চাকরির নামে যুবককে অপহরণ, দাবি করছে মুক্তিপণ
চাকরি দেওয়ার কথা বলে নেত্রকোনার সীমান্তবর্তী দুর্গাপুর উপজেলার পাটলী গ্রামের নোমান (২১) নামে এক যুবককে অপহরণের অভিযোগ উঠেছে বাদশা মিয়ার (৩২) নামে এক প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে।
গত ১৭ ফেব্রুয়ারি অপহরণের পর থেকে মঙ্গলবার (২২ ফেব্রুয়ারি) পর্যন্ত ওই যুবকের কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি।
মঙ্গলবার রাতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন দুর্গাপুর থানার মীর মাহবুব।
এরই মধ্যে অপহৃত যুবকের পরিবার ও স্বজনদের কাছে মোবাইলে কল করে ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করেছেন অজ্ঞাত এক ব্যক্তি।
অপহৃত নোমান মিয়া বাকলজোড়া ইউনিয়নের পাটলী গ্রামের মো. শুক্কর আলীর ছেলে। অপরদিকে, অভিযুক্ত বাদশা মিয়া (৩২) প্রতিবেশী আমরুজ আলীর ছেলে। তিনি এ অপহরণের ঘটনায় সরাসরি জড়িত বলে দাবি ভুক্তভোগী পরিবারের।
এদিকে, অপহরণের ঘটনায় সোমবার (২১ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাতে দুর্গাপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছে নোমানের বাবা শুক্কর আলী।
অভিযোগটির তদন্ত কর্মকর্তা সাব-ইন্সপেক্টর আব্দুল্লাহ আল ফাহাদ নিখোঁজ ব্যক্তির সন্ধানে সর্বাত্মক চেষ্টা করছেন বলে জানান।
অপহৃত যুবকের বাবা বলেন, “নোমান তার স্ত্রী ও সন্তান নিয়ে গাজীপুর কোনাবাড়ি এলাকায় রিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতো। সে গত ১৭ ফেব্রুয়ারি গ্রামের বাড়িতে বেড়াতে আসে। ওইদিন বিকালে প্রতিবেশী আমরুজ আলীর ছেলে বাদশা মিয়া তাকে চাকরি দেওয়ার কথা বলে ফেনীতে নিয়ে যান।”
সেখান থেকে মুঠোফোনে নোমানকে আটক, শারীরিকভাবে নির্যাতন ও মুক্তিপণের বিষয়টি ছোট বোন নুরজাহানকে জানানো হয়। সেইসঙ্গে ইমোতে (সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম) নোমানের শেকলে বাঁধা ছবি, পলিথিনের ব্যাগে রাখা গাঁজা ও মারধরের একটি ভিডিও পাঠানো হয়।
বাদশা মিয়া ও ফেনীর লাবু মিয়া নামের দু’জনের নেতৃত্বে এ অপহরণের ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি করছে নোমানের স্বজনরা।
যুবক অপহরণের বিষয়টি নিশ্চিত করে দুর্গাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর মাহবুব বলেন, “অপহৃত যুবকের ঘটনাস্থল ফেনী হলেও নিজ বাড়ি দুর্গাপুর উপজেলার পাটলী গ্রামে। ফলে, অপহৃত যুবককে উদ্ধারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করছি। বিষয়টি খুব গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে।”
অন্যদিকে, দুর্গাপুর সার্কেলের পুলিশ সুপার মাহমুদা শারমিন নেলী বলেন, “ঘটনাস্থল অন্য জায়গা হওয়ায় অনেকটা জটিলতা আছে। তবে ওসি সাহেবকে বলে দিচ্ছি। মুক্তিপণদাতার মোবাইল ফোনের লোকেশন নিশ্চিত করে সংশ্লিষ্ট থানায় গিয়ে অপহৃত ব্যক্তিকে উদ্ধারে সহযোগিতা করা হবে।”
এমএসপি