বিএনপির কর্মী সমাবেশে হামলা, আহত ২০
মাদারীপুরে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাদের উপস্থিতিতেই কর্মী সমাবেশে হামলার ঘটনা ঘটেছে। বুধবার বিকেলে শহরের চৌরাস্তা এলাকায় ঘটনাটি ঘটে। এতে জেলা বিএনপির সদস্য সচিব জাহান্দার আলী জাহানসহ আহত হয়েছেন ২০ জন। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। এ সময় একটি প্রাইভেট হাসপাতালে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করা হয়।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধি ও লোড শেডিং-এর প্রতিবাদে মাদারীপুরের ৫টি উপজেলা নিয়ে কর্মী সমাবেশের আয়োজন করে জেলা বিএনপি। বিকেলে শহরের চৌরাস্তা এলাকায় আসতে শুরু করে দলীয় নেতাকর্মীরা। এর কিছুক্ষন পরে সমাবেশেস্থলে আসেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য মশিউর রহমান ও সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ, খন্দকার মাশুকুর রহমান, আনিসুর রহমান খোকন তালুকদারসহ কেন্দ্রীয় নেতারা। তাদের লক্ষ্য করে সমাবেশস্থলে দেশীয় অস্ত্র ও লাঠিশোঠা নিয়ে হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা।
বাঁধা দিতে গেলে জেলা বিএনপির সদস্য সচিব জাহান্দার আলী জাহানসহ আহত হয় অন্তত ২০ জন। খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। এই ঘটনার জেরে জেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক শাহীন মৃধা মালিকানাধীন প্রত্যাশা ডায়গনষ্টিক সেন্টার এ্যান্ড প্রাইভেট হাসপাতালে ব্যাপক ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। এদিকে দুটি ঘটনার জেরে উত্তেজনা বিরাজ করায় মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ।
মাদারীপুর জেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক ও জেলা ছাত্রদল সাবেক সভাপতি শাহীন মৃধা বলেন, হাসপাতাল একটি সেবামূলক প্রতিষ্ঠান। সেখানে ভাংচুর কোনভাবেই মেনে নেয়া যায় না। পুরো ঘটনায় সিসিটিভি ফুটেজ ধারণ করা হয়েছে। অপরাধীদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার দাবী জানাই। মাদারীপুর জেলা বিএপির সদস্য সচিব জাহান্দার আলী জাহান জানান, দুর্বৃত্তরা এই হামলা চালিয়েছে, তবে, বিএনপির দলীয় কেউ নয়। জেলা বিএনপি এর বিচার চায়।
মাদারীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) ওয়াসিম ফিরোজ জানান, বিএনপির দুটিপক্ষের দলীয় কোন্দলকে বিরাজ করে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। খবর পেয়ে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এখনো কাউকেই আটক করা হয়নি।
এএজেড