কুষ্টিয়ায় শীতকালীন সবজি চাষে চাষিদের সাফল্য
শীতকালীন বিভিন্ন প্রকার সবজি চাষ করে এবছর ব্যাপক সাফল্য পেয়েছেন কুষ্টিয়ার সবজি চাষিরা। বিভিন্ন ধরনের সবজি চাষ করে তারা আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হওয়ার পাশাপাশি স্থানীয় বাজারে সবজির চাহিদা মিটিয়ে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন সবজি বাজারে সরবরাহ করছেন।
কুষ্টিয়ায় চলতি শীত মৌসুমে প্রায় ৬ হাজার হেক্টর জমিতে বিভিন্ন ধরনের সবজি চাষ হয়েছে। শিম, বেগুন, বাঁধাকপি, ফুলকফি, লাউ, মূলা, গাজর, বিভিন্ন ধরনের শাক ও মরিচসহ নানা ধরনের সবজি চাষ করে চাষীরা তা বাজারজাতকরণে ব্যস্ত সময় পার করছেন।
আবহাওয়া অনুকূলে থাকার কারণে সবজি চাষীরা সবজি চাষ করে বেশ লাভবান হচ্ছেন। আর তা স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে বাজারজাতকরণ করা হচ্ছে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে।
দৌলতপুর উপজেলার দৌলতখালী গ্রামের সবজি চাষি ইন্তাজ আলী জানান, এ বছর তিনি ৩ বিঘা জমিতে ফুলকফি চাষ করেছেন। ৩ বিঘা জমিতে তার খরচ হয়েছে মাত্র ৫০ হাজার টাকা। এ পর্যন্ত সে ২ লাখ টাকার ফুলকফি বিক্রি করেছেন। এখনও ৫০ হাজার টাকার ফুল কফি বিক্রি হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
দুখীপুর গ্রামের বকুল হোসেন জানান, তিনি এ বছর ১৫ কাঠা জমিতে ফুলকফি চাষ করে ৮০ হাজার টাকার ফুলকফি বিক্রি করেছেন। জমিতে এখনও যা আছে তা প্রায় ২৫ হাজার টাকায় বিক্রি হবে। এ বছর শীতকালীন সবজি চাষ করে চাষীরাও লাভবান হচ্ছেন।
আর সবজি চাষে তাদের উৎসাহ দেওয়ার পাশাপাশি ভাল ফলনের জন্য কৃষি বিভাগ বিভিন্ন ধরনের প্রণোদনা, তদারকি ও পরামর্শ দিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের জেলা প্রশিক্ষণ অফিসার সুফি মো. রফিকুজ্জামান।
কৃষকদের বেশি বেশি সবজি চাষে উৎসাহ ও প্রণোদনা দিলে একদিকে যেমন ক্ষতিকর তামাক চাষ প্রবণ এলাকা কুষ্টিয়ার চাষীদের তামাক চাষ থেকে মুখ ফেরানো সম্ভব।
অপরদিকে, অর্থকরী ফসল সবজি চাষ করে তারা আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হওয়ার পাশাপাশি সবজির চাহিদা পূরণ সম্ভব হবে।
এসএ/এমএসপি