মুক্তিযোদ্ধার ছেলেকে মারধরের অভিযোগে মামলা
শরীয়তপুরের ডামুড্যায় বিল্লাল ব্যাপারী নামের এক ব্যবসায়ীকে চাঁদার দাবীতে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় ৫ আওয়ামী লীগ নেতার বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ডামুড্যা পৌরসভা আওয়ামী লীগের সাধারণ সস্পাদক আসাদুজ্জামান বাচ্চু মাদবর, উপজেলা আওযামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক জুলহাস মাদবর, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মেহেদী হাসান রুবেল মাতবরসহ কবির চৌকিদার ও টিটু সরদারকে আসামী করে গত রবিবার শরীয়তপুর চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে মামলাটি দায়ের করেছেন ব্যবসায়ী বিল্লাল ব্যাপারী।
পরে আদালত পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগকে (সিআইডি) ঘটনাটি তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন। আজ মঙ্গলবার(১৪ মার্চ) দুপুরে বিল্লাল ব্যাপারীর বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা ইসমাইল ব্যাপারী সংবাদ সম্মেলন করে এ সকল অভিযোগ করেন।
মামলার এজাহার ও ভুক্তভোগী পরিবার সূত্রে জানা গেছে, শরীয়তপুর ডামুড্যা পৌরসভা আওয়ামী লীগের সাধারন সস্পাদক আসাদুজ্জামান বাচ্চু মাদবর, উপজেলা আওযামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক জুলহাস মাদবর, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মেহেদী হাসান রুবেল মাদবর আপন তিন ভাই।
এদের মধ্যে আসাদুজ্জামান বাচ্চু মাদবর ডামুড্যা পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর। তাদের প্রতিবেশি বীর মুক্তিযোদ্ধা ইসমাই ব্যাপারী। তার ছেলে বিল্লাল ডামুড্যা বাজারের ব্যবসায়ী। স্থানীয় ভাবে বিভিন্ন ব্যবসা ও নিবার্চনে আসাদুজ্জামান বাচ্চু মাদবর পক্ষ না নেয়ায় বিল্লালের সাথে তাদের বিরোধ সৃষ্টি হয়।
মামলার এজাহারে উল্ল্যেখ করা হয়েছে ২০২১ সালের ডিসেম্বর মাস থেকে বিভিন্ন সময় ওই তিন নেতা বিল্লালের কাছে চাঁদা দাবী করেন। এ ঘটনা নিয়ে কয়েক দফায় ডামুড্যা থানায় সাধারন ডায়েরি করেন বিল্লাল। গত বৃহস্পতিবার ওই তিন নেতা তাদের কয়েক অনুসারিকে নিয়ে বিল্লালকে মারধর করেছেন এমন অভিযোগ ওঠে।
গত রবিবার বিল্লাল তাকে মারধর ও বিভিন্ন সময় চাঁদা দাবীর ঘটনা উল্লেখ করে শরীয়তপুর চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রট আদালতে মামলার আবেদন করেন। আদালত তার আবেদন আমলে নিয়ে ঘটনাটি সিআইডি পুলিশকে তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন। মঙ্গলবার দুপুরে শরীয়তপুর জেলা শহরে সংবাদ সম্মেলন করেন বিল্লাল ব্যাপারির পরিবার।
বিল্লাল ব্যাপারী জানান, রুবেল মাদবরদের ভয়ে আমি পরিবারের সদস্যদের নিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছি। তারা রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় থেকে আমাদের কাছে চাঁদা চাইছে এবং মারধর করেছে।
বিল্লালের বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা ইসমাইল ব্যাপারী বলেন, আমি একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা আওয়ামী পরিবারের কিন্তু রুবেল মাদবর ও তার দুই ভাই আমার ছেলেদের বিভিন্নভাবে হুমকি দিয়ে মারধর ও চাঁদা দাবি করছে। এর বিচার আমি প্রধানমন্ত্রীর কাছে দিলাম।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ডামুড্যা উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মেহেদী হাসান রুবেল মাদবর বলেন, চাঁদা দাবী ও মারধরের ঘটনাটি সম্পূর্ন মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।কোন তৃতীয় পক্ষর ইশারায় তারা আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করে মামলা করেছেন।
জানতে চাইলে ডামুড্যা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ শরিফুল আলম বলেন, মুক্তিযোদ্ধার সন্তানকে হুমকী দেওয়ার একটি অভিযোগ করেছিলেন। তবে এমন খবর জেনেছি আদালতে দুই পক্ষর দুটি চাঁদাবাজির মামলা হয়েছে। বিষয়গুলো তদন্তের মাধ্যমে জানা যাবে।
এএজেড