বরগুনায় ৭৪ হাজারে বিক্রি হলো ‘নিষিদ্ধ’ শাপলাপাতা
বরগুনার আলতলী মাছ বাজারে ৭৪ হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছে ১৬০ কেজি ওজনের দুটি শাপলাপাতা মাছ।
মঙ্গলবার (৮ ফেব্রুয়ারি) বিকালে মাছ দুটি ভাগ দিয়ে বিক্রি করেন ব্যবসায়ী হারুন গাজী। যদিও শাপলাপাতা মাছ ধরা এবং বিক্রয় করা দণ্ডনীয় অপরাধ।
জানা যায়, সোমবার (৭ ফেব্রুয়ারি) রাতে বুড়িশ্বর নদীর সাগর মোহনায় মাছ ধরার জন্য জাল ফেলেন ফকিরহাট এলাকার জেলে আনছার আলী।
মঙ্গলবার সকালে জাল তুলতে গিয়ে তিনি দেখেন জালে বিশাল আকারের (১২০ কেজি ওজনের) একটি শাপলাপাতা মাছ আটকে আছে। ওই মাছের সঙ্গে ছোট আরও একটি (৪০ কেজি ওজনের) মাছ ধরা পড়ে।
জেলে আনছার আলী জানান, দুপুরে মাছ দুটি তিনি আমতলী মাছ বাজারের সুমন মৎস্য আড়তে বিক্রির জন্য নিয়ে আসেন। এসময় মাছ দুটি দেখতে উৎসুক জনতা ভিড় জমায়। পরে মাছ দুটি কিনে নেন খুচরা বিক্রিতা হারুন গাজী।
বিক্রেতা হারুন গাজী জানান, তিনি বড় মাছটি ভাগ করে ৫০০ টাকা কেজি দরে ৬০ হাজার টাকা এবং ছোট মাছটি সাড়ে ৩০০ টাকা কেজি দরে ১৪ হাজার টাকায় বিক্রি করেন।
‘সুমন মৎস্য’ আড়তের মালিক আব্দুল বারেক বলেন, সাধারণত এত বড় সাইজের শাপলাপাতা মাছ আমাদের আড়তে আসে না। এ মাছে এককভাবে ক্রেতা না থাকায় খুচরা বিক্রেতারা কিনে তা ভাগা দিয়ে বিক্রি করে থাকেন। তবে আমলতলীতে এ মাছের অনেক চাহিদা রয়েছে।
তবে আমতলী উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা হালিমা সরদার জানান, শাপলাপাতা মাছ ধরা এবং বিক্রয় করা দণ্ডনীয় অপরাধ।
বরগুনা মৎস্য কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ কুমার দেব বলেন, শীতের মৌসুমে জেলেদের জালে এ মাছ আটকে যায়। তবে এ মাছ যাতে আর মারা না পড়ে সে পদক্ষেপ নিচ্ছি।
এমএ/এমএসপি