শুক্রবার, ৭ মার্চ ২০২৫ | ২২ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

১৪ আদিবাসী জুম্ম জাতি নিশ্চিহ্ন হওয়ার পথে : সন্তু লারমা  

পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ চেয়ারম্যান সন্তু লারমা। ছবিঃ সংগৃহীত

দেশের পার্বত্য অঞ্চলের ১৩টি ভাষাভাষীর ১৪ জুম্ম জাতি নিশ্চিহ্ন হওয়ার পথে রয়েছে বলে দাবি করেছেন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির কেন্দ্রীয় সভাপতি ও পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ চেয়ারম্যান জ্যেতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা ওরফে সন্তু লারমা। এ পরিস্থিতিকে ‘অস্বাভাবিক’ ও ‘ভয়াবহ’ বলে আখ্যা দিয়েছেন তিনি।

শনিবার দুপুরে রাঙামাটি শহরের নিউমার্কেট এলাকায় আশিকা কনভেনশন হলে ‘পার্বত্য চট্টগ্রামের আদিবাসী জুম্ম জনগণের সামগ্রিক পরিস্থিতি আলোকে নাগরিক সমাজের ভূমিকা’ প্রসঙ্গে সুধী সমাবেশ ও মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন তিনি।

সন্তু লারমা বলেন, “পার্বত্য অঞ্চলের ১৩টি ভাষাভাষীর ১৪টি আদিবাসী জুম্ম জাতি আজ নিশ্চিহ্ন হওয়ার পথে। পার্বত্য অঞ্চলে একটা নিরাপত্তাহীন, অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ নিয়ে জুম্ম জনগণ বেঁচে আছে। নানাভাবে বেঁচে থাকার মৌলিক অধিকারগুলো আদায়ের জন্য আন্দোলন করে চলেছে।

“পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির পূর্ণ বাস্তবায়ন ও অধিকার আদায়ের জন্য আন্দোলনের কোনও বিকল্প নেই।”

‘পার্বত্য চট্টগ্রামের আদিবাসী জুম্ম জনগণের সামগ্রিক পরিস্থিতি আলোকে নাগরিক সমাজের ভূমিকা’ শীর্ষক এ সুধী সমাবেশ ও মতবিনিময়ের আয়োজন করে বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরাম, পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চল শাখা।

সভায় বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরাম পার্বত্য অঞ্চলের সভাপতি প্রকৃতি রঞ্জন চাকমার সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন- পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের সদস্য ও জনসংহতি সমিতির কেন্দ্রীয় সহ-সাধারণ সম্পাদক কে এস মং, বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরাম বান্দরবান জেলা শাখার প্রতিনিধি অংচ মং মারমা, খাগড়াছড়ি জেলা শাখার প্রতিনিধি নমিতা চাকমা, সিএইচটি হেডম্যান নেটওয়ার্কের সাংগঠনিক সম্পাদক থোয়াই অং মারমা, বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরামের ছাত্র ও যুব বিষয়ক সম্পাদক লেলুং খুমি, তঞ্চঙ্গ্যা জাতিগোষ্ঠী থেকে অ্যাডভোকেট দীননাথ তঞ্চঙ্গ্যা, গুর্খা জাতিগোষ্ঠী থেকে মনোজ বাহাদুর গুর্খা, সাওঁতাল জাতিগোষ্ঠী থেকে মনু মুরমু সাঁওতাল, অহমিয়া জাতিগোষ্ঠী থেকে অনুপ কুমার আসামসহ বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর প্রতিনিধিরা।

সভায় বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, বিগত কোনও আদিবাসীদের নিয়ে ভাবেনি। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারও ভাবছে না বলে অভিযোগ তাদের।

সংবিধান সংস্কার প্রক্রিয়া চলছে উল্লেখ করে এক বক্তা বলেন, “সেখানেও আমাদের কী পরিচয় হবে, সেটি নির্ধারণ করা হয়নি। পাঠ্যবই থেকে ভুঁইফোড় সংগঠনের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বই থেকে আদিবাসী শব্দযুক্ত গ্রাফিতি বাদ দেওয়া হয়। এর প্রতিবাদ করায় উল্টো পাহাড়ি ছাত্র-ছাত্রীদের ওপর হামলা চালানো হয়। কিন্তু এই সরকার এ বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ কোনো রাখেনি।”

Header Ad
Header Ad

১৬ মাস পর ব্রাজিল দলে ফিরে যা জানালেন নেইমার

নেইমার জুনিয়র। ছবি: সংগৃহীত

প্রায় ১৬ মাস পর ব্রাজিল জাতীয় ফুটবল দলে ফিরে আসলেন নেইমার। চলতি মাসেই বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী আর্জেন্টিনার মুখোমুখি হবে ব্রাজিল। তার আগে সেলেসাওরা কলম্বিয়ার বিরুদ্ধে আরেকটি ম্যাচ খেলবে। নেইমারের জাতীয় দলে ফেরাটা ছিল প্রত্যাশিত, এবং কোচ দরিভাল জুনিয়র তাকে রেখেই ব্রাজিলের ২৩ সদস্যের দল ঘোষণা করেছেন।

নেইমার ২০২৩ সালের অক্টোবরে উরুগুয়ের বিপক্ষে বিশ্বকাপ বাছাই পর্বের ম্যাচে শেষবার ব্রাজিলের জার্সিতে খেলেছিলেন। সে সময়ই এসিএল ইনজুরিতে পড়েন তিনি, যা তাকে প্রায় এক বছর মাঠের বাইরে থাকতে বাধ্য করেছিল। এরপর ২০২৪ সালের অক্টোবরে সৌদি ক্লাব আল-হিলালের হয়ে এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলতে ফিরলেও পুনরায় চোটের কারণে তাকে ক্লাব ছাড়তে হয়েছিল। এরপর তিনি ফিরে আসেন সান্তোসে, তার শৈশবের ক্লাবটিতে।

নেইমারের ইনস্টাগ্রাম পোস্টে দেখা যায়, তিনি কোচ দরিভালের দল ঘোষণার সংবাদ সম্মেলন টিভিতে দেখছিলেন এবং ফিরতে পেরে অত্যন্ত খুশি। এ পোস্টে তিনি লেখেন, "ফিরতে পেরে খুশি।" নেইমারের জাতীয় দলে ফিরে আসা নিয়ে সেলেসাও সমর্থকরা ব্যাপক উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন।

এদিকে, নেইমারের প্রত্যাবর্তন নিয়ে ব্রাজিলের কোচ দরিভাল বলেন, “নেইমারের জাতীয় দলে প্রতিনিধিত্বের বিষয়ে নতুন কিছু বলার নেই। তার যে চোট পুনর্বাসনের মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে, সেটি আমরা সবাই জানি। তবে তার দক্ষতা এবং সামর্থ্য সম্পর্কে আমরা সকলেই সচেতন।"

এখন পর্যন্ত ব্রাজিলের জার্সিতে আন্তর্জাতিক ফুটবলে সর্বোচ্চ গোলদাতা হিসেবে পরিচিত নেইমারের ফেরাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কোচ দরিভাল আরও বলেন, “আমরা তার প্রত্যাবর্তনের জন্য প্রস্তুত ছিলাম। আমি আশা করি, নেইমারও তার ফিরে আসা নিয়ে খুশি। তার পুরোনো সামর্থ্য ফিরে পাওয়ার জন্য আমরা তাকে পূর্ণ সহায়তা দিতে প্রস্তুত। তবে আমরা তার উপর অত্যধিক দায়িত্ব চাপাতে চাই না, বিশেষ করে আসন্ন কঠিন ম্যাচগুলোতে তাকে দলের জন্য প্রস্তুত দেখতে চাই।”

Header Ad
Header Ad

মাগুরায় ৪র্থ শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণ: মামলা না হলেও অভিযুক্ত হিটু মিয়া আটক

অভিযুক্ত হিটু শেখ। ছবি: সংগৃহীত

মাগুরায় বোনের বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হয়েছে চতুর্থ শ্রেণির এক ছাত্রী। বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) মাগুরা শহরের নিজনান্দুয়ালী চরপড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় শিশুটির বড় বোনের শ্বশুর হিটু শেখকে (৫০) আটক করেছে পুলিশ।

জানা গেছে, মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার জারিয়া গ্রামের ৩য় শ্রেণিতে পড়ুয়া মেয়ে শিশুটি রমজান ও ঈদের ছুটিতে স্কুল বন্ধ থাকায় কয়েক দিন আগে আপন বোনের বাড়ি মাগুরা শহরের নিজনান্দুয়ালি মাঠপাড়া গ্রামে বেড়াতে আসে। বৃহস্পতিবার সকালে বাড়ির পাশে তার রক্তাক্ত অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে পরিবারের সদস্যরা তাকে মাগুরা ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে। পরে অবস্থার অবনতি হলে সেখান থেকে শিশুটিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে শিশুটি আশঙ্কাজনক অবস্থায় আইসিইউতে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

শিশুটির ছোট চাচা ইব্রাহিম শেখ বলেন, চার-পাঁচ মাস আগে বড় ভাতিজিকে বিয়ে দেওয়া হয়। সুযোগ পেলে তার শ্বশুর হিটু শেখ তাকেও বিভিন্ন সময় উত্ত্যক্ত করতেন বলে শুনেছি। যার কারণে বড় ভাতিজি বাপের বাড়িতে চলে এসেছিল। পরে তাকে বুঝিয়ে আবার শ্বশুর বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।

শিশুটির ধর্ষণের ঘটনার সঙ্গে বড় বোনের শ্বশুর জড়িত বলে দাবি করছে শিশুটির পরিবার। এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ এবং সেনাবাহিনীর সদস্যরা যৌথ অভিযান চালিয়ে হিটু শেখকে আটক করেছে।

মাগুরা সদর হাসপাতালের জুনিয়র কনসালটেন্ট গাইনি ওয়ার্ডের ডা. শিরিন সুলতানা বলেন, শিশুটির অবস্থা ভালো নয়। তার শরীরে ক্ষতের সৃষ্টি হয়েছে।

এ বিষয়ে মাগুরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আইয়ুব আলী বলেন, ইতোমধ্যে সদর থানা পুলিশ ও সেনাবাহিনী ঘটনাস্থল এবং হাসপাতালে গিয়ে বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করেছে। এ ঘটনায় এখনও কোনো মামলা হয়নি। তবে অভিযুক্ত হিটু শেখকে আটক করা হয়েছে।

Header Ad
Header Ad

আজ ঐতিহাসিক ৭ মার্চ

ছবি: সংগৃহীত

আজ ঐতিহাসিক ৭ মার্চ। ১৯৭১ সালের এই দিনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে চূড়ান্ত হুঁশিয়ারি দেন। ঢাকার রেসকোর্স (সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) ময়দানে লাখো জনতার উদ্দেশে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, ‘এবারের সংগ্রাম, আমাদের মুক্তির সংগ্রাম; এবারের সংগ্রাম, স্বাধীনতার সংগ্রাম।’ তার এ ঘোষণার পর স্বাধিকার আদায়ের সংগ্রাম ত্বরান্বিত হয়। শুরু হয় মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি।

এইদিন লাখো মুক্তিকামী মানুষের উপস্থিতিতে শেখ মুজিব বজ্রকণ্ঠে ঘোষণা করেন, ‘রক্ত যখন দিয়েছি রক্ত আরও দেবো। এ দেশের মানুষকে মুক্ত করে ছাড়বো, ইনশাআল্লাহ। এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম, জয় বাংলা।’ এই ভাষণ বাঙালির স্বাধীনতা-মুক্তি ও জাতীয়তাবোধের প্রতীক হয়ে ওঠে সেসময়। হয়ে ওঠে মুক্তিযুদ্ধের রণকৌশল।

বঙ্গবন্ধুর এই ভাষণ বাঙালির রাজনৈতিক দলিল। বঙ্গবন্ধুর দেওয়া ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণটি যুদ্ধকালে বাঙালি জাতির জীবনে অত্যন্ত গুরুত্ব ও তাৎপর্য বহন করেছে এবং বাঙালি জাতির অনুপ্রেরণার অনির্বাণ শিখা হয়ে অফুরন্ত সাহস যুগিয়েছে। মাত্র ১৯ মিনিটের ভাষণে তিনি ইতিহাসের পুরো চিত্র মানুষের সামনে তুলে ধরেন। তিনি ভাষণে সামরিক আইন প্রত্যাহার, জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরসহ সেনাবাহিনীকে ব্যারাকে ফিরিয়ে নেওয়া এবং বিভিন্ন স্থানের হত্যাকাণ্ডের তদন্তে বিচার বিভাগীয় কমিশন গঠনের দাবি জানান।

এ ভাষণ শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলিলই নয়, জাতির সাংস্কৃতিক পরিচয় করিয়ে দেয়। বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ জাতিসংঘের ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্যের দলিল হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। এছাড়া এ ভাষণটি পৃথিবীর অনেক ভাষায় অনুদিত হয়েছে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

১৬ মাস পর ব্রাজিল দলে ফিরে যা জানালেন নেইমার
মাগুরায় ৪র্থ শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণ: মামলা না হলেও অভিযুক্ত হিটু মিয়া আটক
আজ ঐতিহাসিক ৭ মার্চ
রাজধানীতে নিষিদ্ধ সংগঠন হিজবুত তাহরীরের তিন সদস্য গ্রেপ্তার
দুপুরে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার ‘না’, রাতেই সাবেক এমপির বাড়িতে ছাত্রদের ‘অভিযান’
পোশাক নিয়ে হেনস্তা: মামলা প্রত্যাহার করে নিলো ঢাবির সেই ছাত্রী
ঈদে বাসের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু ১৪ মার্চ
সিরিয়ায় আসাদ অনুগতদের সঙ্গে সরকারি বাহিনীর ব্যাপক সংঘর্ষ, নিহত ৪৮
‘বিএনপি আগামীতে সুন্দর ও বৈষম্যহীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করবে’
জুলাই আন্দোলনের সময় সেনাবাহিনীকে সতর্ক করেছিল জাতিসংঘ
চিত্রনায়িকা পরীমণির সাবেক স্বামী সৌরভ গ্রেপ্তার
সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিকের রাষ্ট্রপতি পদকে ভূষিত হলেন সেনাপ্রধান
তৃতীয় বিয়ে করলেন অভিনেতা মিলন, পাত্রী কে?
ইউপি চেয়ারম্যানের অ্যাকাউন্টে সাড়ে ১৪ হাজার কোটি টাকা লেনদেন, দুদকের মামলা
লাইফ সাপোর্টে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য আরেফিন সিদ্দিক
যশোর সীমান্ত থেকে ৫ কোটি ১২ লাখ টাকার ভারতীয় মালামাল জব্দ
অনেক কো-আর্টিস্ট, ডিরেক্টর তখন আমার সঙ্গে কাজ করতে চাইতেন না: প্রভা
ভয়াবহ দাবানলের কবলে যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়া, ২০ স্থানে ছড়িয়েছে আগুন (ভিডিও)
নাগরিক পার্টি ছাড়লেন আবু হানিফ, ফিরে গেলেন গণ অধিকার পরিষদে
প্রথম দ্বিপাক্ষিক সফরে চীন যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা