লালমনিরহাটে হঠাৎ শিলাবৃষ্টি!
লালমনিরহাটে প্রায় আধাঘণ্টা ধরে শিলাবৃষ্টি হয়ে গেছে। এতে কৃষকের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানা গেছে। অনেকে বলছেন, শীত মৌসুমের শেষ দিকে এরকম শিলাবৃষ্টি কখনো দেখা যায়নি।
সোমবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যার দিকে হঠাৎ ঝড়ো হাওয়াসহ শিলাবৃষ্টি শুরু হয়। চলে প্রায় ৩০ মিনিট। শিলাবৃষ্টিতে ফসলি জমির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
জানা গেছে, লালমনিহাটের ৫ উপজেলায় সোমবার সকাল থেকে সূর্যের দেখা মেলেনি। সারা দিন ছিল কনকনে শীত আর হিমেল হওয়া। এতে সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ বিপাকে পড়ে। অনেকে ঘর থেকে বেরোতেই পারেনি। রাস্তাঘাটে গাড়ির সংখ্যা ছিল কম।
এদিকে, লালমনিরহাটে সদরের বড়বাড়ি, আদিতমারীর কমলাবাড়ি ও কালীগঞ্জ উপজেলায় ব্যাপক শিলা ও বৃষ্টিপাত হয়েছে। শিলাবৃষ্টির কারণে আলু, পেঁয়াজ, রসুন, গম, ভুট্টা, ইরিধান, তামাক ও আমের মুকুলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
লালমনিরহাটের সদর উপজেলার রাজপুর ইউনিয়নের কৃষক ইসমাইল হোসেন বলেন, “এমন শিলাবৃষ্টি জীবনে দেখি নাই বাহে। আলু, পেঁয়াজ, তামাকের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। পাঁচ বিঘার তামাক আর আলু ক্ষেত নষ্ট হয়ে গেছে। শিলাবৃষ্টির কারণে তামাকের পাতাগুলো ফুটো হয়ে গেছে।”
কালীগঞ্জ উপজেলার চলবালা ইউনিয়নের কৃষক শাহজাহান আলী বলেন, “জমিতে আলু লাগাইছি এই শিলাবৃষ্টিতে আলুর ক্ষতি হয়েছে। আলু আবাদে যে টাকা ব্যয় হয়েছে এ শিলাবৃষ্টির কারণে আলুতে এখন সে টাকা উঠবে না। সব আলু পঁচে নষ্ট হয়ে যাবে।”
আদিতমারী উপজেলার কমলাবাড়ী ইউনিয়নের কৃষক বাহার উদ্দিন বলেন, “বিকাল থেকেই গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হচ্ছিল। সন্ধ্যার দিকে হঠাৎ দমকা হাওয়া বইতে থাকে। এর একটু পরেই শুরু হয় শিলাবৃষ্টি। এতে বিভিন্ন ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।”
লালমনিরহাট জেলা কৃষি অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক শামীম আশরাফ জানান, সদর উপজেলায় ও কালীগঞ্জ উপজেলাসহ বেশ কিছু স্থানে প্রচুর শিলাবৃষ্টি হয়েছে। এতে আলু, ভুট্টা, পেঁয়াজ, রসুন, মরিচ, তামাকসহ কৃষি ফসলের বেশ ক্ষতি হয়েছে। তবে ক্ষতির পরিমাণ এখন বলা সম্ভব নয়।
তিনি আরও বলেন, “উপজেলা কৃষি উপ-সহকারীরা কৃষকের ফসলের ক্ষতির পরিমাণের তালিকা তৈরি করছে। তালিকা হাতে পেলে ক্ষতির পরিমান জানাতে পারবো।”
এমএসপি