মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪ | ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

গভর্নর হাউসকে বঙ্গবন্ধুর ‘উত্তরা গণভবন' নামকরণের ৫০ বছর

প্রধানমন্ত্রীর উত্তরাঞ্চলীয় বাসভবনখ্যাত নাটোরের উত্তরা গণভবনের আগে নাম ছিল গভর্নর হাউস। জমিদারী প্রথা উচ্ছেদের পর ১৯৬৭ সালের ২৪ জুলাই পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নর আব্দুল মোনয়েম খান দিঘাপতিয়া রাজবাড়ির নামকরণ করেন গভর্নর হাউস।

দেশ স্বাধীন হওয়ার পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান গভর্নর হাউসের নাম পরিবর্তন করেন। ১৯৭২ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি তিনি এর নাম দেন ‘উত্তরা গণভবন’।

বঙ্গবন্ধুর দেওয়া সেই নামকরণের ৫০ বছর পূর্তি হল বুধবার (৯ ফেব্রুয়ারি)। তবে ৫০ বছর পূর্তিতে গণভবনকে আলোকসজ্জা করা হলেও দিনটিকে স্মরণীয় করতে নেওয়া হয়নি বিশেষ কোনো কর্মসূচি।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে নাটোরের সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট (নেজারত শাখা এবং ট্রেজারি শাখা) জুয়েল আহমেদ জানান, বঙ্গবন্ধুর 'উত্তরা গণভবন' নামকরণের ৫০ বছরপূর্তি উদযাপনে গত প্রায় সাড়ে চার মাস থেকে গণভবন চত্বরে লাগানো হয়েছে নানা ধরনের ফুলের চারা।

মোট ২২ ধরনের ২৮ হাজার মৌসুমী ফুলের চারা রোপন করা হয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো জিনিয়া, ডায়ানঠাথ, ক্যালেন্ডুলা ও এন্টাহেনা।

এক প্রশ্নের জবাবে দিনটি উদযাপনে জেলার বিভিন্ন সরকারি অফিসের কর্মকর্তা ছাড়াও জেলার গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে গণভবনে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে-এমন দাবি করেন তিনি।

নাটোরের ইতিহাস ও প্রবীন রাজনীতিকদের মতে, এই উত্তরা গণভবনকে ঘিরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছিল অনেক পরিকল্পনা। এ গণভবনকে ঘিরে নাটোরকে উত্তরবঙ্গের প্রাণকেন্দ্র করতে চেয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু। দিয়েছিলেন নানা প্রতিশ্রুতিও।

জানা যায়, স্বাধীনতার অনেক আগে থেকেই নাটোরে বিভিন্ন সময় রাজনৈতিক ও সাংগঠনিক কাজে আসতেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। এখানে ছিল তার অনেক পছন্দের মানুষ। তাই নাটোর হয়ে উঠেছিল তার পছন্দ আর ভালো লাগার জায়গা। সঙ্গত কারণেই নাটোরসহ উত্তরবঙ্গের উন্নয়নের স্বপ্ন দেখতেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। আর এ কাজে তিনি নাটোরকে করতে চেয়েছিলেন উত্তরবঙ্গের প্রাণকেন্দ্র। যেন নাটোর হবে দেশের দ্বিতীয় রাজধানী। এ সংক্রান্ত মিটিংয়ও করেছিলেন বঙ্গবন্ধু।

প্রধানমন্ত্রীর উত্তরাঞ্চলীয় বাসভবনখ্যাত নাটোরের উত্তরা গণভবনে এ সংক্রান্ত প্রকাশ্য প্রতিশ্রুতিও দেন শেখ মুজিবুর রহমান। কিন্তু পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট সপরিবারে নিহত হওয়ার পর বঙ্গবন্ধুর পরিবার ও আওয়ামী লীগ যেভাবে শোকাহত হয়েছে, একইভাবে উন্নয়নবঞ্চিত হয়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছিল নাটোরে।

সেই শোক আজও ভুলতে পারেনি নাটোরের প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা কর্মী, তাদের পরিবারের সদস্যসহ নাটোরের আপামর জনগণ।

দীর্ঘদিন পর বঙ্গবন্ধুর দল ও কন্যা শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এলে আবারও আশায় বুক বাঁধেন নাটোরের মানুষ।

বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নাটোরকে ঘিরে বাবার সেই স্বপ্ন ও প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করবেন এমন আশায় আজও বুক বেঁধে আছে নাটোরের মানুষ।

নাটোরের প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মী ও তাদের পরিবারের সদস্যদের দাবি, নাটোরকে কেন্দ্র করে উত্তরবঙ্গের উন্নয়ন কর্মসূচি চিন্তা করতেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।

তিনি নাটোরে করতে চেয়েছিলেন পূর্ণাঙ্গ টিভি সম্প্রচার কেন্দ্র। প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন প্রতি বছর উত্তরা গণভবনে অন্তত একটি করে ক্যাবিনেট মিটিং করবেন। আর এর মাধ্যমে নাটোরসহ উত্তরবঙ্গের উন্নয়ন সাধিত হবে।

জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও নাটোর পৌর মেয়র উমা চৌধুরী জলি জানান, বঙ্গবন্ধুর কিছু প্রিয় মানুষ ছিল নাটোরে। তাদের টানে প্রায়ই ছুটে আসতেন বঙ্গবন্ধু। বাবা প্রয়াত শংকর গোবিন্দ চৌধুরীকে গভর্নর নিযুক্ত করেছিলেন তিনি। নাটোরে তার প্রিয় ব্যক্তিত্বদের মধ্যে ছিলেন প্রয়াত এমপি সাইফুল ইসলাম, যুবলীগ নেতা মুজিবুর রহমান রেজা, ছাত্রলীগ নেতা মজিবর রহমান সেন্টু, আওয়ামী লীগ রমজান আলী প্রাং প্রমুখ। প্রায়ই তিনি নাটোরে মিটিং করার জন্য ছুটে আসতেন।

এ সময় তার সফরসঙ্গী হতেন জাতীয় চার নেতাসহ কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ নেতারা। তারা নাটোর বোর্ডিংয়ের একটি রুমে আলোচনা করতেন। আলোচনা করতেন সারাদেশের রাজনৈতিক অবস্থা। পরিকল্পনা করতেন নাটোরকে কেন্দ্র করে উত্তরবঙ্গের উন্নয়ন কর্মসূচি।
স্বাধীনতার পরও উত্তারা গণভবনে এসে দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে এ সংক্রান্ত মিটিং করেছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।

একদিনের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে উমা চৌধুরী জলি জানান, ১৯৭১ সালে দেশ স্বাধীনের পর বঙ্গবন্ধু আসেন উত্তরা গণভবনে। এ সময় তিনি তার বাবা প্রয়াত শংকর গোবিন্দ চৌধুরী সঙ্গে গিয়েছিলেন। সেখানে বঙ্গবন্ধু তার বাবাকে সঙ্গে নিয়ে একাকী হাঁটতে হাঁটতে বিভিন্ন রাজনৈতিক ও রাষ্ট্রীয় বিষয় নিয়ে আলাপ-আলোচনা করতে থাকেন। কিছুক্ষণ পর স্থানীয় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা উপস্থিত হন উত্তরা গণভবনে।

এ সময় এক বক্তব্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জানান, নাটোর হবে উত্তরবঙ্গের উন্নয়নের প্রাণকেন্দ্র। এ সময় তিনি নাটোরে একটি পূর্ণাঙ্গ টিভি সম্প্রচার কেন্দ্র স্থাপনের ঘোষণা দেন।

এর কয়েকদিন পরেই নাটোর হরিশপুর ওয়াপদা মাঠে জনসভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানেও বঙ্গবন্ধু নাটোরকে কেন্দ্র করে উত্তরবঙ্গের উন্নয়ন নিয়ে নানা কর্মসূচি ঘোষণা করেন।

বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে নাটোরে পূর্ণাঙ্গ টিভি স্টেশনসহ উত্তরবঙ্গের উন্নয়নের প্রাণকেন্দ্র হতো নাটোর- এমন দাবি করেন উমা চৌধুরী জলি।

তৎকালীন জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক, নাটোর এনএস কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি, মুক্তিযুদ্ধকালীন জেলা সংগ্রাম পরিষদের সিটি কনভেনার ও কলেজ সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি মুজিবুর রহমান সেন্টু জানান, ১৯৬৯ সালে নাটোর বোডিংয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের নিয়ে সভা করেন। এ সময় নাটোর আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগ নেতাদের নিয়েও তিনি খাবার খান।

১৯৭১ সালে জাতীর জনকের আগমনে গণভবনের তারা উপস্থিত ছিলেন দাবি করে জানান, নাটোরকে উত্তরবঙ্গের প্রাণকেন্দ্র হিসেবে ঘোষণা করেছিলেন বঙ্গবন্ধু।

এ সময় তিনি আরও ঘোষণা করেন, উত্তরবঙ্গের উন্নয়নের কেন্দ্রবিন্দু হবে নাটোর। এজন্য নাটোরে একটি পূর্ণাঙ্গ টিভি স্টেশন স্থাপনসহ সার্বিক উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।

বঙ্গবন্ধু যা বলতেন তাই করতেন দাবি করে মুজিবুর রহমান সেন্টু জানান, জাতির জনক বেঁচে থাকলে নাটোর সত্যি সত্যি দেশের দ্বিতীয় রাজধানী হতো। তাকে অকাল মৃত্যুর মধ্য দিয়ে নাটোরবাসীকে দেওয়া সেই প্রতিশ্রুতি আজও অপূর্ণই রয়ে গেল।

নাটোর ও নওগাঁ সংরক্ষিত আসনের এমপি রত্না আহমেদ দাবি করেন, বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে নাটোর হতো সমৃদ্ধ নগরী, দেশের দ্বিতীয় রাজধানী।

বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্য দিয়ে দুস্কৃতিকারীরা শুধু বঙ্গবন্ধু পরিবার ও আওয়ামী লীগের ক্ষতি করেনি বরং ক্ষতি করেছে নাটোরের অগ্রযাত্রা কেও।

আজ বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা দেশের প্রধানমন্ত্রী। বঙ্গবন্ধুর দলের আওয়ামী লীগ এখন ক্ষমতায়। এমন সময়ে বঙ্গবন্ধুর ওয়াদা পূরণে অগ্রণী ভূমিকা পালন করবেন শেখ হাসিনা- এমন প্রত্যাশা করেন তিনি।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও জানান, নাটোরের বিলচলন এবং অবকাঠামোসহ সার্বিক উন্নয়ন পরিকল্পনা, উত্তরা গণভবনকে কেন্দ্র করে নাটোরকে পর্যটন নগরী হিসেবে গড়ে তোলা এবং নাটোরকে কেন্দ্র করেই পুরো উত্তরবঙ্গের উন্নয়নের চিন্তা ছিল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের।

বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নকে বাস্তবায়নের কাজ করছেন, দেশের সার্বিক উন্নয়নের পাশাপাশি বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের নাটোর গড়তে ভূমিকা পালন করবেন শেখ হাসিনা -এমন আশাবাদ পূণব্যক্ত করেন তিনি।

তৎকালীন আওয়ামী লীগ নেতা রমজান আলী প্রামাণিকের ছেলে নাটোর জেলা মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম নান্টু জানান, তার বাবাকে অত্যন্ত ভালবাসতেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।

তোফায়েল আহমেদ, কামরুজ্জামান, তার বাবা রমজান আলী, শংকর গোবিন্দ চৌধুরী ও স্থানীয় এমপি আশরাফুল ইসলামের সঙ্গে সারা দেশের রাজনৈতিক উন্নয়ন ও দেশের উন্নয়ন নিয়ে নিয়মিত মিটিং করতেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। এ জন্য তিনি প্রায়ই নাটোরে আসতেন।
শহরের বড়হরিশপুর ওয়াপ্দা মাঠে বঙ্গবন্ধু এ সংক্রান্ত দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য রেখেছিলেন।
নাটোরকে উত্তরবঙ্গের প্রাণকেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার ক্ষেত্রে প্রকাশ্য ঘোষণা দিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু।

তিনি তার বাবার কাছে শুনেছেন, বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে নাটোর হতো উন্নত নগরী। হতো দেশের দ্বিতীয় রাজধানী।

দৃঢ় মনোভাব ব্যক্ত করে রফিকুল ইসলাম নান্টু আরও বলেন, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের সার্বিক উন্নয়ন নিয়ে কাজ করছেন। ইতোমধ্যেই নাটোরে টেক্সটাইল ইনস্টিটিউট হয়েছে।

দেশের সার্বিক উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে নিরলস কাজ করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি জাতির জনকের স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার কাজ করে যাচ্ছেন। নাটোরকে কেন্দ্র করে পুরো উত্তরাঞ্চলের উন্নয়ন নিয়ে বঙ্গবন্ধুর যে স্বপ্ন ছিল, বঙ্গবন্ধুর উত্তরা গণভবন নামকরণের ৫০ বছর পূর্তির সন্ধিক্ষণে সেই স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিতে পদক্ষেপ নিবেন শেখ হাসিনা- এমন প্রত্যাশা তার।

কেএম/এমএসপি

Header Ad

৯ বছর পর খালেদা জিয়ার সঙ্গে সৌদি রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ

খালেদা জিয়ার সঙ্গে সৌদি রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ। ছবি: সংগৃহীত

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত ঈসা ইউসুফ ঈসা আল দুহাইলান। সোমবার (২৫ নভেম্বর) রাত ৮টার দিকে সৌদি রাষ্ট্রদূতকে বহনকারী গাড়ি বিএনপি চেয়ারপারসনের বাসভবন ফিরোজায় প্রবেশ করে।

সাক্ষাতে খালেদা জিয়ার সঙ্গে আরও রয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন এবং বেগম জিয়ার উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য ও তার মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক বিশেষ দূত ড. এনামুল হক চৌধুরী।

২০১৮ সালে কারাবরণ এবং পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে গত ৬ আগস্ট স্থায়ী মুক্তির পর খালেদা জিয়ার সঙ্গে সৌদি রাষ্ট্রদূতের এটি প্রথম সাক্ষাৎ। এর আগে ২০১৫ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর বেগম জিয়ার সঙ্গে ঢাকাস্থ তৎকালীন রাজকীয় সৌদি রাষ্ট্রদূত আবদুল্লাহ এইচ এম আল মুতাইরি সাক্ষাৎ করেন। গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে ওই সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়েছিল।

এদিকে পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে গত ৫ সেপ্টেম্বর খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তার শারীরিক অবস্থার খোঁজ-খবর নেন ঢাকায় নিযুক্ত ব্রিটিশ হাই কমিশনার সারাহ ক্যাথেরিন কুক। ফিরোজায় অনুষ্ঠিত ওই সাক্ষাতে খালেদা জিয়াকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান সারাহ কুক।

Header Ad

ইসকন নেতা চিন্ময়কে গ্রেপ্তার নিয়ে যা বললেন প্রেস সচিব

প্রভু চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারী এবং প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র ও চট্টগ্রামের হাটহাজারীর পুণ্ডরীক ধামের অধ্যক্ষ প্রভু চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে (৩৮) গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

সোমবার (২৫ নভেম্বর) বিকেলে ঢাকা থেকে চট্টগ্রামে যাওয়ার সময় শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে বাংলাদেশ পুলিশের বিশেষায়িত গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) সদস্যরা তাকে গ্রেপ্তার করে।

সোমবার রাতে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সংবাদ সম্মেলনে চিন্ময় দাসকে গ্রেপ্তারের বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, চিন্ময় দাস আটক হয়েছেন বলে আমরা জানি। উনার নামে কোতোয়ালি থানায় একটি মামলা হয়েছে। এ বিষয়ে ডিএমপি কমিশনার আপনাদের (সাংবাদিক) জানাবেন।

এদিকে ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ ও কবি নজরুল কলেজ শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের সময়ে পুলিশের ভূমিকার বিষয়ে তিনি বলেন, আমাদের আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো অ্যালার্ট ছিল। কিন্তু পাবলিক এক্সপেকটেশনের কারণে আমরা আগের অবস্থান থেকে সরে এসেছি। পুলিশ লাঠিচার্জ করুক, এটাও সরকার দেখতে চায় না।

Header Ad

বেনাপোলে টানা ৪ দিন বন্ধ রয়েছে দূরপাল্লার সকল পরিবহন

বেনাপোলে টানা ৪ দিন বন্ধ রয়েছে দূরপাল্লার সকল পরিবহন। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দর থেকে চতুর্থ দিনের মত দূরপাল্লার সব পরিবহন বাস বন্ধ রয়েছে। বাস মালিক সমিতি পূর্ব ঘোষনা অনুযায়ী সোমবার (২৫ নভেম্বর) সাতক্ষীরা থেকে ঢাকাগামী সকল দূরপাল্লার বাস বন্ধ রেখেছে।

এতদিন বেনাপোল থেকে দূরপাল্লার বাস বন্ধ থাকলেও ভারত ফেরত অনেক পাসপোর্ট যাত্রী ১২ কিলোমিটার দূরে নাভারন সাতক্ষীরা মোড় থেকে সাতক্ষীরা রুটের গাড়ি ধরে বাড়ি ফিরছিলেন।সোমবার থেকে সেটাও বন্ধ করে দিয়েছে মালিক সমিতি।

এতে প্রতিদিন ভারত ফেরত হাজার হাজার যাত্রী চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। যাত্রীদের চেকপোস্টে না নিতে দিয়ে গভীর রাতে পৌর বাস টার্মিনালে নামাতে বাধ্য করার অভিযোগে শুক্রবার রাত থেকে বেনাপোলের দূরপাল্লার সব বাস বন্ধ রেখেছে মালিক সমিতি।

বেনাপোল পরিবহন ম্যানেজার সমিতির সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান বলেন,"আমাদের দাবি-দাওয়া না মানায় পরিবহন মালিকরা তাদের গাড়ি এই রুটে চালাবে না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আজ সোমবার থেকে সাতক্ষীরা রুটও বন্ধ করে দিয়েছে মালিক সমিতি।"

সাতক্ষীরা কে লাইন পরিবহনের জামতলা কাউন্টার প্রধান আনোয়ার হোসেন বিদ্যুৎ বলেন,বেনাপোলের সমস্যার সমাধান না হওয়ায় সাতক্ষীরা থেকে দূরপাল্লার পরিবহণের সকল বাস বন্ধ করে দিয়েছে মালিক সমিতি।পরবর্তী নির্দেশ না পাওয়া পর্যন্ত আমরা কোন টিকিট বিক্রি করছি না।

এদিকে হঠাৎ করে বেনাপোল থেকে দূরপাল্লার যাত্রীবাহী বাস চলাচল বন্ধ থাকায় আটকা পড়েছেন ভারত থেকে আসা হাজার হাজার পাসপোর্টধারী যাত্রী। গন্তব্যে যেতে তারা প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস,ট্রেন ব্যবহার করছেন। এতে ভোগান্তি,সময় অপচয়ের পাশাপাশি খরচও বেশি হচ্ছে বলে যাত্রীরা অভিযোগ করেছেন।

বেনাপোল চেকপোস্টে কথা হয় ভারত ফেরত যাত্রী নেত্রকোনার জিতেন সাহা, নারায়নগঞ্জের সাদ্দাম হোসেন টিপু, ঢাকার ফজলুর রহমান শেখ, লাল্টু হোসেন ও বিনয় পালের সাথে।

নেত্রকোনার জিতেন সাহা বলেন, তিন জন মিলে একটি প্রাইভেট নিয়ে যশোর যাচ্ছি।সেখান থেকে বাস ধরে বাড়ি যাবো।ভারত থেকে দেশে ফিরে এখন দেখছি 'দূর্ভোগের শেষ নেই'।

যশোর জেলা বাস মালিক সমিতির সভাপতি মুসলিম উদ্দিন পাপ্পু জানান, বেনাপোল চেকপোস্টে বন্দর ভেহিক্যাল টার্মিনাল চালু হওয়ায় কমে গেছে গাড়ির জট। বাস চলাচলে কোন যানজট হয়না। ভারত বাংলাদেশের আমদানি রপ্তানি পণ্যবাহী ট্রাকের কারনে সৃষ্টি হত যানজটের। দূরপাল্লার যাত্রীদের নিরাপত্তা ও দুর্ভোগের বিষয়টি কর্তৃপক্ষের বিশেষ বিবেচনার দাবী জানান মুসলিম উদ্দিন পাপ্পু।

বেনাপোলে যানজট নিরসনে পৌর বাস টার্মিনাল ব্যবহারে নির্দেশনা দেয় জেলা প্রশাসন। পরিবহন কর্তৃপক্ষ পৌর বাস টার্মিনাল ব্যবহারে সহমত পোষন করে দিনের বাসগুলো ছাড়ছিল সেখান থেকেই। যাত্রীদের নিরাপত্তা ও সুবিধায় রাতের বাস চেকপোস্ট টার্মিনালে এসে যাত্রী নামিয়ে দিয়ে বাস যাচ্ছিল পৌর টার্মিনালে। এরই মধ্যে হঠাৎ করে ২২ নভেম্বর গভীর রাতে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা বাসের যাত্রী পৌর বাস টার্মিাালে নামিয়ে নেওয়া হয়। বাস প্রবেশে দেওয়া হয বাধা। এরই প্রতিবাদে বাস চলাচল বন্ধ রাখে মালিক সমিতি। টানা চার দিন দুর পাল্লার পরিবহন চলাচল বন্ধে ভারত বাংলাদেশ যাতায়াতকারী যাত্রীরা পড়ছেন সীমাহীন ভোগান্তিতে। এর সুরাহা চান ভুক্তভোগী যাত্রীরা।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

৯ বছর পর খালেদা জিয়ার সঙ্গে সৌদি রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ
ইসকন নেতা চিন্ময়কে গ্রেপ্তার নিয়ে যা বললেন প্রেস সচিব
বেনাপোলে টানা ৪ দিন বন্ধ রয়েছে দূরপাল্লার সকল পরিবহন
৮ হাজার শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে পুলিশের মামলা
ঋণ দেওয়ার নামে শাহবাগে লোক জড়ো করা মোস্তফা আমীন আটক
সেন্ট মার্টিনে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচলের অনুমতি
আইপিএলে দল পেলেন না মুস্তাফিজুর রহমান
টাঙ্গাইলে আওয়ামী লীগ নেতা আজাহার গ্রেফতার
চলতি মৌসুমে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা আজ নওগাঁয়
নির্লজ্জ দলাদলির পরিণতি দেশবাসী দেখেছে: তারেক রহমান
মোল্লা কলেজের সার্টিফিকেট-ল্যাপটপ লুট, ক্ষতি ৭০ কোটি টাকা: অধ্যক্ষ
ইসকন নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাস গ্রেপ্তার
সাত কলেজের স্নাতক পরীক্ষা স্থগিত
সংঘর্ষের ঘটনায় যাত্রাবাড়ী-ডেমরা এলাকায় ৬ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন
পার্থ টেস্টে অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে রেকর্ড জয় ভারতের
বদলগাছীতে বাসের ধাক্কায় ৭ মাসের অন্তঃসত্ত্বা নারী নিহত, আহত ২
মামলা না নিলে ওসিকে এক মিনিটে বরখাস্ত করে দেবো: ডিএমপি কমিশনার
মাদ্রাসা শিক্ষার্থীকে যৌন নিপীড়নের মামলায় যুবকের যাবজ্জীবন
বিগ ব্যাশ খেলার অনুমতি পেলেন রিশাদ
শাকিব খানের সঙ্গে আইটেম গানে নুসরাত