বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪ | ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

মাশরাফি ও তার বাবাসহ ২৯৫ জনের নামে মামলা

মাশরাফি বিন মুর্তজা ও তার বাবা গোলাম মুর্তজা স্বপন। ছবি: সংগৃহীত

নড়াইল-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও ক্রিকেট তারকা মাশরাফি বিন মুর্তজা ও তার বাবা গোলাম মুর্তজা স্বপনসহ ২৯৫ জনের নাম উল্লেখ করে লোহাগড়া থানায় মামলা করা হয়েছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলার অভিযোগ এনে এই মামলা দায়ের করা হয়।

পুলিশ এ মামলায় দুজন এজাহারভুক্ত আসামিকে গ্রেপ্তার করে জেল হাজতে পাঠিয়েছে। গতকাল সোমবার (৯ ডিসেম্বর) রাতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন নড়াইল জেলা শাখার মুখ্য সংগঠক কাজি ইয়াজুর রহমান বাবু বাদী হয়ে থানায় মামলাটি করেন।

মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) সকালে লোহাগড়া থানা পুলিশের ওসি মো. আশিকুর রহমান মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মামলায় বাদী অভিযোগ করেন, আসামিরা স্বৈরাচারী ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের নড়াইল জেলার বিভিন্ন এলাকার নেতাকর্মী ও গুণ্ডা, সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, খুনি, অস্ত্রধারী ব্যক্তি। গত ৪ আগস্ট সকালে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র জনতার কর্মসূচি চলাকালে লোহাগড়ার সি এন্ড বি চৌরাস্তায় ছাত্র-জনতার ওপর হামলা করে বেধড়ক মারপিট করেন অভিযুক্তরা। বর্তমান নড়াইল জেলা সমন্বয়ক নেতা কাজী ইয়াজুর রহমানসহ আরো ১৩ জন শিক্ষার্থীকে রামদা, বাঁশের লাঠি, লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে ও কুপিয়ে আহত করেন। এ সময় শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করতে আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে গুলি ছোড়া ও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো হয় বলে মামলা বিবরণীতে বাদী উল্লেখ করেন।

মামলায় মাশরাফি ও তার পিতা ছাড়াও সদ্য নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের জেলা সভাপতি নাঈম ভূইয়া, সাধারণ সম্পাদক স্বপ্নীল শিকদার নীল, লোহাগড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুন্সী আলাউদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক পৌর মেয়র সৈয়দ মশিয়ুর রহমান, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান শিকদার আব্দুল হান্নান রুনু, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ফয়জুল হক রোম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফয়জুল আমীর লিটু, ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান, আওয়ামী লীগ ও সহযোগী অঙ্গ সংগঠনের ২৯৫ জনের নাম উল্লেখসহ আরো অজ্ঞাত সাড়ে ৩০০ জনকে আসামি করা হয়।

লোহাগড়া থানার ওসি মো. আশিকুর রহমান জানান, এ মামলায় উপজেলার চরকরফা গ্রামের জুন্নু মুন্সি এবং বয়রা গ্রামের আজাদ শেখ নামে দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং তাদেরকে জেল-হাজতে পাঠানো হয়েছে।

উল্লেখ্য, ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর নড়াইল সদর থানা ও লোহাগড়া থানায় নড়াইল-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মাশরাফি বিন মর্তুজাসহ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের নামে ৩টি মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং এসব মামলায় একাধিক নেতাকর্মীকে আটক করে জেল হাজতে পাঠিয়েছে সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশ।

Header Ad
Header Ad

জয়কে হত্যাচেষ্টা মামলায় বিএনপি নেতা মিল্টনের জামিন

বিএনপি নেতা মোহাম্মদ মিজানুর রহমান ভুঁইয়া মিল্টন

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়কে অপহরণ ও হত্যাচেষ্টা মামলায় আত্মসমর্পণ করে জামিন পেয়েছেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মোহাম্মদ মিজানুর রহমান ভুঁইয়া মিল্টন।

বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) ঢাকার অ্যাডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাহবুবুল হকের আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন তিনি। তার পক্ষে অ্যাডভোকেট মো. মাসুদুর রহমান শুনানি করেন। আপিলের শর্তে জামিন প্রার্থণা করেন তিনি। শুনানি শেষে আদালত তার জামিন মঞ্জুর করেন।

২০২৩ সালের ১৭ আগস্ট ঢাকার তৎকালীন অ্যাডিশনাল অ্যাডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আসাদুজ্জামান নূর এ মামলার রায় ঘোষণা করেন। রায়ে সাংবাদিক শফিক রেহমান, দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমান, মিজানুর রহমান ভূঁইয়াসহ পাঁচজনকে সাত বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত। পরে আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ২২ সেপ্টেম্বর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আসামি মিজানুর রহমানের সাজা এক বছরের জন্য স্থগিত করেন।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০১১ সালের সেপ্টেম্বরের আগে যেকোনো সময় থেকে এ পর্যন্ত বিএনপির সাংস্কৃতিক সংগঠন জাসাসের সহ-সভাপতি মোহাম্মদ উল্লাহ মামুনসহ বিএনপি ও বিএনপির নেতৃত্বাধীন জোটভুক্ত অন্যান্য দলের উচ্চপর্যায়ের নেতারা রাজধানীর পল্টনের জাসাস কার্যালয়ে, আমেরিকার নিউইয়র্ক শহরে, যুক্তরাজ্য ও বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকার আসামিরা একত্রিত হয়ে যোগসাজশে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে ও তাঁর উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়কে আমেরিকায় অপহরণ করে হত্যার ষড়যন্ত্র করেন। ওই ঘটনায় ডিবি পুলিশের পরিদর্শক ফজলুর রহমান ২০১৫ সালের ৩ আগস্ট বাদী হয়ে পল্টন মডেল থানায় মামলাটি দায়ের করেন। ২০১৮ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি এই পাঁচ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। এ মামলায় সজীব ওয়াজেদ জয়সহ ১২ জন ঢাকার আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন।

Header Ad
Header Ad

দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায়

সীমান্তবর্তী জেলা চুয়াডাঙ্গা।। ছবিঃ সংগৃহীত

সীমান্তবর্তী জেলা চুয়াডাঙ্গায় এক দিনের ব্যবধানে তাপমাত্রা কমেছে প্রায় ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এতে তীব্র ঠান্ডা আর হিমেল বাতাসে শুরু হয়েছে শীতের দাপট।

বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় এ জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা এ মৌসুমে জেলার ও দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের সিনিয়র পর্যবেক্ষক রাকিবুল হাসান।

চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, গত কয়েকদিন ধরেই চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রার পারদ নামতে শুরু করে। গত মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) এ জেলার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। পরদিন বুধবার (১১ ডিসেম্বর) তাপমাত্রা ছিল ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এক দিনের ব্যবধানে তাপমাত্রা কমে আজ দাঁড়িয়েছে ১০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে।

চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের সিনিয়র পর্যবেক্ষক রাকিবুল হাসান জানান, আজ বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) সকাল ৬টায় চুয়াডাঙ্গায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এসময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৭ শতাংশ। সকাল ৯টায় একই তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। তিনি আরো জানান, আজ চুয়াডাঙ্গা ও গোপালগঞ্জে যৌথভাবে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।

এদিকে, ঘন কুয়াশার সাথে তীব্র ঠান্ডায় এ অঞ্চলের মানুষের যবুথবু অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে।

ভোরে দিনমজুর ও শ্রমিকদের কাজে যেতে ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে। ঘন কুয়াশায় সড়কে হেডলাইট জালিয়ে যানবাহন চলাচল করছে। শীত নিবারণে অনেকে আবার খড়কুটো জালিয়ে উষ্ণতা নেয়ার চেষ্টা করছেন।

Header Ad
Header Ad

রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী পাপিয়া সারোয়ার মারা গেছেন

একুশে পদকজয়ী রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী পাপিয়া সারোয়ার।। ছবিঃ সংগৃহীত

দীর্ঘদিন ক্যান্সারের সঙ্গে লড়াই করে অনন্তলোকে পাড়ি জমালেন একুশে পদকজয়ী রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী পাপিয়া সারোয়ার।

বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) সকালে ঢাকার ইমপালস হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পাপিয়ার মৃত্যু হয়।

পাপিয়ার মৃত্যুর খবরটি গণমাধ্যমে নিশ্চিত করেছেন শিল্পীর স্বামী সারওয়ার আলম। তিনি জানান, শুক্রবার জুমার নামাজের পর তার জানাজা হবে, এরপর বনানী কবরস্থানে দাফন করা হবে।

পাপিয়া সারোয়ারের জন্ম বরিশালে, ১৯৫২ সালে ২১ নভেম্বর। ছোটবেলা থেকেই রবীন্দ্র অনুরাগী পাপিয়া ষষ্ঠ শ্রেণিতে ছায়ানটে ভর্তি হন। পরে ১৯৬৭ সাল থেকে বেতার ও টিভিতে তালিকাভুক্ত শিল্পী হিসেবে গান করেন তিনি।

এরপর ১৯৭৩ সালে ভারত সরকারের বৃত্তি নিয়ে শান্তিনিকেতনে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে রবীন্দ্রসংগীতে ডিগ্রি নিতে ভারতে যান। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর তিনিই প্রথম ভারত সরকারের বৃত্তি নিয়ে সেখানে স্নাতক করার সুযোগ পান।

পাপিয়ার প্রথম অডিও অ্যালবামটি প্রকাশিত হয়েছিল ১৯৮২ সালে। অ্যালবামটির নামও ছিল শিল্পীর নামেই, ‘পাপিয়া সারোয়ার’। তার সর্বশেষ অ্যালবাম ‘আকাশপানে হাত বাড়ালাম’ প্রকাশিত হয় ২০১৩ সালে।

দীর্ঘ সংগীত জীবনে রবীন্দ্রসংগীতের জন্য কোটি শ্রোতার ভালোবাসা পেয়েছেন পাপিয়া সারোয়ার। তার ব্যতিক্রমী কণ্ঠ, গায়কির প্রশংসা ছিল সংগীতাঙ্গনে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

জয়কে হত্যাচেষ্টা মামলায় বিএনপি নেতা মিল্টনের জামিন
দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায়
রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী পাপিয়া সারোয়ার মারা গেছেন
প্রায় সাড়ে ৪ ঘন্টা বিভ্রাটের পর স্বাভাবিক হলো হোয়াটসঅ্যাপ, ইনস্টাগ্রাম
প্রধান বিচারপতির সঙ্গে সংবিধান সংস্কার কমিশনের সাক্ষাৎ
সরকারি চাকরির আবেদন ফি কমিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি
২১ হাজার ৯৪৩ কোটি টাকার জ্বালানি তেল কিনবে সরকার
ঢাকা সফর নিয়ে দিল্লিতে ব্রিফ করলেন বিক্রম মিশ্রি
টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌপথে ট্রলার চলাচল বন্ধ
সাত দিনের মধ্যে সম্পদের হিসাব দেবে দুদকের নতুন কমিশন
ভারতের ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় দেশ ঐক্যবদ্ধ: রিজভী
শীতে দৈনিক দুই কোয়া রসুন খান দেখুন কি হয়!
লালমনিরহাটের নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগ নেতা গ্রেপ্তার
ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে
সন্দ্বীপকে নদীবন্দর ঘোষণা নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের
বিএনপির লং মার্চ: আগরতলা সীমান্তে সতকর্তা বাড়িয়েছে ভারত
ম্যানসিটির পর আর কোনো ক্লাবের দায়িত্ব নিবেন না গার্দিওলা
আমাকে নেওয়ার ক্ষমতা এদেশের পুরুষদের নেই: বাঁধন
টাঙ্গাইল হানাদার মুক্ত দিবসে মুক্তিযোদ্ধা দলের বিজয় র‍্যালি
মাহফিলে ভারতীয় অভিনেত্রীর সৌন্দর্য বর্ণনা, ক্ষমা চাইলেন আমির হামজা