সেই তামান্নাকে প্রধানমন্ত্রী বললেন ‘তুমি এগিয়ে যাও...’
পা দিয়েই লিখে এইচএসসিতে জিপিএ-৫ পাওয়া যশোরের ঝিকরগাছার প্রতিবন্ধী তামান্না আক্তার নুরার সঙ্গে ফোনালাপ হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার।
সোমবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) রাত ৮টার দিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ফোন করে তামান্না নুরার খোঁজ খবর নেন।
তিনি তামান্নাকে আশ্বস্ত করে বলেন, ‘তোমার পাশে আমি আছি, তুমি এগিয়ে যাও...।’
যশোরের জেলা প্রশাসক তমিজুল ইসলাম খান ফোনালাপের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
প্রধানমন্ত্রীর ফোন পেয়ে আবেগ আপ্লত হয়ে পড়েন তামান্না ও তার পরিবার। কথা বলার ভাষা হারিয়ে শুধুই কাঁদেন।
নুরার বাবা রওশন আলী জানান, প্রধানমন্ত্রীর ফোন পাওয়ার পর আমরা কথা বলার ভাষা হারিয়ে ফেলেছি। আমার জন্ম প্রতিবন্ধী মেয়ের দায়িত্ব প্রধানমন্ত্রী নিয়েছেন, এটা আমার জন্য বড় পাওনা।
তিনি আরও জানান, বিকাল ৫টার দিকে প্রধানমন্ত্রীর ছোটবোন শেখ রেহানা লন্ডন থেকে তামান্না নুরার কাছে ফোন করেন। তিনিও নুরাকে আশ্বস্ত করে এগিয়ে যাওয়ার স্বপ্ন দেখান তাকে।
তামান্নার স্বপ্ন পূরণের জন্য এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সহযোগিতা ও দেখা করার জন্য চিঠি লেখেন জন্মপ্রতিবন্ধী অদম্য শিক্ষার্থী তামান্না নুরা।
তামান্নার পায়ে লেখা চিঠি তার বাবা রওশন আলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহবুবুল হকের কাছে জমা দিলে ওই দিনই তা জেলা প্রশাসকের কাছে পাঠানো হয়।
দরখাস্ত পেয়ে জেলা প্রশাসক তমিজুল ইসলাম খান তামান্নার বাবাকে ফোন করে দেখা করতে বলেন। জেলা প্রশাসকের সঙ্গে রওশন আলী দেখা করেন।
যশোর জেলা প্রশাসক তমিজুল ইসলাম খানের নির্দেশে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহবুবুল হক বাঁকড়ার আলীপুর গ্রামের দুই হাত ও এক পা বিহীন অদম্য শিক্ষার্থী তামান্নার বাড়িতে যান।
সেসময় তার পড়াশোনা ও পারিবারের সার্বিক খোঁজ-খবর নেন। তামান্নার ইচ্ছার কথা শুনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে চিঠি লেখার আবেদন করার পরামর্শ দেন তিনি।
প্রসঙ্গত, তামান্না এক পা দিয়ে লিখে পিইসি, জেএসসি, এসএসসি ও এইচএসসিতে জিপিএ-৫ পেয়ে এলাকায় সাড়া জাগিয়েছে।
এমএসপি