দ্রুত এগোচ্ছে খুলনা-মোংলা রেললাইন প্রকল্পের কাজ
দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে খুলনা-মোংলা রেললাইন নির্মাণ প্রকল্পের কাজ। প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানান, করোনার বড় ঢেউয়ে কাজে একটু ভাটা পড়লেও আবার গতি ফিরেছে প্রকল্পে।
ইতোমধ্যে রেললাইন, টেলিকমিউনিকেশন সিগন্যালিং ও রূপসা নদীতে রেলসেতু নির্মাণসহ প্রকল্পের সার্বিক ভৌত অগ্রগতি হয়েছে ৯০ শতাংশ।
বাকি কাজ শেষ করতে আগামী ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় লাগছে বলে জানান কর্মকর্তারা।
প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারিত হবে কয়েকগুণ।
জানা যায়, যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন ও মোংলা বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বন্দরকে সংযুক্ত করে খুলনা মোংলা রেললাইন প্রকল্প গ্রহণ করে সরকার। ২০১০ সালের ২১ ডিসেম্বর জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় প্রকল্পটি অনুমোদন পায়। জমি অধিগ্রহণ, রেললাইন ও রেলসেতু নির্মাণসহ সমগ্র প্রকল্পে ব্যয় ধরা হয় ৩ হাজার ৮০১ কোটি ৬১ লাখ টাকা। এরপর পাঁচ বার সময় বাড়িয়ে সর্বশেষ ২০২২ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় বৃদ্ধির প্রস্তাব অনুমোদিত হয়েছে।
এরই সঙ্গে ব্যয় বেড়ে হয়েছে ৪ হাজার ২৬১ কোটি টাকা। অর্থনীতিতে রেলসেতু তৈরির ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান লারসেন অ্যান্ড টুব্রোর ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিলেশন ম্যানেজার সুব্রত বলেন, ‘সেতুর কাজ ৯৫ শতাংশ শেষ হয়েছে।’
পাইলিংয়ের কাজ প্রায় শেষ। এরপর মাত্র দুইটা স্প্যান জোড়া লাগবে। সব মিলিয়ে আগামী চার মাসের মধ্যে সেতু নির্মাণ সম্পন্ন হবে।
প্রকল্প পরিচালক আরিফুজ্জামান জানান, রেলপথের কিছু অংশ, রেলসেতুর ৫ শতাংশ ও ফিনিসিং ওয়ার্ক বাকি আছে। তবে নতুন ডিজাইনে ৯টি রোড আন্ডারপাস নির্মাণ, পাইলের সংখ্যা-লেন বৃদ্ধি ও মাটির কাজসহ নতুন কিছু কাজ সংযোজন হয়েছে।
সময় বৃদ্ধির কারণ সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘করোনাকালে ভারত থেকে মালামাল আসতে ও নানা সঙ্কটে শুরুতেই নির্মাণ কাজে বিলম্ব হয়েছে।’
খুলনা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির পরিচালক চৌধুরী মিনহাজ-উজ-জামান সজল বলেন, প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে মোংলা বন্দরের গতি আরও সঞ্চার হবে। সম্ভাবনার শতাংশ কাজ বেড়েছে। বর্তমানে খুলছে অবকাঠামো কাজ ৯০ শতাংশ শেষ পশ্চিমাঞ্চলে হয়েছে।
২০২২ সালের ডিসেম্বরের মোংলা বন্দরের সঙ্গে যুক্ত হবে উত্তর অঞ্চলের পঞ্চগড় ও বাংলাবান্ধা হয়ে ভারতের শিলিগুড়ির রেল যোগাযোগ। ফলে কম খরচে ভারত, নেপাল ও ভুটানে মালামাল পরিবহন সহজ হবে। এতে করে আমদানি-রপ্তানি বৃদ্ধির সঙ্গে কন্টেনার সার্ভিসও বাড়বে।
এমএসপি