আইসিইউয়ের চিকিৎসকের প্রাণ গেল আইসিইউতে
থেমে গেল অসংখ্য মানুষের জীবন বাঁচানো চিকিৎসক সামিনা আক্তারের জীবন। তিনি আর ফিরবেন না কোনো দিন। পরম মমতায় হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রের রোগীদের আর স্পর্শ করবেন না।
বৃহস্পতিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এর আগে মঙ্গলবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) রাত ১০টার দিকে নগরীর রেডিসন ব্লু হোটেলের সামনে দুর্ঘটনায় আহত হন তিনি। তখন থেকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিউ) ছিলেন লাইফ সাপোর্টে।
চমেক হাসপাতালের নিউরোসার্জারি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. নোমান খালেদ চৌধুরী বলেন, সামিনার মাথার আঘাত ছিল মারাত্মক। তার বুকের হাড়ও ভেঙে গিয়েছিল। মঙ্গলবার রাতেই সামিনার মাথায় অস্ত্রোপচার করা হয়। কিন্তু তার অবস্থার উন্নতি হয়নি। বুধবার দুপুরে সামিনার চিকিৎসার জন্য একটি মেডিকেল বোর্ড বসানো হয়েছিল। কিন্তু আমাদের সব চেষ্টা বৃথা করে দিয়ে আজ সকালে তিনি মারা যান।
ডা. সামিনার গ্রামের বাড়ি ফেনী সদরে। তিনি পরিবার নিয়ে চট্টগ্রামের মেহেদীবাগে বসবাস করতেন। ডা. সামিনার মেয়ে রাফা ওয়ালিয়াহ নবম শ্রেণিতে পড়ে এবং ছেলে মীর ওয়ালিফ সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী। তার স্বামী মীর ওয়াজেদ আলীও একজন চিকিৎসক।
প্রসঙ্গত, ডা. সামিনা আকতার নগরীর লালখান বাজার এলাকা থেকে কাজির দেউড়ির দিকে রিকশাযোগে যাওয়ার সময় সিএনজি চালিত অটোরিকশা ধাক্কা দেয়। তিনি রিকশা থেকে ছিটকে পড়ে মাথায় গুরুতর আঘাত পান। তখন থেকেই তিনি অজ্ঞান ছিলেন।
কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নেজাম উদ্দিন জানান, সিএনজিচালিত অটোরিকশাটি জব্দ করে পুলিশ। আমরা এর চালককে আটক করার চেষ্টা চালাচ্ছি।
এসএন