শাটল ট্রেনের দাবিতে চবির মূল ফটকে তালা
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) শাটল ট্রেন সংকট, অপর্যাপ্ত সিডিউল ও যাতায়াত ভোগান্তির প্রতিবাদে ক্যাম্পাসটির প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় বিভিন্ন ব্যানার, পোস্টার নিয়ে পর্যাপ্ত 'শাটল চাই' শ্লোগানে ঘন্টাব্যাপী আন্দোলন কর্মসূচি পালন করেন তারা। রবিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুর দেড়টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের জিরো পয়েন্ট এলাকায় এ কর্মসূচি পালিত হয়।
এ সময় শিক্ষার্থীরা জানান, শিক্ষার্থীর তুলনায় শাটলের বগির সংখ্যা অপ্রতুল। এর মধ্যে তিন জোড়া শাটল ও দুই জোড়া ডেমু ট্রেন বন্ধ থাকায় ভোগান্তির মাত্রা বেড়েছে কয়েকগুণ। শাটলে সিট খালি তো দূরের কথা তিল ধারণের ঠাঁই পর্যন্ত নেই। বাধ্য হয়ে অনেককে ঝুঁকি নিয়ে শাটলের ছাদে উঠতে হচ্ছে। সশরীরে ক্লাস শুরুর পঞ্চম দিন চললেও দুর্ভোগের কোনো সমাধান হচ্ছে না।
অবিলম্বে শাটল ও ডেমু ট্রেনের স্বাভাবিক শিডিউল দেওয়ার দাবি জানান তারা। তা না হলে আরো কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ারও হুশিয়ারি দেন চবি শিক্ষার্থীরা।
জানা গেছে, গত ২৬ জানুয়ারি থেকে মাইলেজ ইস্যুতে কর্মবিরতিতে যায় রেলওয়ের লোকো মাস্টাররা। এতে করে সারাদেশের রেল যোগাযোগ স্থবির হয়ে পড়ে। লোকো মাস্টার সংকটে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন জোড়া শাটল ট্রেন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়। তবে দুই দিনের মাথায় লোকো মাস্টাররা আন্দোলন স্থগিত করলে ফের স্বাভাবিক হয়ে যায় সারাদেশের রেল যোগাযোগ। কিন্তু স্বাভাবিক হয়নি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শাটল ট্রেন। অনিবার্যকারণ দেখিয়ে গত নভেম্বর থেকে বন্ধ রাখা হয় দুই জোড়া ডেমু ট্রেনও।
এ বিষয়ে চবি প্রক্টর ড. রবিউল হাসান ভূঁইয়া বলেন, শাটলের ভোগান্তি সম্পর্কে আমরা অবগত। আমরাও চাই না আমাদের সন্তানরা কষ্ট করুক। বিষয়টি সমাধান করতে গত মঙ্গলবার আমরা রেলওয়ে কর্তৃপক্ষকে একটি চিঠি দিয়েছি, মিটিং করেছি। দফায় দফায় ফোন দিয়েছি। কিন্তু ওনাদের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে ক্রু (লোকো মাস্টার) সংকট রয়েছে। রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ না চাইলে আমাদের পক্ষে তো ক্রু সংকট দূর করা সম্ভব না।
এ ব্যাপারে রেলওয়ের চট্টগ্রাম পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, লোকো মাস্টার সংকটের কারণে আমরা শাটল ট্রেনের শিডিউল স্বাভাবিক করতে পারছি না। আমাদেরকে সময় দিতে হবে। আন্তঃনগর ট্রেন থেকে গার্ড এনে চবির শাটলগুলোতে দিতে গেলেও ঝামেলা। এতে পুরো দেশে ট্রেন চলাচল ব্যাহত হবে।
তিনি আরো বলেন, করোনার মধ্যে আমাদের অনেক গার্ড অবসরে চলে গেছেন। এই সংকট কাটিয়ে উঠতে আমরা অবসরপ্রাপ্তদের আবার দৈনিক ভিত্তিতে নিয়োগ দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছি। মন্ত্রণালয় প্রস্তাবে রাজি হলে সবকিছু স্বাভাবিক হয়ে যাবে।
এসআইএইচ