মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪ | ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

৭০ বছর পর কষ্টের কথা জানালেন রংপুরের ভাষাসৈনিক আফজাল

সারাদেশ যখন রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে উত্তাল সে সময় বসে ছিল না রংপুরের দামাল ছেলেরা। রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে রাজপথে মিছিল-মিটিং সমাবেশ করে জানিয়েছে তীব্র প্রতিবাদ। তাদের একজন রংপুরে বাংলা ভাষা আন্দোলনের নিবেদিত প্রাণ মোহাম্মদ আফজাল। ইংরেজি ১৯৪৭ সালে ভারত বিভক্ত হয়ে পাকিস্তানের জন্ম হওয়ার পরপরই পূর্ব পাকিস্তানের রাষ্ট্রীয় ভাষার দাবিতে শুরু হওয়া আন্দোলনের সঙ্গে প্রথম থেকে আন্দোলনে সম্পৃক্ত ছিলেন তিনি। বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের কর্মী হিসেবে তার রাজনীতির হাতেখড়ি। এই সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতাদের তিনি একজন। দীর্ঘদিন ছিলেন গণতন্ত্রী পার্টির কেন্দ্রীয় সভাপতি। একটানা দু‘বার রংপুর পৌরসভার নির্বাচিত চেয়ারম্যান ছিলেন। ১৯৫২’র রক্ত ঝরা দিনগুলো নিয়ে তিনি সাংবাদিকদের কাছে স্মৃতিচারণ করেন রংপুরের ভাষাসৈনিক ও সংগঠক মোহাম্মদ আফজাল।

 

অতিতের স্মৃতিচারণ করে তিনি বলেন, ১৯৪৭ সালে ছিলেন রংপুর জিলা স্কুলের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র। পাকিস্তানের রাষ্ট্র ভাষা উর্দূ ঘোষণার পর থেকে ১৯৪৮ সালে রংপুর জিলা স্কুল থেকে মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশে অংশ নিতে আসতেন রংপুরের ঐতিহ্যবাহী পাবলিক লাইব্রেরি মাঠে। ১৯৫২ সালের একুশে ফেব্রুয়ারি ঢাকায় ছাত্র মিছিলের ওপর গুলি বর্ষণের খবর রংপুরে সন্ধ্যার দিকে ছড়িয়ে পড়ে। বিক্ষুব্ধ ছাত্রসমাজ প্রতিবাদে এবং রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে রাতেই মিছিল নিয়ে শহর প্রদক্ষিণ করে। পুলিশের অবিরাম লাঠিচার্জে মিছিল ছত্রভঙ্গ হয়ে যায় সেই মিছিল। রংপুরের অনেক তরুণ ছাত্র সেদিন মিছিলে অংশ নিয়েছিলেন। ২২ ফেব্রুয়ারি কারমাইকেল কলেজে প্রতিবাদ সভা হয় এবং পুনরায় এক বিরাট মিছিল নিয়ে শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। এ মিছিলটিকে ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করেছিল পুলিশ। কিন্তু বাধা উপেক্ষা করে মিছিলটি সারা শহর প্রদক্ষিণ করে। এরপরে প্রতিদিনই কারমাইকেল কলেজে প্রতিবাদ সভা হতো বেরুতো মিছিল।

মোহাম্মদ আফজাল জানান, সে সময় তিনি মেট্রিক পরীক্ষার্থী হিসেবে জিলা স্কুল থেকে মিছিলে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। এরপর তিন দিন রংপুরে সর্বাত্মক হরতাল পালিত হয়। তিনি সব সময় মিছিলের সামনে থেকে বাংলা ভাষার আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন। তিনি বলেন, রংপুরে ভাষা আন্দোলনের মূল বিরোধিতাকারী ছিলেন কারমাইকেল কলেজের তৎকালীন অধ্যক্ষ শাহাব উদ্দিন। ছাত্রদের মিছিল, সভা-সমাবেশ করতে দিতেন না। ভাষা আন্দোলন সম্পর্কিত কোথাও কোনো পোস্টার কিংবা দেয়াল লিখন দেখলেই পিয়নদের হুকুম দিয়ে ছিঁড়ে কিংবা মুছে ফেলাতেন। এমনকি ভাষা আন্দোলন করার অভিযোগে কলেজের দু’জন অধ্যাপককে গ্রেপ্তার করান তিনি এবং একজনের নামে জারি করান গ্রেপ্তারি পরোয়ানা। এছাড়াও তিনি কলেজের কয়েকজন ছাত্রকে কলেজ থেকে বহিষ্কারের আদেশ দিয়ে নোটিস দেন এবং অনেকের জরিমানা করেন। এ বিষয়টি তিনি পত্র দিয়ে জানিয়ে দিতেন ছাত্রদের অভিভাবকদের।

সহযোদ্ধাদের স্মৃতিচারণ করে মোহাম্মদ আফজাল বলেন, ১৯৫২ সালে কারমাইকেল কলেজ হয়ে ওঠে রংপুরে সংঘটিত ভাষা আন্দোলনের কেন্দ্রবিন্দু। আন্দোলনে তখন নেতৃত্ব দিতেন মতিউর রহমান, আলতাব হোসেন, মোহাম্মদ আফজাল, আজিজুর রহমান, সুফী মোতাহার হোসেন, তোফাজ্জল হোসেন, শাহ আবদুর রাজ্জাক, আশরাফ হোসেন বড়দা, শামসুল হুদা, শাহ আবদুল বারী, শাহ তবিবর রহমান প্রধানসহ আরও অনেকে।

১৯৫২ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে রাষ্ট্র ভাষার দাবিতে কারমাইকেল কলেজে প্রতিদিনই চলে সভা-সমাবেশ। ধীরে ধীরে এ প্রতিবাদী কর্মসূচি ছড়িয়ে যায় বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বিভিন্ন কর্মসূচিতে যোগ দিতে থাকেন সাধারণ মানুষ। একপর্যায়ে ৫২ পরবর্তী শহিদ দিবস উদযাপনে ১৯৫৬ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি ঐক্যবদ্ধ তৎপরতায় এক রাতের শ্রমে রংপুর পাবলিক লাইব্রেরি মাঠে কাদামাটি দিয়ে তৈরি হয় প্রথম শহিদ মিনার। রংপুরে প্রথম শহিদ মিনার নির্মাণের দুঃসাহসিক রাতের স্মৃতি এখনো দোলা দেয় ভাষা সৈনিক মোহাম্মদ আফজাল হেসেনের হৃদয়ে।

তিনি বলেন, রংপুর পাবলিক লাইব্রেরি মাঠের মাঝখানে রাতের আঁধারে ছাত্র ইউনিয়ন, ছাত্রলীগ ও যুবলীগের যৌথ উদ্যোগে ভাষা আন্দোলনের বীর শহিদদের স্মরণে স্মৃতির এই মিনার নির্মাণ করা হয়। সেই দিনটি ছিলো ১৯৫৬ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি। অসীম সাহস আর মনোবল নিয়ে সেদিন ছাত্র নেতারা নিজেরাই ইট-বালু, কাঁদা মাটি আর সিমেন্ট সংগ্রহ করেছিলেন। তাদের প্রচেষ্টায় রাতারাতি পাবলিক লাইব্রেরি ভবনের হলরুমের ঠিক সামনে ছোট আকারে মাথা তুলে দাঁড়ায় শহিদ মিনার।

প্রবীণ এই ভাষাসৈনিক বলেন, ১৯৫২তে রংপুরে ভাষা আন্দোলন হলেও ৫৬ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি ভাষাসৈনিক তবিবর রহমানের বাড়িতে শহিদ মিনার নির্মাণের উদ্দেশ্যে আমিনুল ইসলাম, খয়রুল ইসলাম, নজমুল আলম হেবিন, ছোট ভাই জেবিন, গোলাম রব্বানী বুলবুল, মকদুসার রহমান, সুফী মোতাহার হোসেন, আনিছুল হক পেয়ারাসহ আরও অনেকের উপস্থিতিতে আলোচনা সভা হয়। এতে ছাত্র ইউনিয়ন, ছাত্রলীগ, যুবলীগ মিলে যৌথ কমিটি করে ওই দিন রাতেই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে শুরু হয় তোড় জোড়। সে দিন রংপুর শহরের গুপ্তপাড়া নিউ ক্রস রোডের ডাক্তার মোজাহার হোসেনের বাড়ির সামনে থেকে কিছু ইট এবং বিভিন্ন স্থান থেকে আরও ইট সংগ্রহ করা হয়। সিমেন্ট হিসেবে প্রথমে ব্যবহার করা হয় তৎকালীন রংপুর পৌরসভার পুকুরের কাদা মাটি। এভাবেই রাতের আঁধারে নির্মিত হয় রংপুরের প্রথম শহিদ মিনার।

তিনি আরও বলেন, শহিদ মিনার নির্মাণের বিষয়টি জানাজানি হলে পরদিন সূর্যোদয়ের আগেই পাবলিক লাইব্রেরি মাঠে রংপুরের আপামর ছাত্র-জনতার জমায়েত হয়। ভোর বেলা অস্থায়ী সেই শহিদ মিনার ফুলে ফুলে ভরে যায়। সেদিন সবাই শহিদদের উদ্দেশে সেখানে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামের শপথ নিয়েছিলেন। পরবর্তীতে রংপুরের নেতৃস্থানীয় রাজনীতিকদের উদ্যোগে ইটের গাঁথুনি দিয়ে একটি শহিদ মিনার নির্মিত হয়। মুক্তিযুদ্ধ শুরুর আগ পর্যন্ত এটাই ছিল রংপুরের প্রথম কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার।

তিনি বলেন, ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি হায়েনাদের সঙ্গে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের সময় শহিদ মিনার গুড়িয়ে দেয় পাক সেনারা। পরে সম্মুখযুদ্ধ শেষে বাংলাদেশ স্বাধীন হলে ১৯৭৭ সালে পূর্ণাঙ্গ শহিদ মিনার নির্মাণের উদ্যোগ নেয় তৎকালীন পৌর পরিষদ। দেশের প্রখ্যাত স্থপতি রংপুরের পীরগঞ্জের টিআইএম নুরুন্নবী চৌধুরী ওরফে তাজু চৌধুরীর স্থাপত্য নকশা ও তত্ত্বাবধানে ১৯৮০ সালে বর্তমান শহিদ মিনারটির নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়।

 মোহাম্মদ আফজাল বলেন, রাষ্ট্রভাষা বাংলার জন্য যে আন্দোলন হয়েছিল, সেই আন্দোলন বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের বীজ বপন করেছিল। ভাষা আন্দোলন সফল না হলে এত দ্রুত স্বাধীনতা পেতাম না।দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, এখন দেশ স্বাধীন। স্বাধীনতার সূর্বণজয়ন্তী হয়েছে। দেশের অনেক উন্নয়ন হয়েছে। কিন্তু সর্বক্ষেত্রে বাংলা ভাষার প্রচলন হয়নি। এখনো ইংরেজিতে বিচার বিভাগে রায় লেখা হয়, বড় বড় প্রতিষ্ঠানে ইংরেজি লেখা সাইনবোর্ড ব্যবহার হয়। ভাষা আন্দোলনের ৭০ বছর পরও এসব দেখা আমাদের জন্য কষ্টের।এখনো অনেক পরিবারের অভিভাবক ছেলে-মেয়ের বিয়ের কার্ড ইংরেজিতে ছাপান। কার্ডতো যাচ্ছে বাঙালিদের কাছে। বাংলা জানেন না এমন কতজনের কাছে কার্ড যাচ্ছে? এটা এক ধরনের হীনমন্যতা। এই হীনমন্যতা নিয়ে কোনো জাতি গড়ে উঠতে পারে না। বয়সের ভারে ধীরে ধীরে  নুইয়ে পড়লেও সেই বায়ান্ন-একাত্তরের তেজোদীপ্ত মনোবল যেন এখনো রয়েছে তার। অবসরে বই, পত্রিকা পড়েন, টিভি দেখেন।ভাষা আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন করতে গিয়ে সংগ্রামী, নির্লোভ এই কিংবদন্তি রাজনীতিবিদ এখনো চির কুমার। বিয়ে করা হয়ে ওঠেনি। রংপুর নগরীর মুন্সিপাড়ায় এখন নিজ বাড়িতে একা থাকেন। বার্ধক্যের কারণে শরীর ভেঙে পড়েছে। স্ত্রী-সন্তান না থাকায় নিকটত্মীয়রা তার তদারকি করেন। 

 

 

 

 

 

Header Ad

চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের জামিন নামঞ্জুর, আদালতে প্রেরণ

ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র ও পুণ্ডরীক ধর্মের অধ্যক্ষ চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) সকাল পৌনে ১২টার দিকে চট্টগ্রাম ৬ষ্ঠ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক কাজী শরীফুল ইসলাম এ আদেশ দেন।

এর আগে সোমবার (২৫ নভেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র ও পুণ্ডরীক ধামের অধ্যক্ষ চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে রাজধানীর বিমানবন্দর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। তারপর দিবাগত রাত ১২টার বিশেষ স্কটে চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা (ডিবি) কার্যালয় রাখা হয়। ‌চট্টগ্রামে তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের একটি মামলা রয়েছে। সে মামলায় তাকে আজ দুপুরে আদালতে তোলা হবে।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশ সনাতন জাগরণ মঞ্চ গত ২৫ অক্টোবর চট্টগ্রামে সমাবেশ করে। চিন্ময় কৃষ্ণ দাস এই মঞ্চেরও মুখপাত্র। ওই সমাবেশের পরপরই তার বিরুদ্ধে জাতীয় পতাকা অবমাননার অভিযোগ এনে চট্টগ্রামে একটি রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা করেন বিএনপি নেতা ফিরোজ খান ।

সম্প্রতি বাংলাদেশ সনাতন জাগরণ মঞ্চ ও বাংলাদেশ সম্মিলিত সংখ্যালঘু জোট নামে দুটি সংগঠন ‘বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের’ ব্যানারে কর্মসূচি পালন শুরু করে। নতুন এই জোটের মুখপাত্র করা হয় চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে। কয়েক দিন এই জোট আট দফা দাবিতে রংপুরে সমাবেশ করেছে।

পুনশ্চ, অন্যদিকে সম্প্রতি চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে বহিষ্কার করেছে ইসকন (আন্তর্জাতিক কৃষ্ণভাবনামৃত সংঘ) বাংলাদেশ।

Header Ad

ইমরান খানের মুক্তির দাবিতে উত্তাল পাকিস্তান, নিহত ছয়

ছবি: সংগৃহীত

সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের মুক্তি ও সরকারের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভে উত্তাল পাকিস্তান। তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) ডাকা এ আন্দোলনে ছয়জন নিহত হয়েছেন বলে খবর পাওয়া য়ায়। নিহতদের মধ্যে চারজন দেশটির আধাসামরিক বাহিনী রেঞ্জার্সের সদস্য এবং অন্য দুজন পুলিশ কর্মকর্তা। এছাড়া উত্তাল পাকিস্তানে আহত হয়েছেন আরও শতাধিক পুলিশ সদস্য। বিক্ষোভ ও মিছিলে কার্যত অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে দেশটির রাজধানী। এমন অবস্থায় রাজধানী ইসলামাবাদে সেনাবাহিনী মোতায়েন করেছে দেশটির শেহবাজ সরকার।

মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম জিও নিউজ এই তথ্য জানিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) বিক্ষোভে ক্রমবর্ধমান সহিংসতার মধ্যে কেন্দ্রীয় সরকার রাজধানী ইসলামাবাদে সেনা মোতায়েন করেছে। দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে সামরিক বাহিনীকে শৃঙ্খলা বজায় রাখতে এবং দুর্বৃত্তদের কঠোরভাবে মোকাবিলায় সহায়তা করার অনুমতি দিয়েছে।

তবে সব বাধা উপেক্ষা করে গতকাল সোমবার রাজধানী ইসলামাবাদের উপকণ্ঠে পৌঁছে গেছে পিটিআই নেতা-কর্মীদের গাড়িবহর। ইমরান খানের মুক্তির দাবিতে চলমান বিক্ষোভের জেরে দুদিন ধরে উত্তেজনা বিরাজ করছে পাকিস্তানজুড়ে। বিক্ষোভকারীদের আটকে দেয়ার লক্ষ্যে ইসলামাবাদের আশপাশের সব মহাসড়কে তৈরি করা হয়েছে ব্যারিকেড। এরই মধ্যে পিটিআইয়ের পাঁচ এমপিসহ চার হাজার নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

ইসলামাবাদে পার্লামেন্ট অভিমুখে পিটিআইয়ের এবারের পদযাত্রাকে “চূড়ান্ত আহ্বান” বলে অভিহিত করেছেন ইমরান খান। গত বছরের আগস্টে পিটিআইয়ের এই প্রতিষ্ঠাতাকে কারাগারে পাঠানোর পর থেকে তার মুক্তির দাবিতে আন্দোলন করে আসছে দলটি।

Header Ad

কুমিল্লায় ট্রেনের ধাক্কায় অটোরিকশার ৫ যাত্রী নিহত

ছবি: সংগৃহীত

কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার কালিকাপুর এলাকায় ট্রেনের ধাক্কায় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার ৫ যাত্রী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও অন্তত ৩ জন।

মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) সকাল ১০টায় উপজেলার কালিকাপুর রেল ক্রসিংয়ে এ দুর্ঘনা ঘটে।

বুড়িচং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজিজুল হক জানিয়েছেন, চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা চট্টলা এক্সপ্রেস বুড়িচং উপজেলার কালিকাপুর এলাকায় একটি অবৈধ ক্রসিং দিয়ে পার হওয়ার সময় যাত্রীবাহী অটোরিকশাকে ধাক্কা দেয়। এতে অটোরিকশার চার যাত্রী ঘটনাস্থলেই নিহত হন। হাসপাতালে নেওয়ার পথে আরেক যাত্রীর মৃত্যু হয়। আহত হয়েছেন আরো অন্তত তিনজন।

নিহতরা হলেন- বুড়িচং উপজেলার বাকশিমুল গ্রামের রফিক মিয়া, লুৎফা বেগম, সানু মিয়া, সফরজান বেগম ও সাজু মিয়া।

ওসি আরো জানান, ট্রেনের ধাক্কায় নিহতদের দেহ ছিন্ন-ভিন্ন হয়ে গেছে। রেলওয়ে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়েছে। তারা এসে আইনি প্রক্রিয়া শেষ করবেন।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের জামিন নামঞ্জুর, আদালতে প্রেরণ
ইমরান খানের মুক্তির দাবিতে উত্তাল পাকিস্তান, নিহত ছয়
কুমিল্লায় ট্রেনের ধাক্কায় অটোরিকশার ৫ যাত্রী নিহত
সিএমপি হেফাজতে ইসকনের চিন্ময় কৃষ্ণ, তোলা হবে আদালতে
মুরগির বাচ্চায় সিন্ডিকেট, দৈনিক হাতিয়ে নিচ্ছে ৯ কোটি টাকা
দেশের বাজারে স্বর্ণের নতুন দাম আজ থেকে কার্যকর
খালেদা জিয়াকে উমরাহ পালনের আমন্ত্রণ সৌদির
লঘুচাপটি নিম্নচাপে পরিণত, চার সমুদ্র বন্দরে সতর্কতা জারি
ইসকন নেতা চিন্ময়ের মুক্তির দাবিতে বাংলাদেশ সীমান্তে অবরোধের হুমকি পশ্চিমবঙ্গ বিজেপির
বিশ্ববাজারে ৩ শতাংশেরও বেশি কমলো স্বর্ণের দাম
সব ছাত্রসংগঠনের সমন্বয়ে ‘জাতীয় ছাত্র সংহতি সপ্তাহ’ পালনের ঘোষণা
গাজায় একদিনে ২৪ জন নিহত
৯ বছর পর খালেদা জিয়ার সঙ্গে সৌদি রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ
ইসকন নেতা চিন্ময়কে গ্রেপ্তার নিয়ে যা বললেন প্রেস সচিব
বেনাপোলে টানা ৪ দিন বন্ধ রয়েছে দূরপাল্লার সকল পরিবহন
৮ হাজার শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে পুলিশের মামলা
ঋণ দেওয়ার নামে শাহবাগে লোক জড়ো করা মোস্তফা আমীন আটক
সেন্ট মার্টিনে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচলের অনুমতি
আইপিএলে দল পেলেন না মুস্তাফিজুর রহমান
টাঙ্গাইলে আওয়ামী লীগ নেতা আজাহার গ্রেফতার