উখিয়ায় ১৯১ ভরি স্বর্ণালংকারসহ পাচারকারী আটক
কক্সবাজারের উখিয়ায় পালংখালী সীমান্ত এলাকা থেকে ১৯১ ভরি স্বর্ণালংকারসহ এক পাচারকারীকে আটক করেছে র্যাব। উদ্ধারকৃত স্বর্ণের মূল্য এক কোটি ২৬ লাখ টাকা।
আটক পাচারকারী টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং ইউনিয়নের মনিয়াঘোনা এলাকার ঠান্ডা মিয়ার ছেলে করম আলী ওরফে করিম (৩৭)।
বৃহস্পতিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টায় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান র্যাব-১৫ কক্সবাজার ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল খাইরুল ইসলাম সরকার।
জানা গেছে, বুধবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে উখিয়া উপজেলার পালংখালী সীমান্ত দিয়ে মিয়ানমার থেকে স্বর্ণের বড় একটি চালান পাচারের সংবাদ পায় র্যাব। এ সংবাদের ভিত্তিতে পালংখালী এলাকায় অস্থায়ী তল্লাশি চৌকি স্থাপন করে অভিযান শুরু করে র্যাব সদস্যরা। এর এক পর্যায়ে তল্লাশি চৌকির সামনে আসা এক ব্যক্তির গতিবিধি ও আচরণ সন্দেহজনক মনে হলে তাকে থামতে নির্দেশ দেন তারা। তবে আটককৃত ব্যক্তি পালানোর চেষ্টা করে। পরে ধাওয়া দিয়ে তাকে আটক করা হয়।
এ সময় তল্লাশি করে ওই ব্যক্তির শরীরে বহন করা অবস্থায় ৬টি স্বর্ণের বার, ৪টি নেকলেস, ৩৩টি গলার চেইন, ১৭টি চুড়ি, ৩৫ জোড়া কানের দুল, ১৫টি লকেট, ১২টি নাকফুল ও ১৬টি আংটিসহ ১৯১ ভরি ৬ আনা ওজনের স্বর্ণালংকার পাওয়া যায়। এসব স্বর্ণের আনুমানিক মূল্য ১ কোটি ২৬ লাখ ৯ হাজার ৪৫৯ টাকা। এ ছাড়াও তার কাছ থেকে মিয়ানমারের মোবাইল অপারেটর কোম্পানির ২টি এবং বাংলাদেশি ২ টি সিম কার্ড জব্দ করা হয়েছে। এসব সিম কার্ড পাচার কাজে ব্যবহার করা হয়।
এ ব্যাপারে র্যাব অধিনায়ক কর্নেল খাইরুল ইসলাম সংবাদমাধ্যমকে বলেন, সীমান্তে সংঘবদ্ধ একটি চক্র দীর্ঘদিন ধরে স্বর্ণ চোরাচালানের সঙ্গে জড়িত। আটককৃত ব্যক্তি স্বর্ণের চালানটি উখিয়ার পালংখালী ইউনিয়নের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে নিয়ে যাচ্ছিল। স্বর্ণ চোরাচালানের সঙ্গে রোহিঙ্গাদের পাশাপাশি স্থানীয় একটি চক্রও জড়িত। আটককৃত ব্যক্তির বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইনে উখিয়া থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
টিটি/এসআইএইচ