কুড়িগ্রামে ‘মার্চ ফর ফেলানী’: সীমান্ত হত্যার বিচার ও মানবাধিকার রক্ষার দাবি
ছবি: সংগৃহীত
কুড়িগ্রামে সীমান্তে কিশোরী ফেলানী হত্যাকাণ্ডের বিচার ও বিএসএফের সীমান্ত হত্যাকাণ্ড বন্ধের দাবিতে ‘মার্চ ফর ফেলানী’ পদযাত্রা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় কুড়িগ্রামের কলেজ মোড় বিজয়স্তম্ভ থেকে জাতীয় নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের যৌথ উদ্যোগে এ পদযাত্রার সূচনা হয়। কর্মসূচি শুরুর আগে সীমান্তে নিহত শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
পদযাত্রার মাধ্যমে পাঁচ দফা দাবি জানানো হয়েছে, যার মধ্যে সীমান্ত হত্যার আন্তর্জাতিক বিচার, মরণঘাতী অস্ত্র ব্যবহার বন্ধে চুক্তি, কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে শহীদ ফেলানীর নামে আবাসিক ভবনের নামকরণ এবং প্রান্তিক এলাকার জীবনমান উন্নয়নের পদক্ষেপ অন্তর্ভুক্ত। পদযাত্রার অংশ হিসেবে পথসভা ও লিফলেট বিতরণ করা হবে, যা শেষ হবে নাগেশ্বরী উপজেলার রামখানা ইউনিয়নে শহীদ ফেলানীর কবর জিয়ারতের মাধ্যমে।
২০১১ সালের ৭ জানুয়ারি ভারতের বিএসএফের গুলিতে নিহত ফেলানীর মর্মান্তিক মৃত্যুর পর বিচার এখনো শেষ হয়নি। ওই হত্যাকাণ্ডের সময় ফেলানীর দেহ পাঁচ ঘণ্টা কাঁটাতারে ঝুলে ছিল, যা দেশি-বিদেশি গণমাধ্যম ও মানবাধিকারকর্মীদের তীব্র সমালোচনার জন্ম দেয়।
পদযাত্রায় জাতীয় নাগরিক কমিটির যুগ্ম আহবায়ক আতিক মুজাহিদ, কেন্দ্রীয় সদস্য কৌলাস চন্দ্র রবিদাস, মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম প্রমুখ অংশ নেন। এ ছাড়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মিডিয়া সেলের সমন্বয়ক রিফাত রিদওয়ান, সমন্বয়ক মুবাসসিরুল, সমন্বয়ক ইব্রাহীম মাহমুদ উপস্থিত ছিলেন।
এই কর্মসূচি সীমান্ত হত্যার বিচারের দাবি ও মানবাধিকার রক্ষায় নতুন করে আলোচনার সৃষ্টি করেছে।