সৎ মাকে বিষ খাইয়ে হত্যার অভিযোগ
বরগুনা সদর উপজেলায় সৎ মাকে বিষ খাইয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।
অসুস্থ অবস্থায় ছাহেরা বেগম নামে ওই নারীকে বরগুনা সদর হাসপাতালে রেখে সরে পড়েন তার সৎ ছেলে মো. জাফর। পরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
বুধবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগে সৎ মা ছাহেরা খাতুনের মরদেহ ফেলে রেখে ছেলে মো. জাফর পালিয়ে যান।
ছাহেরা খাতুনের গর্ভজাত সন্তানদের অভিযোগ, সম্পত্তির ভাগ বাটোয়ারা নিয়ে দ্বন্দ্বে খাবারে বিষ মিশিয়ে তাদের মাকে খাইয়ে হত্যা করেছে সৎ সন্তানরা।
ছাহেরা খাতুন বরগুনা সদর উপজেলার এম বালিয়াতলী ইউনিয়নের বড় বালিয়াতলী এলাকার মৃত হাছন তালুকদারের স্ত্রী।
তার গর্ভজাত ছেলে সোলায়মান জানান, প্রথম পক্ষের স্ত্রীকে তালাকের পর বড় বালিয়াতলী এলাকার হাছন তালুকদার তার মা ছাহেরা বেগমকে বিয়ে করেন। গত বছর ডিসেম্বর মাসের মাঝামাঝি সৎ বাবা হাছন তালুকদার মৃত্যু বরণ করেন। স্বামীর ঘরেই সৎ সন্তানদের সঙ্গে বসবাস করতেন ছাহেরা। সম্প্রতি মা অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে হাছন তালুকদারের বাড়ি থেকে আমাদের বাড়িতে এনে বরগুনা ও বরিশালে চিকিৎসা করাই। চিকিৎসা শেষে মায়ের ইচ্ছায় সপ্তাহখানেক আগে হাছন তালুকদারের ঘরে রেখে আসি।
সোলায়মানের অভিযোগ, সৎ ভাইয়েরা তার মাকে খাবারের সঙ্গে বিষ খাইয়ে হত্যা করেছে।
ছাহেরা খাতুনের মেয়ের স্বামী স্থানীয় গ্রাম পুলিশ বাবুল আক্তার বলেন, হাছন তালুকদের ১৫ একর জমিজমা রয়েছে। ওই সম্পত্তির ভাগ দেবে না বলেই খাবারের সঙ্গে বিষ খাইয়ে শ্বাশুড়িকে হত্যা করা হয়েছে।
যোগাযোগ করা হলে ছাহেরা খাতুনের সৎ ছেলে মো. জাফর বলেন, ভুলবশত ওষুধ ভেবে গ্যাস ট্যাবলেট খাওয়ায় তার মৃত্যু হয়েছে। আর এ বিষয় ভাই ভিন্ন ভাবে দেখছে। তাই হাসপাতালে তার আসার খবর পেয়ে আমি অন্যত্র চলে এসেছি।
বরগুনা সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক নিহার রঞ্জন বৈদ্য বলেন, হাসপাতালে তাকে সংকটাপন্ন অবস্থায় নিয়ে আসা হয়। ঠিক কী কারণে তার মৃত্যু হয়েছে ময়নাতদন্তের পরে বলা যাবে।
বরগুনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলী আহম্মেদ বলেন, ময়নাতদন্ত শেষে বুধবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) রাতে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পরে আমরা বিষয়টি আইনগতভাবে খতিয়ে দেখব।
এমঅ/এসএন