শনিবার, ১৫ মার্চ ২০২৫ | ১ চৈত্র ১৪৩১
Dhaka Prokash

ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানে অতিথিদের তালিকায় ১১ জনই আ:লীগ নেতা  

ফেসবুকে ভাইরাল হওয়া দাওয়াতপত্র। ছবিঃ সংগৃহীত

রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার শরিসা ইউনিয়নের বহলাডাঙ্গা উচ্চ বিদ্যালয়ে তারুণ্যের উৎসব উপলক্ষে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, নবীন বরণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ২৯ ও ৩০ জানুয়ারী অনুষ্ঠিত হবে। এ অনুষ্ঠানে অতিথিদের তালিকা সম্বলিত একটি দাওয়াতপত্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। সেখানে ১৭ জন অতিথির মধ্যে ১১ জন উপজেলা ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতা।

এ ঘটনায় এলাকায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। দাওয়াতপত্রে যাদের অতিথি হিসাবে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে তাদের ১১ জনের মধ্যে শরিসা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও চেয়ারম্যান মোঃ আজমল আল বাহার বিশ্বাস, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুস সোবাহান, সরিষা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হাই, পাংশা উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মতিয়ার রহমান, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি সাবেক ইউপি সদস্য মোঃ ইকবাল হোসেন, আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে যুক্ত মোঃ সিদ্দিকুর রহমান, মোঃ হোসেন আলী, আবুল কালাম আজাদসহ ১১ জন।

বিদ্যালয়ের বার্ষিক ক্রীড়া অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের নেতাদের আমন্ত্রণ জানানোর বিষয়ে বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হাবিবুল্লাহ বাহার বলেন, শরিসা ইউনিয়ন বিএএনপির সভাপতি ও সাবেক প্রধান শিক্ষক রেজাউল আলম হুমায়ুন স্যারের পরার্মশে এমন চিঠি করা হয়েছে। তিনি আমন্ত্রিত অতিথিদের মধ্যে প্রথমেই রয়েছেন। সেখানে বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলামের নাম রয়েছে। বিদ্যালয়ের অনুষ্ঠান আসলে দল বিবেচনা করে নয় অতিথিদের সম্মান জানানো হয়েছে।

রাশেদুল ইসলাম ওই বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী শরিসা ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি বর্তমানে ইউনিয়ন বিএনপির রাজনীতিতে সক্রিয়। তিনি এ দাওয়াতপত্র ফেসবুকে শেয়ার দিয়ে লিখেছেন, আজ একটি জিনিস দেখে খুবই অবাক লাগলো। আমাদের বহলাডাঙ্গা হাই স্কুলের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও খেলাধুলা আগামী ২৯ ও ৩০ তারিখ। এখানে একটা চিঠি ইস্যু করা হয়েছে ১৭ জনের নামের মধ্যে ১০-১১ জনই আওয়ামী লীগ, শুধু আওয়ামী লীগ বললেই হবে না, এখানে আওয়ামী লীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, থানা কমিটির মেম্বার সবাইকেই রাখা হয়েছে। সরিষা ইউনিয়নে কি আমাদের বিএনপি‍‍`র লোকজন নাই নাকি? আওয়ামী লীগকে পুর্নবাসিত করার জন্য এই উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এটা আমরা সাধারণ বিএনপি জানতে চাই।

এ পোস্টের অসংখ্য কমেন্টের মধ্যে বেশ কিছু কমেন্ট আলোচিত তারা বলছেন, আওয়ামী লীগের পূর্নবাসন করতেই এমন কাজ করছে। তারুন্যের উৎসবে নেই, কোন তারুন্যে আছে, শুধু আওয়ামী লীগের পূর্নবাসনের কার্যক্রম।

এ ব্যাপারে শরিসা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি রেজাউল আলম হুমায়ুন বলেন, আমিসহ প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক মিলেই এ চিঠি করা হয়েছে। আমি একটা শালিসে আছি, পরে কথা বলব।

এ ব্যাপারে পাংশা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আবুল কালাম আজাদ বলেন, এ বিষয়ে আমি কিছু জানিনা। সকল স্কুলের দাওয়াত পত্রও আমরা পাই না।

Header Ad
Header Ad

চুয়াডাঙ্গায় দুই ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে ৯০ হাজার টাকা জরিমানা

ভেজাল শিশু খাদ্য ধ্বংস। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

চুয়াডাঙ্গার কার্পাসডাঙ্গা বাজারে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের তদারকিতে দুটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করা হয়েছে। শনিবার (১৫ মার্চ) সকাল ১১টা থেকে ২টা পর্যন্ত নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য, শিশু খাদ্য ও বেকারী পণ্য সংক্রান্ত তদারকি কার্যক্রম পরিচালিত হয়।

চুয়াডাঙ্গা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ মামুনুল হাসান জানান, মেসার্স কালাম স্টোরের মালিক আবুল কালামকে কোমল পানি উৎপাদন সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় তথ্য এবং কেনা সংক্রান্ত কাগজপত্র না থাকার কারণে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ এর ধারা ৩৭ ও ৪৫ অনুসারে ৭০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

অপরদিকে, মেসার্স গাউছিয়া ফুডের মালিক হাফিজুর রহমানকে বেকারী পণ্য অপরিচ্ছন্ন পরিবেশে সংরক্ষণ এবং নিম্নমানের সুগন্ধী ব্যবহার করার জন্য ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ এর ধারা ৪৩ অনুসারে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

এসময়, ১৫০ বস্তা কোমল পানি জব্দ করে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়। তদারকি কার্যক্রমে প্রতিষ্ঠানগুলোকে মানসম্মত পরিচ্ছন্ন পরিবেশে পণ্য তৈরী ও সংরক্ষণ এবং অনুমোদিত পানীয় ও শিশু খাদ্য বিক্রি করার জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়।

তদারকি কার্যক্রমে ক্যাবের সদস্য রফিকুল ইসলাম ও জেলা পুলিশের একটি দল সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করেন।

Header Ad
Header Ad

সহকর্মীর সঙ্গে প্রেম, যেসব বিষয়ে সতর্ক থাকা জরুরী

ছবি: সংগৃহীত

‘প্রহরশেষের আলোয় রাঙা সেদিন চৈত্রমাস-/তোমার চোখে দেখেছিলাম আমার সর্বনাশ।।’এই ‘সর্বনাশ’কে যে কখন কার চোখে দেখে বসেন, আগেভাগে তা নির্ণয় করা কঠিন।

একইভাবে ‘প্রেম একবারই এসেছিলো নীরবে’ গানের ‘একবার’টা যে কার জীবনে কখন কীভাবে চলে আসে, সেই হিসাবও মেলে না সহজে। স্কুল, কলেজ এমনকি বিশ্ববিদ্যালয় পেরিয়ে কর্মক্ষেত্রে গিয়েও সহকর্মীর চোখে ‘সর্বনাশ’দেখতে পারেন কেউ। মনে হতে পারে, ‘লাগবে, তাকে আমার লাগবে। সে ছাড়া আর কিছু চাইনে।’ সহকর্মীকে ‘ভালোলাগা’র কারণও রয়েছে প্রচুর। কর্মক্ষেত্রে কাটাতে হয় দিনের একটা দীর্ঘ সময়। মিলেমিশে কাজ করতে হয়। যে কারণে একে অপরকে জানার সুযোগও তৈরি হয়। বিশেষ কোনো গুণ বা আচার-ব্যবহার কিংবা স্রেফ ভালোলাগার কারণেই ভালোলাগা; আর ভালোলাগা থেকে মায়া তৈরি হওয়াটাও অস্বাভাবিক কিছু নয়। সহকর্মীর সঙ্গে সম্পর্কের অনেক সুবিধার কথাও অনেকে বলে থাকেন। তবে সুবিধা যার আছে, তার কিছু অসুবিধাও থাকে। তাই কিছু বিষয়ে সতর্ক থাকতে পারলে অসুবিধাগুলো এড়ানো সহজ হয়।

আচরণে সংযম

কথায় বলে, ‘যত থাকে গুপ্ত/ তত হয় পোক্ত/ যত হয় ব্যক্ত/ তত হয় ত্যক্ত।’ তাই ফলাও করে সম্পর্কের কথা জানান দেওয়া কিংবা স্যোশাল মিডিয়ায় ছবি শেয়ার করে নানা অনুভূতি ব্যক্ত করার চেয়ে বিষয়টা নিজেদের মধ্যে রাখতে পারাটাই বুদ্ধিমানের কাজ। কারণ, পরে দেখা গেল, কোনো কারণে নিজেদের মধ্যে দ্বন্দ্ব বা টানাপোড়েনের সৃষ্টি হলো, তখন অফিসে সহকর্মীদের সামনে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়তে হতে পারে। তা ছাড়া সম্পর্কের বিষয়টা অফিসে অনেকে জানলে ভালোর চেয়ে মন্দ হওয়ার আশঙ্কাই বেশি থাকে। বিশেষ করে ফিসফাস, কানাকানি, সমালোচনা ‍ও গুজবের মধ্যে পড়ারও আশঙ্কা তৈরি হয়। তাই সম্পর্কের বিষয়টা নিজেদের মধ্যে রাখতে পারলে অনেক ঝামেলা থেকে রেহাই পাওয়া যায়। তবে এটাও মনে রাখতে হবে, সহকর্মীদের কাছে এসব বিষয় গোপন রাখা কঠিন। তাই ফলাও করে না বললেই নিস্তার মিলল, এমনটা ভাবার কোনো কারণ নেই। নিজেদের আচার-আচরণ, চলাফেরা এমনকি কথাবার্তাতেও ব্যাপারটা যেন ফুটে না ওঠে, সেদিকে যেমন দৃষ্টি রাখতে হবে, তেমনই পেশাদার আচরণও বজায় রাখতে হবে।

অফিসের নিয়ম জানুন

ভালোবাসার মতো ভালোবাসলে নিয়মকানুন পথ আটকাতে পারে না। না, কথায় কোনো ভুল নেই। তবে সহকর্মীর সঙ্গে সম্পর্কে জড়ালে চাকরি হারানোর ঝুঁকিও কিন্তু উপেক্ষা করা যায় না। প্রশ্ন করতে পারেন, চাকরি হারানোর ঝুঁকি, কীভাবে? প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের সুনির্দিষ্ট চাকরিবিধি আছে। কোনো কোনো প্রতিষ্ঠান সহকর্মীর সঙ্গে সম্পর্ক অনুমোদন করে না। কেন করে না? ‘স্বার্থের দ্বন্দ্ব’। কর্মক্ষেত্রে প্রত্যেকেরই স্বার্থ–সংশ্লিষ্টতা রয়েছে। রয়েছে পদোন্নতি, প্রণোদনাসহ নানা প্রত্যাশা। সহকর্মীর সঙ্গে সম্পর্কে জড়ালে বা বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হলে বিষয়গুলো নানাভাবে প্রভাবিত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। তাহলে উপায়? ভালোলাগা, ভালোবাসা তো আর পরিকল্পনা করে হয় না। স্বতঃস্ফূর্তভাবে হয়ে যায়। তাই প্রতিষ্ঠানের চাকরিবিধির নিয়ম জেনে নিতে হবে। যদি কোনো সুনির্দিষ্ট বিধিনিষেধ না থাকে, তাহলে চিন্তা রইল না। আর বিধিনিষেধ থাকলে সে ক্ষেত্রে যেকোনো একজনকে যত দ্রুত সম্ভব অন্যত্র চাকরির চেষ্টা করতে হবে।

 প্রেম ভেঙে গেলে

‘ব্রেকআপের ঝুঁকি’ সম্পর্কেও পূর্ণ ভাবনা থাকা জরুরি। কোনো কারণে সম্পর্ক ভেঙে গেলে সম্বোধন যেন ‘তুমি’ থেকে ‘তুই’তে গিয়ে না ঠেকে, সেদিকেও নজর রাখতে হবে। কারণ, বিব্রতকর পরিস্থিতি তৈরি হলে অফিসের পরিবেশ নষ্ট হবে। পাশাপাশি সহকর্মীদের কাছে নিজেদের সম্মান হারানোরও ঝুঁকি দেখা দেবে।

কখন জানবেন সহকর্মীরা

দেখা গেল, সহকর্মীর সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়ে প্রতিষ্ঠানের কোনো লিখিত বা স্বীকৃত বিধিনিষেধ নেই এবং দুই পরিবারের সম্মতিতে বিয়ে ঠিকও হয়ে গেল। কার্ডও ছাপানো হলো। কিন্তু এ পর্যন্ত অফিসের কেউ কিছু জানেন না। দুজনে বিয়ের কার্ড নিয়ে অফিসের বস, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ও সহকর্মীদের হাতে দিয়ে বললেন, ‘সবাইকে কিন্তু আসতে হবে।’ ভুল করেও কিন্তু এটা করা যাবে না। কারণ, এটা করলে বিশ্বস্ততা কমে যায়। এমনকি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ, বস ও সহকর্মীরা বিষয়টা ভিন্নভাবে নাও নিতে পারেন, যা পরবর্তী সময় প্রতিষ্ঠানে দীর্ঘ মেয়াদে কাজ করার ক্ষেত্রে ভালো ফল বয়ে আনবে না। তাই এ জটিলতা এড়াতে বিয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর কিছুদিন সময় নিয়ে বুদ্ধিদীপ্তভাবে সহকর্মীদের সম্পর্কের বিষয়টা জানাতে হবে। তারপর বিয়ের কার্ড দিয়ে দাওয়াত দিতে হবে। এতে তারা যেমন খুশি হবেন, তেমনই বিষয়টা আনন্দের সঙ্গে গ্রহণ করবেন।

Header Ad
Header Ad

মাগুরায় শিশু ধর্ষণ: আদালতে দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিলেন ধর্ষক হিটু শেখ

শিশু আছিয়ার ধর্ষক হিটু শেখ। ছবি: সংগৃহীত

মাগুরায় চাঞ্চল্যকর শিশু আছিয়া ধর্ষণের দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন ধর্ষক হিটু শেখ। শনিবার (১৫ মার্চ) বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে মাগুরার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সব্যসাচী রায়ের আদালতে আসামি হিটু শেখ উপস্থিত হয়ে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন।

এর আগে বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) সন্ধ্যা ৭টায় মাগুরা শহরের নোমানী ময়দানে শিশু আছিয়ার প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। পরে সেখান থেকে নেয়া হয় নিজ গ্রামের বাড়িতে নেয়া হয়। সেখানে দ্বিতীয় দফা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এশার নামাজের পর শ্রীপুরের সোনাইকুণ্ডীতে তাকে দাফন করা হয়।

এর পরপরই অভিযুক্তদের বাড়িতে আগুন দেয় বিক্ষুব্ধ জনতা। রাত পৌনে ৮টার দিকে বাড়িটিতে আগুন দেয়া হয়। ওইদিন দুপুরে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় না ফেরার দেশে চলে যায় শিশুটি। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)।

গত সোমবার (১০ মার্চ) মাগুরায় ৮ বছরের এ শিশুটি ধর্ষণের ঘটনায় প্রধান আসামি হিটু শেখের ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। এছাড়া বাকি ৩ আসামির প্রত্যেককে ৫ দিন করে রিমান্ড দেয়া হয়।

প্রসঙ্গত, গত ৫ মার্চ মাগুরায় বোনের বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে ধর্ষণ ও নিপীড়নের শিকার হয় আট বছরের শিশুটি। বোনের শ্বশুর তাকে ধর্ষণ করে বলে জানায় শিশুটি। ধর্ষণের ঘটনায় শিশুটি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ে। তার বোনের অভিযোগ, গুরুতর অসুস্থ হওয়ার পরও তাকে চিকিৎসার জন্য না নিয়ে উল্টো ঘরের ভেতরে আটকে রেখে নির্যাতন করা হয়।

পরদিন ৬ মার্চ সকালে প্রতিবেশী এক নারী তাদের ঘরে এলে বিষয়টি প্রকাশ হয়ে পড়ে। এরপর শিশুটিকে মাগুরা সদর হাসপাতালে নেয়া হয়। ততক্ষণে শিশুটি অচেতন হয়ে পড়ে। হাসপাতালে গিয়ে বোনের শাশুড়ি চিকিৎসকদের জানান, শিশুটিকে জ্বিনে ধরেছে। তবে কিছুক্ষণের মধ্যে চিকিৎসকরা বুঝতে পারেন শিশুটি ধর্ষণের শিকার হয়েছে। বিষয়টি টের পেয়ে হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যান বোনের শাশুড়ি।

ওইদিন দুপুরে উন্নত চিকিৎসার জন্য শিশুটিকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখান থেকে সেদিন রাতেই পাঠানো হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। ঢাকা মেডিকেলে দুইদিন লাইফ সাপোর্টে থাকার পর তাকে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) দুপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শিশুটির মৃত্যু হয়।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

চুয়াডাঙ্গায় দুই ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে ৯০ হাজার টাকা জরিমানা
সহকর্মীর সঙ্গে প্রেম, যেসব বিষয়ে সতর্ক থাকা জরুরী
মাগুরায় শিশু ধর্ষণ: আদালতে দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিলেন ধর্ষক হিটু শেখ
স্ত্রী,সন্তানসহ ৯ সফরসঙ্গী নিয়ে ঢাকা আসছেন হামজা, বরণে প্রস্তুত বাফুফে
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার প্রবেশপত্র বিতরণ শুরু
বিরামপুরে মাদকসহ ১৬ লক্ষাধিক টাকার ভারতীয় মালামাল জব্দ, আটক ১
প্রাথমিকের শূন্যপদে নিয়োগ শিগগিরই
জাতিসংঘ মহাসচিবের সঙ্গে বৈঠক শেষে যা বললেন বিএনপি মহাসচিব
গৃহবধূকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে বৃদ্ধ আটক
রাজশাহী স্টেশনে ধুমকেতু ও বাংলাবান্ধা ট্রেনের সংঘর্ষ
নওগাঁ মেডিকেল কলেজ বন্ধ হলে চাল সরবরাহ বন্ধসহ কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি
দেশে তিন মাসেই কোটিপতি হয়েছেন ৫ হাজার
পাকিস্তান থেকে এলো ২৬ হাজার টন আতপ চাল
বাংলাদেশের সংকটে পাশে থাকার ঘোষণা জাতিসংঘ মহাসচিবের
অধ্যাপক আরেফিন সিদ্দিকের মৃত্যুতে ঢাবিতে এক দিনের ছুটি ঘোষণা  
স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা বিভাগে ইফতার ও দোয়া মাহফিল
ট্রাম্পের অনুরোধের পর ইউক্রেনের সেনাদের আত্মসমর্পণের আহ্বান পুতিনের
এক বছর পর ব্রাজিল জাতীয় দলে ডাক পেয়েই আবার ইনজুরিতে নেইমার
আমাকে কাজের বিনিময়ে শোয়ার শর্ত জুড়ে দিয়েছে: অভিনেত্রী স্বাগতা
শিশু ধর্ষণ মামলায় জামিন নিতে এসে অভিযুক্ত কারাগারে