রৌমারীতে ইউপি চেয়ারম্যানকে হত্যা চেষ্টার অভিযোগ
কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার যাদুরচর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সরবেশ আলীকে চাইনিজ কুড়াল কুপিয়ে হত্যা চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। পরে স্থানীয়রা আহত অবস্থায় ওই ইউপি চেয়ারম্যানকে উদ্ধার করে রৌমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে তারা মিয়া (৩৪) নামের এক যুবককে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছেন এলাকাবাসী। তিনি উপজেলার যাদুরচর ইউনিয়নের কোমরভাঙ্গী নয়াপাড়া গ্রামের মৃত কদম আলীর ছেলে।
রবিবার ( ২০ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৮টার দিকে ইউপি চেয়ারম্যান সরবেশ আলীর নিজ বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, রবিবার সকালে জমি-জমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে যাদুরচর ইউনিয়নের কোমরভাঙ্গী নয়াপাড়া গ্রামের কদম আলী ছেলে তারা মিয়া পূর্ব পরিকল্পিতভাবে যাদুরচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সরবেশ আলীকে ধারালো চাইনিজ কুড়াল দিয়ে এলোপাথারি কোপায়। এতে জখম হন ইউপি চেয়ারম্যান। পরে তার চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে এসে আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে এবং তারা মিয়াকে আটক করে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে খবর দেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ওই যুবককে উদ্ধার করে এবং ঘটনাস্থল থেকে একটি ধারালো চাইনিজ কুড়াল ও একটি ছুড়ি জব্দ করে পুলিশ।
হামলায় আহত যাদুরচর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সরবেশ আলী বলেন, ‘ওই যুবক চাইনিজ কুড়াল নিয়ে আমার বাড়িতে এসে আমার ওপর আকস্মিকভাবে হামলা চালায়। এ সময় আমার বাম হাতের তালু কেটে যায়। পরে আত্মচিৎকারে স্থানীয় লোকজন ছুটে এসে আমাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন।
এদিকে অভিযুক্ত যুবক তারা মিয়া জানান, ‘আমি তাকে মারতে যাইনি। শুধু ভয় দেখাতে গিয়েছিলাম। এ সময় তার লোকজন আমাকে ধরে বেদম মারপিট করেন।
তিনি আরো বলেন, চেয়ারম্যান আমার আপন চাচাতো ভাই। তার কাছে আমাদের শরিকানা জমি রয়েছে। সেই জমি বের করে দেওয়ার কথা বলে দীর্ঘ ২৫ বছর ধরে আমাকে ঘুরাচ্ছেন।’
রৌমারী উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসক মুক্তারুল ইসলাম বলেন, ওই চেয়ারম্যানের বাম হাতে চাইনিজ কুড়ালের আঘাতের ফলে জখম হয়েছে। তার হাতে সাতটি সেলাই দেওয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে রৌমারী থানার ওসি মোন্তাছের বিল্লাহ বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ তারা মিয়া নামের এক যুবককে উদ্ধার করে এবং ঘটনাস্থল থেকে একটি ধারালো চাইনিজ কুড়াল ও একটি ছুড়ি জব্দ করে।
এসআইএইচ