নেত্রকোনায় সাবেক স্বামীর ছুরিকাঘাতে মারাত্মক জখম
নেত্রকোনায় সাবেক স্বামীর ছুরিকাঘাতে গুরুতর জখম হয়েছেন রানী আক্তার নামে এক নারী। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
শনিবার (১২ ফেব্রয়ারি) দুপুরে নেত্রকোনা পৌরশহরে সাতপাই এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। রানী আক্তার মোহনগঞ্জের জৈনপুর গ্রামের আ. মান্নানের মেয়ে। আর ছুরিকাঘাতকারী সাবেক স্বামী মোজাম্মেল হক একই উপজেলার কলুঙ্কা গ্রামের বাসিন্দা।
ঘটনার পর স্থানীয়রা রানী আক্তারকে উদ্ধার করে প্রথমে নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে অবস্থা খারাপ দেখে তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
এলাকাবাসী জানায়, মোজাম্মেল ও রানী মামাতো-ফুফাতো ভাই বোন। ১৪ বছর আগে তাদের বিয়ে হয়। বিয়ের পর গাজীপুরে একটি গার্মেন্ট ফ্যাক্টরিতে চাকরি নেন রানী। আর স্বামী মোজাম্মেল কোনো কাজ কর্ম না করে জুয়া খেলতেন আর মাদক সেবন করতেন। তাদের কোনো সন্তান নেই। স্বামীর বখাটেপনায় অতিষ্ট হয়ে রানী স্বামীকে তালাক দেন। তিন মাস আগে দ্বিতীয় বিয়ে করেন গাইবান্ধা জেলার শিপন নামে এক ব্যক্তিকে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে মোজাম্মেল রানীকে ছুরিকাঘাত করেন।
রানীর ছোট বোন তন্নী আক্তার জানান, রানীকে শুক্রবার তার স্বামী শিপন নেত্রকোনায় বোনের বাসায় রেখে যান। শনিবার অসুস্থ বাবাকে দেখতে গ্রামের বাড়িতে যাওয়ার কথা ছিল। মোজাম্মেল হক এ খবর জানতে পেরে বাসায় এসে রানীকে ফিরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন। তাতে রানী অস্বীকৃতি জানান। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে রানীর পিঠে, গলায় ও কানের নিচে ছুরিকাঘাত করেন মোজাম্মেল। পরে রানী ও তার বোনের চিৎকার শুনে এলাকাবাসী ছুটে এলে মোজাম্মেল পালিয়ে যানে।
নেত্রকোনা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার শাকের আহমেদ জানান, ঘটনার পরপরই অভিযুক্ত পালিয়ে যান। তাকে ধরতে অভিযান অব্যাহত আছে। ভুক্তভোগী মমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানতে পেরেছি। পরিবারের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এসএন