা প্রতিমা ভাঙচুর করে। এ সময় তারা মন্দিরের জিনিসপত্র তচনচ করে রাখে। সেই সঙ্গে পূজা-অর্চনার কাজে ব্যবহৃত কিছু কাশা-পিতলের তৈজসপত্র নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। সকালে ওই বাড়ির এক নারী সদস্য পূজা দিতে গেলে এমন অবস্থা দেখে বাড়ির লোকজনদের ডাকেন। পরে বিষয়টি পুলিশকে জানানো হয়।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জ্যেতি বিকাশ চন্দ্র,পালং মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আক্তার হোসেন, শরীয়তপুর পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর জাহাঙ্গীর ব্যাপারি।
ভাঙচুরের শিকার বনিক বাড়ির রতন বনিক জানান, আজ সকালে মন্দিরে গিয়ে দেখি প্রতিমা বেদি থেকে নিচে পড়ে আছে। মন্দিরের জিনিসপত্র ভাঙচুর করা হয়েছে। আমাদের বাড়িতে এমন ঘটনা কখনো ঘটেনি।
১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর জাহাঙ্গীর বেপারী বলেন, প্রকৃত মানুষ যারা তাদের পক্ষে কখনোই এমন নিন্দনীয় কাজ করা সম্ভব না। এখানে বিষয়টি ধর্মের। খুবই স্পর্শকাতর।
বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রীষ্ঠান ঐক্য পরিষদের শরীয়তপুর জেলা কমিটির সভাপতি শংকর প্রসাদ চৌধুরী বলেন, হিন্দু জনবসতিপূর্ণ একটি এলাকায় পারিবারিক মন্দিরের প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনাটিতে আমরা উদ্বিঘ্ন, শঙ্কিত। মাত্র অল্প কয়েকদিন আগেও জেলা কেন্দ্রীয় মন্দির পালং হরিসভার দানবাক্স ভেঙে টাকা চুরির ঘটনাসহ আরো দু-একটি মন্দিরে হামলা চুরি ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। কোনো ঘটনার সঠিক তদন্ত এখনো হয়নি।
এ ব্যাপারে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জ্যোতি বিকাশ চন্দ্র বলেন, এমন ভাঙচুরের ঘটনায় সঠিক তদন্ত করে জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হবে।
পালং মডেল থানার ওসি আক্তার হোসেন বলেন, এর আগেও মন্দির ভাঙচুর ও মন্দিরে চুরির ঘটনার তদন্ত চলমান রয়েছে। আজকে মন্দিরের প্রতিমা ভাঙচুরের সাথে যারা জড়িত অতি দ্রুততম সময়ের মধ্যে তাদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা হবে।
এসআইএইচ