স্বাধীনতা দিবস থেকে ডিজিটাল পরিচয়পত্র পাবে মুক্তিযোদ্ধারা: মন্ত্রী
বীর মুক্তিযোদ্ধারা স্বাধীনতা দিবস (আগামী ২৬ মার্চ) থেকে ডিজিটাল পরিচয়পত্র (আইডি কার্ড) ও সনদ পাবেন বলে জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী মুক্তিযোদ্ধা আ ক ম মোজাম্মেল হক।
শনিবার (৫ মার্চ) বেলা সাড়ে ৩টার দিকে মানিকগঞ্জ শহীদ তপন-মিরাজ স্টেডিয়ামে মুক্তিযোদ্ধাদের মিলনমেলায় তিনি এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘২৬ মার্চ থেকে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ডিজিটাল পরিচয়পত্র ও সনদপত্র দেওয়ার পরিকল্পনা আছে। ২৬ মার্চ থেকে ১৭ এপ্রিলের মধ্যে প্রত্যেক মুক্তিযোদ্ধার হাতে এসব কার্ড তুলে দেওয়া হবে।’
‘প্রতিটি ডিজিটাল কার্ডে আট ধরনের বারকোর্ড দেওয়া হয়েছে। ওই কার্ডে জাতীয় সংগীত, বঙ্গবন্ধুর ভাষণ, মুক্তিযোদ্ধাদের প্রশিক্ষণ দেওয়াসহ মুক্তিযুদ্ধের যাবতীয় তথ্য থাকবে। কার্ডটি মেশিনে ধরলে এসব প্রকাশ পাবে।’
তিনি বলেন, ‘শিগগিরই প্রত্যক্ষ ভোটে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ নির্বাচন হবে। আপনাদের দাবি-দাওয়া প্রতিনিধিরাই পেশ করতে পারবেন। প্রত্যেক মুক্তিযোদ্ধার তালিকা ওয়েবসাইটে দেওয়া আছে, যদি কারও নামে ভুল হয় তা সংশোধন করে নেবেন।’
প্রত্যেক মুক্তিযোদ্ধার কবর একই ধরনের করার কথা জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘কবর দেখে মানুষ যেন বুঝতে পারেন, এটা বীর মুক্তিযোদ্ধার কবর।’
মন্ত্রী আরও বলেন, ‘যত জায়গায় পাক-হানাদার বাহিনীর সঙ্গে আমরা যুদ্ধ করেছি, সেই স্মৃতি সংরক্ষণ করা হচ্ছে। বধ্যভূমিসহ সব ঐতিহাসিক জায়গা সংরক্ষণের কাজ চলেছে। মুক্তিযুদ্ধের সূতিকাগার ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানকে আন্তর্জাতিক মানে গড়ে তোলা হচ্ছে। মুজিবনগরে স্মৃতিকেন্দ্র গড়ে তোলার কাজও চলমান আছে।’
মোজাম্মেল হক বলেন, ‘মুক্তিযোদ্ধা সংসদের নির্বাচন হয়ে গেলে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের মাধ্যেমে প্রত্যেক বীর মুক্তিযোদ্ধার নামে রাস্তাঘাট ও কালভার্টের নামকরণ হবে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা জীবন বাজি রেখে দেশ স্বাধীন করেছি। আমাদের জীবদ্দশায় এই দেশ আবার পরাজিত শক্তির হাতে চলে যাবে, সেটা হতে পারে না। আগামী নির্বাচনে মুক্তিযোদ্ধারা ভ্যানগার্ড হয়ে কাজ করবেন।’
মুক্তিযোদ্ধাদের মিলনমেলার আলোচনায় সভাপতিত্ব করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা বেনজীর আহমেদ।
বক্তব্য দেন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী, স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক, সাবেক নৌপরিবহনমন্ত্রী শাহজাহান খান, সাবেক মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান।
বীর মুক্তিযোদ্ধা, তাদের পরিবারের সদস্য এবং রাজনৈতিক, সরকারি কর্মকর্তাসহ প্রায় পাঁচ হাজার মানুষ মিলনমেলায় যোগ দেন।
এমএসপি