প্রেম আটকায়নি কাঁটাতারে, ভারতীয় তরুণী পঞ্চগড়ে
প্রতীকী ছবি
কথায় আছে ‘প্রেম মানে না কোনো বাধা।’ কথাটি আবারও সত্য বলে প্রমাণিত হয়েছে। প্রেমের টানে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত থেকে বাংলাদেশের পঞ্চগড়ে চলে আসে খুসনামা (১৭) নামে এক তরুণী।
বুধবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাতে সে ভারতের মুড়িখাওয়া সীমান্ত দিয়ে পঞ্চগড়ের তেতুঁলিয়া থানা এলাকায় আসে। তার বাড়ি পশ্চিমবঙ্গের গোয়ালপুকুর থানার হরিয়ানা গ্রামে।
সে ওই এলাকার মো. ইসরাইল হোসেনের মেয়ে।
খুসনামা বাংলাদেশে প্রবেশের পর তেতুঁলিয়া সদর ইউনিয়নের সর্দারপাড়া গ্রামের হাসিনুর রহমান নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে তার পরিচয় হয়। পরে তিনি খুসনামাকে তার বাড়িতে নিয়ে যান।
বৃহস্পতিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে স্থানীয়রা জানতে পারে, হাসিবুলের বাড়িতে ভারতীয় এক তরুণী এসেছে। পরে বিষয়টি তারা তেতুঁলিয়া মডেল থানায় জানায়।
খবর পেয়ে দুপুরে তেতুঁলিয়া মডেল থানা পুলিশ হাসিবুলের বাড়ি থেকে ওই তরুণীকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
এদিকে, প্রেমিকা খুসনামা তেতুঁলিয়ায় এসেছে জেনে থানায় ছুটে যান প্রেমিক আব্দুল লতিফ ওরফে রকিব (২১)। প্রেমিকাকে পুলিশ হেফাজতে দেখে হাউমাউ করে কাদঁতে শুরু করেন রকিব।
এ সময় রকিব খুসনামাকে নিজের প্রেমিকা বলে দাবি করে জানান, তিন মাস আগে ভারতে তাদের বিয়েও হয়েছে। তবে বিয়ে সংক্রান্ত কোনো কাগজপত্র দেখাতে পারেননি তিনি।
তেতুঁলিয়া থানা সূত্রে জানা যায়, ঠাকুরগাঁও জেলার বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার রতনদিঘী এলাকার ইসরাইলের ছেলে রকিব জীবিকার তাগিদে ভারতের কেরালা রাজ্যে গিয়েছিলেন। সেখানে একটি খাবারের হোটেলে শ্রমিকের কাজ শুরু করেন তিনি। ওই হোটেলে খুসনামার বড় ভাইও কাজ করতেন। সে সুবাদে রকিব তরুণী খুসনামাদের বাসায় যাতায়াত করতেন। এভাবে রকিবের সঙ্গে খুসনামার পরিচয়। পরে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। দীর্ঘ ৮ বছর ধরে চলে তাদের প্রেম।
তিন মাস আগে ভারতে তাদের বিয়ে হয়েছে বলে জানা যায়। এরপর লতিফ বাংলাদেশে চলে আসেন।
এ বিষয়ে তেতুঁলিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু সায়েম মিয়া জানান, ভারতীয় তরুণী খুসনামা ও বাংলাদেশি তরুণ রকিবের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তাদের মধ্যে দীর্ঘ দিনের প্রেমের সম্পর্ক আছে।
গত তিন মাস আগে ভারতে নিজেদের বিয়ে হয়েছে দাবি করলেও কোনো বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারেনি তারা।
খুসনামাকে বিজিবি-বিএসএফের পতাকা বৈঠকের মাধ্যেমে ভারতে পাঠানোর চেষ্টা চলছে বলে জানান ওসি সায়েম।
এমএসপি