যশোরে যুবলীগ কর্মী হত্যা: খুলনায় ২ ভাই গ্রেপ্তার
যশোরে যুবলীগ কর্মী ইয়াসিন আরাফাত ইয়াসিন (২৮) হত্যার ঘটনায় জড়িত ২ জনকে খুলনা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) ভোরে খুলনার শিরোমনী এলাকার একটি ক্লিনিক থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
গ্রেপ্তাররা হলেন- শহরের শংকরপুর এলাকার দুই ভাই রানা এবং রুবেল। আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেন যশোর ডিবি পুলিশের ওসি রূপন কুমার সরকার।
এর আগে বুধবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে শহরের শংকরপুর চোপদারপাড়া ব্রাদার্স ক্লাবের ভেতর ইয়াসিনকে উপর্যুপরি কুপিয়ে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। বৃহস্পতিবার সকালে মরদেহ ময়না তদন্ত শেষে নিহতের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
এদিকে ইয়াসিন হত্যার প্রতিবাদে শহরে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে জেলা যুবলীগ। এ সময় ঘাতকদের দ্রুত ফাঁসির দাবি জানান বিক্ষোভকারীরা।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, বুধবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) শংকরপুর চোপদারপাড়া এলাকার মনিরুজ্জামান মনির ছেলে ইয়াসিন রাত সাড়ে ৮টার দিকে শংকরপুর চোপদারপাড়াস্থ রেললাইন সংলগ্ন ব্রাদার্স ক্লাবের ভেতর কয়েকজন সঙ্গীর সঙ্গে খেলা করছিলেন। এ সময় কোনোকিছু বুঝে ওঠার আগেই একদল সন্ত্রাসী সেখানে ঢুকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে চলে যায়।
পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে নিলে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতের শ্বশুর শামীম আহমেদ মানুয়া বলেন, “একই এলাকার স্বর্ণকার রানা এবং তার ভাই রুবেলসহ একদল সন্ত্রাসী ক্লাবঘরের ভেতর ঢুকে ইয়াসিনকে কুপিয়ে হত্যা করেছে।”
যশোর ডিবি পুলিশের ওসি রূপন কুমার সরকার জানান, ইয়াসিন হত্যার ঘটনায় দুই ভাই স্বর্ণকার রানা এবং রুবেলকে খুলনা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বর্তমানে তারা যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি আছেন। এ ঘটনায় যশোর কোতোয়ালী থানায় মামলা হয়েছে।
এমএসপি