ভোটাধিকার কেড়ে নিয়ে প্রতারিত করা হয়েছে: মির্জা ফখরুল
২০১৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর মধ্যরাতের নির্বাচনে ভোটাধিকার কেড়ে নিয়ে জনগণকে প্রতারিত করা হয়েছে, যা খোলাখুলি কারচুপির এক ব্যতিক্রমী ন্যাক্কারজনক নজির বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, 'গণতন্ত্রকে সমাহিত করে এই দুঃশাসন দীর্ঘায়িত করতে অবৈধ শক্তির জোরে সাজানো মিথ্যা মামলায় জনগণের প্রিয় নেত্রী খালেদা জিয়াকে অন্যায়ভাবে সাজা দিয়ে বন্দি করে রাখা হয়েছে প্রবল প্রতিহিংসা পূরণে। তার সকল মৌলিক অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে।'
রবিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) মহান শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বাণীতে তিনি এসব কথা বলেন।
ফখরুল বলেন, 'আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি-একুশের চেতনার উত্তরাধিকারী হয়ে এদেশের সংগ্রামী মানুষকে সঙ্গে নিয়ে আমরা স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব সুরক্ষা ও মৃতপ্রায় গণতন্ত্র পুণরুজ্জীবিত করতে অতিশীঘ্র বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে মুক্ত করবই।
বাণীতে বলা হয়, শহীদের মহিমান্বিত অবদানের কারণে অমর একুশে ফেব্রুয়ারি এখন আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে সারাবিশ্বে পালিত হচ্ছে। জাতি হিসেবে এটা আমাদের জন্য অত্যন্ত গর্বের বিষয়। আমাদের ভাষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতিকে অধিকতর সমৃদ্ধশালী করে তুলতে সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে, যাতে আবহমান বাংলার ইতিহাস-ঐতিহ্যের পরম্পরায় সমৃদ্ধ সংস্কৃতিসম্পন্ন জাতি হিসেবে আমরা বিশ্ব সভায় মাথা উচুঁ করে দাঁড়াতে পারি।
৫২ এর ভাষা আন্দোলনের বীর শহীদদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘৫২ এর ভাষা আন্দোলনে বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে গণদাবির চূড়ান্ত প্রকাশ ঘটায় ছাত্ররা। অধিকার আদায় ও অন্যায়-অবিচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী হতে ভাষা শহীদগণ আমাদের প্রেরণার উৎস। মাতৃভাষার জন্য জীবন উৎসর্গ করে তারা আত্মত্যাগের যে গৌরবদীপ্ত দৃষ্টান্ত স্থাপন করে গেছেন তার ফলাফল হয়েছে সুদুরপ্রসারী। পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন আন্দোলন-সংগ্রামে তা আমাদেরকে অনুপ্রাণিত করেছে। তাদের আত্মত্যাগের ধারাবাহিকতায় গণতান্ত্রিক ও স্বাধিকার আন্দোলনের পথ বেয়ে আমরা ঝাঁপিয়ে পড়েছিলাম স্বাধীনতা যুদ্ধে। অর্জিত হয়েছে স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ। সেই চেতনা নস্যাৎ করে একদলীয় শাসনের জগদ্দল পাথর আজ জনগণের কাঁধের ওপর চাপানো হয়েছে।
এমএইচ/টিটি/