স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেছেন, আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার ব্যাপারে শিগগিরই কার্যকরী পদক্ষেপ নেবে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার।
তিনি বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে এক ধরনের ‘ঐকমত্য’ তৈরি হচ্ছে যে, আওয়ামী লীগ অগণতান্ত্রিক এবং একগুঁয়েমি মনোভাবের কারণে নিষিদ্ধ হওয়া উচিত। ৫ আগস্টের পর থেকে এই ঐকমত্য দৃশ্যমান হয়ে উঠেছে, এবং রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐকমত্য তৈরি হলে সরকারের জন্য যেকোনো সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন সহজ হবে।
আসিফ মাহমুদ বলেন, "আমরা দেশের জনগণকে রিপ্রেজেন্ট করি। ৫ আগস্টের পরে জনগণের যে চাওয়া আছে, তা পূরণের লক্ষ্য আমাদের।" তিনি বিএনপির পক্ষ থেকে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করার দাবি তুলে ধরার বিষয়টিকে সাধুবাদ জানান।
তিনি বলেন, সরকার নির্বাহী আদেশে যে কোনো দলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারে, তবে আইনি কাঠামো কী হবে সে বিষয়ে সরকার এখনও সিদ্ধান্ত নেয়নি। বিচারিক প্রক্রিয়া ছাড়াও, ৪টি আইন রয়েছে, যেখানে সরকার ব্যবস্থা নিতে পারে।
তিনি আরও বলেন, "যদি আওয়ামী লীগের সম্পৃক্ততা প্রমাণিত হয়, তবে দলীয়ভাবে নিষিদ্ধ করাসহ যে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে।" তবে, সরকার আইনের বাস্তবায়ন যথাযথভাবে অনুসরণ করবে।
এছাড়া, আসিফ মাহমুদ বলেন, "গণঅভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া শিক্ষার্থীরা নতুন রাজনৈতিক দল গঠন করতে পারে," তবে এই দলের নাম এখনও চূড়ান্ত হয়নি। ফেব্রুয়ারির দ্বিতীয়ার্ধে দলের আত্মপ্রকাশ হতে পারে।
তিনি বলেন, "যে ছাত্র প্রতিনিধি বর্তমান সরকারের সঙ্গে আছেন, তারা যদি রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করেন, তবে তাদের পদত্যাগ করতে হবে।" বর্তমান সরকার একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজনের দায়িত্ব নিয়েছে এবং কোনো ধরনের কনফ্লিক্ট তৈরি না হওয়ার জন্য সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করবে।
আসিফ মাহমুদ বলেন, "সংস্কার ছাড়া নির্বাচনের মাধ্যমে যদি কোনো দল ক্ষমতায় আসে, তবে তাদের জন্য সরকার চালানো কঠিন হবে।" তিনি মনে করেন, সংস্কার কমিশনের রিপোর্টগুলোর মাধ্যমে সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।